পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে গল্পের প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Pahariya Borshar Sure Golper Question Answer Class 5 Bengali West Bengal Board

পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে গল্পের প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Pahariya Borshar Sure Golper Question Answer Class 5 Bengali West Bengal Board 

পাতাবাহার
বাংলা | পঞ্চম শ্রেণি

পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে গল্পের প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Pahariya Borshar Sure Golper Question Answer Class 5 Bengali wbbse

1. পঞ্চম শ্রেণির বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর Click Here

2. পঞ্চম শ্রেণির সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র | Class 5 All Subject Unit Test Question Paper Click Here

পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে
—লেখক পরিচিতি নেই

হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর : পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে গল্পের প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Pahariya Borshar Sure Golper Question Answer Class 5 Bengali wbbse

১। নিজের ভাষায় লেখো :

১.১ যে-কোনো একটি পাহাড়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গেরএকটি পাহাড়ের নাম মামা-ভাগনে।

১.২ পাহাড়ের কথা বললেই কোন ছবি তোমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে ?

উত্তরঃ পাহাড়ের কথা বললেই দার্জিলিংয়ের ছবি আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

১.৩ বর্ষার মাছধরা নিয়ে তোমার অভিজ্ঞতার কথা কিংবা মাছ ধরা নিয়ে তোমার পড়া একটি গল্প বা ছড়া দেখো।

উত্তরঃ বর্ষা কালে পুকুর নদী, খাল-বিল, ডোবা সব জলে ভরে যায়। আমার বাবা মাছ ধরতে ভালোবাসেন। এরকমই আমার বাড়ির সামনে যে পুকুর আছে তাতে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। মাছ ধরার ছিপ এবং মাছের খাবার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম। ছোট বড়ো বেশ কয়েকটা মাছও ধরেছিলাম।

১.৪ বর্ষার প্রকৃতির রুপ কেমন হয় ? তোমার পাঠ্য বইতে বর্ষা নিয়ে আর কোন কোন লেখা রয়েছে ?

উত্তরঃ বর্ষার রুপ খুব সুন্দর। গ্ৰীষ্মর পর বর্ষার নতুন জল পেয়ে গাছপালা, প্রকৃতি যেন নতুন করে সেজে ওঠে। এইসময় আকাশ বেশির ভাগ সময় কালো মেঘে ঢাকা থাকে। নদী, পুকুর, খাল-বিল কানায় ভরে যায়। ফলে জল পথে যাতায়াত করতে অসুবিধা হয়। রাস্তা ঘাট কাদায় ভরে যায়।

পাঠ্য বইতে বর্ষা নিয়ে ‘টাপুর টুপুর’ লেখা রয়েছে।

২। বাক‍্য মেলাও :

চল মাছ ধরি গিয়ে – উড়ছে সার বেঁধে
মাছ রাঙা বারবার – নূতন বছরের নতুন জলে
কুরুয়া পাখি – ছোঁ মেরেও পাইনি মাছ
বকেরা – নদীর কূল
ছাপিয়ে গিয়েছে – উড়ে উড়ে কাঁদছে

উত্তরঃ

চল মাছ ধরি গিয়ে – নতুন বছরের নতুন জলে।
মাছ রাঙা বারবার – ছোঁ মেরেও পাইনি মাছ।
কুরুয়া পাখি – উড়ে উড়ে কাঁদছে
বকেরা – উড়ছে সার বেঁধে
ছাপিয়ে গিয়েছে – নদীর কুল

৩। প্রদত্ত সূত্র অনুসারে গানটি থেকে গল্প তৈরি করো :

নতুন বছরের নতুন জলে আনন্দ করে ……………………………………………। বর্ষার এই সুন্দর প্রকৃতিতে……………………………। মাঠ ঘাট, কত পাখি, যেমন…………………………………………..। তারা কেউ ………………………………। একদিকে মাছ না পাওয়া গেলে………………………………………….।

উত্তরঃ নতুন বছরের নতুন জলে আনন্দ করে সকলে মাছ ধরতে যেতে চাইছে। বর্ষার এই সুন্দর প্রকৃতিতে নদীর দুকুল জলে ছাপিয়ে গেছে। মাঠ ঘাট, কত পাখি, যেমন কুরুয়া, বক, মাছরাঙা তারা কেউ খাবার পাচ্ছে না। একদিকে মাছ না পাওয়া গেলে তারা অন্যদিকে খাবারে সন্ধানে যাচ্ছে।

৪। কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে তুমি খুব হৈচৈ আনন্দ করেছ আর মজা পেয়েছ। কী কী করলে সেই দিন তা দিনলিপির আকারে খাতায় লেখো।

উত্তরঃ দিনলিপি তারিখ : ২০ মে ২০২৫
আজ আমাদের বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছেলেমেয়েরা রসিকবিল বনভোজনে গিয়েছিলাম। সকাল ৮টায় একটি বড়ো বাসে চড়ে আমরা রওনা হলাম। বাসের মধ্যে রান্নার সরঞ্জাম, মাইক, শতরঞ্জি সবই রাখা হয়েছিল। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রী মিলে আমরা সংখ্যায় ছিলাম প্রায় ৬০ জন। আমাদের সঙ্গে ২ জন রান্নার লোক ছিল। রসিকবিলে কত পশু পাখি দেখেছি। বোটে চড়েছি। নাচ-গান করেছি। কত খেলাধূলা করেছি। আমারা কয়েকজন তরকারি কেটে দিয়েছি। রান্নার শেষে শতরঞ্জি পেতে সবাই খেতে বসি। মাছ, মাংস, তরকারি দারুণ স্বাদ হয়েছে। কত গাছগাছালি, বাহারি ফুলের বাগান। খুব আনন্দ উপভোগ করেছি। আগামী দিনে আবার আমরা একসঙ্গে বনভোজনে যাওয়ার ইচ্ছা রাখি।

৫। মূল লেখাটা অন্য ভাষায়, কিন্তু নিজের ভাষায় তুমি পড়েছ আর দারুণ লেগেছে, এমন দুটি লেখার নাম করো :

উত্তরঃ এডোয়ার্ড লিয়ারের ‘লিমেরিক’, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘শকুন্তলা’।

৬। একটি বৃষ্টির দিনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি লেখো :

উত্তরঃ

আড়মারী, ঝিনাইদহ
তারিখ : ০৫ জুন, ২০২৫

প্রিয় মানিক,

আশাকরি ভালো আছিস। অনেকদিন তোর কোনো চিঠি পাইনি। গতকাল আমাদের এখানে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন বাদে বৃষ্টি হওয়ার জন্য খুব ভালো লাগছিল। আমি গতকাল স্কুলে যাইনি। সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। বাড়িতে বসে বৃষ্টি দেখতে বেশ লাগছিল। বাড়ির সামনে বেশ কিছুটা জল জমেছিল, আমি তাতে কয়েকখানা কাগজের নৌকা তৈরি করে ছেড়েছিলাম। মা খিচুড়ি আর মাছ ভাজা করেছিলেন। তোর কথা খুব মনে পড়ছিল। যা হোক গতকাল বেশ আনন্দেই দিনটা কেটেছে।
সময় পেলে আমাদের বাড়ি আসিস। ভালো থাকিস। তুই আমার ভালোবাসা নিস, বড়োদের আমার প্রণাম জানাস।

ইতি
তপন দাস
গ্রাম : আশাপাড়া,
পোঃ মোরগ্ৰাম

জেলা : বীরভূম।

৭। এমন একটি ছবি আঁকো, যার মধ্যে কবিতার এই জিনিসগুলো থাকবে :
নদীর কূল, জল থৈথৈ মাঠ, বকের সারি, মাছরাঙা, ছেলেমেয়ের দল।

উত্তরঃ একটি ছবি আঁকতে হবে।

৮। কথায় বলে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। সেই বাঙালির পরিচয় গানটিতে কীভাবে ফুটে উঠেছে ?

উত্তরঃ কথায় বলে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। সেই বাঙালির পরিচয় আমরা গানটির মধ্যেও পেয়ে থাকি। বর্ষার সময় নদীর দুকূল জলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রতিটি বাঙালিই প্রায় মাছ ধরতে বা বাজার থেকে মাছ কিনতে ভালোবাসে। তাই বর্ষার নতুন জলে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য তারা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা দারুণ লাগে।

৮.১ বৃষ্টি কীভাবে প্রকৃতিকে বাঁচায় ?

উত্তরঃ বৃষ্টি প্রকৃতিকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলে। গ্রীষ্মের পর আসে বর্ষা। এই বর্ষার জলে গাছপালা যেন নতুন প্রাণ ফিরে পায়। সমস্ত ধুলো ময়লা বৃষ্টির নতুন জলে ধুয়ে প্রকৃতি এক নবরূপ ধারণ করে।

৮.২ ‘খরা’ বলতে কী বোঝায় ?

উত্তরঃ খরা বলতে বোঝায় অনাবৃষ্টি। এই অনাবৃষ্টির ফলে মাঠ-ঘাট সব শুকিয়ে যায়। চাষের জমি জলের অভাবে ফেটে চৌঁচির হয়ে যায়। মানুষ, পশু, গাছপালা এদের প্রত্যেকেরই বেঁচে থাকা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে পড়ে।

৮.৩ অনাবৃষ্টির ফলে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালার অবস্থা কেমন হয়েছিল ?

উত্তরঃ অনাবৃষ্টির ফলে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা সবই প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

৮.৪ ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে ব্যাং কী দেখল ?

উত্তরঃ ব্যাং দেখল সেখানে সকলে নানান ভোজ ও আনন্দ উৎসবে ব্যস্ত। সেখানে স্ত্রী ও মন্ত্রীরাও বেশ মহানন্দে রয়েছে।

৮.৫ প্রাসাদের দৃশ্য দেখে ব্যাং রাগে উত্তেজিত হয়ে পড়ল কেন ?

উত্তরঃ প্রাসাদের সবাই খুব আনন্দে রয়েছে এই দৃশ্য দেখে ব্যাং খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ল। কারণ তারা পৃথিবীতে খরার প্রকোপে অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ভগবান তাদের জন্য কোনো চিন্তাভাবনা করছেন না। তারা নানান ভোজ ও আনন্দ করছেন।

৮.৬ ভগবান ও তার রক্ষীরা মৌমাছি, বাঘ, মোরগের হাতে কীভাবে নাকাল হলো ?

উত্তরঃ রক্ষীদের ওপর রেগে গিয়ে মৌমাছিরা হুল ফোটাতে লাগল, বাঘ তাদের খেয়ে নেবে বলে ভয় দেখাল, মোরগ তার ডানা দিয়ে ঝাপটা দিতে লাগল।

৮.৭ শিক্ষক / শিক্ষিকার সাহায্যে ‘বৃষ্টি’ নিয়ে প্রচলিত দুটি ছড়া ও দুটি গল্প সংগ্রহ করো।

উত্তরঃ

ছড়া

রাত দিন ঝম্‌ ঝম্
কি সাজে সেজেছ রানি।
আননে বিজলী হাসি,
আঁচলে কেতকী-ছটা,
শিখী নাচে, ভেকে গায়,
বসুধা আনন্দ ভরে
ডুবেছে রবির ছবি
আকাশ গলিয়া পড়ে
উথলিছে গঙ্গা, পদ্মা,
মরণে রয়েছে ছেয়ে
রাতদিন ঝম ঝম
দেখেছি অনেকতর
সকাল থেকেই বৃষ্টির পালা শুরু,
আকাশ-হারানো আঁধার-জড়ানো দিন
আজকেই, যেন শ্রাবণ করেছেন পণ,
শোধ করে দেবে বৈশাখী সব ঋণ,
রিমঝিম ঝরে অঝোরে অন্ধ ধারা,
ঘনবর্ষণে আপাত-আত্মহারা
পৃথিবীতে যেন দিন নেই, রাত নেই,
স্তম্ভিত কালো মেঘ-মায়ালোকে লীন।

রাতদিন টুপ টুপ
এ কি সাজ অপরূপ !
গলায় কদম-হার,
এ আবার কি বাহার!
মেঘে গুরু গরজন,
কত করে আয়োজন!
ডুবেছে চাঁদিমা তারা,
তরল রজত ধারা।
পরাণে ধরে না সুখ,
তোমারি স্নেহের মুখ,
রাতদিন টুপ টুপ,
দেখিনি তো এত রূপ !

গল্প : ১

অসুস্থ মায়ের পথ্যের জন্য রাধারানি বনফুলের মালা গেঁথে সেটি মাহেশের রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল। কিন্তু মেলায় অসম্ভব বৃষ্টি হওয়ার জন্য রাধারানির মালা কেউ কেনেনি। অন্ধকারে রাত্রে কাদার মধ্যে বাড়ি ফেরার পথে রাধারানির সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। ব্যক্তিটি একদিকে যেমন ছিলেন দয়ালু অন্যদিকে তেমনই উপকারী। তিনি রাধারানির সমস্ত দুঃখের কথা শুনেছিলেন এবং রাধারানিকে শুধুমাত্র যে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন তা নয়, নিজের প্রয়োজন না থাকলেও কেবলমাত্র রাধারানির উপকার করার জন্য তার কাছ থেকে বনফুলের মালাটিও কিনেছিলেন।

গল্প : ২

আষাঢ় মাস এসেছে। বৃষ্টির কণাগুলিকে আলাদাভাবে দেখলে মনে হয় অতি ছোটো। এই একফোঁটা জলকণায় একটি জুঁই ফুলও ভিজবে না এবং একটি মল্লিকা ফুলের হৃদয়ও ভরবে না। কিন্তু অনেকগুলি জলকণা একসঙ্গে হয়ে যখন পৃথিবীতে নামে তখন পৃথিবী ভাসিয়ে দিতে পারে। একটি বৃষ্টিবিন্দু যদি একা পৃথিবীতে নামে তাহলে সূর্যের তাপে মাঝপথেই শুকিয়ে যাবে। কিন্তু অসংখ্য জলকণা যখন একসঙ্গে পৃথিবীর বুকে নামবে তখন পৃথিবীকে ভাসিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ, ঐক্যই বল এবং যে একা সে ছোটো ও শক্তিহীন হয়ে পড়ে।

অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর : পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | Extra Question Answer Pahariya Borshar Sure Class 5 Bengali wbbse

• সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

১. হিমালয় পর্বতমালা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর / দক্ষিণ / পূর্ব / পশ্চিম) দিকে।

উত্তরঃ উত্তর।

২. হিমালয়ের পাদদেশে রয়েছে সবুজ বন যার পোশাকি নাম– (তরাই / ডুয়ার্স / হিমালয় / কাঞ্চনজঙ্ঘা)।

উত্তরঃ তরাই।

৩. বারবার ছোঁ মেরেও মাছ পাইনি (ঈগল / মাছরাঙা / শকুন / কাঠঠোকরা)।

উত্তরঃ মাছরাঙা।

৪. দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়া যে গোষ্ঠীর জীবনে এক আনন্দময় পর্ব– (মেচ / রাভা / গারো / লেপচা)।

উত্তরঃ রাভা।

৫. বৃষ্টি আসে কেমন করে, তা নিয়ে প্রচলিত গল্প আছে (রাভা /টোটো / লেপচা / মেচ) -দের কথার ভাঁড়ারে।

উত্তরঃ লেপচা।

৬. ভগবানের প্রাসাদে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত (ক্লান্তিকর / কুৎসিত / আনন্দময় / সুন্দর)।

উত্তরঃ ক্লান্তিকর।

৭. একবার পৃথিবীতে খুব ( বৃষ্টি / বন্যা / খরা / ভূমিকম্প) হল।

উত্তরঃ খরা।

৮. ভগবানের কাছে যাওয়ার পথে ব্যাঙের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হল– (মৌমাছির / মোরগের / বাঘের / বানরের)।

উত্তরঃ মৌমাছির।

৯. গভীর জঙ্গলের মধ্যে ব্যাঙ ও মোরগের সঙ্গে একটি– (হিংস্র / মাংসাশী / তৃষ্ণার্ত / ক্ষুধার্ত) বাঘের সঙ্গে দেখা হল।

উত্তরঃ ক্ষুধার্ত।

১০. (মৌমাছিরা / ভীমরুল / বোলতারা / কাঠ পিঁপড়ে) হুল ফোটাতে লাগল রক্ষীদের মুখে।

উত্তরঃ মৌমাছিরা।

১১. লেপচাদের মধ্যে প্রচলিত গল্পটির তরজমা করেছেন (সুনীল পাল / ঐন্দ্রিলা ভৌমিক / দয়চাঁদ রাভা / কেউ নয়)।

উত্তরঃ ঐন্দ্রিলা ভৌমিক।

• দু একটি কথায় উত্তর দাও :

১. তরাই বনের গা দিয়ে বয়ে চলা দুটি পাহাড়ি নদীর নাম লেখো।

উত্তরঃ তরাই বনের গা দিয়ে বয়ে চলা দুটি পাহাড়ি নদীর নাম হল তিস্তা ও তোর্সা।

২. নদী আর জঙ্গলের আঁকে বাঁকে কাদের বাস ?

উত্তরঃ নদী আর জঙ্গলের আঁকে বাঁকে ম্যাচ রাভা গারো লেপচা আর টোটো দের বাস।

৩. রাভা গোষ্ঠীর জীবনে আনন্দময় পর্ব কোন্ টি ?

উত্তরঃ রাভা গোষ্ঠীর জীবনে আনন্দময় পর্ব হল দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়া।

৪. কোন্ পাখি উড়ে উড়ে কাঁদছিল ?

উত্তরঃ কুরুয়া পাখি উড়ে উড়ে কাঁদছিল।

৫. কারা সার বেঁধে উড়ে যাচ্ছিল ?

উত্তরঃ বকেরা সার বেঁধে উড়ে যাচ্ছিল।

৬. পৃথিবীকে কারা, কীভাবে বাঁচানোর কথা ভাবতে লাগলো ?

উত্তরঃ পৃথিবীর সব জন্তুরা ভাবতে লাগলো কিভাবে বৃষ্টি এনে গিয়ে পৃথিবীকে বাঁচানো যায়।

৭. ভগবান গাফিলতির জন্য কাদের তিরস্কার করেছিল ?

উত্তরঃ ভগবান তার রক্ষীদের গাফিলতির জন্য তিরস্কার করেছিল।

৮. কে উল্লসিত হয়ে সরবে পুকুরে ফিরে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ ব্যাং উল্লসিত হয়ে সরবে পুকুরে ফিরে গিয়েছিল।

৯. স্বর্গে যাওয়ার পথে ব্যাং, মৌমাছি আর মোরগের সঙ্গে কার কোথায় দেখা হল ?

উত্তরঃ ভগবানের কাছে যাওয়ার পথে গভীর জঙ্গলের মধ্যে একটি ক্ষুধার্ত বাঘের সঙ্গে তাদের দেখা হল।

১০. ভগবান তার রক্ষীদের ডাকলে মৌমাছি কী করল ?

উত্তরঃ ভগবান তার রক্ষীদের ডাকলে মৌমাছি রক্ষীদের মুখে তার হুল ফোটাতে লাগল।

১১. রক্ষীদেরকে বাঘ খেয়ে নেবে বলে ভয় দেখাতে মুরগি কী করল ?

উত্তরঃ মৌমাছি ও বাঘের আক্রমণ দেখে গোলমালের মধ্যে মোরগও তার ডানা ঝাপটা মেরে রক্ষীদেরকে ভয় দেখাল।

১২. কার প্রাসাদে যাওয়ার রাস্তা কেন ক্লান্তিকর ?

উত্তরঃ ভগবান থাকে অনেক দূরে, তাই তার প্রাসাদে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত ক্লান্তিকর।

১৩. পৃথিবীতে বৃষ্টি কখন নামে ?

উত্তরঃ পৃথিবীতে যখন ব্যাং ডাকে তখন আকাশ থেকে বৃষ্টি নামে।

১১. পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে গল্পে উল্লিখিত রাভা গানটি কে তরজমা করেছেন ?

উত্তরঃ পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে গল্পে উল্লিখিত রাভা গানটি তরজমা করেছেন সুনীল পাল।

• সংক্ষেপে উত্তর দাও :

১. ব্যাং, মৌমাছি আর মোরগের ভগবানের কাছে যাওয়ার কারণ জানতে পেরে বাঘ কী করল ?

উত্তরঃ ভগবানের কাছে ব্যাং, মৌমাছি আর মোরগ কেন যে যাচ্ছে, তা জানতে পেরে বাঘ তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেল, কারণ জীবজন্তুরা না খেয়ে মারা গেল সে একা বেঁচে থাকতে পারবে না।

২. “অবশেষে দীর্ঘ যাত্রা শেষে তারা ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছাল”– কারা ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছাল ? পৌঁছে তারা কী দেখল ?

উত্তরঃ ব্যাং, মৌমাছি, মুরগি আর বাঘ দীর্ঘ যাত্রা শেষে ভগবানের প্রাসাদে গিয়ে পৌঁছাল।

সেখানে গিয়ে তারা নানান ভোজ ও আনন্দ-উৎসবে ব্যস্ত দেবতাদেরকে তাদের স্ত্রী আর মন্ত্রীদের দেখতে পেল।

৩. ভগবানের প্রাসাদে দেবতাদের স্ত্রী ও মন্ত্রীদের মহানন্দের উৎসব দেখে কে কী করল ?

উত্তরঃ স্বর্গে দেবতারা উৎসবে মেতে আছেন জানতে পেরে ব্যাং, মৌমাছি, মুরগি আর বাঘ খুব রেগে গিয়ে ভগবানের কাছে চলল।

৪. তরাই অঞ্চল কোথায় অবস্থিত ? এর পাশ দিয়ে কী কী নদী বয়ে যায় ?

উত্তরঃ হিমালয়ের পাদদেশে তরাই অঞ্চল অবস্থিত।
তরাই অঞ্চলের পাশ দিয়ে তিস্তা, তোর্সা, রঙ্গিত ইত্যাদি নদী বয়ে যায়।

৫. ভগবান মন্ত্রীদের কী করেছিল?

উত্তরঃ ভগবান ব্যাঙের মুখে সব শুনে মন্ত্রীদের ডেকে পাঠিয়েছিল। এরপর তাদের গাফিলাতির জন্য তিরস্কার করেছিল।

৬. রাভা গোষ্ঠীর গাওয়া গানের নিম্নলিখিত অংশটির অর্থ বলো।
কুরুয়া বা ক্রৌঙাইতা / মাসা লাঙ্গা পুইমৌন / না সানি লামাইতারে / ইবাই মাঞ্চা হাওয়াই মানা / ফৈ লৌগৌ না লৌয়েয়া।

উত্তরঃ কুরুয়া পাখি উড়ে উড়ে কাঁদছে, বকেরা উড়ছে সার বেঁধে, মাছরাঙা বারবার ছোঁ মেরেও পায়নি মাছ – সে কি খাবে, এদিকে মাছ নেই তো ওদিকে চল।

৭. ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছে ব্যাং কী দেখল ?

উত্তরঃ দীর্ঘ যাত্রা শেষে ব্যাং ভগবানের প্রাসাদে পৌঁছল। দেখল, সেখানে সবাই নানান ভোজ ও আনন্দ-উৎসবে ব্যস্ত। তাদের স্ত্রী ও মন্ত্রীদের মহানন্দ।

৮. চারটি প্রাণীর স্বর্গে আগমনের প্রকৃত কারণ বুঝতে পেরে ভগবান কী করল?

উত্তরঃ স্বর্গে চারটি প্রাণী এসে কী কারণে এমন রাগ দেখাচ্ছে তা বুঝতে পেরে ভগবান তাড়াতাড়ি তার মন্ত্রীদের ভাষা এবং তাদের গাফিলতির জন্য তিরস্কার করল।

৯. ভগবান তার মন্ত্রীদের তিরস্কার করল দেখে ব্যাং কী করল ?

উত্তরঃ ভগবান তার মন্ত্রীদের তিরস্কার করল দেখে ব্যাং গর্বিত ও উল্লসিত হয়ে সরবে অর্থাৎ গ্যাঙর গ্যাং করতে করতে তার সুখের আস্তানা পুকুরে ফিরে গেল।

• বড়ো প্রশ্নের উত্তর দাও :

১. মৌমাছি কেন ব্যাঙের সঙ্গে ভগবানের কাছে যেতে চেয়েছিল ?

উত্তরঃ পৃথিবীতে খরা হওয়ায় মৌমাছিরা খুব নাকাল হয়ে পড়েছিল। জল না থাকার জন্য ফুল ফুটছিল না। ফুল ছাড়া মৌমাছি মধু সংগ্রহ করবেই বা কোথা থেকে। তাই মৌমাছি মধু পান করার সুযোগ পাচ্ছিল না, মধু সংগ্রহ করতেও পারছিল না। এজন্য মৌমাছি ভগবানের কাছে যেতে চেয়েছিল।

২. একবার খরার সময় বৃষ্টি না হওয়ার দরুণ কী হয়েছিল ?

উত্তরঃ একবার খরার সময় বৃষ্টি না হওয়ার দরুন মানুষ, পশু, গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেল। সব পশুরা ভাবতে লাগল কীভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করা যায়। ব্যাং স্বেচ্ছায় ঠিক করল এর জন্য ভগবানের দ্বারস্থ হবে সে। তার কথা শুনে অন্যান্য পশু, পতঙ্গ ব্যাঙের সঙ্গী হিসেবে ভগবানের কাছে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করল। অবশেষে ভগবানের প্রাসাদে গিয়ে তারা বুঝেছিল রাজ্যে এত অভাব ও কষ্টের কারণ। সবশেষে ভগবান তাঁর মন্ত্রীদের শাস্তির ব্যবস্থা করলেন এবং ব্যাং তাদের জয়ের বার্তা নিয়ে পুকুরে নামতেই বৃষ্টি শুরু হল।

৩. হিমালয়ের পাদদেশে বসবাসকারী আমাদের রাজ্যের আদি জনগোষ্ঠীর মানুষদের আনন্দময় পর্বের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে পাহাড়ি নদী তিস্তা, তোর্সা, রঙ্গিত ইত্যাদি নদী সবুজ বনের গা দিয়ে বয়ে চলেছে।
এই নদীগুলির আশপাশে, জালের আঁকে বাঁকে মেচ, রাভা, গারো, লেপচা আর টোটো ইত্যাদি এ রাজ্যের আদি জনগোষ্ঠী প্রায় আত্মীয়তার মতো সম্পর্ক বজায় রেখে অন্তরঙ্গ জীবনযাপন করে। এদের প্রত্যেকের একটি করে নিজস্ব ভাষা আছে, গল্প আছে, গান আছে। এই আদি জনগোষ্ঠীর মধ্যে রাভা উপজাতির জীবনে দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়া এক আনন্দময় পর্ব। তারা মাছ ধরতে যাবার সময় মিলিত সুরে তাদের ভাষায় যে গান করে তার অর্থ হল, চল মাছ ধরি গিয়ে, নতুন বছরের নতুন জলে নদীর কূল ছাপিয়ে মাঠঘাট ভেসে গেছে। কুরুয়া পাখি, বক, মাছরাঙা প্রভৃতি পাখিগুলি মাছ পাচ্ছে না। তাই, এদিকে মাছ নেই তো ওদিকে যাই চল।

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:3 mins read