সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Chapter 9 Question Answer wbbse

📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here

সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস নবম অধ্যায় (আজকের ভারত সরকার, গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন।) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Ajker Bharat Questions Answers Chapter – 8 wbbse

‘ভেবে দেখো খুঁজে দেখো’ অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর | সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস – আজকের ভারত
সরকার, গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন। (নবম অধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর

১. শূন্যস্থান পূরণ করো :

(ক) (বাংলাদেশ / জাপান / ফ্রান্স) – এ এখনও রাজারানি আছেন।

উত্তরঃ জাপান।

(খ) নিজেরা নিজেদের মধ্য থেকে শাসক নির্বাচনের পদ্ধতিকে বলে (গণতন্ত্র / রাজতন্ত্র / যুক্তরাষ্ট্র)।

উত্তরঃ গণতন্ত্র।

(গ) (ভারতের / জাপানের / ইংল্যান্ডের)– সংবিধান পৃথিবীর বৃহত্তম সংবিধান।

উত্তরঃ ভারতের।

(ঘ) জনগণ যে শাসনব্যবস্থায় নিজেই নিজের অধীন, তাকে বলে– (সংবিধান / সভা ও সমিতি / স্বায়ত্তশাসন)।

উত্তরঃ স্বায়ত্তশাসন।

(ঙ) অনেকগুলি গ্রাম নিয়ে হয় একটা (ব্লক / জেলা / পুরসভা)।

উত্তরঃ ব্লক।

২। ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

‘ক’ স্তম্ভ	‘খ’ স্তম্ভ
সরকার	গ্রিস
ড. বি.আর. আম্বেদকর	স্বায়ত্তশাসন
যুক্তরাষ্ট্র	ভারতীয় সংবিধান
এথেন্স	ফারসি
জেলাপরিষদ	ভারত

উত্তরঃ

‘ক’ স্তম্ভ	‘খ’ স্তম্ভ
সরকার	ফারসি
ড. বি.আর. আম্বেদকর	ভারতীয় সংবিধান
যুক্তরাষ্ট্র	ভারত
এথেন্স	গ্ৰিস
জেলাপরিষদ	স্বায়ত্তশাসন

৩। সংক্ষেপে (৩০–৫০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

(ক) বর্তমান ভারতে শাসনব্যবস্থার কী কী বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায় ?

উত্তরঃ আমাদের দেশ ভারতের বর্তমান শাসনব্যবস্থার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। বর্তমান ভারতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের জনগণ শাসক বেছে নেন। একটি সংসদীয় শাসনব্যবস্থা আছে, যার কেন্দ্রে আছে কেন্দ্রীয় সরকার। আবার প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব সরকার আছে, অর্থাৎ একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা আছে।

(খ) যুক্তরাষ্ট্র ও সংবিধান কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য দু-রকম সরকারের ক্ষমতাই স্বীকার করা হয়, তাকে বলে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। ভারতে সংবিধান মেনে শাসন ব্যবস্থা চলে। ভারত একটি যুক্তরাষ্ট্র। প্রত্যেক দেশ কীভাবে চলবে তার একটা নিয়মকানুন আছে। এই নিময়কানুনকেই ‘সংবিধান’ বলা হয়। ‘বিধান’ শব্দটির মানেই নিয়ম।

(গ) সরকারের কাজ কী কী ?

উত্তরঃ সরকারের কাজ হলো দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করা। জনগণের যাতে ভালো হয় তার জন্য নানান উদ্যোগ নেওয়া, কর সংগ্রহ করা, দেশের স্বাধীনতা বজায় রাখা এবং দেশের শান্তি ও উন্নতির জন্যে কাজ করা। এইসব কাজে সরকারকে পথ দেখাবে সংবিধান। সংবিধান মেনেই সরকার দেশ শাসন করবে।

(ঘ) স্বায়ত্তশাসন বলতে তুমি কী বোঝো ?

উত্তরঃ ভারতের জনগণ শুধু শাসক নির্বাচন করেন না, নিজেরাও শাসনে অংশ নেন। সরাসরি শাসনে অংশ নেওয়াকেই বলে ‘স্বায়ত্তশাসন’। ‘স্ব’ মানে নিজের আর ‘আয়ত্ত’ মানে অধীন। জনগণ যেখানে নিজেই নিজের অধীন সেই শাসনব্যবস্থাকে বলে ‘স্বায়ত্তশাসন’।

(ঙ) নির্বাচনকে সাধারণভাবে কী বলে ? ভারতে কত বছর অন্তর সরকার নির্বাচন হয় ? সরকার নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের কী সম্পর্ক ?

উত্তরঃ নির্বাচনকে চলতি কথায় ‘ভোট হওয়া’ বলে। সেই নির্বাচনে ভোট দিয়ে দেশের মানুষ আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচন করেন। ভারতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার নির্বাচন হয়। নিজেরা নিজেদের মধ্যে থেকে শাসক বেছে নেওয়ার পদ্ধতিকে বলে ‘গণতন্ত্র’। জনগণ নিজেরাই দেশের ব্যবস্থা ঠিক করেন বলেই এটা গণতন্ত্র। এইভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বেছে নেন নিজেদের প্রতিনিধিদের দেশ চালাবার জন্যে। এটাই হচ্ছে নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক।

৪। বিশদে (১০০–১২০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

(ক) ভারতকে কেন গণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় বলা হয় ? দেশ পরিচালনায় সংবিধানের ভূমিকা কী বলে তুমি মনে করো ?

উত্তরঃ ভারত একটি বিশাল দেশ। এই দেশে একটাই কেন্দ্রীয় সরকার আছে। আবার প্রতিটা রাজ্যের নিজস্ব সরকার আছে, তাদের বলা হয় রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দুটোই জনগণ বেছে নেন। যে শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য দু-রকম সরকারের ক্ষমতাই স্বীকার করা হয়, তাকে বলে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা। ভারতের সরকার একদিকে গণতান্ত্রিক কারণ জনগণ নিজেরা শাসক বেছে নেন। আবার অন্যদিকে তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কারণ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য দু-ধরনের সরকারই ভারতীয় শাসনব্যবস্থায় আছে। তাই ভারতকে গণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় বলা হয়। প্রত্যেক দেশ কীভাবে চলবে তার নিয়মকানুন আছে। এই নিয়মাবলিকে ‘সংবিধান’ বলা হয়। ভারতের একটি লিখিত সংবিধান আছে, যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো। ভারতীয় সংবিধানে ভারতের জনগণের দেশের সরকার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের জনগণের অধিকারকেই স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ভারতে দু-রকম সরকার আছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। ভারতীয় সংবিধানে এই দুই সরকারের কী কী ক্ষমতা তা বলা আছে। দেশের শান্তি ও উন্নতির জন্য সরকার কাজ করবে। এইসব কাজে সরকারকে পথ দেখাবে সংবিধান। সংবিধান মেনেই সরকার দেশ শাসন করবে।

(গ) সরকারের কয়টি ভাগ ? ওই ভাগগুলির কোনটি কী কাজ করে ? বিচার বিভাগকে কেন আলাদা রাখা হয় ?

উত্তরঃ সরকারের তিনটি ভাগ। আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। আইন বিভাগের কাজ দেশ পরিচালনার আইন তৈরি করা। শাসন বিভাগের কাজ হল ওই আইন অনুসারে দেশ পরিচালনা করা। বিচার বিভাগের কাজ সংবিধান অনুসারে দেশশাসন হচ্ছে কি না, জনগণের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কি না– এসবের প্রতি নজর রাখা এবং এই নিয়ম মেনে না চললে বা নিয়ম ভাঙলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

সব দেশেই বিচার বিভাগকে এই আইন ও শাসন বাকি দুটি বিভাগের থেকে আলাদা রাখা হয়। কোনোভাবেই যাতে সুবিচারের পথ বন্ধ না-হয়, তার জন্যেই এই ব্যবস্থা। কারণ কেউই দেশের আইনের উর্ধ্বে নয়। দেশের সব নাগরিক যাতে সুবিচার পায় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের আইন বা শাসনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও সংবিধান মেনে না চললে তার বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা নিতে পারে। এককথায় একে বলে ক্ষমতা-স্বতন্ত্রীকরণ নীতি। ‘স্বতন্ত্রীকরণ’ মানে আলাদা করা। গণতন্ত্র যাতে বলবৎ থাকে তার জন্যই এই নীতি নেওয়া হয়।

(গ) পৌরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কী কী কাজ করে ?

উত্তরঃ ছোটো ছোটো শহরে বা নগরে পৌরসভা আছে। শহর বা নগরের জনসেবা, জনস্বাস্থ্য, উন্নয়ন ও প্রশাসন এগুলির পরিচালনা করাই পৌরসভার কাজ। পানীয় জল সরবরাহ করা, রাস্তাঘাট বানানো, দূষণ রোধ করা, এসব কাজ পৌরসভাগুলি করে থাকে। বিদ্যালয়, হাসপাতাল প্রভৃতি নির্মাণ করে শিক্ষার প্রসারে ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে পৌরসভাগুলি উদ্যোগ নেয়। শহরের পৌরসভার মতোই গ্রামে আছে গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামের সবরকম উন্নতি করা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ। পানীয় জলের সরবরাহ, গ্রামের পরিচ্ছন্নতা, পথঘাট নির্মাণ, এসবই গ্রাম পঞ্চায়েত করে। আবার শিক্ষাদানের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করা, চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি করা, বনসৃজন করা— এসবও গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজের মধ্যে পড়ে।

(ঘ) পশ্চিমবঙ্গে স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার বিষয়ে একটি টীকা লেখো।

উত্তরঃ জনগণ যেখানে নিজেই নিজের অধীন, সেই শাসনব্যবস্থাকে বলে ‘স্বায়ত্তশাসন’। পশ্চিমবঙ্গে এই স্বায়ত্তশাসন দু- ভাবে দেখা যায়। শহর বা নগরের ক্ষেত্রে পৌরসভা আর গ্রামের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত। ছোটো ছোটো শহর বা নগরে পৌরসভা আছে। ওই শহর বা নগরের আঠারো বা তার বেশি বয়সের বাসিন্দারা ভোট দিয়ে পৌরসভার সদস্যদের বেছে নেন। এদের পৌর প্রতিনিধি বলে। এঁদের মধ্যে একজন পৌরপ্রধান হন। শহর বা নগরের জনসেবা, জনস্বাস্থ্য, উন্নয়ন, প্রশাসন প্রভৃতি পরিচালনা করাই পৌরসভার কাজ। শহর বা নগরে পুরসভার মতোই গ্রামে আছে গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামের বাসিন্দারা ভোট দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের নির্বাচন করেন। তাদের মধ্যে একজন হন পঞ্চায়েত প্রধান। গ্রামের সবরকম উন্নতি করা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ। পৌরসভা বা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা— সবেতেই পাঁচ বছর অন্তর জনগণ ভোটদানের মাধ্যমে তাঁদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করেন।

(ঙ) প্রাচীনকালে ভারতে ও অন্য কোথাও গণতন্ত্রের কথা জানা যায় কি ? সেই গণতন্ত্র কেমন ছিল বলে তুমি মনে করো ?

উত্তরঃ প্রাচীনকালে ভারতে ‘সভা’ ও ‘সমিতি’ নামে দুটি ব্যবস্থার মাধ্যমে শাসন পরিচালিত হত। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ষোড়শ মহাজনপদগুলির মধ্যে বজ্জি ও মল্ল নামে রাজ্য দুটিতে গণতান্ত্রিক শাসন ছিল। আবার মুঘল যুগেও গ্রামীণ শাসনের ধারা ছিল। ভারতে পাল যুগের শুরু হবার আগে একবারই জনগণ গোপাল নামে একজনকে রাজা হিসেবে বেছে নেন। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিস দেশে এথেন্সের লোকেরা তাঁদের মধ্য থেকে শাসক বেছে নিতেন। গ্রিস দেশের এথেন্সের লোকেরা ভাঙা কলশির টুকরোর ওপর পছন্দমতো চিহ্ন এঁকে আর-একটা আস্ত কলশির মধ্যে ফেলে দিত। যার পক্ষে বেশি কলশির টুকরো জমা পড়ত, সেই বিজয়ী হত এবং সে-ই হতো শাসক ।

৫। কল্পনা করো লেখো (১০০ – ১৫০টি শব্দের মধ্যে) :

এক কথায় উত্তর দাও : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – আজকের ভারত। সরকার, গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন (নবম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 History Ch-9 Question Answer wbbse

১। প্রাচীন ভারতের স্বায়ত্তশাসনমূলক সংস্থাগুলির নাম কী কী ?

উত্তরঃ সভা ও সমিতি

২। সুলতানি ও মুঘল যুগে ভারতে সরকার কেমন ছিল ?

উত্তরঃ রাজতান্ত্রিক

৩। ভারতের সংবিধানের প্রধান রূপকার কে ছিলেন ?

উত্তরঃ ড. বি. আর. আম্বেদকর

৪। গ্রামের স্বায়ত্তশাসনমূলক সংস্থাকে কী বলে ?

উত্তরঃ গ্রাম পঞ্চায়েত

৫। জনগণের নিজেদের মধ্যে থেকে শাসক বেছে নেওয়ার পদ্ধতিকে কী বলে?

উত্তরঃ গণতন্ত্র

৬। শহর বা নগরের স্বায়ত্তশাসনমূলক সংস্থাকে কী বলে ?

উত্তরঃ পৌরসভা

৭। সরকারের কাজ কী ?

উত্তরঃ দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করা।

৮। ‘সরকার’ শব্দটি কোন ভাষার শব্দ থেকে এসেছে ?

উত্তরঃ ফারসি শব্দ থেকে

৯। রাজা, সুলতান বা বাদশাহদের শাসনব্যবস্থাকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ রাজতন্ত্র

১০। ‘বিধান’ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ নিয়ম

১১। যে শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য দু-রকম সরকারের ক্ষমতাই স্বীকার করা হয় তাকে কী বলে‌ ?

উত্তরঃ যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার

১২। সংস্কৃত ‘পুর’ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ নগর

১৩। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ প্রধান

১৪। দিল্লির কোন্ সম্রাট শাসনের সুবিধার জন্য তাঁর অধীন অঞ্চলকে সরকারে ভাগ করেছিলেন ?

উত্তরঃ শের শাহ

১৫। ইংরেজি ‘Govern’ শব্দের মানে কী ?

উত্তরঃ শাসন করা

১৬। জনগণ যেখানে নিজেই নিজের অধীন সেই শাসনব্যবস্থাকে কী বলে?

উত্তরঃ স্বায়ত্তশাসন

১৭। কেন্দ্রীয় সরকারকে কারা নির্বাচন করেন ?

উত্তরঃ দেশের সমস্ত জনগণ

১৮। কবে ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হয় ?

উত্তরঃ ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর

১৯। জনগণের সরাসরি শাসনে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থাকে কী বলে?

উত্তরঃ স্বায়ত্তশাসন

২০। যে ব্যবস্থায় জনগণ নিজেরাই দেশের তন্ত্র বা ব্যবস্থা ঠিক করেন তাকে কী বলে?

উত্তরঃ গণতন্ত্র

২১। পৌরসভার প্রধানকে কী বলে‌ ?

উত্তরঃ পৌর প্রধান

২২। প্রতি রাজ্যের সরকার কারা নির্বাচন করেন ?

উত্তরঃ রাজ্যের জনগণ

২৩। ‘তন্ত্র’ শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরঃ ব্যবস্থা

২৪। আমরা কবে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ পালন করি ?

উত্তরঃ ২৬ জানুয়ারি

২৫। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড়ো সংবিধান কোন্ দেশের সংবিধান ?

উত্তরঃ ভারতের সংবিধান

২৬। কবে ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয় ?

উত্তরঃ ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি

২৭। দেশের নির্বাচন হওয়াকে চলতি কথায় কী বলা হয় ?

উত্তরঃ ভোট হওয়া

২৮। ‘পৌর’ কথাটি কোন্ শব্দ থেকে এসেছে ?

উত্তরঃ পুর

২৯। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির কথা কে প্রথম বলেছিলেন ?

উত্তরঃ মন্তেস্কু

৩০। মন্তেস্কু কোন্ দেশের বিখ্যাত দার্শনিক ছিলেন ?

উত্তরঃ ফ্রান্সের

৩১। মধ্যযুগে ভারতে ‘সরকার’ বলতে কী বোঝাত ?

উত্তরঃ শাসনকর্তা বা শাসনব্যবস্থা

৩২। প্রতি দেশ কীভাবে চলবে তার নিয়মকানুনকে কী বলে ?

উত্তরঃ সংবিধান

৩৩। কোন্ দেশের সংবিধান লিখিত সংবিধান নয় ?

উত্তরঃ ইংল্যান্ডের

৩৪। ভারতের সংবিধান অনুসারে দেশের সরকার বেছে নেওয়ার জন্য কত বছর পর পর নির্বাচন হয় ?

উত্তরঃ পাঁচ বছর

৩৫। বাংলায় একবার প্রজারা যে রাজাকে বেছে নিয়েছিলেন তাঁর নাম কী ?

উত্তরঃ গোপাল

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – আজকের ভারত। সরকার, গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন (নবম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 History Ch-9 Question Answer wbbse

১। জনগণ যাদের দেশ চালাবার জন্য বেছে নেন তারা মিলে তৈরি হয় —
(রাষ্ট্রপতি / প্রধানমন্ত্রী / সরকার / বিধানসভা)।

উত্তরঃ সরকার।

২। রাজা, সুলতান, বাদশাহের শাসনব্যবস্থাকে বলা হয় —
(গণতন্ত্র / রাজতন্ত্র / সমাজতন্ত্র / সরকার)।

উত্তরঃ রাজতন্ত্র।

৩। ইংরেজি Government-এর সমান শব্দ হল —
(শাসন / শাসিত / সরকার / রাষ্ট্র)।

উত্তরঃ সরকার।

৪। ভারতের সংবিধান হল —
(অলিখিত / অসম্পূর্ণ / লিখিত / মৌখিক)।

উত্তরঃ লিখিত।

৫। শের শাহ তাঁর অধীন অঞ্চলগুলিকে কোন ভাগে ভাগ করেছিলেন ?
(মহকুমা / সরকার / জেলা / রাজ্য)।

উত্তরঃ সরকার।

৬। দেশের নির্বাচন হওয়াকে চলতি কথায় বলা হয় —
(ভোট / শাসন / বিধান / গণতন্ত্র)।

উত্তরঃ ভোট।

৭। ‘তন্ত্র’ কথার অর্থ হল —
(ব্যবস্থা / ব্যাবসা / সরকার / রাষ্ট্র)।

উত্তরঃ ব্যবস্থা।

৮। ভারতের প্রতি রাজ্যে যে সরকার আছে, তাকে বলা হয় —
(কেন্দ্রীয় সরকার / রাজ্য সরকার / স্থানীয় সরকার / রাজতান্ত্রিক সরকার)।

উত্তরঃ রাজ্য সরকার।

৯। অনেকগুলি ব্লক নিয়ে গঠিত হয় —
(গ্রাম / নগর / জেলা / রাজ্য)।

উত্তরঃ জেলা।

১০। সরকার দেশশাসন করে —
(নিয়ম / ধর্মনীতি / সংবিধান / রাষ্ট্রনীতি)।

উত্তরঃ সংবিধান।

১১। ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যা —
(১টি / ২টি / ৭টি / ২৮টি)।

উত্তরঃ ১টি।

১২। দেশশাসনে সরকারকে পথ দেখায় —
(রাজতন্ত্র / সংবিধান / যুক্তরাষ্ট্র / আইনসভা)।

উত্তরঃ সংবিধান।

১৩। সব স্বাধীন দেশে থাকে —
(রাজা / গণতন্ত্র / সরকার / সংবিধান)।

উত্তরঃ সরকার।

১৪। প্রাচীন ভারতে স্বায়ত্তশাসনমূলক সংস্থা ছিল —
(সভা ও সমিতি / পৌরসভা / গ্রাম পঞ্চায়েত / মন্ত্রিসভা)।

উত্তরঃ সভা ও সমিতি।

১৫। সরকারের কাজকর্ম চালানোর জন্য বিভাগ আছে —
(১টি / ২টি / ৩টি / ৪টি)।

উত্তরঃ ৩টি।

১৬। পৌরসভার প্রধানকে বলা হয় —
(প্রধানমন্ত্রী / গ্রামপ্রধান / পৌরপ্রধান / সভাপতি)।

উত্তরঃ পৌরপ্রধান।

১৭। ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রূপকার হলেন —
(মহাত্মা গান্ধি / ড. বি. আর. আম্বেদকর / সর্দার প্যাটেল / জওহরলাল নেহরু)।

উত্তরঃ ড. বি. আর. আম্বেদকর।

সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – আজকের ভারত। সরকার, গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন (নবম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 History Ch-9 Question Answer wbbse

১। ‘সরকার’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে।

উত্তরঃ মিথ্যা। (সরকার শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে)।

২। ইংরেজি Government শব্দের অর্থ হলো শাসন করা।

উত্তরঃ সত্য।

৩। আগে যিনি যুদ্ধে জিততেন, তিনিই শাসক হতেন।

উত্তরঃ সত্য।

৪। গণতন্ত্রে জনগণ নিজেরাই শাসক বেছে নেন।

উত্তরঃ সত্য।

৫। ভারতের শাসনব্যবস্থাকে রাজতন্ত্র বলা হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা। (ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, রাজতন্ত্র নয়।)

৬। ভারতের সংবিধান পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো সংবিধান।

উত্তরঃ মিথ্যা। (ভারতের সংবিধান পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সংবিধান।)

৭। ভারতের সংবিধানের প্রধান রূপকার ছিলেন ড. বি. আর. আম্বেদকর।

উত্তরঃ সত্য।

৮। ভারতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন হয়।

উত্তরঃ সত্য।

৯। ভারতের সরকার একদিকে গণতান্ত্রিক এবং অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রীয়।

উত্তরঃ সত্য।

১০। ফ্রান্সের দার্শনিক মন্তেস্কু ‘ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি’র কথা প্রথম বলেন।

উত্তরঃ সত্য।

১১। পৌরসভা ও পঞ্চায়েত দুই ব্যবস্থাতেই জনগণ সরাসরি অংশ নেয়।

উত্তরঃ সত্য।

১২। পঞ্চায়েত সমিতি শুধুমাত্র একটি গ্রামের জন্য গঠিত হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা। (পঞ্চায়েত সমিতি অনেকগুলি গ্রাম নিয়ে গঠিত ব্লকের জন্য হয়।)

শূন্যস্থান পূরন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – আজকের ভারত সরকার, গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন (নবম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 7 History Ch-9 Question Answer wbbse

১। ‘সরকার’ শব্দটি __________ ভাষা থেকে এসেছে।

উত্তরঃ ফারসি।

২। ইংরেজি ‘Government’ শব্দের মূল অর্থ হলো __________ করা।

উত্তরঃ শাসন।

৩। জনগণ নিজেরাই শাসক বেছে নেন— একে বলে __________।

উত্তরঃ গণতন্ত্র।

৪। ‘তন্ত্র’ শব্দের অর্থ হলো __________।

উত্তরঃ ব্যবস্থা।

৫। রাজা বা রানি দ্বারা পরিচালিত শাসনব্যবস্থাকে বলে __________।

উত্তরঃ রাজতন্ত্র।

৬। ভারতের রাষ্ট্রপতি ও __________ দেশ পরিচালনা করেন।

উত্তরঃ প্রধানমন্ত্রী।

৭। প্রত্যেক দেশের চলার নিয়মকানুনকেই বলা হয় __________।

উত্তরঃ সংবিধান।

৮। ভারতের সংবিধানের প্রধান রূপকার ছিলেন __________।

উত্তরঃ ড. বি. আর. আম্বেদকর।

৯। ভারতের সংবিধান গৃহীত হয় __________ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর।

উত্তরঃ ১৯৪৯।

১০। ভারতের সংবিধান কার্যকর হয় __________ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি।

উত্তরঃ ১৯৫০।

১১। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য— এই দুই স্তরের সরকারব্যবস্থাকে বলে __________ সরকার ব্যবস্থা।

উত্তরঃ যুক্তরাষ্ট্রীয়।

১২। সরকারের তিনটি বিভাগ হলো— আইন বিভাগ, __________ বিভাগ ও বিচার বিভাগ।

উত্তরঃ শাসন।

১৩। সুবিচার বজায় রাখতে সরকারের ক্ষমতাগুলি আলাদা রাখার নীতিকে বলে __________ নীতি।

উত্তরঃ ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ।

১৪। জনগণ নিজেরাই যেখানে শাসনে অংশ নেয়, সেই ব্যবস্থাকে বলে __________।

উত্তরঃ স্বায়ত্তশাসন।

১৫। গ্রামের শাসন ও উন্নয়নের দায়িত্ব থাকে __________-এর উপরে।

উত্তরঃ গ্রাম পঞ্চায়েত।

১. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখ।

‘ক’ স্তম্ভ	‘খ’ স্তম্ভ
(১) সরকার	(ক) জনগণের দ্বারা নির্বাচিত শাসনব্যবস্থা
(২) গণতন্ত্র	(খ) ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রবর্তক
(৩) সংবিধান	(গ) ফারসি শব্দ
(৪) রাজতন্ত্র	(ঘ) দেশের চলার নিয়মকানুন
(৫) মন্তেস্কু	(ঙ) রাজা বা রানির শাসনব্যবস্থা

উত্তরঃ

‘ক’ স্তম্ভ	‘খ’ স্তম্ভ
(১) সরকার	(গ) ফারসি শব্দ
(২) গণতন্ত্র	(ক) জনগণের দ্বারা নির্বাচিত শাসনব্যবস্থা
(৩) সংবিধান	(ঘ) দেশের চলার নিয়মকানুন
(৪) রাজতন্ত্র	(ঙ) রাজা বা রানির শাসনব্যবস্থা
(৫) মন্তেস্কু	(খ) ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির প্রবর্তক

২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখ।

‘ক’ স্তম্ভ	‘খ’ স্তম্ভ
(১) ড. বি. আর. আম্বেদকর	(ক) একাধিক গ্রাম নিয়ে গঠিত ব্লক পর্যায়ের সংস্থা
(২) ২৬ জানুয়ারি	(খ) শহর বা নগরের শাসনব্যবস্থা
(৩) পৌরসভা	(গ) ভারতের সংবিধানের প্রধান রূপকার
(৪) গ্রাম পঞ্চায়েত	(ঘ) প্রজাতন্ত্র দিবস
(৫) পঞ্চায়েত সমিতি	(ঙ) গ্রামের শাসন ও উন্নয়ন সংস্থা

উত্তরঃ

‘ক’ স্তম্ভ	‘খ’ স্তম্ভ
(১) ড. বি. আর. আম্বেদকর	(গ) ভারতের সংবিধানের প্রধান রূপকার
(২) ২৬ জানুয়ারি	(ঙ) গ্রামের শাসন ও উন্নয়ন সংস্থা
(৩) পৌরসভা	(খ) শহর বা নগরের শাসনব্যবস্থা
(৪) গ্রাম পঞ্চায়েত	(ঙ) গ্রামের শাসন ও উন্নয়ন সংস্থা
(৫) পঞ্চায়েত সমিতি	Text

📌 আরো দেখুনঃ

📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here