Class 9 Geography 2nd Unit Test Question Paper with Answer Set-4 wbbse | নবম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-৪

2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 9 (IX) WBBSE
GEOGRAPHY QUESTION PAPER

Set-4

Class 9 Geography 2nd Unit Test Question Paper with Answer Set-4 wbbse | নবম শ্রেণি ভূগোল দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-৪

📌নবম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

সিলেবাস/Syllabus—
৩. পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়
৪. ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ
৫. আবহবিকার
৮. পশ্চিমবঙ্গ (অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ, প্ৰাকৃতিক পরিবেশ)

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
নবম শ্রেণি    বিষয় : ভূগোল
সময় : ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট                পূর্ণমান : ৪০

বিভাগ – ‘ক’

১। বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তর নির্বাচন করে লেখো  ( যে কোনো ৭টি) : ১× ৭= ৭

১.১ কলকাতার দ্রাঘিমা হল– (২২°৩০′ উত্তর / ৮২° ৩০′ পূর্ব / ৮৮°৩০′ পূর্ব / ৯২° পূর্ব)।

উত্তরঃ- ৮৮° ৩০’ পূর্ব

১.২ প্রত্যেকটি অক্ষরেখা– (অর্ধবৃত্ত / পূর্ণবৃত্ত / উপবৃত্ত / মহাবৃত্ত)।

উত্তরঃ পূর্ণবৃত্ত

১.৩ পাত সংস্থান তত্ত্বের জনক বলা হয়– (উইলসন / ম্যাকেঞ্জি / পিঁচো / মরগান) -কে।

উত্তরঃ পিঁচো

১.৪ ভারতের পূর্ব উপকূল হলো এক প্রকার– (উন্নত / অবনত / স্বাভাবিক / প্লাবন) সমভূমি।

উত্তরঃ উন্নত।

১.৫ কোন রাজ্যটির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমানার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি– (ঝাড়খণ্ড / ওড়িশা / বিহার / অসম)।

উত্তরঃ ঝাড়খণ্ড।

১.৬ দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়— (শিলিগুড়িকে / ক্যানিংকে / সুন্দরবনকে / দক্ষিণ দিনাজপুরকে )

উত্তরঃ ক্যানিংকে

১.৭ মূল মধ্যরেখার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমার মান— (০° / ৯০° পূর্ব / ৯০° পশ্চিম / ১৮০°)

উত্তরঃ ১৮০°

১.৮ মরু অঞ্চলের পর্বতের পাদদেশীয় ভূভাগ ক্ষয় পেয়ে তৈরি হয়— (বাজাদা / ওয়াদি / প্লায়া / পেডিমেন্ট)।

উত্তরঃ পেডিমেন্ট

১.৯ তিস্তার উপনদী– (বিহারীনাথ / বেলপাহাড়ি / মথুরাখালি / অযোধ্যা)।

উত্তরঃ মথুরাখালি।

বিভাগ – ‘খ’

২। (ক) বিবৃতিগুলি সত্য হলে ঠিক এবং অসত্য হলে ভুল লেখো (যে-কোনো দুটি) : ১×২ = ২

১. পশ্চিমবঙ্গে শীতকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হয়।

উত্তরঃ ভূল।

২. প্রতিটি অক্ষরেখায় পরস্পরের সমান্তরাল ও পৃথিবীর অক্ষকে সমকোণে ছেদ করেছে।

উত্তরঃ ঠিক।

৩. অবরোহন ও আরোহন প্রক্রিয়া হল বহিঃস্থ ভূমিরূপ গঠন প্রক্রিয়ার অংশবিশেষ।

উত্তরঃ ঠিক।

(খ) উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো ( যে কোনো একটি) : ১×১=১

১. মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা বরাবর রয়েছে _________ ধরনের পাত।

উত্তরঃ প্রতিসারী।

২. দক্ষিণ আমেরিকার অল্টিপ্ল্যানো _____________ মালভূমি উদাহরণ।

উত্তরঃ লাভাগঠিত

৩. দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নিত্যবহ নদী হল ____________।

উত্তরঃ তিস্তা।

(গ) একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (যে কোনো তিনটি) : ১×৩=৩

১. ক্রোনোমিটার ঘড়ি কে উদ্ভাবন করেন ?

উত্তরঃ জন হ্যারিসন

২. পশ্চিমবঙ্গের নবীনতম জেলা কোনটি ?

উত্তরঃ পশ্চিম বর্ধমান।

৩. মূল মধ্যরেখা নিরক্ষরেখা কে কত ডিগ্রি কোণে ছেদ করে ?

উত্তরঃ ৯০°।

৪. একটি পর্বত বেষ্টিত মালভূমির নাম লেখ ?

উত্তরঃ তিব্বত মালভূমি।

৫. কোন জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় ?

উত্তরঃ উষ্ম-আদ্র জলবায়ু অঞ্চলে।

(ঘ) স্তম্ভ মেলাও : ১×২= ২

‘ক’ – স্তম্ভ ‘খ’ – স্তম্ভ
(১) শুশুনিয়া পাহাড় (ক) B স্তর
(২) ইলুভিয়েশন (খ) বাঁকুড়া
(গ) পুরুলিয়া

উত্তরঃ

‘ক’ – স্তম্ভ ‘খ’ – স্তম্ভ
(১) শুশুনিয়া পাহাড় (খ) বাঁকুড়া
(২) ইলুভিয়েশন (ক) B স্তর

বিভাগ – ‘গ’

৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর সংক্ষেপে লেখো (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষ্যণীয়) : ২×৪= ৮

৩.১ নিরক্ষরেখার অপর নাম বিষুবরেখা কেন ?

উত্তরঃ ‘বিষুব’ কথাটির অর্থ ‘সমান’। নিরক্ষরেখার ওপর বছরের প্রতিটি দিন সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্বভাবে পড়ে বলে দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। অর্থাৎ, 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি। সেই কারণে এই রেখাটির অপর এক নাম বিষুবরেখা।

অথবা, ভৌগোলিক জালক (Grid) কাকে বলে ?

উত্তরঃ দুটি স্থির মেরুবিন্দু (উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাটিকে অক্ষ বলে। গ্লোবের মধ্যে পূর্ব থেকে পশ্চিমে কাল্পনিক অক্ষরেখা এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে কাল্পনিক দ্রাঘিমারেখা জালের মতো বেষ্টন করে থাকে, একে ভৌগোলিক জালক (Grid) বলে। এই রেখাগুলির মাধ্যমে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।

৩.২ পাত (Plate) কী ?

উত্তরঃ অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান ও চলনশীল শিলামণ্ডলের শক্ত ও কঠিন খণ্ডগুলিকে পাত বলে। 1956 খ্রিস্টাব্দে কানাডার ভূ-পদার্থবিদ জে. টি. উইলসন প্রথম পাত বা Plate শব্দটি ব্যবহার করেন। ভূত্বকে 7টি বড়ো পাত, ৪টি মাঝারি পাত 3 20 টিরও বেশি ছোটো পাত আছে।

উদাহরণঃ ইউরেশীয় পাত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত প্রভৃতি।

অথবা, বাজাদা (Bajada) কী ?

উত্তরঃ কোনো মরু অঞ্চলে পর্বত পাদদেশীয় নিম্নাংশে জল ও বায়ুপ্রবাহের সম্মিলিত কার্যে টুকরো টুকরো পাথর ও বালিকণা সঞ্চিত হয়ে যে সমতল ভূমিভাগ গঠন করে, তাকে বাজাদা বলে।

৩.৩ নগ্নীভবন কাকে বলে ?

উত্তরঃ আবহবিকার, ক্ষয়ীভবন এবং পুঞ্জিতক্ষয়ের সম্মিলিত প্রভাবে শিলাস্তরের উপরিভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে অপসারিত হলে অভ্যন্তরভাগ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এভাবে শিলাস্তরের ভিতরের অংশ ভূপৃষ্ঠে উন্মুক্ত হলে, তাকে বলা হয় নগ্নীভবন। সুতরাং নগ্নীভবন হল আবহবিকার, ক্ষয়ীভবন ও পুঞ্জিতক্ষয়ের সম্মিলিত ফল।

অথবা, ধাপ চাষ বা Step Cropping কী ?

উত্তরঃ পাহাড়ি অঞ্চলে ঢাল কয়েকটি ভাগে কেটে ধাপের (step) সৃষ্টি করে প্রবহমান জলের গতি প্রশমিত করা হয় এবং কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয়। এই কৃষিকাজকে ধাপ চাষ বা Step Cropping বলে। এর ফলে পাহাড়ের ঢালে মৃত্তিকা ক্ষয় কম হয়।

৩.৪ তাল কাকে বলে ?

উত্তরঃ ‘তাল’ কথার অর্থ ‘নিম্নভূমি’ বা ‘হ্রদ’। সমগ্র কোচবিহার জেলা, জলপাইগুড়ির দক্ষিণ অংশ, উত্তর দিনাজপুরের উত্তরভাগ, মালদা জেলার মহানন্দা-কালিন্দী নদীর মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত নীচু ভূমিগুলিকে স্থানীয় ভাষায় ‘তাল” বলে।

অথবা, ‘ত্রাসের নদী’ কাকে বলে এবং কেন ?

উত্তরঃ তিস্তা নদীকে ‘ত্রাসের নদী’ বলা হয়। কারণ পার্বত্য অঞ্চলের এই নদী অত্যন্ত খরস্রোতা এবং বরফগলা জলে পুষ্ট। এই নদীতে বর্ষার জল প্রচণ্ড জলস্ফীতি ঘটায়। ফলে প্রায় প্রতিবছর তিস্তা নদীতে প্রবল বন্যা দেখা দেয়। এই কারণে তিস্তা নদীকে বন্যা দেখা দেয়। এই কারণে ‘ত্রাসের নদী’ বলা হয়।

বিভাগ – ‘ঘ’

৪। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ( বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) ৩×৪= ১২

৪.১ দ্রাঘিমারেখার গুরুত্ব বা ব্যবহারগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দ্রাঘিমারেখার গুরুত্বগুলি হল—

১. গোলার্ধ নির্ণয়ঃ মূলমধ্যরেখা ও 180° দ্রাঘিমারেখা মিলিত হয়ে পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করেছে।

২. প্রমাণ সময় গণনাঃ মূলমধ্যরেখার স্থানীয় সময়কে সমস্ত পৃথিবীর প্রমাণ সময় ধরে বিভিন্ন দেশের প্রমাণ সময় গণনা করা হয়।

৩. স্থানীয় সময় নির্ধারণঃ প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার ওপর মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা হয়।

৪. তারিখ বিভাজনঃ 180° দ্রাঘিমারেখাকে অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা টানা হয়েছে যা পৃথিবীতে তারিখ বিভাজনের কাজ করে। Family

৫. অবস্থান নির্ণয়ঃ কোনো স্থান পূর্ব গোলার্ধে না পশ্চিম গোলার্ধে অবস্থিত তা দাঘিমারেখার সাহায্যে নির্ণয় করা হয়।

৬. সীমানা নির্ধারণঃ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশ বা রাজ্যের মধ্যে সীমানা নির্ধারণে দ্রাঘিমারেখা ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে 141° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা এবং আলাস্কা ও কানাডার মধ্যে 114° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা সীমানরূপে অবস্থিত।

অথবা, ভারতের প্রমাণ সময় বা Indian Standard Time (IST) বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ একটি দেশে অসংখ্য দ্রাঘিমারেখা থাকে, ফলে সেই দেশে একাধিক স্থানীয় সময় (1°-তে 4′ সময়ের পার্থক্য অনুসারে) পরিলক্ষিত হয়। ফলে দেশের কাজকর্ম চালাতে খুবই অসুবিধা হয়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য দেশের মধ্যবর্তী একটি নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময় অনুসারে ওই দেশের সব কাজ চালানো হয় এবং ওই দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কেই সেই দেশের প্রমাণ সময় ধরা হয়। ভারতের ক্ষেত্রে 82°30´ পূর্ব দ্রাঘিমারেখাটি প্রায় দেশের মাঝখান দিয়ে গেছে। তাই ওই দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে ভারতের প্রমাণ সময় বা Indian Standard Time ধরা হয়। 82°30´ পূর্ব দ্রাঘিমারেখাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ শহরের কোকনাদ ও সোনাইটের ওপর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে।

82°30′ পূর্ব প্রমাণ দ্রাঘিমার স্থানীয় সময় অনুসারে ভারতের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, রেল চলাচল, বেতার ও টেলিভিশন সম্প্রচার ইত্যাদি কাজকর্ম পরিচালিত হয়ে থাকে। ভারতীয় প্রমাণ সময় গ্রিনিচের প্রমাণ সময় থেকে 5 ঘণ্টা 30 মিনিট এগিয়ে আছে। কারণ, ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা গ্রিনিচের (০°) থেকে 82°30 পূর্বে অবস্থিত।

৪.২ ছোটোনাগপুর মালভূমিকে ভারতের ‘খনিজ ভাণ্ডার’ বলা হয়।

উত্তরঃ ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চল হল ছোটোনাগপুর মালভূমি। এখানকার আর্কিয়ান ও টার্শিয়ারি যুগের শিলাস্তরে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন খনিজ সম্পদ রয়েছে, যার পরিমাণ ভারতের মোট সঞ্চিত খনিজ সম্পদের প্রায় 40% । খনিজতেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়া প্রায় সমস্ত ধরনের খনিজ সম্পদ, যেমন কয়লা, অভ্র, তামা, বক্সাইট, আকরিক লোহা, গ্রাফাইট, চুনাপাথর, ম্যাঙ্গানিজ, ইউরেনিয়াম, ডলোমাইট, সিসা ক্রোমাইট চিনামাটি ফেলসপার ফায়ারকে অ্যামাটাইট
কায়নাইট প্রভৃতি যথেষ্ট পরিমাণে ছোটোনাগপুর অঞ্চলে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ভারতের মোট সঞ্চয়ের প্রায় 70% কয়লা, 95% তামা, 52% অভ্র, 50% বক্সাইট এই অঞ্চলে সঞ্চিত আছে এবং ভারতের মোট উৎপাদনের প্রায় 40% কয়লা, 90% অভ্র, 50% তামা, 30% বক্সাইট, 34% গ্রাফাইট, 15% আকরিক লোহা এই অঞ্চল থেকে উত্তোলিত হয়। এই কারণেই ছোটোনাগপুর মালভূমিকে ‘ভারতের খনিজ ভাণ্ডার’ বলে।

অথবা, টীকা লেখো : গ্রস্ত উপত্যকা।

উত্তরঃ সংজ্ঞা– দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ নীচে বসে গিয়ে যে অবনত ভূমির সৃষ্টি করে, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে।

সৃষ্টির কারণঃ প্রবল ভূ-আলোড়নের ফলে সৃষ্ট টান ও সংকোচনের জন্য শিলাস্তরে ফাটল বা চ্যুতির সৃষ্টি হয়। এর 11/15 দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ মহীভাবক আলোড়নের কারণে নীচে বসে গেলে গ্রস্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয় এবং পাশের অংশদুটি স্তূপ পর্বত রূপে বিরাজ করে।

উদাহরণঃ রাইন নদী উপত্যকা হল গ্রস্ত উপত্যকা এবং দুপাশের স্তূপ পর্বত দুটি হল ভোজ ও ব্ল্যাকফরেস্ট।

৪.৩ টীকা লেখো : আবহবিকার।

উত্তরঃ সংজ্ঞা : আবহাওয়ার অন্তর্গত বিভিন্ন উপাদান, যেমন উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, তুষারপাত প্রভৃতির দ্বারা যান্ত্রিকভাবে শিলা বিচূর্ণীকৃত হলে কিংবা অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, জল প্রভৃতির দ্বারা রাসায়নিকভাবে শিলা বিয়োজিত হলে, তাকে আবহবিকার বা বিচূর্ণীভবন বলে।

বৈশিষ্ট্যঃ আবহবিকারে ভূপৃষ্ঠস্থ শিলা বিচূর্ণীকৃত বা বিয়োজিত হয়। ও বিচূর্ণীকৃত বা বিয়োজিত পদার্থগুলি মূল শিলার কাছাকাছি পড়ে থাকে।

উদাহরণঃ ক্ষুদ্রকণা বিসরণ, প্রস্তবচাঁই খণ্ডীকরণ, শল্কমোচন (যান্ত্রিকভাবে সৃষ্ট), অঙ্গারযোজন, জারণ, আর্দ্রবিশ্লেষণ (রাসায়নিকভাবে সৃষ্ট) প্রভৃতি প্রক্রিয়ায় আবহবিকার সংঘটিত হয়।

অথবা, টীকা লেখো : হিউমাস।

উত্তরঃ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ মৃত্তিকার উপরিস্তরে জৈব পদার্থরূপে সঞ্জিত হয়। ওই সব পদার্থ মৃত্তিকাস্থিত আণুবীক্ষণিক জীব দ্বারা বিয়োজিত হয় এবং তা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে এক জটিল কালো বর্ণের পদার্থ সৃষ্টি করে, একে হিউমাস বলে। হিউমাসসমৃদ্ধ মাটি খুব উর্বর ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয়। এই ধরনের মাটির জলধারণ ক্ষমতাও খুব বেশি। কিন্তু, হিউমাস মাটিতে দীর্ঘদিন থাকতে পারে না। এটি ধীরে ধীরে খনিজ পদার্থে রূপান্তরিত হয়ে মাটিতে মিশে যায়। হিউমাস সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে হিউমিফিকেশন বলে।

৪.৪ টীকা লেখো : ‘পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (Western Disturbance )

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গে শীতকালে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে শীতল ও শুষ্ক মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় বলে এসময় ঝড়বৃষ্টি সাধারণত হয় না এবং শান্ত আবহাওয়া বিরাজ করে। তবে সুদূর পশ্চিমের ভূমধ্যসাগর থেকে সৃষ্টি হয়ে আসা নিম্নচাপের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হয়। পশ্চিমদিক থেকে আসার কারণে এই নিম্নচাপ তথা ঘূর্ণিঝড়কে ‘পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বা ‘পশ্চিমি ঝামেলা বলে।

বৈশিষ্ট্য : (১) পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে 75 – 100 সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। (২) পাহাড়ে তুষারপাত হয়। (৩) অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশা থাকে।

অথবা, টীক লেখো : ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ (Mangrove)

উত্তরঃ সমুদ্রের নিকটবর্তী অঞ্চলে যে-সকল উদ্ভিদ কিছু শারীরবৃত্তীয় অভিযোজন অর্থাৎ শ্বাসমূল, ঠেসমূল, জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্‌গম ইত্যাদির মাধ্যমে লবণাক্ত মৃত্তিকায় প্রতিকূল পরিবেশে জন্মায় ও বেড়ে ওঠে, তাদের ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বলে।

প্রাপ্তিস্থানঃ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ পাওয়া যায়। উদাহরণ- সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া, হোগলা, গোলপাতা, ক্যাওড়া, ছাতিম, ধুঁদুল, পিঠালি ইত্যাদি।

ব্যাবহারিক গুরুত্বঃ (১) এই উদ্ভিদের পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া হয়। (২) এই উদ্ভিদগুলির কাঠ জ্বালানিরূপে ও গৃহনির্মাণের উপকরণ- রূপে ব্যবহৃত হয়। ৩.এ ছাড়া এই অরণ্যে মোম ও মধু পাওয়া যায়। ও ম্যানগ্রোভ অরণ্য ও সুন্দরবনের সৌন্দর্য এখানে পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

বিভাগ – ‘ঙ’

৫। নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১= ৫

৫.১ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার পার্থক্য নির্ণয় কর।

৫.২ পাতসংস্থান তত্ত্বের ভিত্তিতে ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি আলোচনা করো।

৫.৩ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আলোচনা করো।

📌আরও পড়ুনঃ

📌নবম শ্রেণির ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌 নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:9 mins read