মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নপত্র ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড | Madhyamik Geography Question Paper 2018 with Answers wbbse

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নপত্র ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড | Madhyamik Geography Question Paper 2018 with Answers wbbse

Geography Question Paper 2018 with answers for Madhyamik students of West Bengal Board of Secondary Education. Question and Answers of the question paper are given below.
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীন মাধ্যমিক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য
২০১৮ সালের উত্তরসহ ভূগোল বিষয়ের প্রশ্নপত্র।

📌 বিগত বছরের মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র সমস্ত বিষয় | Madhyamik Previous Years Question Paper All Subject CLICK HERE

2018
Geography
Time — Three Hours Fifteen Minutes
(First FIFTEEN minutes for reading the question paper only)

Full Marks — 90
(For Regular and Sightless Regular Candidates)
Full Marks — 100
(For External and Sightless External candidates)

Special credit will be given for answers which are brief and to the point.
Marks will be deducted for spelling mistakes, untidiness and bad handwriting.

[‘ক’ বিভাগ থেকে ‘চ’ বিভাগ পর্যন্ত প্রদত্ত প্রশ্ন নিয়মিত ও বহিরাগত সব পরীক্ষার্থীদের জন্য এবং ‘ছ’ বিভাগে প্রদত্ত প্রশ্ন শুধুমাত্র বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের জন্য ]

[‘ক’ বিভাগে সকল প্রশ্ন আবশ্যিক, অন্য বিভাগে বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষ্যণীয়। ‘চ’ বিভাগে কেবলমাত্র দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীরা বিকল্প প্রশ্নের নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর লিখবে। অন্য সকলে মানচিত্র চিহ্নিত করবে।]

বিভাগ —’ক’

১. বিকল্পগুলি থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : ১x১৪ = ১৪

১.১ শুষ্ক অঞ্চলে গিরিখাতকে বলা হয়—
(ক) ক্যানিয়ন
(খ) “V” আকৃতির উপত্যকা
(গ) মন্থকূপ
(ঘ) ধান্দ

উত্তরঃ (ক) ক্যানিয়ন

১.২ পাখির পায়ের মতো আকৃতি বদ্বীপ গঠিত হয়েছে—
(ক) নীলনদের মোহানায়
(খ) হোয়াংহোর মোহানায়
(গ) সিন্ধুনদের মোহানায়
(ঘ) মিসিসিপি-মিসৌরির মোহানায়

উত্তরঃ (ঘ) মিসিসিপি-মিসৌরির মোহানায়

১.৩ উল্কাপিণ্ড পুড়ে ছাই হয় নিম্নলিখিত স্তরে—
(ক) আয়নোস্ফিয়ার (খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার
(গ) মেসোস্ফিয়ার (ঘ) এক্সোস্ফিয়ার

উত্তরঃ (গ) মেসোস্ফিয়ার

১.৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় টর্নেডোকে এই নামেও ডাকা হয়—
(ক) সাইক্লোন (খ) টুইস্টার (গ) টাইফুন
(ঘ) হ্যারিকেন

উত্তরঃ (খ) টুইস্টার

১.৫ শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত এবং উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত মিলিত হয়ে ঘনকুয়াশা ও ঝড়ঝঞ্ঝার সৃষ্টি করে যে উপকূল অঞ্চলে তা হল—
(ক) নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল
(খ) গিনি উপকূল
(গ) ফ্লোরিডা উপকূল
(ঘ) পেরু উপকূল

উত্তরঃ (ক) নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল

১.৬ মরা কোটালের সময়ে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাপেক্ষে নিম্নলিখিত কোণে অবস্থান করে—
(ক) 180° (খ) 360° (গ) 90° (ঘ) 120°

উত্তরঃ (গ) 90°

১.৭ নিম্নলিখিত বর্জ্যপদার্থটি জৈব অভঙ্গুর বর্জ্য—
(ক) প্লাস্টিক বর্জ্য
(খ) কৃত্রিম রবার বর্জ্য
(গ) অ্যালুমিনিয়াম পাত
(ঘ) সবকটিই প্রযোজ্য

উত্তরঃ (ঘ) সবকটিই প্রযোজ্য

১.৮ নিম্নলিখিত রাজ্য ভেঙে তেলেঙ্গানা রাজ্যের সৃষ্টি হয়—
(ক) মধ্যপ্রদেশ (খ) অন্ধ্রপ্রদেশ (গ) বিহার (ঘ) উত্তরপ্রদেশ

উত্তরঃ (খ) অন্ধ্রপ্রদেশ

১.৯ শিবালিক হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিলাখণ্ড সঞ্চিত হয়ে যে-সমভূমি গঠিত হয়েছে, তাকে বলে—
(ক) খাদার (খ) ভাঙ্গর (গ) ভাবর (ঘ) বেট

উত্তরঃ (গ) ভাবর

১.১০ ভারতে একটি লবণাক্ত হ্রদর উদাহরণ হল —
(ক) প্যাংগং হ্রদ (খ) ভীমতাল (গ) ডাল হ্রদ (ঘ) লেকটাক হ্রদ

উত্তরঃ (ক) প্যাংগং হ্রদ

১.১১ ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা দেখা যায় নিম্নলিখিত অঞ্চলে—
(ক) গাঙ্গেয় সমভূমি
(খ) পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে                        (গ) সুন্দরবন
(ঘ) মরু অঞ্চল

উত্তরঃ (খ) পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে

১.১২ গম হল একটি—
(ক) রবি শস্য (খ) খারিফ শস্য
(গ) জায়িদ শস্য (ঘ) পানীয় ফসল

উত্তরঃ (ক) রবি শস্য

১.১৩ উত্তরে শ্রীনগর থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারীকে যুক্ত করার জন্য দ্রুতগামী সড়ক যোগাযোগ পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে—
(ক) পূর্ব-পশ্চিম করিডোর
(খ) সোনালি চতুর্ভূজ
(গ) উত্তর-দক্ষিণ করিডোর
(ঘ) উত্তর-মধ্য করিডর

উত্তরঃ (গ) উত্তর-দক্ষিণ করিডোর

১.১৪ ভারত থেকে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ হল —
(ক) IRS (খ) LANDSAT (গ) SPOT (ঘ) Station

উত্তরঃ (ক) IRS

বিভাগ — খ

২.১ নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ হলে পাশে ‘অ’ লেখো (যে-কোনো ছ-টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১x৬ = ৬

২.১.১ জলপ্রপাতের পাদদেশে মন্থকূপের সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ ‘অ’

২.১.২ বায়ুর চাপ ফটিন ব্যারোমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়।

উত্তরঃ ‘শু’

২.১.৩ নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

উত্তরঃ ‘অ’

২.১.৪ প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট এল নিনোর প্রভাবে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে খরার সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ ‘অ’

২.১.৫ বিহার ও ছত্রিশগড় রাজ্যে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বনভূমি দেখা যায়।

উত্তরঃ ‘অ’

২.১.৬ পেট্রোরসায়ন শিল্পকে ‘আধুনিক শিল্পদানব’ আখ্যা দেয়া হয়।

উত্তরঃ ‘শু’

২.১.৭ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ যেখান থেকে চালু হয় তা হল ‘প্লাটফর্ম’।

উত্তরঃ ‘শু’

২.২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো ( যে-কোনো ছ-টির উত্তর দাও): ১x৬=৬

২.২.১ ________ নদীর নাম অনুসারে নদীতে সৃষ্ট বাঁক ‘মিয়েন্ডর’ নামে পরিচিত।

উত্তরঃ মিয়েনড্রেস।

২.২.২ হিমবাহ পৃষ্ঠে আড়াআড়ি ও সমন্তরাল ফাটলগুলিকে ________ বলে।

উত্তরঃ ক্রেভাস।

২.২.৩ বায়ুমন্ডলে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়াকে _________ বলে।

উত্তরঃ বৈপরিত্য উপত্যাকা।

২.২.৪ ভরা কোটালের সময় সমুদ্রের জল প্রবল বেগে মোহানা দিয়ে নদীতে প্রবেশ করে, একে _________ বলা হয়।

উত্তরঃ বানডাকা বা জোয়ারি বান।

২.২.৫ যে সকল বর্জ্য বিয়োজিত হয়ে জল, মাটি ও বাতাসের সঙ্গে মিশে যায় তাকে _______ বলে।

উত্তরঃ জৈব ভঙ্গুর বজ্র বা পচনশীল বজ্র।

২.২.৬ ________ মেঘালয় মালভূমির সর্বোচ্চ অংশ।

উত্তরঃ শিলং

২.২.৭ 2011 খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারি অনুসারে ভারতে সাক্ষরতার হার _______ শতাংশ।

উত্তরঃ ৭৪.৪

২.৩ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (যে-কোনো ছ-টি) : ১x৬=৬

২.৩.১ সাহারায় বালুকাময় মরুভূমি কী নামে পরিচিত ?

উত্তরঃ আর্গ।

২.৩.২ বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে জেট বিমান যাতায়াত করে ?

উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।

২.৩.৩ সামুদ্রিক মাছের প্রধান খাদ্য কি ?

উত্তরঃ প্ল্যাঙ্কটন।

২.৩.৪ একটি তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের নাম লেখো।

উত্তরঃ ইউরেনিয়াম।

২.৩.৫ দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম কি ?

উত্তরঃ গোদাবরী।

২.৩.৬ ভারতের কোন অরণ্যে সিংহ পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ গির অরণ্যে।

২.৩.৭ ঝাড়খন্ড ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের যৌথ বহুমুখী নদী পরিকল্পনার নাম লেখো।

উত্তরঃ দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা DVC

২.৩.৮ কোন মানচিত্রে সমোন্নতি রেখার সাহায্যে ভূপ্রকৃতি বোঝানো হয়।

উত্তরঃ ভূ-বৈচিত্র্যসূচক।

২.৪ বামদিকের সঙ্গে ডানদিকের গুলি মিলিয়ে লেখো : ১x৪=৪

বাম দিক ডান দিক
২.৪.১ তাল (১) কফি গবেষণা কেন্দ্র
২.৪.২ জুম চাষ (২) ডিজেল রেল ইঞ্জিন
২.৪.৩ চিকমাগালুর (৩) পশ্চিম হিমালয়ের হ্রদ
২.৪.৪ বারাণসী (৪) মৃত্তিকা ক্ষয়

উত্তরঃ

বাম দিক ডান দিক
২.৪.১ তাল (৩) পশ্চিম হিমালয়ের হ্রদ
২.৪.২ জুম চাষ (৪) মৃত্তিকা ক্ষয়
২.৪.৩ চিকমাগালুর (১) কফি গবেষণা কেন্দ্র
২.৪.৪ বারাণসী (২) ডিজেল রেল ইঞ্জিন

বিভাগ—গ

৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষ্যণীয়) : ২x৬ =১২

৩.১ ‘অপসারণ গর্ত’ কিভাবে গঠিত হয় ?

উত্তরঃ মরুভূমির যে অংশে ক্ষুদ্রাকার বালি এবং পলি শিথিল অবস্থায় থাকে সেখান থেকে ঐ পদার্থসমূহ শক্তিশালী বায়ুর সাথে অন্যত্র অপসারিত হয়। অপসারণের ফলে যেসকল ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয় তাকে অপসারণ গর্ত বলে। কালাহারিতে ‘প্যান্’ এবং ভারতের থর মরুভূমিতে ‘ধান্দ্’ নামে পরিচিত।

অথবা,

হিমশৈল কী ?

উত্তরঃ হিমশৈল হলো পরিষ্কার জলের বরফের একটি বৃহৎ টুকরো, যা হিমবাহ বা একটি বরফের বড় তাক ভেঙে গিয়ে তৈরী হয় এবং খোলা জলে অবাধে ভেসে বেড়ায়। হিমশৈলের ছোট বিটগুলিকে ‘গ্রোয়ার’ বা ‘বার্গি বিট’ বলা হয়।

৩.২ চিনুক কি ?

উত্তরঃ আর্দ্র বায়ু উপকূলীয় পর্বতের প্রতিবাত ঢাল বরাবর উপরে উঠে মেঘ ও বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করার পর অনুবাত অঞ্চলে নেমে এসে উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুরূপে প্রবাহিত হয় । উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতের অনুবাত ঢালে প্রবাহিত এরকম উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুপ্রবাহ চিনুক (Chinook) নামে পরিচিত। ‘Chinook’ একটি রেড ইন্ডিয়ান শব্দ, যার অর্থ হল ‘তুষার ভক্ষক’।

অথবা,

অ্যাপোজি জোয়ার কাকে বলে ?

উত্তরঃ চাঁদ এক উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। এইভাবে প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যখন সর্বাধিক (4 লক্ষ 7 হাজার কিমি) হয়, তাকে চাঁদের অ্যাপােজি বা অপসূর অবস্থান (অপভূ) বলে (এই সময় চাঁদকে একটু ছােটো ও কম উজ্জ্বল দেখায়)। এই সময় যে জোয়ার হয়, তাকে অ্যাপােজি বা অপভূ জোয়ার বলে।

৩.৩ বর্জ্য পৃথকীকরণ কিভাবে করা হয় ?

উত্তরঃ বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি: বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল বর্জ্য পৃথকীকরণ। এজন্য কঠিন বর্জ্য পদার্থসমূহকে (পরিবেশ তথা প্রকৃতির সঙ্গে বর্জ্য পদার্থের প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে) দুই ভাগে ভাগ করা হয়—জৈব ভঙ্গুর বা বায়ােডিগ্রেডেবল এবং জৈব অভঙ্গুর বা ননবায়ােডিগ্রেডেবল।

অথবা,

বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ (Recycling of waste) : বর্জ্যপদার্থকে নতুন প্রকার প্রয়োজনীয় দ্রব্যে পরিণত করার প্রক্রিয়াই হল পুনর্নবীকরণ। বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ায় কাগজের বর্জ্য, প্লাস্টিক বর্জ্য, কাঁচের বোতলের বর্জ্য, ফলের রসের ক্যান ইত্যাদি দ্রব্যের পুনর্নবীকরণ করে বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস ও নিবারন করা যেতে পারে। যেমন — জৈব আবর্জনাকে জৈব সারে পরিণত করে বাড়ির বাগানে ব্যবহার করা যায়। পুরানো খবরের কাগজ থেকে কাগজের মণ্ড তৈরি করা বা কাগজের ঠোঙা তৈরি করা যায় ইত্যাদি ।

৩.৪ কর্ণাটক মালভূমির দুটি ভূ-প্রাকৃতিক অংশের নাম লেখো।

উত্তরঃ কর্নাটক মালভূমির দুটি ভূপ্রাকৃতিক অংশ হল– মালনাদ ও ময়দান।

অথবা,

বৃষ্টির জল সংরক্ষণের দুটি উদ্দেশ্য কি কি ?

উত্তরঃ বৃষ্টির জল সংরক্ষণের উদ্দেশ্য গুলি হল :- (i) জল সরবরাহের খরচ হ্রাস করা। (ii) বন্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। (iii) মৃত্তিকার উপরিস্তরের ক্ষয় হ্রাস পায়। (iv) শুষ্ক ঋতুতে জলের জোগান দেয়।

৩.৫ ধাপ চাষের গুরুত্ব কি ?

উত্তরঃ ধাপে ধাপে চাষ পাহাড়ি ঢালে করা হয় কারণ এটি মাটির ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। এটি জলের প্রবাহ রোধ করতেও সাহায্য করে যা উপত্যকা বা পাদদেশের পাহাড়ে বন্যা আনতে পারে।

অথবা,

ধারণযোগ্য উন্নয়ন বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ ধারণযোগ্য উন্নয়ন হল বর্তমান সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সম্পদের এমন ভাবে ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে হবে যে, সেই সম্পদ যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একই ভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পায়। অর্থাৎ সম্পদের এমন ভাবে ব্যবহার যা বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। এই পরিকল্পনাকে ধারণযোগ্য উন্নয়ন বা সাসটিনেবল ডেভলপমেন্ট বলে।

৩.৬ উপগ্রহ চিত্র বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট স্থানের যে চিত্র তোলা হয়, তাকে উপগ্রহ চিত্র বলা হয়। একেই ইংরেজি ভাষায় স্যাটেলাইট ইমেজ ও বলা হয়।

অথবা,

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যে মানচিত্রে ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক (যেমন— ভূমিরূপ, নদনদী, উদ্ভিদ ইত্যাদি) ও সাংস্কৃতিক (যেমন-জনবসতি, রাস্তা, টেলিফোন লাইন ইত্যাদি) উপাদানগুলি বিভিন্ন প্রতীক চিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্কেলে চিত্রায়িত করা হয় সেই মানচিত্রকে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বা টপােগ্রাফিকাল মানচিত্র (Topographical Map) বলে।

বিভাগ—ঘ

৪. সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা মূলক উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষ্যণীয়) : ৩x৪ =১২

৪.১ নদীর মোহনায় বদ্বীপ কেন গড়ে ওঠে ব্যাখ্যা করো।

(বিঃ দ্রঃ তিন নম্বরের প্রশ্নগুলির তিন থেকে চারটা পয়েন্ট লিখলেই হবে)

উত্তরঃ নদীর মোহনায় বদ্বীপ সৃষ্টির ভৌগোলিক কারণসমূহ—

সব নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে না। কয়েকটি বিশেষ ভৌগোলিক কারণের ওপর নির্ভর করে বদ্বীপ গড়ে ওঠে

(1) পলিরাশির পরিমাণ: নদী অববাহিকা বৃহৎ, নদীর প্রবাহপথ দীর্ঘ ও নদী অববাহিকা অঞ্চলের শিলা নরম প্রকৃতির হলে এবং অনেক উপনদী এসে মিশলে ওই নদীতে পলির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে নদীর ৭ জল অতিরিক্ত পলিসমৃদ্ধ হয়ে মোহানায় বদ্বীপ সৃষ্টি করে।

(2) সমুদ্রের ঢেউ ও জোয়ারভাটা : নদীমোহনায় জোয়ারভাটার প্রকোপ থাকলে এবং ঢেউয়ের তীব্রতা কম হলে দ্রুত বদ্বীপ গড়ে উঠতে পারে।

(3) বায়ুপ্রবাহ ও উন্ন-আর্দ্র জলবায়ু : যেসব নদীর মোহনায় নদীর স্রোতের বিপরীত দিকে বায়ু প্রবাহিত হয় সেখানে দ্রুত পলির অধঃক্ষেপণ ঘটে। তাই দ্রুত বদ্বীপ গড়ে ওঠে। আবার উয়-আর্দ্র জলবায়ুতে নদনদীর সংখ্যা বেশি থাকে বলে সেখানে বদ্বীপের সংখ্যাও বেশি হয়।

(4) অগভীর উপকূলভাগ : নদীমোহানায় সমুদ্রের উপকূলভাগ অগভীর হলে সেখানে দ্রুত পলি দ্বারা ভরাট হয়ে বদ্বীপ তৈরি হয়। ভারতের পূর্ব উপকূল অগভীর বলে বদ্বীপের সংখ্যাও বেশি।

(5) জলের ঘনত্ব : নদীমোহানায় সমুদ্রজলের ঘনত্ব বেশি হলে সেখানে অতিদ্রুত পলি থিতিয়ে পড়ে। তাই দ্রুত বদ্বীপ গড়ে ওঠে।

(6) সমুদ্রের উন্মুক্ততা : স্থলবেষ্টিত সমুদ্রে
নদীমোহানা থাকলে সেখানে বদ্বীপ গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। কারণ সেখানে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব কম।

(7) সমুদ্রজলের লবণতা: মোহানার কাছে সমুদ্রজলের লবণতা বেশি হলে নদীজলের পলিরাশি জোটবদ্ধ ও ভারী হয়ে দ্রুত অধঃক্ষিপ্ত হয়। এতে বদ্বীপ গঠনের হার বাড়ে।

(৪) অন্যান্য: এ ছাড়া মোহানায় যাতে পলি জমতে পারে, তাই নদীর স্রোতের বেগ কম হলে বা মোহানা অলটি স্থিতিশীল হলে বা নদীর মুখে চর সৃষ্টি হলে দ্রুত বদ্বীপ গড়ে উঠতে পারে।

অথবা, ট্রপোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পায় কেন ?

উত্তরঃ ট্রপােস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পাওয়ার কারণ : ট্রপােস্ফিয়ারে অর্থাৎবায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ুর উষ্ণুতাহ্রাস পায়। একে বলে তাপমাত্রার স্বাভাবিকহ্রাসহার তাপমাত্রা হাসের এই হার হল প্রতি 1000 মিটারে প্রায় 6.4 °সে। ট্রপােস্ফিয়ারে। এইভাবে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পাওয়ার কারণ হল

(১) ওপরে বিকিরণ কম: সূর্যতাপে বায়ুমণ্ডল সরাসরি বিশেষ উষ্ণ হয়। সূর্যতাপে প্রথমে ভূপৃষ্ঠ উয় হয় এবং পরে ওই উষ্ণ ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপ বিকিরণের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল উষ্ণ হয়। এজন্য ভূপৃষ্ঠ থেকে ক্রমশ ওপরের দিকে উষ্ণতা কমে যায়।

(২) বায়ুর ঘনত্ব কম: ভূপৃষ্ঠ থেকে যত ওপরে ওঠা যায় বায়ুর ঘনত্ব তত কমে যায় বলে বায়ুর তাপধারণ ক্ষমতাও হ্রাস পায় এর ফলে ক্রমশ ওপরে উষ্ণতাও হ্রাস পেতে থাকে।

(৩) বিকীর্ণ তাপ কম পোঁছােনাে: ভূপৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপের খুব কম অংশই ওপরে পৌঁছােনাে।

(৪) তাপশােষণ কম: ওপরের বায়ুতে ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প কম থাকে বলে ওই বায়ুর তাপশােষণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতাও কম।

(৫) বায়ুস্তর পাতলা: বায়ুস্তর ক্রমশ ওপরের দিকে পাতলা হয়ে যায়। তাই ঊর্ধ্বের বায়ু তাড়াতাড়ি প্রসারিত হয় এবং তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়।

৪.২ গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলি কি কি ?

উত্তরঃ গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের উপায়: প্রধানত যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কলকারখানার গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এজন্য যে যন্ত্রটি ব্যবহৃত হয় তার নাম স্ক্রাবার। এই স্ক্রাবার যন্ত্রে সাধারণত দুভাবে গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ বা নিষ্কাশন করা হয়, যথা—

(1) আর্দ্র স্ক্রাবিং: এক্ষেত্রে কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস, ধূলিকণা প্রভৃতি বায়ুদূষককে কোনাে জলীয় দ্রবণের মধ্যে চালনা করে বিশুদ্ধ বাতাস নির্গত করা হয়।

(2) শুষ্ক স্ক্রাবিং: এই পদ্ধতিতে জলীয় দ্রবণ ছাড়াই বস্তুকণা ও দূষিত বাতাস স্ক্রাবারের মাধ্যমে পরিস্রুত করে বিশুদ্ধ বাতাস নির্গত করা হয়। সাধারণত শুষ্ক স্ক্রাবিং পদ্ধতিতে অম্লধর্মী গ্যাস অপসারণ করা হয়।

অথবা, বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাস কীভাবে করা যায় ?

উত্তরঃ বর্জ্যের পরিমাণগত হাসের পদ্ধতি : বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আর গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ হ্রাস করা। এতে কতকগুলি উপায় অবলম্বন করা প্রয়ােজন, যেমন— (1) জিনিসপত্রের উৎপাদন ও ব্যবহার তথা ভােগের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরােপ করা, (2) জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করে চাহিদাকে সীমিত রাখা। (3) জিনিসপত্রের অপচয় বন্ধ করা। (4) কলকারখানায় প্রযুক্তির উন্নতি ঘটিয়ে বর্জ্য পদার্থের নির্গমন হ্রাস করা। (5) ব্যবহৃত জিনিস সরাসরি ফেলে না দিয়ে সেগুলি অন্য কাজে ব্যবহার করা। (6) একই দ্রব্য যাতে বারে বারে বা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়, তাই মজবুত ও টেকসই দ্রব্য উৎপাদন ও ব্যবহার করা। (7) জৈব ভঙ্গুর তথা পরিবেশবান্ধব জিনিপত্রের ব্যবহার বাড়ানাে, (8) প্রয়ােজনের অতিরিক্ত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করা, (9) গৃহস্থালি, বিদ্যালয়, কলকারখানা, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাতে বেশি বর্জ্য পদার্থ তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রাখা ও সকলকে সচেতন করা। (10) জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রভৃতি।

৪.৩ ভারতের অরণ্য সংরক্ষণের তিনটি প্রধান উপায় সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভারতে অরণ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি—

বর্তমানে ভারতের ক্ষেত্রমানের বিচারে বনাবৃত ভূমির পরিমাণ প্রায় 24.39 শতাংশ (সূত্র: India State of Forest Report’17)। অথচ সমগ্র দেশের মােট আয়তনের 33 শতাংশ বনভূমি থাকা বাঞ্ছনীয়। তাই নানা পদ্ধতিতে অরণ্য সংরক্ষণ করা প্রয়ােজন। যেমন

(1) অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃক্ষচ্ছেদন রােধ : অপ্রয়ােজনীয় বৃক্ষচ্ছেদন রােধ করতে হবে। বনভূমি ও যে-কোনাে স্থান থেকে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে গাছ কাটা নিষিদ্ধ করতে হবে।

(2) অপরিণত বৃক্ষচ্ছেদন হ্রাস: গাছ কাটার খুব প্রয়ােজন হলে কেবল পরিণত বৃক্ষই যেন ছেদন করা হয়। অপরিণত এবং চারাগাছের রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে এবং তাদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

(3) জ্বালানি কাঠের পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি : গ্রাম এবং শহরে জ্বালানি হিসেবে কাঠের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস, জৈবগ্যাস, সৌর শক্তি ইত্যাদি বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। এতে জ্বালানি কাঠের ব্যবহার কমবে এবং অরণ্যের সংরক্ষণ হবে।

(4) পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ : অরণ্যকে রক্ষা করার জন্য পশুচারণ ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। অরণ্যভূমিতে পশুর দল চারাগাছ খেয়ে ফেলে এবং গাছকে নষ্ট করে দেয়। তাই পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

অথবা, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ ধারণা: সংবাদ বা তথ্য ও ভাবের আদানপ্রদানকে এককথায় যােগাযোেগ বলে। চিঠিপত্র, টেলিফোন, টেলিগ্রাম, ইনটারনেট প্রভৃতির সাহায্যে যে আদানপ্রদান হয়, সেগুলিকে বলে যােগাযােগের মাধ্যম। এই ধরনের একটি সম্পূর্ণ ও সংগঠিত আদানপ্রদান ব্যবস্থাকে বলে যােগাযােগ ব্যবস্থা। আগেকার দিনে যােগাযােগের মাধ্যম হিসেবে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে লিখিত বার্তা আদানপ্রদান করা হত। কিন্তু বর্তমানে ব্যস্ত জীবনের গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে এবং উন্নত পরিসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থার মাধ্যমে চালু হয়েছে।

বিভিন্ন রকম আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থা: বিভিন্ন রকম আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থা গুলি হল— ইনটারনেট, ই-মেল, সেলফোন ইত্যাদি।

(1) ইনটারনেট: সমগ্র বিশ্বজুড়ে একাধিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে পারস্পরিক সংযােগ ব্যবস্থাই হল ইনটারনেট ব্যবস্থা। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এই ইনটারনেট ব্যবস্থার সাহায্যে পরস্পর যুক্ত থেকে নিমেষের মধ্যে তথ্য, খবরাখবর এবং মতামত বিনিময় করে চলেছে। দ্রুত, সহজে এবং স্বল্প ব্যয়ে যােগাযােগ সাধনের এটি অন্যতম মাধ্যম। বর্তমানে ইনটারনেটে ফেসবুক, হােয়াটসঅ্যাপ, টুইটার প্রভৃতি সােশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির মাধ্যমে পারস্পরিক যােগাযােগ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

(2) ই-মেল: ই-মেলের মাধ্যমে অতি অল্প খরচে দ্রুত পৃথিবীর যে কোনাে স্থানে সংবাদ পাঠানাে যায়।

(3) সেলফোন: শুধু দুজন মানুষের মধ্যে কথা বলার সুবিধাই নয়, মােবাইল বা সেলুলার ফোনের সাহায্যে SMS, MMS, মােবাইল। ব্যাংকিং প্রভৃতি বিচিত্র ধরনের পরিসেবা একে একটি অত্যন্ত প্রয়ােজনীয় ও অপরিহার্য যােগাযােগের মাধ্যমে পরিণত করেছে।

৪.৪ ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ও উপগ্রহ চিত্রের পার্থক্য কী কী ?

উত্তরঃ

(i) সংজ্ঞা/প্রকৃতি—
যে, মানচিত্রে ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলি বিভিন্ন প্রতীক চিহ্নের মাধ্যমে চিত্রায়িত করা হয় তাকে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বলে।

মহাকাশে প্রেরিত বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহে যে সেন্সর (ক্যামেরা) রাখা হয়, তার সাহায্যে পৃথিবীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে যে চিত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে উপগ্রহ চিত্র বলে ।

(ii) নাম-প্রতীক চিহ্ন ও তথ্য—
ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে বিভিন্ন স্থানের নাম ও প্রতীক চিহ্নের ব্যবহার করা হয় এবং অক্ষরেখা, দ্রাঘিমারেখাসহ প্রশাসনিক এলাকা উল্লেখিত থাকে।

উপগ্রহ মানচিত্রে কোনো স্থানের নাম লেখা থাকে না এবং প্রতীক চিহ্নও থাকে না। তবে অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, পথ ও সারি এই সব উল্লেখ থাকে।

(iii) রঙের ব্যবহার—
ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে বিভিন্ন উপাদানগুলিকে বিভিন্ন রঙের প্রতীক চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন বনভূমি সবুজ, কৃষিজমি হলুদ।

উপগ্রহ চিত্রে ছদ্মরং (FCC) ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তুকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা হয়। যেমন -সবুজ উদ্ভিদ লাল রঙের দেখায়।

(iv) দুর্গম অঞ্চল—
দুর্গম অঞ্চলের ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র তৈরির কাজ অত্যন্ত জটিল ও কষ্টকর।

উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলের তথ্য সহজেই পাওয়া যায়।

(v) সময় ও লোকবল—
ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র প্রস্তুত অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং বহু লোকের প্রয়োজন হয়।

উপগ্রহ চিত্র প্রস্তুত ও বিশ্লেষণে খুব কম সময় ও কম লোক প্রয়োজন হয়।

অথবা, ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র তিনটি ব্যবহার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের ব্যবহার : ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের তিনটি ব্যবহার হল —

(১) সামরিক প্রয়ােজন: ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সামরিক প্রয়ােজনে।

(২) ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন বা নদীর গতিপথের পরিবর্তন বােঝার জন্য: কোনাে অঞ্চলের ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন বা নদীর গতিপথের পরিবর্তন বােঝার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ব্যবহার করা হয়

(3) আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা করার জন্য: যেহেতু ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে কোনাে অঙ্কুলের ভৌগােলিক, প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বােঝা যায় তাই সেই অঞ্চলের উন্নয়ন পরিকল্পনা রচনা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ব্যবহৃত হয়।

বিভাগ—ঙ

৫.১ যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও (দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে চিত্রাঙ্কন আবশ্যিক নয়) : ৫x২=১০

৫.১.১ হিমবাহ ও জলধারার মিলিত সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট প্রধান ভূমিরূপগুলির চিত্র-সহ বিবরণ দাও।

উত্তরঃ হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি হলাে—

(1) বহিঃবিধৌত সমভূমি : হিমবাহ গলিত জল যখন গ্রাবরেখার প্রান্তভাগ দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে নীচের দিকে প্রবাহিত হয়, তখন হিমবাহ গলিত জলের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বালুকারাশি ও কর্দমকণা গ্রাবরেখার প্রান্তভাগে সঞ্চিত হয়ে যে বিশাল সমতলভূমির সৃষ্টি হয় তাকে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে।

বহিঃবিধৌত সমভূমি

(2) ড্রামলিন : বহিঃবিধৌত সমভূমির উপর হিমবাহ দ্বারা বাহিত নুড়ি, বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি সঞ্জিত হয়ে উল্টানাে নৌকা বা চামচের মতাে যে ভূমিরুপ তৈরি হয়, তাকে ড্রামলিন বলে।

ড্রামলিন

(3) কেম ও এস্কার : হিমবাহ বাহিত নুড়ি, বালি, কাদা, পলি প্রভৃতি জমা হয়ে যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের ন্যায় যে ভূমিরুপ গঠন করে তাকে কেম বলে। হিমবাহের তলদেশে নুড়ি, বালি, পলি, কাদা প্রভৃতি জমা হয়ে গঠিত হওয়া আকাবাঁকা সংকীর্ণ শৈলশিরাকে বলা হয় এস্কার।

কেম ও এস্কার

(4) কেটল ও কেটল হ্রদ : বহিঃবিধৌত সমভূমিতে অনেক সময় বরফের টুকরাে থেকে যায়। পরবর্তীতে সেই বরফের টুকরােগুলি গলে গেলে অঞ্চলটি গর্তরূপে অবস্থান করে। এ জাতীয় গর্তকে বলা হয় কেটল। আবার কেটলগুলি জলপূর্ণ হয়ে যে হ্রদের সৃষ্টি করে, তাকে বলা হয় কেটল হ্রদ।

কেটল ও কেটল হ্রদ

৫.১.২ পৃথিবীর নিয়ত বায়ুপ্রবাহগুলির উৎপত্তি ও গতিপথ চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।

৫.১.৩ ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

৫.১.৪ সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।

৫.২ যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৫x২=১০

৫.২.১ ভারতের পশ্চিম হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

৫.২.২ ভারতে কার্পাস উৎপাদনের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।

৫.২.৩ পূর্ব ও মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।

৫.২.৪ ভারতে নগর গড়ে ওঠার প্রধান কারণগুলি আলোচনা করো।

বিভাগ—’চ’

৬. প্রশ্নপত্রের সাথে প্রদত্ত ভারতের রেখা-মানচিত্রে নিম্নলিখিতগুলির উপযুক্ত প্রতীক ও নামসহ চিহ্নিত করে মানচিত্রটি উত্তরপত্রের সঙ্গে জুড়ে দাও : ১x১০ =১০

৬.১ শিবালিক পর্বত,
৬.২ কৃষ্ণানদী,
৬.৩ ভারতের শুষ্কতম অঞ্চল,
৬.৪ ভারতের একটি লোহিত মৃত্তিকাযুক্ত অঞ্চল,
৬.৫ ভারতের কেন্দ্রীয় অরণ্য গবেষণাগার,
৬.৬ উত্তর ভারতের একটি গম উৎপাদক অঞ্চল,
৬.৭ দক্ষিণ ভারতের ম্যানচেস্টার,
৬.৮ পূর্ব উপকূলের একটি স্বাভাবিক বন্দর,
৬.৯ ভারতের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র,
৬.১০ ভারতের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

M.P Geography Question Papers
2017 2018 2019 2020 2021
2022 2023 2024 2025 2026

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:17 mins read