ফণীমনসা ও বনের পরি নাটকের প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Phonimonsha O Boner Pori Natoker Question Answer Class 5 Bengali wbbse

ফণীমনসা ও বনের পরি নাটকের প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Phonimonsha O Boner Pori Natoker Question Answer Class 5 Bengali West Bengal Board 

পাতাবাহার
বাংলা | পঞ্চম শ্রেণি

ফণীমনসা ও বনের পরি নাটকের প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Phonimonsha O Boner Pori Natoker Question Answer Class 5 Bengali West Bengal Board 

1. পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. পঞ্চম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | Class 5 All Subject Unit Test Question Paper Click Here

ফণীমনসা ও বনের পরি
—বীরু চট্টোপাধ্যায়

হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর : ফণীমনসা ও বনের পরি পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Hate Kolome Question Answer Phonimonsha O Boner Pori Class 5 Bengali wbbse

১। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১.১ ফণীমনসা তুমি দেখেছ ? কোথায় দেখেছ ?

উত্তরঃ হ্যাঁ, ফণীমনসা আমি দেখেছি।

পুজোর ছুটিতে আমরা রাজস্থান বেড়াতে গিয়ে ফণীমনসা দেখেছি।

১.২ আর কোন্ কোন্ গাছ তুমি দেখেছ যাদের কাঁটা আছে ?

উত্তরঃ ফণীমনসা ছাড়া আর কাঁটাজাতীয় যে-সমস্ত গাছ দেখেছি সেগুলি হল-বাবলা, গোলাপ, কুল, খেজুর, বেল, আনারস ইত্যাদি।

১.৩ গাছের কাঁটা কীভাবে তাকে বাঁচায় ?

উত্তরঃ গাছের কাঁটা গাছকে অন্যান্য প্রাণীদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। কাঁটার ভয়ে মানুষ-সহ অন্যান্য প্রাণীরা গাছটির ফুল, লতাপাতায় হাত দেয় না।

১.৪ পরির গল্প তুমি কোথায় পড়েছ ?

উত্তরঃ পরির গল্প আমি ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ বইটির নানা রূপকথার গল্পে পড়েছি।

১.৫ সোনার মতো দামি আর কোন্ ধাতুর কথা তুমি জানো ?

উত্তরঃ সোনার মতো দামি অপর এক ধাতু হল প্ল্যাটিনাম।

২। নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :

» ল ত কা ডা দ ______________________

» ন ণী ফ সা ম ______________________

» রি বি চ্ছি তি কি _____________________

» কং পা শা ল ________________________

উত্তরঃ

» ল ত কা ডা দ— ডাকাতদল।

» ন ণী ফ সা ম— ফণীমনসা।

» রি বি চ্ছি তি কি— বিতিকিচ্ছিরি।

» কং পা শা ল— পালংশাক।

৩। এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে ঠিক বাক্যটি লেখো:

৩.১ বলো চাও কীরকম তুমি পাতা।

উত্তরঃ কীরকম পাতা চাও তুমি বলো।

৩.২ হয়েছে তো সুবুদ্ধি তোমার এই।

উত্তরঃ এই তো সুবুদ্ধি হয়েছে তোমার।

৩.৩ না আর পাতা চাই সোনার।

উত্তরঃ সোনার পাতা আর চাই না।

৪। নীচের শব্দগুলোর একই অর্থ বোঝায় এমন শব্দ নাটকে ছড়িয়ে আছে। নাটক থেকে খুঁজে নিয়ে যে শব্দটি, নীচের যে শব্দটির সঙ্গে মানায়, লেখো :

বিশ্রী ____________, ভীষণ ______________

বল্লম ____________, আবদার _____________

হঠাৎ ____________, অবস্থা _____________

সমস্ত ____________, গর্ব ______________

অনেক ____________, প্রতিজ্ঞা _____________

ভাগ্য _________, শরীর ________

তবে তাই হোক ____________

কঙ্কালসার _____________

উত্তরঃ

» বিশ্রী— বিচ্ছিরি; বিতিকিচ্ছিরি।

» বল্লম— বর্শা, » আবদার— বায়নাক্কা।

» সমস্ত— বেবাক, সব।

» অনেক— অজস্র। » ভাগ্য— বরাত।

» ভীষণ— ভয়ানক। » হঠাৎ— সহসা।

» অবস্থা— হাল। » গর্ব— দর্প; দেমাক।

» প্রতিজ্ঞা— পণ। » শরীর— অঙ্গ; চেহারা।

» তবে তাই হোক— তথাস্তু।

» কঙ্কালসার— হাড়-জিরজিরে।

৫। নীচের বাক্যগুলির দাগ-দেওয়া প্রতিটি অংশই কোনো না কোনো আওয়াজ বোঝায়। এমন অনেক শব্দ নাটকে ছড়িয়ে আছে। খুঁজে বের করে লেখো। (দুটি করে দেওয়া হলো) :

ছাগলকচকচ করে পাতা খেল।

পত পত পত ওড়াই পাতা।

উত্তরঃ

» সরাৎ সরাৎ শব্দেতে জ্বালা ধরে।

» হারে-রে হারে-রে হারে-রে হারে-রে।

» মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা লেগে সুমধুর টুং-টাং শব্দ হতে লাগল।

» হু-হু-হু শোঁ-শোঁ শোঁ করে।

» মট মট মট ভাঙি মাথা।

» শোঁ-শোঁ-হু-হু-মট-মট-ঝন-ঝন।

» ঝন ঝন ঝন ঝন ঝন ঝন ঝন ঝন।

» ঘুরে বেড়াই ব্যা-ব্যা গান গেয়ে গো।

৬। মুখে বললে, নীচের দাগ-দেওয়া শব্দগুলো কীভাবে বলাব, লোখা:

তোমায় স্মরি, করুণা করি বাঁচাও।

উত্তরঃ তোমায় স্মরি— তোমাকে স্মরণ করি।

করুণা করি বাঁচাও— করুণা করে বাঁচাও।

৭। দাগ-দেওয়া অংশে সমার্থক শব্দ বসিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লোখা। পাশের শব্দঝুড়ির সাহায্য নিতে পারো।

৭.১ আহা-হা ব‍্যথায় মরি।

উত্তরঃ আহা-হা যন্ত্রণায় মরি।

৭.২ শুরু হলো কচি গাছের অঝোর কান্না।

উত্তরঃ আরম্ভ হলো চারাগাছের অবিরাম কান্না।

৭.৩ ডাকাতেরা আমার কী হাল করে রেখে গেছে।

উত্তরঃ ডাকাতেরা আমার কী অবস্থা করে রেখে গেছে।

৭.৪ আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়।

উত্তরঃ গগন দিয়ে ধেয়ে এলো প্রবল ঝড়।

৮। নীচের বাক্যগুলিতে দাগ-দেওয়া অংশগুলি আর কীভাবে লিখতে পারো ? বাক্য যদি বদলে যায়, বদলেই লেখো। শব্দঝুড়ি থেকে সাহায্য নিতে পারো।

(গর্বে বুক ভরে ওঠে, লোভ জাগছে, মাপ করে দাও, হিংসায় জ্বলে ওঠে)

৮.১ মর্ম তার রি রি করে ওঠে

উত্তরঃ মন তার হিংসায় জ্বলে ওঠে

৮.২ ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না

উত্তরঃ ছোট্ট গাছটির এবার গর্বে বুক ভরে ওঠে

৮.৩ জিবে জল ঝরছে তোরে পেয়ে গো।

উত্তরঃ লোভ জাগছে তোরে পেয়ে গো।

৮.৪ ঘাট হয়েছে কানে ধরি।

উত্তরঃ মাফ করে দাও কানে ধরি।

৯। কাচ-ফাচ আর চাই না।—
এই বাক্যে পর পর দুটো শব্দ বসেছে, যেখানে দ্বিতীয় শব্দটির তেমন কোনো মানে নেই। আরো একটা শব্দ তোমার জন্য দেওয়া হলো, কাপড়-চোপড়। এরকম শব্দ তুমি আর কটা লিখতে পারো, লেখো।

উত্তরঃ চা-টা, ডগমগ, ঝিকিমিকি, লুটেপুটে, আশেপাশে, ঝলমল, জল-টল, জামা-টামা, দোকান-টোকান।

১০। ছাগল খেয়ে ফেলেছিল কচি কচি পালং পাতা।
দাগ দেওয়া অংশে একটা শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হয়েই একটার জায়গায় অনেকগুলো পাতা বোঝাচ্ছে। এইরকম আর কটা শব্দ পরপর দুবার ব্যবহার করে একের জায়গায় অনেক বোঝাতে পারবে ? নাটকে এমন কটি শব্দ খুঁজে পাও, তাও দেখো।

উত্তরঃ সুন্দর সুন্দর পাতা, কেঁদে কেঁদে, ছি ছি, ছিঁড়ে ছিঁড়ে, দ্যাখো দ্যাখো, কচ কচ, ছোটো ছোটো, শোঁ শোঁ, কচি কচি, ঝন ঝন, গুঁড়ো গুঁড়ো হায় হায়, ব্যা ব্যা।

১১। নীচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দগুলি নাটকেই আছে। শব্দগুলি খুঁজে বার করো। সেই সকল শব্দ দিয়ে বাক্য রচনা করো :

দুর্বুদ্ধি— সুবুদ্ধি : মায়ের ভালো কথা শুনে ছেলেটির সুবুদ্ধি হয়েছে।

অসন্তুষ্ট— সন্তুষ্ট : আমার মা অল্পতেই সন্তুষ্ট।

অসুন্দর— সুন্দর : তোমার ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে।

দুঃখ— আনন্দ : আমি বাদে সবাই বেড়াতে গেল, তাই মনে কোন আনন্দ নেই।

অল্প — বেশি : পরীক্ষার জন্য বেশি বেশি পড়তে হয়।

বুড়ো— বাচ্চা : সব মা-ই তার বাচ্চাকে খুব ভালোবাসে।

১২। ‘মৃদুমন্দ বাতাস’ শব্দটির মানে ‘হালকা হাওয়া’ আর ‘মন্দ’ কথাটা সাধারণত আমরা ব্যবহার করি ‘খারাপ’/ ‘ভালো নয়’ অর্থে। দুটো অর্থেই দুটো বাক্য লেখো :

মন্দ— (হালকা) সকালের মন্দ মন্দ বাতাস খুবই আরাম।

মন্দ— (খারাপ) বেশির ভাগ সময় ছেলেটি মন্দ কথা বলে।

১৩। নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য লেখো : ওলটপালট, দুর্দান্ত, ঝিকিমিক, স্বচক্ষে, দুর্দশা।

ওলটপালট— কালবৈশাখীর ঝড়ে পৃথিবীটা যেন ওলটপালট হয়ে গেল।

দুর্দান্ত— তোমাদের ক্রিকেট টিমটা দুর্দান্ত খেলেছে।

ঝিকিমিকি— জোনাকিদের ঝিকিমিকি আলো দারুণ সুন্দর লাগছে।

স্বচক্ষে— আমি স্বচক্ষে দেখেছি নরেন বই থেকে নকল করেছে।

দুর্দশা— প্রথম থেকে পড়াশোনা না করলে পরীক্ষার সময় দুর্দশার শেষ থাকবে না।

১৪। কোনটি কী ধরনের বাক্য লেখো :

১৪.১ আ! কি শাস্তি!

উত্তরঃ হর্ষসূচক বাক্য।

১৪.২ পাতা পালটাতে চাও ?

উত্তরঃ প্রশ্নসূচক বাক্য।

১৪.৩ সোনার পাতা আর চাই না।

উত্তরঃ না-বাচক বাক্য

২৪.৪ বেশ তাই হোক! তথাস্তু!

উত্তরঃ সম্মতিসূচক বাক্য।

২৪.৫ এবার তুমি আমায় কাচের পাতা দাও।

উত্তরঃ আদেশমূলক বাক্য।

১৫। ছোটো ছোটো বাক্যে ভেঙে লেখো :

১৫.১ কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি খেতে লাগল।

উত্তরঃ কাঁচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ল। তার ফলে রামধনু রং ঝিকিমিকি করতে লাগল।

১৫.২ পরি অদৃশ্য হতেই ফণীমনসার গা ভরে দেখা দিল কচি নরম পাতা।

উত্তরঃ পরি অদৃশ্য হয়ে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে ফণীমনসার গা ভরে কচি নরম পাতা দেখা দিল।

১৫.৩ ডাকাতরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে নিয়ে পোঁটলা বেঁধে ওকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল।

উত্তরঃ ডাকাতরা সব সোনার পাতা ছিঁড়ে নিল। পাতাগুলিকে পোঁটলায় বাঁধলো। গাছটাকে একেবারে ন্যাড়া করে রেখে গেল।

১৫.৪ ভয়ানক ঝড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফণীমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল।

উত্তরঃ ভয়ানক ঝড় হল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফণীমনসা গাছের সমস্ত পাতা ছড়িয়ে পড়ে গেল।

১৬। পাশাপাশি ছোটো ছোটো বাক্যগুলি যোগ করে একটি বাক্য তৈরি করো :

১৬.১ একসময় ঝাড় থামল। আর শুরু হল বাচ্চা গাছের অঝোর কান্না।

উত্তরঃ ঝড় থামলে বাচ্চা গাছের অঝোরে কান্না শুরু হল।

১৬.২ এমন সময়ে সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল সে।

উত্তরঃ এমন সময় বনের পরি সে পথ দিয়ে যেতে গিয়েও ওর কান্না শুনে থমকে দাঁড়াল।

১৬.৩ গভীর বন। তার ভেতরে ছোট্ট একটি ফণীমনসা গাছ। গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শাস্তি নেই।

উত্তরঃ গভীর বনের ভিতরে থাকা ছোট্ট ফণীমনসা গাছটির মনে কিন্তু এক ফোঁটাও শান্তি নেই।

১৬.৪ ছোট্ট গাছটির এবার দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না। মৃদুমন্দ বাতাসে হেলতে দুলতে লাগল সে মজা করে।

উত্তরঃ মৃদুমন্দ বাতাসে হেলেদুলে ছোট্ট গাছটির দেমাকে যেন মাটিতে পা পড়ে না।

১৭। আরও বিশেষণ যোগ করতে পারো ? একটা তোমার জন্যে করা রইল :

» কচি নরম সবুজ পাতা।

» ______ ______ ছোট্ট গাছ।

উত্তরঃ কাঁটা ভরতি ছোট্ট গাছ।

» ______ ______ ন্যাড়া চেহারা।

উত্তরঃ রোগা লম্বা ন্যাড়া চেহারা

» ______ ______ জোয়ান ডাকাত।

উত্তরঃ শক্তিমান কদম ছাঁট জোয়ান ডাকাত।

» ______ ______ ছোট্ট মেয়ে।

উত্তরঃ সুন্দর ফুটফুটে ছোট মেয়ে।

১৮। পাশে যেভাবে বলা আছে, সেই অনুযায়ী নীচের বাক্যগুলি বদলে আবার লেখো :

১৮.১ আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত ঝড়। (ঝড় আগামীকাল এলে কী লিখবে ?)

উত্তরঃ আগামীকাল আকাশ দিয়ে ধেয়ে আসবে দুর্দান্ত ঝড়।

১৮.২ বলতে দেরি আছে কিন্তু নিতে দেরি নেই। (কথাগুলো গতকাল হয়েছে বলতে হলে যেভাবে লিখবে)

উত্তরঃ বলতে দেরি হয়েছিল কিন্তু নিতে দেরি হয়নি।

১৮.৩ সে-পথ দিয়ে যাচ্ছিল বনের পরি। (কথাগুলো এখনই বলা হচ্ছে, এমন হলে কী লিখবে?)

উত্তরঃ সেই পথ দিয়ে যাচ্ছে বনের পরি।

১৯। একটি বাক্যে উত্তর দাও :

১৯.১ ছোট্ট ফণীমনসা গাছের মনে শান্তি ছিল না কেন ?

উত্তরঃ আশেপাশের গাছের সুন্দর পাতা দেখে, নিজের কাঁটাভরা করাতের মতো ছুঁচোলো পাতা ফণীমনসা গাছের একদম পছন্দ হত না। সেই কারণে তার মনে এক ফোঁটাও শাস্তি ছিল না।

১৯.২ ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছগুলো পাতা কেমন ছিল ?

উত্তরঃ ফণীমনসা গাছের আশেপাশের গাছগুলোর পাতা ছিল সুন্দর সুন্দর।

১৯.৩ ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন কার কাছে করছিল ?

উত্তরঃ ফণীমনসা বারে বারে পাতাগুলো পালটে দেওয়ার আবেদন করছিল পরির কাছে।

১৯.৪ প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে কেমন পাতা হয়েছিল ?

উত্তরঃ প্রথমবারের আবেদনে ফণীমনসার গাছ জুড়ে সোনার পাতা হয়েছিল।

১৯.৫ সেসব পাতা ফণীমনসা হারালো কী করে ?

উত্তরঃ সেসব পাতা ডাকাতদল এসে চুরি করে নিয়ে গেল।

১৯.৬ ডাকাতদলকে দেখতে কেমন ?

উত্তরঃ ডাকাতদলের সদস্যরা জোয়ান, তাদের কানে গোঁজা ছিল জবাফুল এবং বাবরিওয়ালা।

১৯.৭ ঝড় এলে ফণীমনসা গাছের কাচের পাতার কী অবস্থা হলো ?

উত্তরঃ ভয়ানক ঝড়ে ফণীমনসা গাছের সমস্ত কাচের পাতা গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল।

১৯.৮ ছোট্ট ফণীমনসা গাছের দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না কেন ?

উত্তরঃ ফণীমনসা গাছটি পালাং এর মতো কচি নরম সবুজ পাতায় ভরে উঠেছিল তাই তার দেমাকে মাটিতে পা পড়ছিল না।

১৯.৯ সেই দেমাক তার ভেঙে গেল কীভাবে ?

উত্তরঃ ফণীমনসা গাছের কচি কচি নরম সবুজ পালং শাকের মতো পাতাগুলি ছাগল এসে কচকচ করে চিবিয়ে খেয়ে ফেললে ফণীমনসার দেমাক ভেঙে গেল।

১৯.১০ শেষ পর্যন্ত ফণীমনসা কেমন পাতা চাইল নিজের জন্য ?

উত্তরঃ শেষ পর্যন্ত ফোনে মানুষরা তার সেই আগের কাঁটা ভরা, ছুঁচলো পাতা চাইলো নিজের জন্য।

২০. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

২০.১ ‘বাচ্চা গাছটি তো মহা খুশি। আনন্দে ডগমগ’।— এত আনন্দ কখন হলো বাচ্চা গাছের ?

উত্তরঃ ফণীমনসা গাছের নিজের পাতাগুলি পছন্দ নয়। সেগুলি খুব বিচ্ছিরি আর ছুঁচোলো বলে খুব দুঃখ তার মনে। বনের পরির কাছে সে নিজের পাতাগুলি বদলে সুন্দর সোনার পাতা করে দিতে বলেছিল। কথামতো বনের পরি এসে তার মনের ইচ্ছা পূরণ করে। নিজের অজস্র ঝলমলে সুন্দর সোনার পাতা দেখে বাচ্চা ফণীমনসা গাছটির খুব আনন্দ হল।

২০.২ ফণীমনসা গাছ কাচের পাতায় ভরে ওঠবার পরে তার চেহারাটি কেমন হয়েছিল ?

উত্তরঃ ছোটো ছোটো কাচের পাতায় ঝলমলিয়ে উঠল ফণীমনসা গাছের সারা অঙ্গ। সেই কাচের পাতার ওপর সূর্যের কিরণ পড়ে রামধনু রং ঝিকিমিকি করতে লাগল। মৃদুমন্দ বাতাসের দোলা লেগে সুমধুর টুং টাং শব্দ হতে লাগল।

২০.৩ মৃদু বাতাসে মনের আনন্দে দুলছে ফণীমনসা, এমন সময় ছাগল এসে উপস্থিত হওয়ায় কী ঘটল ?

উত্তরঃ মৃদুমন্দ বাতাসে ফণীমনসা গাছটি আনন্দে দুলছে। এমন সময় একটি ছাগল উপস্থিত হয়ে সমস্ত কচি কচি সবুজ নরম পাতাগুলি কচকচ করে খেয়ে ফেলে গাছটাকে একেবারে ফাঁকা করে দিল।

২০.৪ ছোট্ট গাছটি সত্যিই কি খুব শিক্ষা পেল বলে মনে হচ্ছে তোমার ? কেমন সে শিক্ষা ?

উত্তরঃ ছোট্ট ফণীমনসা গাছটি বনের পরির দয়ায় বারবার নিজের চেহারা পরিবর্তন করে বুঝতে পারল যে, নিজের অবস্থা আর নিজের চেহারা নিয়ে যে সন্তুষ্ট না থাকে তার দুর্দশার শেষ হয় না।
ছোট্ট গাছটি বুঝতে পেরেছে যে, নিজের রূপেই সর্বদা সন্তুষ্ট থাকা উচিত। বেশি লোভ করতে গেলে তাকে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়।

২১. বিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানে নাটকটির অভিনয় করো। (শ্রেণিকক্ষে শ্রুতি-অভিনয়ও করতে পারো।)

উত্তরঃ শিক্ষক-শিক্ষিকার সাহায্যে নিজেরা দলবদ্ধভাবে করো।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : ফণীমনসা ও বনের পরি নাটকের প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Phonimonsha O Boner Pori Natoker Question Answer Class 5 Bengali wbbse 

• সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

১. ‘ফনিমনসা ও বনের পরি’ একটি (গল্প / কবিতা / নাটক / উপন্যাস)।

উত্তরঃ নাটক।

২. ফনিমনসা ও বনের পরি নাটকটি লিখেছেন (অশোকবিজয় রাহা / বীরু চট্টোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর / কার্তিক ঘোষ)।

উত্তরঃ বীরু চট্টোপাধ্যায়।

৩. ফনিমনসা ও বনের পরে নাটকটি যে পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে (সমাচার দর্পণ / বেঙ্গল গেজেট / দিগদর্শন / শিশুসাথী)।

উত্তরঃ শিশুসাথী।

৪. গভীর বনের ভিতরে যে গাছটি ছিল— (ফণীমনসা / বাবলা / বট / অশ্বত্থ)।

উত্তরঃ ফণীমনসা।

৫. ফণীমনসা (জলপরির / মৎস্যকন্যার / বনের পরির / বনের দেবতার) কাছে মনের দুঃখ জানিয়েছিল।

উত্তরঃ বনের পরির।

৬. ফণীমনসা গাছের পাতাগুলি প্রথমে (সোনার / রূপা / হীরের / কাচের ) রূপ ধারণ করেছিল।

উত্তরঃ সোনার।

৭. ডাকাতদলের কানে গোঁজা ছিল (গোলাপ ফুল / জুঁই ফুল / গ্যাঁদা ফুল / জবা ফুল)।

উত্তরঃ জবা ফুল।

৮. সোনার পাতা ভরা ছোট্ট ফণীমনসা গাছের পাতা লুঠ করে (ছাগল / চোরে / ডাকাত / গোরু)।

উত্তরঃ ডাকাত।

৯. ডাকাতদলের নজর পড়ল সোনার পাতা ভরা ছোট্ট ফণীমনসা গাছটির দিকে (তরুণ / জোয়ান / যুবক / কিশোর)।

উত্তরঃ জোয়ান।

১০. (মিনতি / দয়া / কৃপা / করুণা) করি বাঁচাও এসে মোরে।

উত্তরঃ করুণা।

১১. এমন সময় আকাশ দিয়ে ধেয়ে এল দুর্দান্ত (ঝড় / বৃষ্টি / টর্নেডো / বজ্রপাত)।

উত্তরঃ ঝড়।

১২. (কচি / নরম / সবুজ / কোমল) এবার পালং শাকের মতো সুন্দর কচি পাতা দাও।

উত্তরঃ সবুজ।

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:4 mins read