Class 7 Poribesh O Bigyan 2nd Unit Test Question Paper Set-2 wbbse | সপ্তম শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট সেট-২

2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 7 (VII) WBBSE
PORIBESH O BIGYAN QUES PAPER

Set-2

Class 7 Poribesh O Bigyan 2nd Unit Test Question Paper Set-2 wbbse | সপ্তম শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট সেট-২

📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৫
সপ্তম শ্রেণি
বিষয় : পরিবেশ ও বিজ্ঞান

পূর্ণমান-৫০              সময় : ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট

1. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো : 1×12=12

1.1 সমতল আয়নার সঙ্গে 60° কোণে ওই আয়নার ওপর আলোকরশ্মি আপতিত হলে, প্রতিফলন কোণ হবে- (a) 30° (b) 60° (c) 90° (d) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ (b) 60°

1.2 আকাশের রংধনু আসলে সূর্যের সাদা আলোর- (a) প্রতিফলন (b) বিচ্ছুরণ (c) প্রতিসরণ (d) প্রতিবিম্ব গঠনের প্রাকৃতিক ঘটনা

উত্তরঃ (b) বিচ্ছুরণ

1.3 আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন- (a) গ্যালিলিয়া (b) নিউটন (c) স্যাডউইক (d) সত্যেন্দ্রনাথ বাস

উত্তরঃ (b) নিউটন

1.4 বালবের যে অংশ আলো দেয়, সেটি হল- (a) কাচ (b) ফিলামেন্ট (c) তামার মোটা তার (d) নাইক্রোম তার

উত্তরঃ (b) ফিলামেন্ট

1.5 ফুলের যে অংশটি বীজে পরিণত হয়, সেটি হল- (a) গর্ভদণ্ড (b) ডিম্বাশয় (c) ডিম্বক (d) গর্ভমুণ্ড

উত্তরঃ (c) ডিম্বক

1.6 মেরুজ্যোতির কারণ—
(a) পৃথিবীর পরিবেশের দূষণ
(b) পরিবেশের উষ্ণতা বৃদ্ধি
(c) পৃথিবীতে যে কারণে বজ্রপাত হয়
(d) পৃথিবী একটি বিরাট চুম্বক তার প্রভাব

উত্তরঃ (d) পৃথিবী একটি বিরাট চুম্বক তার প্রভাব

1.7 একটি স্বপ্নভ বস্তু হল- (a) ইট (b) সূর্য (c) পাথর (d) কাঠ

উত্তরঃ (b) সূর্য

1.8 ইলেকট্রিক বালবের ফিলামেন্ট তৈরি হয়-
(a) টাংস্টেন (b) তামা (c) লোহা (d) নাইক্রোম

উত্তরঃ (a) টাংস্টেন

1.9 পরিবেশবান্ধব শক্তি নয় ?
(a) সৌরশক্তি
(b) মাটির নীচের তাপশক্তি
(c) দৈবশক্তি
(d) জীবাশ্ম তেল থেকে পাওয়া শক্তি

উত্তরঃ (d) জীবাশ্ম তেল থেকে পাওয়া শক্তি

1.10 কাণ্ডের যে জায়গা থেকে শাখা বা পাতা বেরোয়, সেই জায়গাটি হল-
(a) পর্ব (b) কক্ষ (c) পর্বমধ্য (d) বিটপ

উত্তরঃ (a) পর্ব

1.11 মৃদভেদী অঙ্কুরোদ্গম দেখা যায়- (a) ছোলা (b) কুমড়ো (c) মটর (d) আম

উত্তরঃ (b) কুমড়ো

1.12 তাপমাত্রা বাড়লে ব্যাপন ঘটে- (a) ধীরে (b) তাড়াতাড়ি (c) পূর্বের মতোই (d) কোনটিই নয়।

উত্তরঃ (b) তাড়াতাড়ি

2. অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 1×10=10

2.1 আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে ?

উত্তরঃ আলো এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে যাওয়ার সময় দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে সামান্য বেঁকে যাওয়ার ঘটনাকে বলে আলোর প্রতিসরণ।

2.2 আপতিত রশ্মি ও অভিলম্বের মধ্যবর্তী কোণকে কী বলে ?

উত্তরঃ আপতিত রশ্মি ও অভিলম্বের মধ্যবর্তী কোণকে আপাতন কোণ বলে।

2.3 চৌম্বকক্ষেত্র বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ যে অঞ্চল জুড়ে একটি চুম্বকের আকর্ষণ বা বিকর্ষণ ধর্ম থাকে সেই অঞ্চলটিকে চুম্বকের চৌম্বকক্ষেত্র বলে।

2.4 চৌম্বক পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে সকল পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয়, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে। যেমন- লোহা, নিকেল, কোবাল্ট।

2.5 LED-এর পুরো নাম লেখো।

উত্তরঃ Lighting Emitting Diode.

2.6 প্রাণীরা পরোক্ষভাবে কোন্ শক্তির ওপর নির্ভরশীল ?

উত্তরঃ প্রাণীরা পরোক্ষভাবে সৌরশক্তির ওপর নির্ভরশীল।

2.7 পাইন গাছের মূলে যে অণুজীব বাস করে, তার নাম কী ?

উত্তরঃ পাইন গাছের মূলে যে অণুজীব বাস করে, তার নাম মাইকোরাইজা।

2.8 অঙ্কুরোদ্গমের শর্তগুলি কী কী ?

উত্তরঃ অঙ্কুরোদ্গমের বাহ্যিক শর্তগুলি হল উষ্ণতা, আর্দ্রতা (জল), বায়ু বা অক্সিজেন।

2.9 ব্যাপন কাকে বলে ?

উত্তরঃ বেশি গাঢ়ত্ব থেকে কম গারত্বের দিকে অণুর ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে ব্যাপন বলে।

2.10 উদ্ভিদের মূলের একটি কাজ লেখো।

উত্তরঃ উদ্ভিদের মূলের একটি কাজ হলো- মাটি থেকে জল এবং জলে দ্রবীভূত খনিজ লবণ শোষণ করা।

3. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 2×2=4

3.1 সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্র বড় হলে প্রতিকৃতি অস্পষ্ট হয় কেন ?

উত্তরঃ সূচিছিদ্র ক্যামেরার ছিদ্র বড় হলে প্রতিকৃতি অস্পষ্ট হয় কারণ— একটি বড় ছিদ্রকে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একক ছিদ্রের সমষ্টি হিসেবে কল্পনা করা যায়। তাই প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একক ছিদ্র এক একটি করে আলাদা আলাদা প্রতিকৃতির সৃষ্টি করে। কিন্তু ছিদ্র গুলি পাশাপাশি অবস্থান করায় প্রতিকৃতি গুলিও একে অপরের খুব কাছাকাছি থাকে ও একে অপরের উপর পড়ে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ফলে প্রতিকৃতি অস্পষ্ট দেখায়।

3.2 নিয়মিত ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ

নিয়মিত প্রতিফলন বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন
(i) নিয়মিত প্রতিফলনের জন্য মসৃণ ও চকচকে প্রতিফলক তলের প্রয়োজন (i) বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের জন্য অমসৃণ ও খসখসে প্রতিফলক তলের প্রয়োজন
(ii) নিয়মিত প্রতিফলনের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মি গুলি একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রতিফলিত হয় (ii) বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মি গুলি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে

4. সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 3×8=24

4.1 বিকর্ষণই চুম্বকত্বের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ যুক্তি-সহ লেখো।

উত্তরঃ কোন একটি দন্ড চুম্বক কিনা তা বিকর্ষণ এর মাধ্যমে খুব সহজেই প্রমাণ পাওয়া যায়।

দন্ডটিকে সুতোর সাহায্যে ঝুলিয়ে দিয়ে দন্ডটির কাছে আরেকটি চুম্বক দন্ড নিয়ে আসা হল। যদি দণ্ডটি চুম্বকটিকে আকর্ষণ করে তবে দুটো ঘটনা হতে পারে।

(i) দণ্ডটি একটি চৌম্বক পদার্থ যা চুম্বক টিকে আকর্ষণ করছে

(ii) আবার হতে পারে দন্ডটি একটি চুম্বক পদার্থ এবং তাদের বিপরীত মেরু পরস্পরের কাছে এসেছে ফলে আকর্ষণ হচ্ছে। ফলে আকর্ষণ থেকে প্রমাণ হয়না দণ্ডটি চুম্বক না চৌম্বক পদার্থ।

আর যদি চুম্বক পদার্থটিকে দন্ডটির কাছে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দণ্ডটি বিকশিত হয় তবে বুঝতে হবে অবশ্যই দণ্ডটি চুম্বক পদার্থ কেননা চুম্বকের সমমেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় বিকর্ষণই চুম্বকত্বের প্রকৃত প্রমাণ।

4.2 চৌম্বকদৈর্ঘ্য কাকে বলে ? চৌম্বকদৈর্ঘ্যের সঙ্গে চুম্বকের প্রকৃত দৈর্ঘ্যের সম্পর্ক কী ?

উত্তরঃ কোন চুম্বকের মেরু দুটির মধ্যবর্তী রৈখিক দূরত্বকে ঐ চুম্বকের চৌম্বক দৈর্ঘ্য বলে।

চৌম্বকদৈর্ঘ্যের সঙ্গে চুম্বকের প্রকৃত দৈর্ঘ্যের সম্পর্কঃ সাধারনত কোন চুম্বকের চৌম্বক দৈর্ঘ্য, চুম্বকের প্রকৃত দৈর্ঘ্যের 86% (মতান্তরে 85%) হয়।

অর্থাৎ, চৌম্বক দৈর্ঘ্য = 0.86 × চুম্বকের প্রকৃত দৈর্ঘ্য

4.3 তড়িৎ বর্তনী কাকে বলে ? তড়িৎ বর্তনী কত প্রকার ও কি কি ?

উত্তরঃ তড়িৎ উৎস, রোধ ও অন্যান্য তড়িৎ যন্ত্রাদি কোন পরিবাহীর দ্বারা যুক্ত হয়ে যে বর্তনীর সৃষ্টি করে তাকে তড়িৎবর্তনী বলে।

তড়িৎবর্তনী দুই প্রকার। যথা—

(i) উন্মুক্ত বর্তনী (Open Circuit): যে তড়িৎ-বর্তনীর কোন একটি প্রান্ত খোলা বা উন্মুক্ত তাকে উন্মুক্ত বর্তনী বা Open Circuit বলে।

(ii) বদ্ধ বর্তনী (Closed Circuit): যে তড়িৎ-বর্তনীর সকল প্রান্ত বদ্ধ বা বন্ধ তাকে বদ্ধ বর্তনী বা Closed Circuit বলে।

4.4 অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাগুলি লেখো।

উত্তরঃ (i) অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় না।

(ii) ক্ষুদ্রাকারে ব্যবহার করা যায় বলে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন হয় না।

(iii) প্রবহমান সম্পদ বলে নিঃশেষিত হওয়ার আশংকা থাকে না।

(iv) দেশের অধিকাংশ জায়গায় কোনো না কোনো উৎস সহজলভ্য।

4.5 বায়োগ্যাস বা জৈব গ্যাস কাকে বলে ? এই গ্যাস কী কাজে ব্যবহৃত হয় ?

উত্তরঃ গৃহপালিত পশু পাখির মল বড় গর্তে পচিয়ে তার থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তাকে জৈব গ্যাস বা বায়োগ্যাস বলে।

ব্যবহারঃ (i) বায়োগ্যাস মূলত রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।

(ii) বাতি জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।

(iii) বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও এই গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

4.6 চিত্র সহযোগে একটি ফলের বিভিন্ন অংশ বর্ণনা করো।

উত্তরঃ একটি প্রকৃত ফল বা আদর্শ ফল চারটি অংশ নিয়ে গঠিত, যেমন–

(i) বহিত্ত্বক : বাইরের পাতলা আবরণকে বহিত্ত্বক বলে। সাধারণত কাঁচা অবস্থায় এর রং সবুজ থাকে কিন্তু পাকলে হলদে বা লালচে নানা ধরনের হয়। প্রকৃতপক্ষে ডিম্বাশয়ের প্রাচীর ফলের বহিত্ত্বক বা খোসা গঠন করে।

(ii) মধ্যত্বক : বহিত্বকের পরের অংশ হল মধ্যত্বক। এই অংশ তন্তময় ও রসাল হয়।

(iii) অন্তত্ত্বক : এটি ফলের কাষ্ঠল অংশ যা মধ্যত্বকের নীচে থাকে এবং বীজকে ঢেকে রাখে।

(iv) বীজ : একটি ফলে এক বা একাধিক বীজ থাকে। ডিম্বাশয়ের ডিম্বকগুলি বীজে পরিণত হয়। বীজত্বক ফলত্বকের সঙ্গে শক্ত করে লেগে থাকে। আবার অনেক সময় বীজত্বক ও ফলত্বক সম্পূর্ণ আলাদাভাবে থাকে।

4.7 বৈদ্যুতিক ইস্তিরিতে নাইক্রোম তার ব্যবহারের সুবিধা কী ?

উত্তরঃ বৈদ্যুতিক ইস্তিরিতে নাইক্রোম তার ব্যবহারের সুবিধাগুলি হলো-

(i) নাইক্রোম তারের রোধাঙ্ক খুব বেশি বলে তারটিতে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ বেশি হয়।

(ii) নাইক্রোম তারকে অতি উচ্চ তাপমাত্রায় বায়ুর সংস্পর্শে রাখলেও বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে তারটির কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে না।

(iii) নাইক্রোম তারের গলনাঙ্ক খুব বেশি হওয়ায়, তারটি বেশি তাপমাত্রাতেও গলে যায় না, ফলে নাইক্রোম তারটি উচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছে প্রচুর তাপ সরবরাহ করতে পারে।

4.8 একটি আদর্শ মূলের চিত্র অঙ্কন করে তার ক-টি অংশ ও কী কী দেখাও।

উত্তরঃ একটি আদর্শ মূলের চারটি অংশ। যথা—

(i) মূলত্র অঞ্চল (ii) বর্ধনশীল অঞ্চল (iii) মূলরোম অঞ্চল (iv) স্থায়ী অঞ্চল

📌আরও পড়ুনঃ

📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:7 mins read