একলা কবিতার প্রশ্ন উত্তর পাতাবাহার পঞ্চম শ্রেণির বাংলা | Ekla Kobitar Question Answer Class 5 Bengali wbbse

একলা কবিতার প্রশ্ন উত্তর পাতাবাহার পঞ্চম শ্রেণির বাংলা | Ekla Kobitar Question Answer Class 5 Bengali wbbse

পাতাবাহার
বাংলা | পঞ্চম শ্রেণি

একলা কবিতার প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণির বাংলা | Ekla Kobitar Question Answer Class 5 Bengali wbbse

📌 পঞ্চম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌পঞ্চম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 পঞ্চম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

একলা
—শঙ্খ ঘোষ

হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর : একলা কবিতা পাতাবাহার পঞ্চম শ্রেণির বাংলা | Ekla Kobitar Class 5 Bengali wbbse

১. নিজের ভাষায় লেখো : 

১.১ তুমি কখন একলা থাকো ?

উত্তরঃ আমি দুপুরে একলা থাকি।

১.২ সবুজ গাছপালায় ছাওয়া পথ তুমি কোথায় দেখেছ ? সে পথে চলতে তোমার কেমন লেগেছে ?

উত্তরঃ সবুজ গাছপালায় ছাওয়া পথ আমি মিনি গার্ডেন এ দেখেছি।

সেই পথে চলার সময় আমার একবারও নিজেকে একা মনে হয়নি। প্রকৃতির শোভা দেখতে দেখতে পথে এগিয়ে যেতে আমার খুব ভালো লেগেছে।

১.৩ কত রঙের, কত রকমের পাথর তুমি দেখেছ ?

উত্তরঃ হলুদ, লাল, নীল, সাদা, সবুজ ইত্যাদি রঙের আর পোখরাজ, পান্না, নীলা, মুক্তো ইত্যাদি রকমের পাথর আমি দেখেছি।

১.৪ গাছের থেকে কোন্ ঋতুতে পাতা ঝরে ? কোন্ কোন্ গাছ থেকে পাতা ঝরতে তুমি দেখেছ ?

উত্তরঃ গাছের থেকে হেমন্ত ঋতুতে পাতা ঝরে।

আমগাছ, বেলগাছ, জবাগাছ, নিমগাছ থেকে পাতা ঝরতে আমি দেখেছি।

১.৫ গাছ আমাদের কী কী দেয় তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।

উত্তরঃ গাছ আমাদের ফল, ফুল, শাকসবজি, জীবনদায়ী ওষুধ দিয়ে থাকে। আসবাবপত্র তৈরির জন্য এবং জ্বালানির জন্য কাঠ দেয়। গাছ আমাদের বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেয়। গ্রীষ্মের দুপুরে গাছ শীতল ছায়া দেয়। গাছপালার জন্য বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

১.৬ পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় ‘শালবন’ রয়েছে ? শালপাতাকে মানুষ কী কী ভাবে ব্যবহার করে ?

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায় শালবন আছে।

শালপাতাকে মানুষ নানাভাবে ব্যবহার করে। যেমন– শালপাতায় খাবার খাওয়া, ফুল, মিষ্টি বিক্রির জন্য গ্রামাঞ্চলে শালপাতা মোড়ক করে ব্যবহৃত হয়। অনেক জায়গায় শালপাতা দিয়ে ঘরের ওপরের অংশ ঢাকা দেওয়া হয়।

১.৭ ‘বাজনা’ শব্দটা শুনলে তোমার চোখে কোন্ কোন্ ছবি ভেসে ওঠে ? কোন্ কোন্ বাজনার নাম তুমি জানো ? কোন্ কোন্ বাজনা ৰাজতে দেখেছ তুমি ?

উত্তরঃ ‘বাজনা’ শব্দটা শুনলে আমার প্রথমে ঢাক, ঢোল, কাঁসর, ঘণ্টা বাজিয়ে মা দুর্গার আরতির ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

হারামোনিয়াম, ঢোল, তবলা, গিটার, পিয়ানো, বাঁশি, বেহালা ইত্যাদির নাম আমি জানি।

এগুলির সবই বাজনা বাজতে দেখেছি।

২। নীচের কথাগুলো তুমি মুখে বললে যেভাবে বলতে, সেইভাবে সাজিয়ে লেখো :

২.১ ভুলিয়ে দেয় সব হিসাব ও

উত্তরঃ সব হিসাব ও ভুলিয়ে দেয়।

২.২ থাকে না আর দুঃখ কোনোই

উত্তরঃ আর কোনোই দুঃখ থাকে না।

২.৩ ঠিক যদি দিই সাড়া

উত্তরঃ যদি ঠিক সাড়া দিই।

৩। নীচের এলোমেলো শব্দগুলো সাজিয়ে দেখো চেনা চেহারা পায় কিনা :

পু রি তা সু ল > তালসুপুরি

না পা ছ গা > গাছপালা

লি ড়া কা বে > ঠকাঠবেড়ালি

ত ত স্ত ই > ইতস্তত।

৪‌। ‘এদিক-ওদিক’– এই কথাটায় এক ধরনের শব্দেরা যেমন পাশাপাশি বসে আছে, সেইরকম পাশাপাশি বসে-থাকা শব্দ পারলে নিজেই লেখো, নয়তো খুঁজে নাও শব্দকুড়ি থেকে :

[ শব্দঝুড়ি : ওখানে, সেরকম,সেকাল, ওপার ]

এপার— ওপার। এখানে— ওখানে।
একাল— সেকাল। এরকম— সেরকম।

৫‌। ‘ঘর-বার’ এইরকম পাশাপাশি বসে থাকা উলটো কথা তুমি ক-টা জানো লেখো।

উত্তরঃ উঠা— বসা, চলা— ফেরা, আশ— পাশ, দিন— রাত, কেনা— বেচা, দিন— ক্ষণ।

৬। শব্দঝুড়ি থেকে খুঁজে বার করো নীচের কোন শব্দটার সঙ্গে কোন্ শব্দটার বিপরীত সম্পর্ক আছে :

[ শব্দঝুড়ি : অভিশাপ, ছোট্ট, সুখ ]

মস্ত > ছোট, দুঃখ > সুখ, আশীর্বাদ > অভিশাপ।

৭। নীচের দাগ দেওয়া শব্দগুলো দেখে বিশেষ্য বিশেষণ আলাদা করে লেখো :

৭.১ আমি যখন একলা থাকি……

উত্তরঃ বিশেষণ।

৭.২ থাকে সবুজ গাছপালা……

উত্তরঃ বিশেষণ।

৭.৩ মস্ত আশীর্বাদের মতো মাথার উপর ইতস্তত……..

উত্তরঃ বিশেষ্য।

৭.৪ গাছের থেকে ঝরতে থাকে পাতা

উত্তরঃ বিশেষ্য।

৮। নীচের বিশেষ্য শব্দগুলোকে বিশেষণে বদলালে কী হবে :

গাছ : গেছো, পাথর : পাথুরে, বন : বুনো, দুঃখ : দুঃখী / দুঃখিত, মাটি : মেটে।

[ শব্দঝুড়ি : গেছো, বুনো, দুঃখী / দুঃখিত, পাথুরে, মেটে ]

৯.১ তুমি যখন একলা থাকো, তখন তোমার কেমন লাগে ? মন খারাপ লাগে / ভয় করে / ভালোই লাগে / ইচ্ছে করে অন্তত একজন-দুজন প্রিয়বন্ধু সঙ্গে থাকুক।
এই গুলোর কোনোটা যদি তোমার মনে হয়, তবে সেই কথাটাই নীচের বাক্যে লেখো, কিংবা এগুলো ছাড়া আরও জন্য কোনো কথাই যদি মনে আসে, তবে লেখো সেই কথাটাই :

আমি যখন একলা থাকি, তখন আমার ___________________।

উত্তরঃ ভালোই লাগে।

৯.২ কোন গাছ তোমার সবচেয়ে পছন্দের ?
সে গাছ কি তুমি দেখেছে ? কেন ওই গাছকেই সবচেয়ে ভালো লাগে তোমার ?

উত্তরঃ আমগাছ। হ্যাঁ দেখেছি। আম গাছটাকেই আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কারণ আমি আম খেতে খুব ভালোবাসি।

৯.৩ কেমন বন্ধু তোমার ভালো লাগে ?

উত্তরঃ আমার ভলো লাগবে যদি আমার বন্ধু হয় একজন ফুটবলপ্রেমী। তাহলে ছুটির শেষে আমরা অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে পারি।

১০.১ কবি শঙ্খ ঘোষের প্রথম কবিতার বই কোনটি ?

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষের প্রথম কবিতার বই ‘দিনগুলি রাতগুলি’।

১০.২ তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের বইয়ের নাম লেখো।

উত্তরঃ তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের বইয়ের নাম ‘ছোট্ট একটা ইস্কুল’, ‘শব্দ নিয়ে খেলা’।

১০.৩ ‘একলা’ কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে ?

উত্তরঃ ‘একলা’ কবিতাটি কবি শঙ্খ ঘোষের ‘আমায় তুমি লক্ষ্মী বলো’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

১১. নিজের ভাষায় লেখো :

১১.১ কবি যখন একলা থাকেন, তখন তাঁর সঙ্গে কারা থাকে ?

উত্তরঃ কবি যখন একলা তখন তাঁর সঙ্গে সবুজ গাছপালা, চলাচলের পথ এবং কাঠবেড়ালি থাকে।

১১.২ কবিতায় বর্ণিত কাঠবেড়ালিকে ধরতে পারার চেষ্টায় কবি সফল হন কি ?

উত্তরঃ ‘একলা’ কবিতায় বর্ণিত কাঠবেড়ালিকে ধরতে পারার চেষ্টায় কবি শঙ্খ ঘোষ সফল হননি। কাঠবেড়ালি অতিশয় চঞ্চল প্রাণী। এরা এক জায়গায় এক মুহূর্ত স্থির থাকে না। ধরতে গেলে এরা কোথায় যে হঠাৎ পালিয়ে যায় দেখা যায় না।

১১.৩ কবি কোন্ বিষয়কে ‘মস্ত আশীর্বাদ’ বলেছেন ?

উত্তরঃ কবি কাঠবেড়ালিকে বনের পথে ধরতে ছুটে ছুটে যখন বিফল হন তখন গাছ থেকে ঝরা পাতা কবির মাথা এসে পড়ে। কবির এক্ষেত্রে মাথার ওপর ঝরে পড়া পাতাকে মস্ত আশীর্বাদ বলে মনে হয়।

১১.৪ কবির মনে কখন আর কোনো দুঃখই থাকে না।

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষ যখন একলা শালবনে বা তালসুপুরির বনে উপস্থিত হন তখন তাঁর জীবনে কোনো দুঃখ নেই বলে মনে হয়।

১১.৫ চুপ-থাকাটাও কীভাবে কবির মনে বাজনা বাজায় ?

উত্তরঃ প্রকৃতিপ্রেমী কবি শঙ্খ ঘোষের কাছে ঘর-বাহির সবই একরকম লাগে। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য কবি খুঁজে পান না। তাই কবি যখন চুপ করে থাকেন তখন তাঁর মনে হয় মনের কোণে কে যেন বাজনা বাজিয়ে চলেছে।

১১.৬ মনে করো একদিন তুমি বাড়িতে একলা ছিলে। সারাদিন তুমি যা যা করেছ দিনলিপির আকারে লেখো।

উত্তরঃ নিজে করো।

১১.৭ পরিবারে কে কে তোমার সঙ্গে থাকেন ?

উত্তরঃ পরিবারে বাবা, মা, দাদা, দিদি, কাকা, কাকিমা, ঠাকুমা এবং ঠাকুরদাদা আমার সঙ্গে থাকেন।

১১.৮ স্বাধীনভাবে তোমাকে ছুটে যেতে দেওয়া হলে তুমি কোথায় যেতে চাইবে ?

উত্তরঃ স্বাধীনভাবে ছুটে যেতে দেওয়া হলে আমি আমাদের বাড়ির সামনে নীল আকাশের নীচে খোলা মাঠে যেতে চাইব। খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে সীমাহীন নীল আকাশের বুকে অস্তগামী সূর্যের রূপ দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।

১১.৯ কাঠবেড়ালি’ নিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের খুব সুন্দর একটা ছড়া আছে। শিক্ষকের থেকে শুনে নিয়ে খাতায় লিখে রাখো।

উত্তরঃ

খুকি ও কাঠবেড়ালি
—কাজী নজরুল ইসলাম

কাঠবেড়ালি। কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও ?
গুড়-মুড়ি খাও ? দুধ-ভাত খাও ? বাতাবি নেবু ? লাউ ?
বেড়াল-বাচ্চা ? কুকুর-ছানা ? তাও
ডাইনি তুমি হোঁতকা পেটুক,
যাও একা পাও যেথায় যেটুক!
বাতাবি নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস চাও ?
ছোঁচা তুমি। তোমার সঙ্গে আড়ি আমার। যাও!

১১.১০ জগদীশচন্দ্র বসু আমাদের শিখিয়েছেন যে, ‘গাছেরও প্রাণ আছে।’— ভূমি একথা কীভাবে বুঝতে পারো ?

উত্তরঃ একটি ছোটো শিশু যেমন আস্তে আস্তে কথা বলতে শেখে, ইশারায় সব কথা বোঝাতে শেখে, হাঁটতে শেখে ও শেষে একটি পরিণত মানুষে পরিণত হয় তেমনি একটি ছোটো চারাগাছও আস্তে আস্তে বড়ো হয়ে বিশালাকার রূপ ধারণ করে। মানুষের যেমন প্রাণ আছে, একটি গাছেরও তেমনি প্রাণ আছে। মানুষের হাঁটাচলা, কথাবার্তা বলা ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করা যায়, কিন্তু একটি গাছের কিছুই প্রত্যক্ষ করা যায় না, সবই অনুভূতির দ্বারা বুঝতে হয়।

১১.১১ তোমার পরিবেশে তুমি কোন্ কোন্ কীটপতঙ্গ/পশু/পাখি নজর করেছ ?

উত্তরঃ আমার পরিবেশে আমি নানান কীটপতঙ্গ, পশু, পাখি দেখেছি। সেগুলি হল—

কীটপতঙ্গ : পিঁপড়ে, মশা, মাছি, আরশোলা, ফড়িং, মৌমাছি, শুঁয়োপোকা ।

পশু : গোরু, কুকুর, বিড়াল, ছাগল ইত্যাদি।

পাখি : টিয়া, শালিক, কাক, পায়রা, চড়াই, বক, চিল, হাঁস, মুরগি, শকুন ইত্যাদি।

১১.১২ তোমার প্রতিদিনের চলার পথটি কেমন ? সে পথের দু-পাশে তুমি রোজ কী কী দেখো তা বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করো। খাতায় দুজনের কথাবার্তার আদলে লেখো।

📌 আরো দেখুনঃ

📌পঞ্চম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌পঞ্চম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌পঞ্চম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:7 mins read