পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্নোত্তর দ্বিতীয় সেমিস্টার একাদশ শ্রেণি বাংলা | Pochise Boisak Probondher Question Answer 2nd Semester Class 11 Bengali wbchse

পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্নোত্তর দ্বিতীয় সেমিস্টার একাদশ শ্রেণি বাংলা | Pochise Boisak Probondher Question Answer 2nd Semester Class 11 Bengali wbchse

📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here

📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here

📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধ দ্বিতীয় সেমিস্টার একাদশ শ্রেণি বাংলা | Pochise Boisak Probondho Essay Type Question Answer 2nd Semester Class 11 Bengali wbchse

∆ অনধিক একশো পঞ্চাশ শব্দে উত্তর দাও :
প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫

প্রশ্ন ১। ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তরঃ সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল নামকরণ। নামকরণের মাধ্যমে রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগাম ধারণা করা যায়। নামকরণ নানা প্রকারের হয়, যেমন— চরিত্রপ্রধান, ঘটনাকেন্দ্রিক, ব্যঞ্জনাধর্মী ইত্যাদি। এবার আলোচনা করে দেখা যাক সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধের নামকরণ কতটুকু সার্থক হয়েছে।

লেখক প্রবন্ধটি শুরুই করেছেন কবিগুরুর সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ হৃদ্যতার পরিচয় দিয়ে। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগে যৌবনেই তিনি কবিগুরুর সংস্পর্শে আসেন এবং কবিগুরু সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। এই কথার সূত্রেই লেখক আলোচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথের শিল্প সৃষ্টি উপন্যাস, ছোটোগল্প, নাটক, কাব্য, শব্দতত্ত্ব, সংগীত, রাজনীতি প্রভৃতি বহুধারায় ছড়িয়ে পড়েছে এই জগতে আর তাতে মুগ্ধ হয়েছেন রসিকজন।

রবীন্দ্রনাথের অতুলনীয় সৃষ্টি হল তাঁর গান, যা তাঁকে জগৎ সংসারে শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মার সঙ্গে তুলনীয় করে তুলেছে বলে লেখক মনে করেছেন। রবীন্দ্রগানের আলোচনায় শেলি, কীটস্, গ্যোটে, কালিদাস, জয়দেব, গালীব প্রমুখের প্রসঙ্গ তুলে লেখক বলেছেন- এঁদের গানে তিনি তৃপ্তি পেলেও, রবীন্দ্রগানের স্বর্গীয় গীতিরস এঁদের গানে নেই। আবার জার্মান ‘লীডার’ বা ইরানীয়দের ‘গজল’ও অসম্পূর্ণ বলেছেন, কারণ তা মনকে অতৃপ্ত রাখে; কিন্তু রবীন্দ্রগান অখণ্ড ও সম্পূর্ণ। এই গান অতিশয় উচ্চাঙ্গের এবং রসিকজনের হৃদয়ে নতুন ভুবন সৃষ্টি করে। রবীন্দ্রগানের রসসাগরে ভেসে মর্ত্যপৃথিবীর বন্ধন ছিন্ন করে গায়ক বা শ্রোতা পৌঁছে যান ‘নীলাম্বরের মর্মমাঝে’; আবার সেই গানই যখন রসিককে ফিরিয়ে আনে মর্ত্যভূমিতে, তখন তা হয়ে ওঠে স্বর্গের থেকেও মাধুর্যময়।

এবার প্রশ্ন হতে পারে যে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে প্রবন্ধটির নামকরণ ‘পঁচিশে বৈশাখ’-এর সম্পর্ক কী ? আমাদের মনে রাখা দরকার ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ আর ‘পঁচিশে বৈশাখ’ কথা দুটি পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক হয়ে আছে। আর তাই রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিসম্ভারের কথা উঠলেই – কবিগুরুর জন্মদিনটির কথাও চলে আসে স্বাভাবিকভাবেই। ‘পঁচিশে বৈশাখ’-এ তো আমরা রবীন্দ্রসৃষ্টি তথা রবীন্দ্রনাথের গানেই কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করি। তাই আমরা বলতে পারি আলোচ্য প্রবন্ধে একবারের জন্যও ‘পঁচিশে বৈশাখ’ দিনটির কথা না-লেখা থাকলেও নামকরণে ‘পঁচিশে বৈশাখ’ নামটি যথেষ্ট ব্যঞ্জনাময় ও সার্থক হয়ে উঠেছে।

প্রশ্ন ২। কোনো-কোনো গায়কের গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত ফিকে পানসে লাগে কেন, এ বিষয়ে প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলীর বক্তব্য কী ? ৫

উত্তরঃ বিখ্যাত প্রাবন্ধিক বাঙালি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধে কোনো কোনো গায়কের গাওয়া রবীন্দ্রসংগীতকে ফিকে বা পানসে লাগার কারণ হিসেবে তাঁর মূল্যবান মতামত প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, ওই গায়কের হয়তো সুর-তাল-জ্ঞান দারুণ, হয়তো-বা তাঁদের মধুরতম কণ্ঠও আছে, তবু তাঁদের যদি যথেষ্ট শব্দ সম্মানবোধ না থাকে তাহলে গান ফিকে, পানসে বা ফ্লাট লাগতেও পারে। প্রতিটি শব্দ যদি তার অর্থকে প্রকাশ করার মতো রসিয়ে রসিয়ে না গাওয়া হয় তাহলে তার ভিতরকার গীতরস উদ্‌ঘাটিত হবে না। আর তা না হলেই গান পানসে লাগতে বাধ্য।

রবীন্দ্রনাথের গানে যে সমস্ত শব্দ ব্যবহার করা হয় তার প্রত্যেকটির কোনো-না-কোনো বিশেষ অর্থ বর্তমান। গায়ক যদি সেই সমস্ত শব্দের প্রতি সম্মান না জানিয়ে গান করেন বা সেই সমস্ত শব্দের অর্থ অনুযায়ী বা ভাব অনুযায়ী রসিয়ে রসিয়ে না গান করেন, তা হলে তা পানসে বা ফিকে লাগতেই পারে। শব্দের অর্থ গানের মধ্যেও তখনই সুন্দরভাবে প্রকাশ পাবে, যখন ওই ভাব অনুযায়ী প্রকাশ ভঙ্গিমা ঠিক রেখে গায়ক গান গাইবেন এবং কণ্ঠের ওঠা পড়ায় সুর মাধুরীতে ভালো লাগার জগৎ গড়ে উঠবে।

প্রশ্ন ৩। “তার গভীরতা পণ্ডিতদের নির্বাক করে দিয়েছে,”— কীসের গভীরতার কথা বলা হয়েছে ? এই প্রসঙ্গে সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে বক্তা আর কী কী গুণের কথা বলেছিলেন ? [সংসদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্ন] ২+৩=৫

উত্তরঃ প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে উল্লিখিত হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শব্দতত্ত্ব সম্বন্ধে গবেষণার গভীরতা পণ্ডিতদের নির্বাক করে দিয়েছে। শব্দতত্ত্ব সম্বন্ধে তাঁর সুচিন্তিত মতামত সংবলিত গ্রন্থ ‘বাংলা শব্দতত্ত্ব’ বাংলা সাহিত্যের আকর-বিশেষ। বাংলা ভাষা-বিষয়ক এমন যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যাসহ লেখা বাংলা ভাষায় লেখা গ্রন্থগুলির মধ্যে উৎকৃষ্টতম বলা যায়।

এই প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক মুজতবা আলী আরও বলেছেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে উপন্যাস রচনা করেছেন তা অতি উত্তম। বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম ছোটোগল্পের জন্ম দেন ও প্রতিষ্ঠা করেন। এক্ষেত্রে তিনি মোঁপাসা বা চেখভকেও তিনি ছাড়িয়ে গিয়েছেন। নাটকে তিনি বিশ্বের যে-কোনো মিসটিকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। বাংলা নাটকের ক্ষেত্রেও প্রথাগত নাটক ছাড়া রূপক ও সাংকেতিক নাটক এবং নৃত্যনাট্য শাখাকে তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় উপহার দিয়েছেন। আর কবিরূপে তো বিশ্ববাসীর কাছে সপ্রশংস বন্দিত নন্দিত। বিশ্বকবির তকমাটাও তাঁর ললাটে প্রোজ্জ্বল্যমান। এ ছাড়া এই প্রসঙ্গে লেখক আরও বলেছেন যে, তাঁর রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি ভারতবাসীকে যে আর কত বছর ধরে নব নব শিক্ষা দেবে, তার ইয়ত্তা নেই। আর গুরুদেবরূপে তিনি শান্তিনিকেতন নামে যে গুরুগৃহ নির্মাণ করে গেছেন, তার স্নিগ্ধ ছায়ায় বিশ্বজন অবশ্যই সুখময় নীড় লাভ করবে।

প্রশ্ন ৪। ‘আবার যখন তিনি আমাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তখন এই মৃত্তিকাই স্বর্গের চেয়ে অধিকতর ‘মধুময় হয়ে ওঠে।’– কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এমন মন্তব্য করেছেন ? মন্তব্যটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ রম্যরচনাকার, বহুভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ নামক প্রবন্ধে লেখক রবীন্দ্রনাথের গান সম্পর্কে সুললিত ভাষায় আলোচনা করেছেন। এই গান তানপ্রধান ও ব্যঞ্জনাময়। রবীন্দ্রনাথের গানের মর্মবাণী গভীর উপলব্ধির। গানের প্রতিটি শব্দকে হৃদয়রসে সিঞ্চিত করে রসাবেশের মাধ্যমে অনুভব করতে হয়। রবীন্দ্রগান রসিক মনকে কখনও মৃত্তিকার বন্ধন থেকে নিয়ে যায় স্বর্গলোকে, আবার কখনও বিচরণ করায় এই মর্ত্যভূমিতে। এই প্রসঙ্গেই লেখক প্রশ্নের মন্তব্যটি করেছেন।

রবীন্দ্রনাথের সুর, লয়, তান, শব্দ সংস্থাপন, রসসৃষ্টি এমনই মনকে মুগ্ধ করে যে, তাতে ভেসে যায় রসিকের মন। তাই রবীন্দ্রগানের অলৌকিক রসসাগরে ভাসতে ভাসতে গায়ক বা শ্রোতা পৌঁছে যেতে পারেন অপার্থিব জগতে। মর্ত্য পৃথিবীর বন্ধন ছিন্ন করে আমরা পৌঁছে যেতে পারি ‘নীলাম্বরের মর্মমাঝে’। আবার সেই গানই যখন আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসে এই পৃথিবীতে তখন তা স্বর্গের থেকেও অধিকতর ‘মধুময় হয়ে ওঠে’। অর্থাৎ রসিকমন রবীন্দ্রগানের তরিতে ভাসতে ভাসতে কল্পনা করে—

“ঐ আলোক-মাতাল স্বর্গসভার মহাঙ্গন,
কোথায় ছিল কোন্ যুগে মোর নিমন্ত্রণ।”

যখন কোন রসিক সেই স্বর্গসভার অভিজ্ঞতালাভের জন্য নিজেকে তৈরি করতে থাকেন, তখনই গগনতল ত্যাগ করে ফিরে আসতে হয় মর্ত্য পৃথিবীতে। আর তখন রসিক উপলব্ধি করেন স্বর্গলোক নয়, এই মর্ত্যভূমিই অধিকতর মাধুর্যময় হয়ে স্থান করে নিয়েছে তাঁর বোধের জগতে। প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যের মাধ্যমে লেখক এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন ৫। “বিশ্বজন একদিন সুখময় নীড় লাভ করবে সে বিষয়েও কোনো সন্দেহ নেই।”— প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির ব্যাখ্যা করো। ৫

উত্তরঃ প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কীর্তিগাথা বর্ণনা প্রসঙ্গে প্রবন্ধকার বলেছেন যে, অন্যান্য কীর্তির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ গুরুরূপে যে শান্তিনিকেতন নির্মাণ করে গিয়েছেন, তারই স্নিগ্ধ ছায়ায় বিশ্ববাসী একদিন সুখময় নীড় লাভ করবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। শান্তির নিকেতন— শান্তিনিকেতন, এখানে প্রকৃতির উন্মুক্ত পরিবেশে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিল। একদিকে প্রকৃতির সান্নিধ্য, অন্যদিকে রবীন্দ্র-প্রবর্তিত শিক্ষাদান পদ্ধতি শান্তিনিকেতনকে সুখনীড়ে পরিণত করেছে। কেবল শিক্ষাদানই নয়, এর পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ হওয়ার উপযুক্ত অনুকূল পরিবেশ এবং প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষাদানের পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে গ্রহণ করেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম এখানে ব্রহ্মচর্যাশ্রম চালু করেছিলেন ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে, যা পাঠভবন নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগে এখানে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাও লাভ করে।

প্রশ্ন ৬। “…রবীন্দ্রনাথ কত শতবার আমাদের নিয়ে গিয়েছেন…”– রবীন্দ্রনাথ কোথা থেকে কোথায় নিয়ে গিয়েছেন এবং কীভাবে ? ৫

উত্তরঃ বিখ্যাত সাহিত্যক সৈয়দ মুজতবা আলী ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত শতবার ‘মৃত্তিকার বন্ধন’ থেকে ‘নীলাম্বরের মর্মমাঝে’ আমাদের নিয়ে গিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গানের মাধ্যমে, গানের সুরের মাধ্যমে, সুরের জাদুমায়ার মাধ্যমে আমাদের মৃত্তিকার বন্ধন তথা এই মর্ত্যের প্রাত্যহিকতা থেকে, এই জাগতিক সংসার থেকে নীলাম্বরের মর্মমাঝে তথা স্বর্গীয় অনুভবের প্রিয়তম স্থানে আমাদের নিয়ে যান। আবার তিনি তাঁর গানের শেষে যখন স্বর্গ থেকে আমাদের মাটির পৃথিবীতে ফেরত আনেন তখন এই মর্ত্যের মাটিই স্বর্গের চেয়ে অধিকতর মধুময় হয়ে ওঠে। তখন এই জগৎসংসার আমাদের চোখে ওই গানের প্রভাবে আরও সুন্দর বলে মনে হয়। আর সুন্দর স্বাভাবিক বলেই দৃঢ় প্রত্যয় জাগে প্রাবন্ধিকের। কারণ রবীন্দ্রগানই তো শ্রোতৃমণ্ডলীকে ‘তারায় তারায় দীপ্তিশিখার অগ্নিজ্বালা’ ‘নিদ্রাবিহীন গগনতলে’ যেমন নিয়ে গিয়ে ফেলে, তেমনি এই গানই যেন আবার ‘আলোক মাতাল স্বর্গসভার মহাঙ্গনে’ যুগে যুগে নিমন্ত্রণ পাঠায়। তাই পাঠকও গান শুনে ‘কালের সাগর পাড়ি দিয়ে’ ‘নিদ্রাবিহীন গগনতলে’ চলে আসে সুরের হাত ধরে।

প্রশ্ন ৭। ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধের লেখক রবীন্দ্রনাথের গানের প্রত্যেকটি শব্দকে কেন নটরাজের প্রত্যেকটি অঙ্গভঙ্গির মতো বলেছেন ? কখন রবীন্দ্রনাথের গানকে ফিকে, পানসে বলে মনে হয় ? ৩+২

উত্তরঃ ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী খুব সহজ সরল ভাষায় রবীন্দ্রনাথের গানের মর্মকথা তথা সেই গানের হৃদয়প্লাবী আবেদন সম্পর্কে তার সুচিন্তিত মতের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের গানের সম্পূর্ণতা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক নটরাজ অর্থাৎ শিবের নৃত্যরত অবস্থার প্রতিটি অঙ্গভঙ্গিকে তুলনীয় করে তুলেছেন। লেখকের মতে, রবীন্দ্রনাথের গানের শব্দচয়ন, সেই শব্দগুলিকে বিশেষ স্থানে সংস্থাপন এবং হৃদয়-মনকে কল্পনাতীত ভাবে নতুন শব্দের ভিতর উন্মুখ রেখে ভাবে, অর্থে, মাধুর্যের পরিসমাপ্তিতে পৌঁছে দিয়ে গান যখন শেষ হয়, তখন মনে হয় এই গান অন্য কোনো রূপ নিতেই পারত না। এই প্রসঙ্গেই লেখক বলেছেন, নটরাজ যদি অন্য কোনো অঙ্গভঙ্গি নিয়ে আমাদের সামনে তার নৃত্যকে রূপায়িত করতে চাইতেন, তা তেমনভাবে আমাদের হৃদয়-মনকে মুগ্ধ করত না। এখানেই নটরাজের নৃত্যরত অঙ্গভঙ্গি এবং রবীন্দ্রনাথের গানের প্রতিটি শব্দচয়ন সমানভাবেই সার্থক ও সম্পূর্ণ। এই কারণেই লেখক রবীন্দ্রনাথের গানের প্রতিটি শব্দকে নটরাজের প্রত্যেকটি অঙ্গভঙ্গির মতো বলেছেন।

আলোচ্য প্রবন্ধে লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সম্মোহনী ক্ষমতার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন যে, বহু গায়কেরই চমৎকার কণ্ঠ, সুর ও তালজ্ঞান থাকলেও তাদের গাওয়া রবীন্দ্রনাথের গান স্বর্গীয় মাধুর্য লাভ করতে পারে না এবং সেক্ষেত্রে রবীন্দ্রগান ফিকে বা পানসে বলে মনে হয়। লেখকের মতে রবীন্দ্রগানের কথা বা শব্দের অর্থের গভীরতা বা তাৎপর্য অনুভব করা দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় গায়কের যথেষ্ট শব্দসম্মানবোধ নেই বলে, তিনি (গায়ক) প্রতিটি শব্দ রসিয়ে-বসিয়ে গাইছেন না। এ যেন নটরাজের প্রতিটি অঙ্গ আড়ষ্ট হয়ে গিয়ে তাঁর নৃত্য বন্ধ হয়ে যাবার মতো ঘটনা। এমন ক্ষেত্রেই রবীন্দ্রনাথের গানকে পানসে, ফিকে বলে মনে হয়।

প্রশ্ন ৮। “আমার কিন্তু ব্যক্তিগত বিশ্বাস।”– কার, কোন্ বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে ? তিনি এই বিশ্বাসের প্রসঙ্গে কী কী বলেছিলেন ? ২+৩=৫

উত্তরঃ বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ নামক গ্রন্থের অন্তর্গত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে। এখানে স্বয়ং প্রাবন্ধিকের ব্যক্তিগত বিশ্বাস হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপন্যাস, কাব্য, নাটক, ছোটোগল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি নানাবিধ সাহিত্যসৃষ্টি, শান্তিনিকেতন নামক সুখনীড় প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি মহৎ কর্মে সাফল্যের সঙ্গে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তবে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘অজরামর’ অর্থাৎ চিরজীবী হয়ে থাকবেন তাঁর অসাধারণ গানের জন্যই।

প্রাবন্ধিক এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন যে, রবীন্দ্রগান তিনি সুরের দিক থেকে বিচার করতে চান না। কারণ সুহৃদ শান্তিদেব ঘোষ রবীন্দ্রগান-বিষয়ক কোনোরকম আলোচনাই বোধহয় বাদ দেননি তাঁর রচিত ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত’-এ। প্রাবন্ধিক কেবল বিচার করতে চান বা বলা ভালো মুগ্ধ হয়ে ভাবেন যে কতগুলো অপূর্ব গুণের সমন্বয় হলে তবে এরকম অসাধারণ গান সৃষ্টি করা যায়। প্রাবন্ধিক আরও জানাচ্ছেন যে তিনি যে দু-চারটে ভাষা জানেন (যদিও তিনি ১৪টি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন) তার ভিতর যে রসের সন্ধান তিনি চিরদিন করে এসেছেন তা হল গীতিরস। শেলী, কীটস, হাইনে, হাফিজ, আত্তার, গালিব, জওক্, কালিদাস বা জয়দেবের গান বা কবিতা শুনে পড়ে এবং সবকিছুর রসাস্বাদন করে তাঁর জীবনকে ধন্য মনে করলেও বারবার এটা বলেছেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো আর এমনটি তাঁর চোখে পড়েনি ।

প্রশ্ন ৯। ‘পঁচিশে বৈশাখ’ নামক প্রবন্ধে সৈয়দ মুজতবা আলী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বিশ্বকর্মা মহাত্মা’ বলে উল্লেখ করেছেন কেন ? ৫

উত্তরঃ বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘মহাত্মা বিশ্বকর্মা’-র সঙ্গে তুলনা করেছেন। পুরাণ মতে, বিশ্বকর্মা লঙ্কা নগরী থেকে শুরু করে অগস্ত্যভবন, কুবেরের অলকাপুরী, ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, ইন্দ্রের বজ্র ইত্যাদি শ্রেষ্ঠ নিদর্শনের নির্মাতা। আর বিশ্বকর্মার মতোই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গানের জাদুমায়া দিয়ে কখনও মানুষকে দেবতা বানান, আবার কখনও মানুষকে দেবতার চেয়েও মহত্তর করে গড়ে তোলেন কয়েকটি মাত্র শব্দ আর সুরের সোনার কাঠির পরশে।

মানুষ তার মর্ত্যসীমা অতিক্রম করে যায়। এও এক আশ্চর্য নির্মাণ। তাই প্রাবন্ধিকের মতে তিনি যথার্থ মহান আত্মার অধিকারী ‘মহাত্মা বিশ্বকর্মা’। মহাত্মা বিশ্বকর্মা আপন সৃষ্টি নৈপুণ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় নানা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা চিরস্থায়ী। কবি ও গীতিকার, সুরসাধক ও সুরস্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাতের কলম দিয়ে কেবল কয়েকটি শব্দ আর হৃদয় নিঙড়ানো একটু সুরের জাদুমায়া দিয়ে সৃষ্টি করেছেন গানের অলৌকিক মায়াবিশ্ব। সারা পৃথিবীর মানুষ তাঁর গানের আশ্চর্য সম্মোহনী মায়ায় বিমুগ্ধ। তাই তো তিনি আমাদের কাছে আরেক বিশ্বকর্মাদেব।

প্রশ্ন ১০। ‘কোনো সন্দেহ নেই এরকম ধারাই হয়ে থাকে…।’– বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে উক্তিটি করেছেন ? কেমন ধারার কথা তিনি বলতে চেয়েছেন ?

উত্তরঃ সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘পঁচিশে বৈশাখ’ নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতাংশের বক্তা হলেন লেখক স্বয়ং। আলোচ্য প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, সেই গান অখণ্ড অর্থাৎ সম্পূর্ণ। রবীন্দ্রনাথের গানের রসাবেশ এবং অনুভূতির গভীরতা অন্য কারও গানের মধ্যেই পাওয়া যায় না। রবীন্দ্রনাথের গান কখনোই লেখকের মনে অসম্পূর্ণ বলে প্রতিভাত হয়নি। রবীন্দ্রগানের এমন অখণ্ডতার কথা প্রসঙ্গেই লেখক প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলেছেন।

লেখকের মতে রবীন্দ্রনাথের গান শুনে যদি কখনও মনে হয় যে, সেই গান অতৃপ্ত করে গেছে, তবে তার কারণ রবীন্দ্রগানের অসম্পূর্ণতা নয়; তার কারণ হল অতিশয় উচ্চাঙ্গের রসসৃষ্টি মাত্রই ব্যঞ্জনা ও ধ্বনিপ্রধান। অর্থাৎ তা মনকে তৃপ্ত করে এবং ব্যঞ্জনার অতৃপ্তি দিয়ে হৃদয়-মনকে ভরিয়ে তোলে। গানের অন্তর্নিহিত ভাবাবেগ এবং রসের আবেদন শ্রোতা যদি অনুভব করতে না-পারেন, তবে তাকে অসম্পূর্ণ বলেই মনে হবে। রবীন্দ্রনাথের গান অতিশয় উচ্চাঙ্গের এবং ব্যঞ্জনাময় বলেই সেই গানের তান ও ধ্বনি হৃদয় ও মস্তিষ্কে অনন্য অনুভূতি সৃষ্টি করে মনকে আপ্লুত করে। তখন মনে হয় সেই গান শ্রোতার মনে যে ভুবন গড়ে দিল, প্রথম পরিচয়ে তার সবটা জানা না-হলেও দুঃখ নেই। বারবার করে শ্রবণ করলে সেই ভুবনের আরও অনেকটা শ্রোতার কাছে উদ্ভাসিত হবে, আর এমনভাবেই একদিন সেই ভুবন শ্রোতার নিতান্ত আপন হয়ে উঠবে। এমন ধারার কথাই লেখক বলতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন ১১। “তখন সর্ব-প্রকারের বিশ্লেষণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ লোপ পায়।”— কার, কখন সর্বপ্রকারের বিশ্লেষণ ক্ষমতা লোপ পায় এবং কেন ? ৫

উত্তরঃ প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী সাহেব বলেছেন যে, তাঁর নিজের সর্বপ্রকার বিশ্লেষণ ক্ষমতা লোপ পায়।

যখন রবীন্দ্রসংগীত এক অখণ্ড রূপ নিয়ে হৃদয়মন একেবারে অভিভূত করে ফেলে, তখনই সর্বপ্রকার বিশ্লেষণ-ক্ষমতা লোপ পায়। হিমালয়ের মধ্যে বসে যেমন হিমালয়ের উচ্চতা মাপা সম্ভব নয়, তেমনই রবীন্দ্রগানের মধ্যে ভাবের ঘোরে একেবারে নিমগ্ন থাকলে কখনই সেই গানের বিচার-বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। বিশ্লেষণ করার জন্য একটু দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। রবীন্দ্র-সংগীতের ভিতরে প্রবেশ করে অর্থাৎ ডুবে গিয়ে যদি অনুভব করা হয় তাহলে অখণ্ডরূপ ও বিশালভাব নিয়ে এমনভাবে হৃদয়-মন-চেতনাকে অভিভূত করে ফেলে যে বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতাটাই লোপ পেয়ে যায়। আমাদের চলমান জীবনের প্রতিটি অনুভব (সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি) রবীন্দ্রগানে এমন গভীরভাবে ধরা থাকে যে, আমাদের মুগ্ধতা আমাদের বিচারের সত্তাটিকে আচ্ছন্ন করে রাখে।।

প্রশ্ন ১২। “তাঁর গান শুনে যদি কখনো মনে হয়ে থাকে এ গান আমাকে অতৃপ্ত রেখে গেল তবে তার কারণ”- তাঁর গান অতৃপ্ত রেখে যাওয়ার কারণটি কী ? ৫

অথবা, তাঁর গান অসম্পূর্ণ রূপে প্রতিভাত হয় না কেন ? [সংসদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্ন] ৫

উত্তরঃ বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ নামক প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে ‘তাঁর গান’ বলতে এখানে রবীন্দ্রসংগীতকে বোঝানো হয়েছে। এই গান শুনে যদি কারও মনে হয় সেটি অতৃপ্ত রেখেই শেষ হয়ে গেল, তার কারণ কিন্তু সে-গানের অসম্পূর্ণতা নয়। তার প্রকৃত কারণ হল অতিশয় উচ্চাঙ্গের রসসৃষ্টিমাত্র ব্যঞ্জনাপ্রধান এবং ধ্বনিপ্রধান। তার ধর্ম হল সম্পূর্ণ অতৃপ্ত করে ও ব্যঞ্জনার অতৃপ্তি দিয়ে সব সময়ে মানুষের হৃদয়মন ভরে দেওয়া। তাই প্রথমবার বা একবার শুনে অতৃপ্তি থাকতেই পারে। কিন্তু তাতেও আক্ষেপ নেই। কারণ এই গান শুনলে মনের মাঝে একটি আলাদা ভুবন গড়ে ওঠে, যা পরে বারবার শুনলে নিতান্ত আপন হয়ে ওঠে শ্রোতার।

তাই প্রাবন্ধিক বলছেন, রবীন্দ্রসংগীত বা রবীন্দ্রনাথের গান, বলা ভালো প্রত্যেকটি গান কখনই নিজেকে সম্পূর্ণ নিঃশেষ করে না। এই গান একবার শোনার পর মনে হবে আমার সব কিছু জানা হল না বটে, কিন্তু এর জন্য কোনো খেদ বা আক্ষেপ নেই। এই গান যখন পরে আবার শোনা হবে তখন তা হয়তো অন্য কোনো তাৎপর্য নিয়ে আলাদা ভুবন গড়ে তুলবে। তাই আপাত অতৃপ্তির কথা মনে হলেও তা কখনোই অসম্পূর্ণ নয়।

প্রশ্ন ১৩। “একমাত্র সেগুলোর সঙ্গেই রবীন্দ্রনাথের গানের তুলনা করে ঈষৎ বিশ্লেষণ করা যায়।”- কাদের সঙ্গে তুলনা করার কথা বলা হয়েছে এবং কেন ? ৫

উত্তরঃ প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘পঞ্চতন্ত্র’ নামক গ্রন্থের অন্তর্গত ‘পঁচিশে বৈশাখ’ প্রবন্ধ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে স্বয়ং প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রসংগীত তথা রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে জার্মানদের ‘লীডার’ গান এবং ইরানিদের ‘গজল’ গানের তুলনা করে তা ঈষৎ বিশ্লেষণ করা যায় বলে জানিয়েছেন। রবীন্দ্রসংগীতে যে গীতিরস বা ভাবের অখণ্ডতা প্রকাশ পায়, তা এই লীডার গানেও ব্যঞ্জিত হয়। গজলের যে অপূর্ব সুরঝংকার তার সঙ্গেও রবীন্দ্রগানের অসাধারণ মিল পেয়েছেন মুজতবা আলী।

রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে জার্মানদের লীডার এবং ইরানিদের গজল গানের ঈষৎ তুলনা করে বিশ্লেষণ করা যায়। কারণ, জার্মানি লোকসংগীত ‘লীডার’ হল মূলত কাজের গান, দেশত্যাগের গান, শিক্ষানবিশদের গান। এই গানের সুর কোথাও যেন রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে মিলে যায়। আর ইরানি ‘গজল’ হল মূলত আহত হরিণের হাহাকার। বিশ্বের অতলান্ত বিরহকে সুগভীর ভাবে প্রকাশ করতে রবীন্দ্র সংগীত অদ্বিতীয়। গজল ও রবীন্দ্রসংগীত তাই কোথাও এক সুরের সহযাত্রী হয়ে মিলে গেলে আশ্চর্যের কিছু নেই।

দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা প্রশ্নোত্তর

ছুটি পাঠ্য বইয়ের গল্প

ছুটি গল্পের বিষয়বস্তু

ছুটি গল্পের প্রশ্ন উত্তর

তেলেনাপোতা আবিষ্কার পাঠ্য বইয়ের গল্প

তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বিষয়বস্তু

তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের প্রশ্নোত্তর

ভাব সম্মিলন কবিতার বিষয়বস্তু

ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর

লালন শাহ্ ফকিরের গান বিষয়বস্তু

লালন শাহ্ ফকিরের গান প্রশ্নোত্তর

নুন কবিতার বিষয়বস্তু

নুন কবিতার প্রশ্ন উত্তর

আগুন পাঠ্য বইয়ের নাটক

আগুন নাটকের বিষয়বস্তু

আগুন নাটকের প্রশ্ন উত্তর

বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের প্রশ্নোত্তর

পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্ন ও উত্তর

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা (৩য়) প্রশ্নোত্তর

লৌকিক সাহিত্যের নানা দিক (৪র্থ) প্রশ্নোত্তর

📌 আরো দেখুনঃ

📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here

📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here

📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:14 mins read