তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বিষয়বস্তু দ্বিতীয় সেমিস্টার একাদশ শ্রেণি বাংলা | Telenapota Golper Bisoibostu 2nd Semester Class 11 wbchse
সেমিস্টার – II
তেলেনাপোতা আবিষ্কার
—প্রেমেন্দ্র মিত্র
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here
∆ লেখক পরিচিতি—
জন্ম : ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯০৪, কাশী, বারাণসী, উত্তর প্রদেশ, ভারত
পিতা ও মাতা : জ্ঞানেন্দ্রনাথ মিত্র (বাবা), সুহাসিনী দেবী (মা)
দাম্পত্য সঙ্গী : বীণা মিত্র
পেশা : কবি, ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক এবং চিত্রপরিচালক
উল্লেযোগ্য কাব্য : ফেরারী ফৌজ, সাগর থেকে ফেরা, সম্রাট, জোনাকিরা, হরিন চিতা চিল, কখনো মেঘ, কিন্নর, কুয়াশা, নিশিথনগরী, বেনামী বন্দর, শ্রেষ্ঠ কবিতা
পুরস্কার : রবীন্দ্র পুরস্কার, আকাদেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী, দেশিকোত্তম
ছদ্মনাম : কৃত্তিবাস ভদ্র
মৃত্যু : ৩ মে ১৯৮৮
প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯০৪-১৯৮৮) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি, ঔপন্যাসিক ও ছোটোগল্পকার। পিতার রেলের চাকরির সুবাদে ভারতের নানান জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন, পরবর্তীকালে সাহিত্যজীবনে সেই অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটে। তীক্ষ্ণধার ভাষা আর তির্যক ভঙ্গি তাঁর লেখনীর বৈশিষ্ট্য। হাস্যরসের মধ্য দিয়ে শ্লেষের তির বা সামাজিক-রাজনৈতিক কটাক্ষ ছিল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গি। তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত গল্পগ্রন্থ: বেনামী বন্দর, পুতুল ও প্রতিমা, মৃত্তিকা, পঞ্চশর, অফুরন্ত, জলপায়রা, ধূলিধূসর, মহানগর, সপ্তপদী, নানা রঙে বোনা। শুধু কেরানী, মোট বারো, পুন্নাম, শৃঙ্খল, বিকৃত ক্ষুধার ফাঁদে প্রভৃতি তাঁর লেখা অবিস্মরণীয় ছোটোগল্প। তাঁর লেখা বিজ্ঞান-নির্ভর রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে পিঁপড়ে পুরাণ, মঙ্গলবৈরী, পৃথিবীর শত্রু, করাল কীট, ময়দানবের দ্বীপ প্রভৃতি। ১৯২৪ সালের মার্চ মাসে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘শুধু কেরাণী’। তিনি ‘কল্লোল’, ‘কালিকলম’, ‘বাংলার কথা’, ‘বঙ্গবাণী’ প্রভৃতি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন, লিখেছেন সুধীরচন্দ্র সরকারের ‘মৌচাক’ পত্রিকায়। ঘনাদা, মামাবাবু, ভূত-শিকারি মেজকর্তা এবং গোয়েন্দা-কবি পরাশর বর্মা প্রভৃতি তাঁর সৃষ্ট কয়েকটি বিখ্যাত চরিত্র।
উৎসঃ প্রেমেন্দ্র মিত্র রচিত ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পটি ১৯৪২ সালে যুগান্তর পত্রিকার শারদ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং পরে ১৯৪৬ সালে তাঁর ছোটগল্পের সংকলন ‘কুড়িয়ে ছড়িয়ে’ গ্রন্থে স্থান পায়।
বিষয় সংক্ষেপঃ তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পটি প্রথমবার পড়লে একটু খটকা লাগতে পারে। খটকা লাগার কারণ, এই গল্পের বিস্তার অন্যান্য গল্পের মতো নয়। গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবটাই যেন ধোঁয়াশায় ঢাকা। আবার, গল্পের মূল চরিত্রের কী নাম সেটাও উল্লেখ নেই। এইজন্য ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে গল্পের নির্যাসটুকু তুলে ধরা হল।
কলকাতা থেকে তিনজন যুবক তেলেনাপোতা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তিনজনের মধ্যে একজন মনিদা, যার দেশের বাড়ি এই তেলেনাপোতা গ্রাম। বহুকাল আগে ম্যালেরিয়া-মহামারীতে এই গ্রামটি শ্মশানে পরিণত হয়েছিল। অনেকেই গ্রাম ছেড়ে শহরে বসবাস শুরু করেছিল। মনিদাও তাদের একজন। বাকি দু’জনের নাম গল্পে উল্লেখ নেই। এদের একজন গল্পের মূল চরিত্র যার নেশা মাছ ধরা এবং মনিদার মুখে তেলেনাপোতার সহজ-সরল মাছের কথা শুনে মাছ ধরার লোভে তার তেলেনাপোতায় আসা। তৃতীয়জন পানরসিক বন্ধু অর্থাৎ নেহাত মদ্যপান করাই তার উদ্দেশ্য।
শহর কলকাতা থেকে তেলেনাপোতা যাওয়ার যাত্রাপথটি লেখক সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। ভ্যাপসানি গরম, ঘন অন্ধকার পরিবেশ আর মশার কলরব- সব মিশিয়ে অদ্ভুত এক যাত্রাপথ। রাতের অন্ধকারে একটি গরুর গাড়ি চেপে তারা তেলেনাপোতায় উপস্থিত হয়। রাত্রির অন্ধকারে মৃত নগরীর মতো নিস্তরঙ্গ তেলেনাপোতা গ্রাম। বাকি দুজন ঘুমিয়ে পড়লেও গল্পের প্রধান চরিত্র অর্থাৎ শৌখিন-মাছশিকারী সেই বন্ধুটি ছাদে চলে যায়। সেখান থেকে তার চোখে পড়ে পাশের বাড়ির জানালায় দাঁড়িয়ে একটি নারীমূর্তি। পরদিন সকালে মাছ ধরতে গিয়ে আবার তার দেখা পাওয়া যায় কোমলে-কঠিনে মেশানো অপুর্ব এক নারী। এদিকে অনেক চেষ্টা করেও যখন সে কোনো মাছ পেলনা তখন হতাশ হয়ে ফিরে আসে এবং জানতে পারে সেই মেয়েটির নাম যামিনী আর তাদের দুপুরের খাওয়া-দাওয়া আজ যামিনীদের বাড়িতেই হবে।
যামিনীদের বাড়িতে গিয়ে এই বন্ধুটি (অর্থাৎ গল্পের প্রধান চরিত্রটি) জানতে পারে যে নিরঞ্জন নামে এক যুবক যামিনীকে বিয়ে করার কথা দিয়ে আর ফিরে আসেনি। যামিনী সেটা মেনে নিয়েছে কিন্তু যামিনীর পঙ্গু মা এখনো এই আশায় দিন গুনে চলেছে যে নিরঞ্জন এসে যামিনীকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে। মনিদার সঙ্গে দুজন যুবক এসেছে শুনে যামিনীর মায়ের ধারণা হয়েছে যে নিরঞ্জন ফিরে এসেছে আর তাই যামিনির মা মনিদার সাথে দেখা করতে যায়। মনিদা বুড়ির এমন আবদার শুনে বিরক্ত হয়। এমন সময় মৎস্য-শিকারি সেই বন্ধুটি আবেগবশত মনিদার সঙ্গে যায় যামিনির মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এবং সেখানে গিয়ে নিজেকে নিরঞ্জন বলে পরিচয় দেয়। যামিনির মাকে সে এই প্রতিশ্রুতিও দেয় যে সে যামিনীকে বিয়ে করবেই।
মাছ-শিকারী সেই বন্ধুটি তেলেনাপোতা থেকে ফেরার সময় নিজের মাছ ধরার সরঞ্জাম রেখে দিয়ে যায়। কদিন পরেই তো সে আবার তেলেনাপোতা এসে যামিনীকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে- এমনটাই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সে কলকাতায় ফিরে ম্যালেরিয়ার কবলে পড়ে। অনেকদিন পর যখন সে সুস্থ হল তখন কোথায় বা যামিনী আর কোথায় বা তেলেনাপোতা! সবই ঝাপসা স্মৃতির মতো আস্তে আস্তে মন থেকে সরে যেতে থাকে।
গল্পের বিষয়বস্তুঃ সম্ভবত, কোনো-এক মঙ্গলবার মাছ শিকারের নতুন জায়গার সন্ধান পেয়ে গল্পকথক তার দুই বন্ধুসহ রওনা দিয়েছিলেন তেলেনাপোতার উদ্দেশ্যে। ঘণ্টা দুয়েকের বাসযাত্রার পর তেলেনাপোতার কাছাকাছি এক বাসস্টপে নেমেও পড়েন তাঁরা। তেলেনাপোতার দিকে যাওয়ার জন্য মশার কামড় ও অদ্ভুত নীরবতার মধ্যে যে-কোনো একটা যানের অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত যখন ফিরতি বাসে স্বস্থানে চলে আসা মনস্থির করেছেন, সেই সময় নিস্তব্ধ জঙ্গল থেকে অমানুষিক কান্নার মতো আওয়াজ করতে করতে একটা গোরুর গাড়ি তাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়। গোরু দুটিকে দেখে গল্পকথকের মনে হয়েছে, পাতালের কোনো বামনের দেশ থেকে তাদের এই ক্ষুদ্র সংস্করণটি উপস্থিত হয়েছে।
ক্ষুদ্র গাড়িটির সরু ছইয়ের ভিতরে তিন বন্ধু কোনোরকমে নিজের হাত-পা গুটিয়ে গাদাগাদি করে বসে পড়লেন। অন্ধকার ক্রমে গাঢ় হয়, আর সেই অন্ধকার ভেদ করে জঙ্গল ঘেরা পথে হেলতে দুলতে এগিয়ে চলে সেই গোরুর গাড়ি। হঠাৎ এক সময় উৎকট এক বাজনার আওয়াজে চমকে উঠে কথক দেখলেন গাড়ির গাড়োয়ান ক্যানেস্তারা বাজাচ্ছে। কারণ, জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারলেন, এই ক্যানেস্তারার শব্দ শুনে আশেপাশের চিতাবাঘ পালিয়ে যাবে।
কলকাতা থেকে মাত্র ত্রিশ মাইল দূরে এইরকম একটা স্থান থাকা সম্ভব কি না ভাবতে ভাবতে একসময় জঙ্গল-মাঠ পেরিয়ে পুকুরের পাশে বিশাল এক জরাজীর্ণ বাড়িতে তাঁরা ওঠেন। ধ্বংসপ্রায় এই অট্টালিকার অপেক্ষাকৃত বাসযোগ্য কোনো-একটি ঘরে তারা স্থান পান। তাদের মধ্যে একজন ঘুমকাতুরে। তাই চামচিকে, অসংখ্য ঝুল আর ধুলোয় ভরতি ঘরে ঢোকামাত্র একটি শতরঞ্জি বিছিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। কথকের আর-এক বন্ধু পানরসিক। তিনিও খানিক বাদে পানপাত্রে নিজেকে সম্পূর্ণ ডুবিয়ে দিলেন। ঘরের আসবাব বলতে একটা লণ্ঠন ও জলের কলশি। দীর্ঘদিনের আবদ্ধ ঘরের ভাপসা গন্ধে আর মশার উৎপাতে থাকা দায়।
স্বাভাবিকভাবেই গল্পকথকের ঘুম আসে না। তিনি এই মশা আর গুমোট গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য টর্চ হাতে ভাঙা সিঁড়ি দিয়ে কোনোক্রমে ছাদে উঠলেন। ছাদের আলসে বহু জায়গায় ভাঙা। নানা ভগ্নস্থান ভেদ করে বিভিন্ন গাছের শিকড় প্রাসাদটিকে একেবারে ধ্বংসের শেষ সীমায় নিয়ে গেছে। কিন্তু তারই মধ্যে কৃষ্ণপক্ষের ম্লান জোৎস্নায় চারিদিক যেন অপূর্ব মোহময় এক রূপকথার জগতে পরিণত হয়েছে বলে মনে হয়। হঠাৎ গল্পকথক অদূরে ছোটো রাস্তার ওপারে একটি ভাঙা বাড়ির কোনো-একটি জানালায় আলোর ক্ষীণ রেখা দেখতে পান, দেখতে পান একটি অস্পষ্ট ছায়ামূর্তিও। কিছু পরে সেই ছায়ামূর্তি সরে যায়। তখন গল্পকথকের মনে হয় এগুলো হয়তো তার মনের ভুল। নেমে আসেন নীচে এবং বন্ধুদের সঙ্গে ঘুমিয়েও পড়েন।
মৎস্য শিকার করা গল্পকথকের উদ্দেশ্য। তাই পরের দিন মাছ ধরার যথাযথ আয়োজন করে শ্যাওলা ঢাকা ভাঙা পুকুর ঘাটের এক পাশে স্থান করে নিলেন তিনি। বেলা বাড়তে থাকে, একটা মাছরাঙা পাখি মাঝেমধ্যে টুক করে জলে ডুব দিয়ে মাছ শিকার করে একটা বাঁশের আগায় বসে পড়ে এবং দুর্বোধ্য ভাষায় তাঁকে বিদ্রূপ করে। হঠাৎ জলের শব্দ শুনে চমক ভেঙে তিনি দেখেন লজ্জা ও আড়ষ্টতাহীনা একটি মেয়ে কলশিতে করে পুকুরে জল নিতে এসেছে। এমন একটি নির্জন স্থানে মেয়েটিকে দেখে গল্পকথক অবাক, কিন্তু মেয়েটির বিশেষ ভূক্ষেপ ছিল না। জল ভরে চলে যাওয়ার পথে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ঘাড় বেঁকিয়ে সে কথককে বড়শিতে টান দিতে বলে। মেয়েটির মুখের শান্ত-করুণ গাম্ভীর্য আর অপুষ্ট শরীর দেখে গল্পকথক মেয়েটির বয়স অনুমান করতে পারলেন না।
এই মেয়েটির বাড়িতেই দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হয়। জানা যায়, মেয়েটির নাম যামিনী। খাওয়া-দাওয়ার সময় মাঝেমধ্যেই উপরতলার কোনো-এক ঘর থেকে একটা ক্ষীণ কণ্ঠের আওয়াজ শোনা যায়। যামিনী তখন চঞ্চল হয়ে ওঠে, উপরে যায়, ফিরে আসে বিষণ্ণ মুখে। খাওয়া শেষে বিশ্রামের সময় গল্পকথক তাঁর বন্ধু মণির কাছ থেকে জানতে পারলেন, যামিনীর মা অন্ধ। যামিনীর ভবিষ্যতের জন্য চিন্তান্বিতা মা তাঁর হবু জামাই নিরঞ্জনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।
কিন্তু নিরঞ্জন ইতোমধ্যেই অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে। যামিনীও জানে সেটা। কিন্তু বৃদ্ধাকে সে-কথা বলা যায় না।
যামিনীর কাতর অনুরোধে তার সম্পর্কিত দাদা মণি বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, গল্পকথকও তার সঙ্গী হলেন। তাদের পায়ের শব্দে সেই কঙ্কালসার মূর্তিতে যেন প্রাণের স্পন্দন আসে। বৃদ্ধার স্থির বিশ্বাস, তাঁর হবু জামাই নিরঞ্জন এসেছে। বৃদ্ধা তাঁর কল্পনার নিরঞ্জনকে অনুরোধ করে, এবার যেন সে পালিয়ে না যায়। মণি আসল বিষয়টি খোলসা করে দিতে উদ্যত হতেই গল্পকথক নিজেকে নিরঞ্জনের ভূমিকায় নিয়ে এসে বৃদ্ধাকে কথা দেন, “না মাসিমা, আর পালাব না।” গল্পকথকের এই আশ্বাসবাণী যামিনী ও মণিকে স্তম্ভিত করে দেয়।
সেদিনই বিকেলবেলা তাদের ফেরার পালা। গোরুর গাড়ি এসে হাজির। গল্পকথক ছিপ নিতে ভুলে গেলে যামিনী তা স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রত্যুত্তরে গল্পকথক তাকে বলেন- “এবারে পারিনি বলে তেলেনাপোতার মাছ কি বারবার ফাঁকি দিতে পারবে?” অতঃপর মহানগরের আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে তেলেনাপোতার স্মৃতিতে কিছুদিন ভাসতে থাকেন গল্পকথক। অবশেষে পুনরায় তেলেনাপোতা যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলে সেদিনই প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। ডাক্তার জানালেন, এটি ম্যালেরিয়া।
দীর্ঘ রোগভোগের পর যখন সুস্থ হলেন গল্পকথক তখন আলো-হাওয়ায় বেরিয়ে নিজেই উপলব্ধি করেন, নিজের অজ্ঞাতসারে তাঁর দেহ ও মনের অনেক ধোয়া-মোছা ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। তেলেনাপোতার স্মৃতি তার কাছে একটা ঝাপসা স্বপ্ন বলে মনে হয়। এভাবেই তেলেনাপোতা হঠাৎ আবিষ্কৃত হয়ে আবার গভীর রাত্রির অতলে ডুবে যায়।
◆ দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা প্রশ্নোত্তর
◆ তেলেনাপোতা আবিষ্কার পাঠ্য বইয়ের গল্প
◆ তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বিষয়বস্তু
◆ তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের প্রশ্নোত্তর
◆ ভাব সম্মিলন কবিতার বিষয়বস্তু
◆ ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর
◆ লালন শাহ্ ফকিরের গান বিষয়বস্তু
◆ লালন শাহ্ ফকিরের গান প্রশ্নোত্তর
◆ বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর
◆ আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের প্রশ্নোত্তর
◆ পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর
◆ আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্ন ও উত্তর
◆ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা (৩য়) প্রশ্নোত্তর
◆ লৌকিক সাহিত্যের নানা দিক (৪র্থ) প্রশ্নোত্তর
📌 আরো দেখুনঃ
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here
