সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর | Class 7 History Chapter 7 Question Answer wbbse
📌সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here
📌সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here
সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় (জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ) প্রশ্ন উত্তর | Class 7 History Jibon Jatra O Sonskriti (Sultani O Mughol Jug) Questions Answers Chapter – 7 wbbse
‘ভেবে দেখো খুঁজে দেখো’ অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর | সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস – জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি : সুলতানি ও মুঘল যুগ (সপ্তম ধ্যায়) প্রশ্ন উত্তর
১। শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) ………………….. (টালি ও ইট / সিমেন্ট এবং বালি / শ্বেতপাথর) ব্যবহার করে বাংলায় সুলতানি ও মুঘল আমলে সাধারণ লোকের বাড়ি বানানো হত।
উত্তরঃ টালি ও ইট।
(খ) কবীরের দুই পঙ্ক্তির কবিতাগুলিকে বলা হয় ………………….. (ভজন / দোহা / কথকথা)।
উত্তরঃ দোহা।
(গ) সুফিরা গুরুকে মনে করত ………………….. (পির / মুরিদ / বে-শরা)।
উত্তরঃ পির।
(ঘ) ………………….. (কলকাতা / নবদ্বীপ / মুর্শিদাবাদ) ছিল চৈতন্য আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র।
উত্তরঃ নবদ্বীপ।
(ঙ) ………………….. (নানক / কবীর / মীরাবাঈ) ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ বা গিরিধারীর সাধিকা।
উত্তরঃ মীরাবাঈ।
(চ) দীন-ই-ইলাহির বৈশিষ্ট্য ছিল মুঘল সম্রাট ও তাঁর অভিজাতদের মধ্যে ………………….. (গুরু-শিষ্যের / মালিক- শ্রমিকের / রাজা-প্রজার) সম্পর্ক।
উত্তরঃ রাজা-প্রজার।
(ছ) শ্বেতপাথরে রত্ন বসিয়ে কারুকার্য করাকে বলে ………………….. (চাহার বাগ / পিয়েত্রা দুরা / টেরাকোটা)।
উত্তরঃ পিয়েত্রা দুরা।
(জ) মহাভারতের ফারসি অনুবাদের নাম ………………….. (হমজানামা / তুতিনামা / রজমনামা)।
উত্তরঃ রজমনামা।
(ঝ) ………………….. (দসবন্ত / মির সঈদ আলি / আবদুস সামাদ) পরিচিত ছিলেন ‘শিরিন কলম’ নামে।
উত্তরঃ আবদুস সামাদ।
(ঞ) জৌনপুরী রাগ তৈরি করেন ………………….. (বৈজু বাওরা / হোসেন শাহ শরকি / ইব্রাহিম শাহ শরকি)।
উত্তরঃ ইব্রাহিম শাহ শরকি।
(ট) শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের লেখকের নাম ………………….. কাশীরাম দাস / কৃত্তিবাস ওঝা / মালাধর বসু)।
উত্তরঃ মালাধর বসু।
(ঠ) ‘পারসিকচক্র’ কাজে লাগানো হত ………………….. (জল তোলার জন্য / কামানের গোলা ছোড়ার জন্য / বাগান বানানোর জন্য)।
উত্তরঃ জল তোলার জন্য।
২। নিম্নলিখিত বিবৃতির সঙ্গে তার নীচের কোন ব্যাখ্যাটি তোমার সবচেয়ে মানানসই বলে মনে হয় ?
(ক) নদীর ধারে শিল্পগুলি তৈরি হতো।
ব্যাখ্যা-১ : নদীর ধারে শিল্প তৈরি করলে কর লাগতো না।
ব্যাখ্যা-২ : সেকালে সব মানুষই নদীর ধারে থাকতো।
ব্যাখ্যা-৩ : কাঁচামাল আমদানি ও তৈরি মাল রপ্তানির সুবিধা হত।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা : ৩ কাঁচামাল আমদানি ও তৈরি মাল রপ্তানির সুবিধা হত।
(খ) বিবৃতিঃ চৈতন্য বাংলা ভাষাকেই ভক্তি প্রচারের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।
ব্যাখ্যা-১ : তিনি শুধু বাংলা ভাষাই জানতেন।
ব্যাখ্যা-২ : সেকালের বাংলার সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা।
ব্যাখ্যা-৩ : ভক্তি বিষয়ক সব বই বাংলায় লেখা হয়েছিল।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা-২ : সেকালের বাংলার সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা।
(গ) বিবৃতিঃ চিশতি সুফিরা রাজনীতিতে যোগ দিতেন না।
ব্যাখ্যা-১ : তারা বিশ্বাস করতেন যে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লে ঈশ্বর সাধনা সম্ভব নয়।
ব্যাখ্যা-২ : তারা রাজনীতি বুঝতেন না।
ব্যাখ্যা-৩ : তারা মানবদরদী ছিলেন।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা-১ : তারা বিশ্বাস করতেন যে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লে ঈশ্বর সাধনা সম্ভব নয়।
(ঘ) বিবৃত্তিঃ আকবর দিন-ই-ইলাহি প্রবর্তন করেন।
ব্যাখ্যা-১ : তিনি বৌদ্ধধর্মের অনুরাগী ছিলেন।
ব্যাখ্যা-২ : তিনি অনুগত গোষ্ঠী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
ব্যাখ্যা-৩ : তিনি যুদ্ধ করা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা-২ : তিনি অনুগত গোষ্ঠী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
(ঙ) বিবৃতিঃ মুঘল সম্রাটরা দুর্গ বানাতে আগ্রহী ছিলেন।
ব্যাখ্যা-১ : দুর্গ বানানোর খরচ ছিল কম।
ব্যাখ্যা-২ : দুর্গ বানানো ছিল প্রাসাদ বানানোর চেয়ে সহজ।
ব্যাখ্যা-৩ : দুর্গ বানানোয় সাম্রাজ্য সুরক্ষিত হত।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা-৩ : দুর্গ বানানোয় সাম্রাজ্য সুরক্ষিত হত।
(চ) বিবৃতিঃ জাহাঙ্গিরের আমলে ইউরোপীয় ছবির প্রভাব মুঘল চিত্রশিল্পে পড়েছিল।
ব্যাখ্যা-১ : এই সময়ে ইউরোপীয় ছবি মুঘল দরবারে আসতে শুরু করেছিল।
ব্যাখ্যা-২ : মুঘল শিল্পীরা সবাই ছিল ইউরোপীয়।
ব্যাখ্যা-৩ : ভারতীয় শিল্পীরা এই সময় ইউরোপ থেকে ছবি আঁকা শিখে এসেছিলেন।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা-১ : এই সময়ে ইউরোপীয় ছবি মুঘল দরবারে আসতে শুরু করেছিল।
(ছ) বিবৃতি : মধ্যযুগের মণিপুরি নৃত্যে রাধা-কৃষ্ণ ছিলেন প্রধান চরিত্র।
ব্যাখ্যা-১ : ভারতে নৃত্যের দেবদেবী হলেন কৃষ্ণ ও রাধা।
ব্যাখ্যা-২ : এই সময় বৈষ্ণবধর্ম মণিপুরে বিস্তার লাভ করেছিল।
ব্যাখ্যা-৩ : চৈতন্যদেব ছিলেন মণিপুরের লোক।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা-২ এই সময় বৈষ্ণবধর্ম মণিপুরে বিস্তার লাভ করেছিল।
(জ) বিবৃতি : ভারতে প্রাচীনকালে তালপাতার উপরে লেখা হত।
ব্যাখ্যা-১ : সে আমলে কাগজের ব্যবহার জানা ছিল না।
ব্যাখ্যা-২ : সে আমলে ভারতে কাগজের দাম খুব বেশি ছিল।
ব্যাখ্যা-৩ : সে আমলে ভারতীয়রা কাগজের উপরে লেখার কালি আবিষ্কার করতে পারেনি।
উত্তরঃ ব্যাখ্যা-১ : সে আমলে কাগজের ব্যবহার জানা ছিল না।
৩। সংক্ষেপে (৩০-৫০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও : পূর্ণমান-৩
(ক) সুলতানি ও মুঘল যুগে ভারতে কোন্ কোন্ ফল, সবজি ও শস্যের চাষ সবচেয়ে বেশি হত ?
উত্তরঃ সুলতানি ও মুঘল যুগে গাঙ্গেয় সমভূমিতে উৎপন্ন ফসলের মধ্যে আমের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল। আঙুর,খেজুর, জাম, কলা, কাঁঠাল, নারকেল প্রভৃতি ফলের চাষ হত। শস্যের মধ্যে ধান, গম, যব, ডাল, সর্ষে প্রভৃতির চাষ হত।
সবজির মধ্যে লংকা, আদা, নানা ধরনের মশলা, নানা ধরনের শাক, পটল, বেগুন প্রভৃতির ফলন হত।
(খ) মধ্যযুগের ভারতে ভক্তি সাধক-সাধিকা কারা ছিলেন ?
উত্তরঃ মধ্যযুগের ভারতে ভক্তি সাধক-সাধিকা ছিলেন নামদেব, জ্ঞানেশ্বর, তুকারাম, রামানন্দ, কবির, নানক, চৈতন্যদেব, মীরাবাঈ প্রমুখ। এঁরা প্রত্যেকেই প্রায় খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতকের মানুষ ছিলেন। এ ছাড়া অলভার ও নায়নার সাধকেরা ছিলেন দক্ষিণের সাধক।
(গ) সিলসিলা কাকে বলে ? চিশতি সুফিদের জীবনযাপন কেমন ছিল ?
উত্তরঃ সিলসিলা মানে হচ্ছে গোষ্ঠী।
চিশতি সুফিদের জীবন ছিল খোলামেলা। তাঁরা শিষ্যদের সঙ্গে থাকতেন ‘খানকা বা আশ্রমে। তাঁরা ধর্ম, অর্থ, ক্ষমতার মাপকাঠিতে মানুষকে বিচার করতেন না। চিশতি সুফিরা রাজনীতি ও রাজদরবার থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতেন। তাঁদের বিশ্বাস ছিল যে রাজ্য পরিচালনার কাজে জড়িয়ে পড়লে কোনোভাবেই ঈশ্বর সাধনা সম্ভব নয়। শেখ নিজামউদ্দিন আউলিয়া ছিলেন এই গোষ্ঠী বা সিলসিলার অন্যতম সাধক।
(ঘ) দীন-ই-ইলাহি-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কেমন ছিল ?
উত্তরঃ যিনি দীন-ই-ইলাহি গ্রহণ করতেন তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁর জীবন (জান), সম্পত্তি (মাস), ধর্ম (দীন) ও সম্মান (নামুস) বিসর্জন (কুরবান) দেওয়ার শপথ নিতেন। শিষ্য (মুরিদ) যেমন তার সুফি গুরুর (পীর) পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করে, তাঁকেও তেমনই বাদশাহের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করতে হত। এরপর অনুষ্ঠান শেষ হলে বাদশাহ তাঁকে একটি নতুন পাগড়ি, সূর্যের একটি পদক ও পাগড়ির সামনে লাগানোর জন্য বাদশাহের নিজের ছোট্ট একটা ছবি দিতেন।
(ঙ) স্থাপত্য হিসাবে আলাই দরওয়াজার বৈশিষ্ট্য কী ?
উত্তরঃ আলাই দরওয়াজা তৈরি হয় সুলতান আলাউদ্দিন খলজির আমলে। এটি ছিল ইন্দো-ইসলামীয় স্থাপত্যশিল্পের একটি অসাধারণ নমুনা। লাল বেলেপাথরের তৈরি এই দরওয়াজা যেন সুলতান আলাউদ্দিনের ক্ষমতার প্রতিফলন ছিল। এর গায়ে আল্লাহর কথা নয়, খোদাই হয়েছিল সুলতানের প্রশংসা।
(চ) ক্যালিগ্রাফি ও মিনিয়েচার বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ মুঘল যুগে সুন্দর হাতের লেখা শিল্পের সেকালে খুব চর্চা হত। একে ইংরেজিতে বলে Calligraphy (ক্যালিগ্রাফি)। বাংলায় একে হস্তলিপি বিদ্যা বা হস্তলিপি শিল্প বলা হতো।
বই-এর প্রতিটি পৃষ্ঠা সাজানো হতো সূক্ষ্ম হস্তলিপি ও ছবি দিয়ে। আকার ও আয়তনে ছোটো এই ছবিগুলিকে বলা হয় Miniature (মিনিয়েচার)। মিনিয়েচার কথাটি ইংরেজী। বাংলায় তাকে অনুচিত্র বলা যেতে পারে।
(জ) শিবায়ন কী ? এর থেকে বাংলার কৃষকের জীবনের কী পরিচয় পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ সুলতানি আমলে শিবকে নিয়েও সাহিত্য লেখা হয়েছে। সেই লেখাগুলিকে ‘শিবায়ন’ বলে। পুরাণে শিব বিষয়ে যে কাহিনি তার সঙ্গে শিব-দুর্গার ঘর-সংসারের কথা জুড়ে শিবায়ন কাব্যগুলি লেখা হয়েছে। শিবায়নে গরিব শিব-দুর্গা ও তাদের জীবনের কথা লেখা হয়েছে। শিব সেখানে চাষবাস করে রোজগারের চেষ্টা করে। এই লেখাগুলিতে সেই সময়ের বাংলাদেশের গরিব কৃষক পরিবার যেন শিব-দুর্গার পরিবারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে।
(ঝ) কাগজ কোথায় আবিষ্কার হয়েছিল ? মধ্যযুগের ভারতে কাগজের ব্যবহার কেমন ছিল তা লেখো।
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে চিনে প্রথম কাগজ আবিষ্কৃত হয়।
অল্প কিছুকালের মধ্যেই ভারতে কাগজের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে লেখাপড়ার কাজ সহজ হয়। চতুর্দশ শতকে কাগজ এতটাই সস্তা হয়েছিল যে ময়রা মিষ্টি দেবার জন্য কাগজ ব্যবহার করতো।
৪। বিশদে (১০০–১২০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও : পূর্ণমান-৫
(ক) মধ্যযুগের ভারতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কেমন ছিল তা লেখো।
উত্তরঃ মধ্যযুগের ভারতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামেই বাস করতেন। কৃষি-পণ্যকে ভিত্তি করে গ্রামে কারিগরী শিল্প চলত। সমাজ ছিল যৌথ পরিবারভিত্তিক। গরিব কৃষক পরিবারে নারী-পুরুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংসার ও খামারে পরিশ্রম করতে হত। সাধারণ গরিব জনগণের বসতির জন্য সামান্য কিছু উপকরণ লাগত। একটি পাতকুয়া, ডোবা বা পুকুর থাকলেই বসতি তৈরি করে নিতে পারত গ্রামের মানুষ। ঘর তোলার জন্য কয়েকটি গাছের গুঁড়ি, চাল ছাইবার জন্যে কিছু খড়। এচতেই তারা মাথা গোঁজবার ঠাঁই করে নিত।
সরকারি খাজনা ও নানা পাওনা মিটিয়ে ফসলের কিছু অংশ কৃষকের হাতে থাকতো। সেটাই ছিল তার রোজকার ব্যবহারের সম্বল। বছরের কয়েকটা ঋতুতে কৃষক পরিবারগুলি দিনরাত পরিশ্রম করত। গরিবরা মাংসের স্বাদ প্রায় জানতোই না। তাদের রোজকার খাবার ছিল খিচুড়ি। তাই দিয়েই সারাদিনে একবার মাত্র তারা শুকনো পেট ভরাতো। পরবার পোশাকও যথেষ্ট ছিল না। একজোড়া খাটিয়া ও রান্নার দু-একখানা বাসনই ছিল তাদের ঘর-গৃহস্থালি। বিছানার চাদর ছিল একটা বা দুটো। তাই তারা পেতে শুতো, দরকারে গায়ে দিত। গরমের দিনে তা যথেষ্ট হলেও দারুণ শীতে তাদের ভীষণই কষ্ট হতো। পালা-পার্বণে আনন্দ-উৎসব ছিল একঘেয়ে জীবনের মধ্যে একটু ব্যতিক্রম। সে যুগের খেলাধূলার মধ্যে কুস্তি ছিল একটি জনপ্রিয় খেলা। লোকগান, নাটক , জাদুকরের খেলা, সং প্রভৃতি ছিল সাধারণ মানুষের আনন্দের উপকরণ।
(খ) কবীরের ভক্তি ভাবনায় কীভাবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এক হয়ে গিয়েছিল বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তরঃ রামানন্দের শিষ্যদের মধ্যে সম্ভবত একজন ছিলেন কবীর। বারাণসীতে মুসলিম জোলাহা (তাঁতি) পরিবারে পালিত কবীর ছিলেন চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতকের একজন বিখ্যাত ভক্তিসাধক। ইসলামের একেশ্বরবাদের সাথে বৈষ্ণব, নাথযোগী এবং তান্ত্রিক বিশ্বাসও এসে মিশেছিল কবীরের
ভক্তিচিন্তায়। তাঁর কাছে সব ধর্মই ছিল এক, সব ভগবানই সমান। তাঁর মতে রাম, হরি, গোবিন্দ, আল্লাহ্, সাঁই, সাহিব ইত্যাদি ছিল এক ঈশ্বরেরই বিভিন্ন নাম। তাঁর এই দর্শন তখনকার সমাজে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যের বিভেদ ও বিরোধ মেটাতে খুবই সাহায্য করেছিল। কবীর বিশ্বাস করতেন যে মানুষ তার ভক্তি দিয়ে নিজের মনেই ঈশ্বরকে খুঁজে পাবে। তার জন্য মন্দির বা মসজিদে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই মূর্তি পুজো বা গঙ্গাস্নান বা নামাজ পড়া তাঁর কাছে ছিল অর্থহীন। তখনকার সামাজিক জীবনে কবীরের ভাবনার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। তাঁর রচিত দোহা এবং গান শুনলে বোঝা যাবে তিনি ধর্মের লোক দেখানো আচারের বিরোধী ছিলেন।
(গ) বাংলায় বৈষ্ণব আন্দোলনের ফলাফল কী হয়েছিল বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকে বাংলায় শ্রীচৈতন্য যে ভক্তি আন্দোলন প্রচার করেন তার ফলে বাংলায় বৈষ্ণব ভক্তির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। শ্রীচৈতন্য বাংলায় পূর্বের বৈষ্ণব ধর্মের ঐতিহ্য ও ভক্তিবাদের ভাবনাকে একাকার করে দেন। জাত ধর্ম-বর্ণ এই ভেদাভেদের বিরুদ্ধে বৈষ্ণব ভক্তির একটি আন্দোলন রূপে ছড়িয়ে পড়ে। সপ্তদশ শতকের গোড়ার দিক থেকে বাংলায় ভক্তি আন্দোলনের প্রভাব কমতে থাকে। চৈতন্যদেব ও তাঁর অনুগামীরা জাতিভেদ না-মানলেও সমাজে ভেদাভেদ থেকেই গিয়েছিল।
সবরকম ভেদাভেদ পুরো দূর করতে না পারলেও, সেগুলোকে তুচ্ছ করা যায়— এ কথা চৈতন্যদেব জোর দিয়েই প্রচার করেন। সেকালের তুলনায় চিন্তা করলে এটাই ছিল একটা বড়ো সাফল্য। তবে চৈতন্য ও তাঁর ভক্তি আন্দোলনের সবচেয়ে গভীর প্রভাব পড়েছিল বাংলার সংস্কৃতিতে। সাধারণ মানুষের বাংলা ভাষাকে সম্মান জানিয়ে সেই ভাষাতেই ভক্তি প্রচার করেন চৈতন্যদেব। শ্রীচৈতন্যের জীবন ও বৈষ্ণব ভক্তিবাদ নিয়ে অনেক সাহিত্য এই সময়ে রচিত হয়। শ্রীচৈতন্যের জীবন এবং কাজ নিয়ে অনেক বৈষ্ণব কবি কাব্য রচনা করেন। এগুলিকে চৈতন্য জীবনী কাব্য বলা হয়। তার ফলে বাংলা-ভাষার বিকাশের পথ তৈরি হয়।
(ঘ) বাদশাহ আকবরের দীন-ই-ইলাহি সম্বন্ধে একটি টীকা লেখো।
উত্তরঃ ১৫৮০-এর দশকের মাঝামাঝি আকবর দীন-ই-ইলাহি নামে এক নতুন মতাদর্শ চালু করেন। একসময় ভাবা হত দীন-ই-ইলাহি বোধহয় বাদশাহ আকবরের প্রচলিত এক নতুন ধর্ম। ইসলাম ধর্মের নানা ব্যাখ্যার মধ্যে থেকে তিনি সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য মতটি মেনে নিতেন। নানা ধর্মের গুরুদের সাথে আলোচনা করে তিনি বিভিন্ন ধর্ম থেকে নিজের পছন্দ মতো কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য বেছে নিতেন। সেই বৈশিষ্ট্যগুলিকে এক করে আকবর দীন-ই-ইলাহি তৈরি করেন।
(ঙ) মুঘল সম্রাটদের আমলে বাগান তৈরি ও দুর্গ নির্মাণ সম্বন্ধে আলোচনা করো।
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকে মুঘলরা ভারতে নতুন এক বাগান তৈরির কৌশল নিয়ে আসেন। পারস্য ও মধ্য এশিয়া থেকে মুঘলরা এই কৌশল নিয়ে আসেন। সম্রাট বাবর, জাহাঙ্গির ও শাহাজাহানের ছিল বাগানের খুব শখ। চারভাগে ভাগ করা একরকম সাজানো বাগান মুঘল আমলে বানানো হত। তাকে ‘চাহার বাগ’ বলে। জাহাঙ্গিরের সময়ে বাগ বানানোর উদ্যোগ আবার শুরু হয়। আগ্রায়, কাশ্মীরে বানানো বাগানগুলির কথা সম্রাট জাহাঙ্গির লিখেছেন আত্মজীবনী জাহাঙ্গিরনামায়। মুঘল স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ শুরু হয় সম্রাট আকবরের সময় থেকে। দুর্গ-শহর, প্রাসাদ বানানোয় আকবর মনযোগী ছিলেন। এতে একদিকে যেমন সাম্রাজ্য সুরক্ষিত হয়েছিল, আবার একই সাথে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশও ঘটেছিল।
(চ) মধ্যযুগের বাংলার স্থাপত্যরীতির পর্যায়গুলির মূল বৈশিষ্ট্য গুলি কী ছিল ?
উত্তরঃ মুসলমান শাসন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে। এই সময়ে বাংলায় কাঠামো নির্মাণের মূল গঠনভঙ্গি ছিল ইসলামি রীতি অনুসারে। আর বাইরের কারুকার্য ও কাঁচামাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলার লৌকিকরীতির ছাপ দেখা যায়।
ইমারতে ইটের ব্যবহার বাংলার স্থাপত্যরীতির একটি বৈশিষ্ট্য। বাড়ি এবং বেশির ভাগ মন্দির ঢালু ধাঁচে তৈরি করা হতো। চাল বা চালা-ভিত্তিক মন্দির বানানোর রীতিও বাংলায় দেখা যায়। মন্দিরের মাথায় ক-টি চালা আছে, সে হিসাবেই কোনও মন্দির একচালা, কখনো দো-চালা, কখনো বা আট-চালা হতো। ইসলামীয় স্থাপত্যের ধাঁচে চালা গুলির মাথায়ও মাঝে মধ্যেই খিলান, গম্বুজ বানানো হতো।
সাধারণ আয়তক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর একাধিক চূড়া দিয়ে তৈরি মন্দিরও এই সময় বাংলায় বানানো হয়। সেই গুলির নাম রত্ন। একটি চূড়া থাকলে সেটি একরত্ন মন্দির, পাঁচটি চুড়া থাকলে পঞ্চরত্ন মন্দির। এই মন্দির গুলির বেশির ভাগের দেওয়ালে পোড়ামাটির বা টেরাকোটার কাজ করা হতো। পোড়ামাটির তৈরি এই মন্দিরগুলি বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ছাড়াও বাংলার নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে।
(ছ) মুঘল চিত্রশিল্পের উন্নতিতে মুঘল বাদশাহের কী ভূমিকা ছিল ?
উত্তরঃ মুঘল চিত্রশিল্পের উন্নতিতে মুঘল বাদশাহদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সম্রাট বাবর ছিলেন সৌন্দর্যের পূজারি। বাবর বইতে ছবি আঁকা বা অলংকরণের প্রথা শুরু করেন। তিনি নিজের সৌন্দর্যবোধকে রূপ দেওয়ার জন্য কয়েকজন চিত্রশিল্পী নিয়োগ করেন। হুমায়ুন আবদুস সামাদ এবং মির সঈয়দ আলিকে দিল্লিতে নিয়ে এসে ‘দস্তান-আমির-হামজা’ নামে চিত্রগুলি অঙ্কন করান। আকবরের দরবারে ছিলেন আবদুস সামাদ, সঈয়দ আলি ফারুক, দসবন্ত, বসোয়ান, তারাচাঁদ, জগন্নাথ প্রমুখ বিখ্যাত চিত্রশিল্পীরা। আকবরের আমলে তুতিনামা, রজমনামা প্রভৃতি বইয়ের প্রতিটি পাতা ছবি দিয়ে (মিনিয়েচার) সাজানো হত। এই সময় থেকেই প্রতিকৃতি আঁকার সূচনা হয়। জাহাঙ্গিরের আমলে চিত্রশিল্পের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে প্রকৃতি, উদ্ভিদ ও প্রাণী। শিল্পীরাও সেই ছবিতে স্বাক্ষর করা শুরু করেন। এই সময়ে ফারুক বেগ, আখারিজা, কেশব, মনোহর প্রমুখ বিখ্যাত চিত্রশিল্পীরা মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। সম্রাট শাহজাহানের সময় ছবি আঁকার ক্ষেত্রে কাছে ও দূরে বোঝানোর পদ্ধতি শুরু হয়। এই সময় চিত্রশিল্পে রং এর আতিশয্য দেখা যায়। ‘পাদশাহনামা’ গ্রন্থের অলংকরণ এই সময়ের বিখ্যাত কাজ। ঔরঙ্গজেব ধর্মীয় কারণে চিত্রকলার প্রতি আগ্রহ দেখাননি।
(জ) মধ্যযুগের ভারতে কীভাবে ফারসি ভাষার ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বেড়েছিল তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ মধ্যযুগের ভারতে ফারসি সাহিত্যের শুরু সুলতানি শাসনের হাত ধরে। দশম শতাব্দীতে তুর্কিরা যখন ভারতে আসে সম্ভবত তখন থেকেই ফারসির প্রচলন ঘটে। কুতুবউদ্দিন আইবক ও ইলতুৎমিশ ফারসি ভাষার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে খলজি যুগের অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় লাহোর শহর হয়ে ওঠে ফারসি ভাষা চর্চার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
সেসময় ফারসি সাহিত্যিক ও দার্শনিকদের মধ্যে আমির খসরু ছিলেন সবচেয়ে বিখ্যাত। খসরু ফারসি সাহিত্যের এক নতুন রচনাশৈলী সবক-ই-হিন্দ-এর আবিষ্কারক। সারাজীবন তিনি ফারসি কাব্য লেখার নানা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালান। এসময়ে ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে ফারসি হয়ে ওঠে অতি পছন্দের ভাষা। মধ্যযুগে বহু রচনা মূল সংস্কৃত থেকে ফার্সিতে অনুবাদ করা হয়। এই ধারার প্রথম লেখক ছিলেন জিয়া নকশাবি। ফারসিতে অনুবাদের রেওয়াজ সমানভাবে চলতে থাকে তুঘলক, সৈয়দ ও লোদি আমলেও। মহম্মদ বিন তুঘলকের শাসনকালে তার রাজধানী কিছু সময়ের জন্য দেবগিরি বা দৌলতাবাদে চলে যায়। তার ফলে দক্ষিণ ভারতে ফারসি চর্চা ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ ভারতের বাহমনি সুলতানেরাও ছিলেন ফারসি ভাষা চর্চায় খুব আগ্রহী। সেই কারণে বাহমনি-রাজধানী গুলবর্গা এবং বিদর হয়ে উঠেছিল ফারসি ভাষা এবং সাহিত্যের এক নামি কেন্দ্র।
(ঝ) সুলতানি ও মুঘল আমলে সামরিক ও কৃষি প্রযুক্তিতে কী কী পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তরঃ সামরিকঃ সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই যুগে বড়ো রকমের একটা বদল দেখা যায়। চতুর্দশ শতকের প্রথমার্ধে বারুদ ব্যবহারকারী আগ্নেয়াস্ত্র চিন থেকে মোঙ্গলদের হাত ঘুরে প্রথমে ভারতে এসে পৌঁছায়। পরে ভারতের কিছু অঞ্চলে শুরু হয় বারুদ-চালিত রকেটের ব্যবহার। পঞ্চদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে চিন ও মামেলুক শাসিত মিশর থেকে বন্দুকের প্রযুক্তি আসে ভারতে। ষোড়শ শতকের গোড়ার দিকে পোর্তুগিজরা এই প্রযুক্তি দক্ষিণ ভারতে ছড়িয়ে দেয়। এই সময়ের কাছাকাছি মুঘলরাও উত্তর ভারতে যুদ্ধে ব্যাপক হারে বন্দুক ও কামানের ব্যবহার চালু করে। ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধের সময় সৈনিকের পা রাখার পাদানি বা রেবকাবের ব্যবহার তুর্কি বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই সামরিক প্রযুক্তি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।
কৃষিঃ কৃষিক্ষেত্রে মধ্যযুগের সবথেকে বড়ো উন্নতির দিক ছিল সেচব্যবস্থার প্রসার। দক্ষিণ ভারতে বিজয়নগর শাসকরা এবং উত্তর ভারতে ফিরোজ শাহ তুঘলক এবং মুঘল বাদশাহরা সেচ ব্যবস্থার খুব উন্নতি ঘটিয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ জমি পাথুরে এবং নদীর সংখ্যা তুলনায় কম হওয়ার ফলে সেচের কাজ করা ছিল কঠিন। এখানে বড়ো মাপের জলাধার খনন করে তার থেকে ছোটো নালা বা খালের মাধ্যমে চাষের জমিতে জল পৌঁছে দেওয়া হতো। অন্যদিকে উত্তর এবং পূর্ব ভারতে ছোটো বড়ো নদীর সংখ্যা অনেক। এই নদীগুলি থেকে খালের মাধ্যমে জল সরাসরি পৌঁছে যেত চাষের জমিতে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ (সপ্তম অধ্যায়) MCQ, শূন্য স্থান, সত্য / মিথ্যা, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7th History Question and Answer Ch-7
শূন্যস্থান পূরন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-7
১. গাঙ্গেয় সমভূমিতে উৎপন্ন ফসলের মধ্যে __________ চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি।
উত্তরঃ আমের।
২. মধ্যযুগের বাংলায় _________ ছোঁড়া নামের একটি খেলা ছিল।
উত্তরঃ বাঁটুল।
৩. সুলতানি যুগের সমাজ ছিল যৌথ ___________ ভিত্তিক।
উত্তরঃ পরিবার।
৪. সিকদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের নাম _____________।
উত্তরঃ গুরুগ্রন্থসাহিব।
৫. শ্রীচৈতন্যদেবের সমকালে তরকারি রান্নায় ___________ ব্যবহার হত।
উত্তরঃ বড়ি।
৬. যবন হরিদাস ছিলেন ____________ শিষ্য।
উত্তরঃ কবীরের।
৭. সুলতানি স্থাপত্যের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল খেলান এবং _____________।
উত্তরঃ গম্বুজ।
৮. আলাই দরওয়াজা সুলতান _______________ আমলে তৈরি হয়।
উত্তরঃ আলাউদ্দিন খলজির।
৯. ___________ জয়ের স্মৃতিতে আকবর বানিয়েছিলেন বুলন্দ দরওয়াজা।
উত্তরঃ গুজরাট।
১০. বাংলায় চাল বা চালাভিত্তিক ___________ বানানোর রীতি দেখা যায়।
উত্তরঃ মন্দির।
১১. বৈজু বাওরা ছিলেন একজন বিখ্যাত ____________ শিল্পী।
উত্তরঃ সংগীত।
১২. মহাভারতের বাংলা অনুবাদ করেন ___________ ।
উত্তরঃ কাশীরাম দাস।
১৩. বাংলায় ভক্তি আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র ছিল ______________।
উত্তরঃ নবদ্বীপ।
সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-7
১. কবির দোহার মাধ্যমে তাঁর ভক্তিবাদী আদর্শ প্রচার করেন।
উত্তরঃ সত্য
২. শাহ জাহানের রাজত্বকালে ফারসি ভাষার একজন নামী কবি ছিলেন তালিব আমুলি।
উত্তরঃ মিথ্যা
৩. ১৪৩৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যদেবের মৃত্যু হয়।
উত্তরঃ মিথ্যা। (১৪৮৫)
৪. ‘ফতেহ’-র অর্থ হল সাফল্য।
উত্তরঃ মিথ্যা। (জয়)
৫. ভক্তিবাদের মূল কথাই হল ভগবানের প্রতি ভক্তের ভালোবাসা।
উত্তরঃ ঠিক
৬. শিখদের পবিত্র গ্রন্থের নাম ত্রিপিটক।
ভুল। (গুরু গ্রন্থ সাহিব)
৭. অনেকের মতে কবীর ছিলেন রামানন্দের একজন শিষ্য।
উত্তরঃ ঠিক
৮. আদিনা মসজিদ নির্মিত হয়েছিল মালদহের গৌড়ে।
উত্তরঃ মিথ্যা। (পান্ডুয়ায়)
৯. হিন্দি ভাষায় চোদ্দো পংক্তির কবিতাকে বলা হয় দোহা।
উত্তরঃ ভূল (দুই পংক্তি)
১০. কবীর রচিত পাঁচশোটিরও বেশি দোহা গুরুগ্রন্থসাহিবের অন্তর্ভুক্ত।
উত্তরঃ ঠিক
১১. আরবিতে ‘সুফ’ কথাটির অর্থ হল পশমের তৈরি এক টুকরো কাপড়।
উত্তরঃ ঠিক।
১২. মুঘল যুগে গরিব মানুষ প্রায় মাছ মাংস খেত।
উত্তরঃ মিথ্যা। (খিচুড়ি)
১৩. ভারতে চিশতি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হলেন শেখ নিজামউদ্দিন আউলিয়া।
উত্তরঃ ভূল (মইনুদ্দিন চিশতি)
১৪. যেসব সুফিরা ইসলামীয় আইন মেনে চলত তাদের বলা হত ‘বা-শরা’।
উত্তরঃ ঠিক
১৫. সুহরাবর্দি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বদরউদ্দিন জাকারিয়া।
উত্তরঃ ঠিক।
১৬. ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যদেবের মৃত্যু হয়।
উত্তরঃ ঠিক।
১৭. কবীর ছিলেন গুরু নানকের শিষ্য।
উত্তরঃ মিথ্যা। (রামানন্দের)
১৮. চৈতন্যচরিতামৃত বইটির রচয়িতা হলেন কৃষ্ণদাস কবিরাজ।
উত্তরঃ ঠিক।
১৯. উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমে ভক্তি আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব।
উত্তরঃ ভূল (শ্রীমন্ত শংকর দেব)
২০. কুয়াত-উল ইসলাম মসজিদের নির্মাণকার্য শুরু করেন সুলতান ইলতুৎমিশ।
ভুল। (কুতুবুদ্দিন আইবক)
২১. সুলতান আলাউদ্দিন খলজির আমলে তৈরি হয় আলাই দরওয়াজা।
উত্তরঃ ঠিক
২২. সম্রাট আকবর তাঁর গুজরাট জয়কে চিরস্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে বানিয়েছিলেন বুলন্দ দরওয়াজা।
উত্তরঃ ঠিক।
২৩. মুঘল আমলে কুতুব মিনার হল শাসনের প্রতীক।
উত্তরঃ মিথ্যা। (সুলতানি আমলে)
২৪. দিল্লি জয়ের স্মৃতিতে আকবর বানিয়েছিলেন বুলন্দ দরওয়াজা।
উত্তরঃ মিথ্যা। (গুজরাট)
২৫. মহাভারতের ফারসি অনুবাদের নাম রজমনামা।
উত্তরঃ ঠিক
এক কথায় উত্তর দাও : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-7
১. মধ্যযুগে ভারতীয় সমাজ কী প্রকৃতির ছিল ?
উত্তরঃ যৌথ পরিবার ভিত্তিক।
২. মধ্যযুগে সমস্ত দিনরাতকে কয়টি প্রহরে ভাগ করা হত ?
উত্তরঃ আটটি
৩. কত পলে ১ ঘড়ি হয় ?
উত্তরঃ ৬০ পলে
৪. এক প্রহর কত ঘণ্টায় হয় ?
উত্তরঃ তিন ঘন্টা
৫. প্রহরকে ফারসিতে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ পাস
৬. কত পলে একদিন বা ২৪ ঘণ্টা হয় ?
উত্তরঃ ৩৬০০ পলে
৭. ভক্তিবাদের মূল কথা কী ?
উত্তরঃ ভগবানের প্রতি ভক্তি
৮. মধ্যযুগে ভারতে কার রাজত্বকালে খাদ্যশস্যের কম দামের নজির আছে ?
উত্তরঃ ইব্রাহিম লোদী।
৯. কার দর্শন ও বাণীর উপর নির্ভর করে শিখধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উত্তরঃ গুরু নানক
১০. ‘লঙ্গরখানা’ কার সময় চালু হয় ?
উত্তরঃ গুরু নানক
১১. কবীর কার শিষ্য ছিলেন ?
উত্তরঃ রামানন্দের
১২. কবীর কোন্ ভাষায় দোহা রচনা করেন ?
উত্তরঃ হিন্দি
১৩. সুফিদের আবির্ভাব প্রথম কোথায় হয় ?
উত্তরঃ মধ্য এশিয়ায়
১৪. সুফিবাদে শিষ্যকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ মুরিদ
১৫. কোন্ সময় থেকে সুফিরা ভারতে আসতে থাকে ?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতক থেকে
১৬. মধ্যযুগে ভারতে কোন্ খেলার জনপ্রিয়তা ছিল সবথেকে বেশি ?
উত্তরঃ কুস্তি।
১৭. দক্ষিণ ভারতে ভক্তিবাদ কবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল ?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের গোড়ায়।
১৮. সুফিরা যে হঠযোগ অভ্যাস করত তা তারা কাদের কাছ থেকে জেনেছিল ?
উত্তরঃ নাথপন্থীদের কাছ থেকে।
১৯. সুফিদের আশ্রমকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ দরগা।
২০. সুহরাবর্দি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ বদর উদ্দিন জাকারিয়া।
২১. যে সুফি সাধকরা ইসলামীয় আইন মেনে চলত না তাদের কী বলা হয়?
উত্তরঃ বে-শরা।
২২. যে সুফি সাধকরা ইসলামীয় আইন মেনে চলত তাদের কী বলা হত?
উত্তরঃ বা-শরা
২৩. কোন্ স্থানকে ‘বাংলার ভক্তি আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র’ বলা হয়?
উত্তরঃ নবদ্বীপ।
২৪. ‘সুফ’ কথার অর্থ কী ?
উত্তরঃ পশমের তৈরি এক টুকরো কাপড়
২৫. ঘরে বসে যে কীর্তন গাওয়া যায় তাকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ নাম কীর্তন।
২৬. কত খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যদেবের জন্ম হয় ?
উত্তরঃ ১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দে।
২৭. কত খ্রিস্টাব্দে শ্রীচৈতন্যদেবের মৃত্যু হয় ?
উত্তরঃ ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে।
২৮. শ্রীচৈতন্য নবদ্বীপে কাদের অত্যাচারের বিরোধিতা করেন?
উত্তরঃ জগাই মাধাই।
২৯. চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ কৃষ্ণ দাস কবিরাজ।
৩০. অসমে কে ভক্তিবাদ প্রচার করেছিলেন ?
উত্তরঃ শ্রীমন্ত শংকর দেব।
৩১. কুতুবমিনারের নির্মাণ কে শেষ করেন?
উত্তরঃ ইলতুৎমিস।
৩২. দীন-ই ইলাহি মতাদর্শ কে প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ আকবর।
৩৩. মির্জা নাথান কোন্ মুঘল সম্রাটের সেনাপতি ছিলেন ?
উত্তরঃ জাহাঙ্গীরের।
৩৪. কোন্ ইংরেজ দূত প্রথম মুঘল দরবারে এসেছিলেন ?
উত্তরঃ টমাস রো
৩৫. কুতুবমিনারের নির্মাণ কে শুরু করেন ?
উত্তরঃ কুতুবউদ্দিন আইবক।
৩৬. মুঘল আমলে চারভাগে ভাগ করা সাজানো বাগানকে কী বলা হত ?
উত্তরঃ চাহারবাগ।
৩৭. প্রাসাদের ঝরোখা (জানালা) থেকে সভাসদ ও প্রজাদের দর্শন দেওয়ার প্রথা কে চালু করেন ?
উত্তরঃ আকবর।
৩৮. মুঘল স্থাপত্যশিল্পের প্রসার শুরু হয় কোন্ মুঘল সম্রাটদের সময় থেকে?
উত্তরঃ সম্রাট আকবরের সময় থেকে
৩৯. ‘ফতেহ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ জয়
৪০. সম্রাট জাহাঙ্গিরের আত্মজীবনীর নাম কী?
উত্তরঃ তুজুক ই জাহাঙ্গীরী
৪১. মুঘল স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কী?
উত্তরঃ তাজমহল
৪২. শের শাহের সমাধি কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ সাসারামে
৪৩. বিবি-কা মকবারা কোন্ সম্রাটের আমলে নির্মিত হয়েছিল?
উত্তরঃ সম্রাট আওরঙ্গজেবের
৪৪. কে বিজাপুরে গোল গম্বুজ নির্মাণ করেন?
উত্তরঃ মোহাম্মদ আদিল শাহ
৪৫. ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড়ো গম্বুজ কোনটি ?
উত্তরঃ গোল গম্বুদের গম্বুজ
৪৬. চারমিনার কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ হায়দ্রাবাদে
৪৭. কোন্ মুঘল সম্রাটের সময় তাজমহল নির্মিত হয়?
উত্তরঃ সম্রাট শাহজাহানের
৪৭. বাংলাদেশে মুসলিম শাসন বিস্তার লাভ করে কোন্ সময়ে?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় ত্রয়োডস শতকে
৪৯. বাংলার স্থাপত্যরীতির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তরঃ ইমারতে ইট এর ব্যবহার।
৫০. দুটি বাংলা মন্দির পাশাপাশি জুড়ে নির্মিত হলে তাকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ জোর বাংলা।
৫১. যে বাংলা মন্দিরের পাঁচটি জোড়া থাকে তাকে কি বলে ?
উত্তরঃ পঞ্চরত্ন মন্দির।
৫২. আদিনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন?
উত্তরঃ সিকান্দার শাহ।
৫৩. পান্ডুয়ার সুলতান জালালউদ্দিনের সমাধি কী নামে বিখ্যাত?
উত্তরঃ একলাখী সমাধি।
৫৪. কার আমলে গৌড়ে দাখিল দরওয়াজা নির্মিত হয়?
উত্তরঃ বরবক শাহের।
৫৫. ইংরেজি মিনিয়েচারকে বাংলায় কী বলা যেতে পারে?
উত্তরঃ অনুচিত্র।
৫৬. হাম্পি কোন্ রাজ্যের রাজধানী ছিল?
উত্তরঃ বিজয়নগর।
৫৭. ফিরোজ মিনার কত খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয় ?
উত্তরঃ ১৪৮৮ খ্রিস্টাব্দে।
৫৮. গৌড়ের সবচেয়ে বড়ো মসজিদ কোনটি ?
উত্তরঃ বড় সোনা মসজিদ।
৫৯. গৌড়ের বড়ো সোনা মসজিদ কত খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়?
উত্তরঃ ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে।
৬০. সুন্দর হাতের লেখার চর্চাকে ইংরেজিতে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ ক্যালিগ্রাফি।
৬১. মহাভারতের ফারসি অনুবাদের নাম কী ?
উত্তরঃ রজমনামা।
৬২. প্রতিকৃতি আঁকার প্রচলন শুরু হয় কোন্ মুঘল সম্রাটের সময় থেকে?
উত্তরঃ সম্রাট আকবরের।
৬৩. কোন্ মুঘল সম্রাটের আমলে শিল্পীরা প্রথম স্বাক্ষর (সই) করতে শুরু করেন?
উত্তরঃ জাহাঙ্গীরের
৬৪. কোনো কিছুর সঙ্গে সাদৃশ্য মিলিয়ে ছবি আঁকাকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ তসভির।
৬৫. ‘নাদির-আল-অসর’-এর অর্থ কী ?
উত্তরঃ জগতের বিস্ময়
৬৬. শিল্পী আবদুস সামাদের ছদ্মনাম কী ছিল ?
উত্তরঃ শিরিন কলম
৬৭. ‘শিরিন কলম’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ মিষ্টি কলম
৬৮. বিজাপুরের সুলতান দ্বিতীয় ইব্রাহিম আদিল শাহের আমলের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী কে ছিলেন ?
উত্তরঃ ফারুক হোসেন
৬৯. সম্রাট জাহাঙ্গির কাকে ‘নাদির-আল-অসর’ উপাধি দেন?
উত্তরঃ ফারুক হোসেনকে
৭০. হোসেন শাহ শারকি যে সংগীত রাগ তৈরি করেছিলেন তাকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ হোসেনী বা জৌনপুরী রাগ
৭১. মান সিং তোমর কোথাকার রাজা ছিলেন ?
উত্তরঃ গোয়ালিয়রের
৭২. ইসলামের জন্ম কোন্ দেশে ?
উত্তরঃ আরব
৭৩. মুঘল সম্রাটদের মধ্যে সবচেয়ে সংগীতপ্রেমী ছিলেন কে ?
উত্তরঃ সম্রাট আকবর
৭৪. দীপক ও মেঘমল্লার রাগ দুটি কার সৃষ্টি ?
উত্তরঃ তানসেন।
৭৫. নাচের জন্য কুমিল পোশাক কে তৈরি করেন ?
উত্তরঃ মহারাজা ভাগ্যচন্দ্র
৭৬. ‘ফতোয়া-ই আলমগিরি’ কোন্ ভাষায় রচিত ?
উত্তরঃ আরবি
৭৭. আমির খসরু কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তরঃ ১২৫২ খ্রিস্টাব্দে
৭৮. ‘তুজুক-ই বাবরি’ কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল?
উত্তরঃ তুর্কি।
৭৯. ‘সবক-ই হিন্দ’ রচনাশৈলী কে আবিষ্কার করেন ?
উত্তরঃ আমির খসরু।
৮০. ‘রাজতরঙ্গিণী’ কে রচনা করেন ?
উত্তরঃ কলহন।
৮১. বাহমনি রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ গোল বর্গা
৮২. ‘তুজুক-ই বাবরি’ কার আত্মজীবনী?
উত্তরঃ বাবরের
৮৩. সম্রাট হুমায়ুনের সভাকবি কে ছিলেন ?
উত্তরঃ কাশেম খান মৌজি
৮৪. আকবর নামা গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ আবুল ফজল
৮৫. মুন্তাখাব উত তাওয়ারিক গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ বদায়ুনি
৮৬. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কে রচনা করেন?
উত্তরঃ বড়ু চন্ডীদাস।
৮৭. তবকাত-ই আকবরি’ গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ নিজামুদ্দিন আহমেদ।
৮৮. ‘তাজ-উল মাসির’ গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ হাসান নিজামী
৮৯. দেবী চন্ডীকে নিয়ে লেখা মঙ্গলকাব্য কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ চন্ডীমঙ্গল
৯০. কোন্ সময় থেকে বাংলায় ইলিয়াসশাহি শাসন শুরু হয় ?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতকে
৯১. কে রামায়ণের বাংলা অনুবাদ করেন?
উত্তরঃ কৃত্তিবাস ওঝা
৯২. কে মহাভারতের বাংলা অনুবাদ করেন?
উত্তরঃ কাশীরাম দাস
৯৩. মালাধর বসুর অনুবাদ গ্রন্থটির নাম কী ?
উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণ বিজয়
৯৪. দেবী মনসাকে নিয়ে লেখা মঙ্গলকাব্য কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ মনসামঙ্গল
৯৫. ‘ফুতুহ-উস সালাতিন’ গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ ইসামি।
৯৬. শিব-কে নিয়ে লিখিত সাহিত্য কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ শিবায়ন
৯৭. কোন্ গ্রন্থে সুলতান আলাউদ্দিন খলজির চিতোর অভিযানের কথা আছে?
উত্তরঃ পদ্মাবতী
৯৮. ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ আলাওল।
৯৯. ‘কিতাব-উল হিন্দ’ গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন ?
উত্তরঃ আল বিরুনী
১০০. ‘চরকি’ কী ?
উত্তরঃ তুলো বোনার যন্ত্র
১০১. ইউরোপীয় চিকিৎসাপদ্ধতি ভারতে আসে কোন্ সময় থেকে ?
উত্তরঃ খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে
১০২. কোথায় প্রথম কাগজ আবিস্কৃত হয়?
উত্তরঃ চীন দেশে
১০৩. নাথ-যোগীদের ধর্ম, আচার-আচরণ নিয়ে লেখা সাহিত্যকে কী বলা হয়?
উত্তরঃ নাথ সাহিত্য
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : মান– ১ | সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস – জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ (সপ্তম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Class 7 History Ch-7
১. মধ্যযুগীয় ভারতীয় সমাজে নারীর স্থান ছিল (পুরুষদের সমান / পুরুষদের তুলনায় উপরে / পুরুষদের তুলনায় নীচে / দেবতাদের সমান)।
উত্তরঃ পুরুষদের তুলনায় নীচে।
২. এক ভরি সমান (২৪ / ৬০ / ৮০ / ১৮০) মিনিট।
উত্তরঃ ২৪
৩. গুরুগ্রন্থসাহিব লেখা হয়েছিল (ইংরেজি / বাংলা / হিন্দি / গুরুমুখী) লিপিতে।
উত্তরঃ গুরুমুখী।
৪. (পালা কীর্তন / নাম কীর্তন / নগর কীর্তন / ভজন) শোভাযাত্রা করে ঘুরে ঘুরে দোয়া হতো।
উত্তরঃ নগর কীর্তন।
৫. (ছোট সোনা / আলাই / বড় সোনা / কুয়াত-উল ইসলাম) মসজিদের মিনার হল কুতুব মিনার।
উত্তরঃ কুয়াত-উল ইসলাম।
৬. কুতুব মিনার হল (কুষাণ / আফগান / সুলতানি / মুঘল) শাসনের প্রতীক।
উত্তরঃ সুলতানি।
৭. চাঁদবিবির প্রাসাদ নির্মিত হয়েছিল (দিল্লিতে / আহমেদ নগরে / আগ্রায় / মালদহে)।
উত্তরঃ আহমেদ নগরে।
৮. আদিনা মসজিদ নির্মিত হয়েছিল মালদহের (পান্ডুয়ায় / গৌড়ে / বিষ্ণুপুরে / ইংরেজ বাজারে)।
উত্তরঃ পান্ডুয়ায়।
৯. কোন কিছুর সঙ্গে সাদৃশ্য মিলিয়ে ছবি আঁকাকে বলে (মিনিয়েচার / ক্যালিগ্রাফি / তসভির / আর্ট শিল্প)।
উত্তরঃ তসভির।
১০. (তানসেন / মানসিংহ / টোডরমল / আবুল ফজল) ছিলেন আকবরের আমলে বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।
উত্তরঃ তানসেন।
১১. মহারাজা ভাগ্যচন্দ্র ছিলেন (মনিপুরের / কাশ্মীরের / বিজাপুরের / চম্বলের) রাজা।
উত্তরঃ মনিপুরের।
১২. রামায়নের বাংলা অনুবাদ করেন (কাশীরাম দাস / কৃত্তিবাস ওঝা / বদায়ুনি / বড়ু চন্ডীদাস)।
১৩. বাংলায় ভক্তি আন্দোলনের প্রসার ঘটান (চৈতন্যদেব / কবীর / রামানন্দ / গুরু নানক)।
উত্তরঃ চৈতন্যদেব।
১৪. মধ্যযুগে শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছিল (বাংলায় / মহারাষ্ট্রে / পাঞ্জাবে / গুজরাটে)।
উত্তরঃ বাংলায়।
১৫. ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা-
(কলহন / ফৈজি / জয়স / আলাওল)।
উত্তরঃ আলাওল।
৫. সুলতানি আমলে হিন্দুস্থানি এবং ইরানি সংগীতের মিলন ঘটান (তানসেন / বৈজু বাওরা / আমির খসরু / মান সিং তোমর)।
উত্তরঃ আমির খসরু।
৬. হায়দরাবাদের চারমিনার তৈরি হয়েছিল
(১৫৯১ খ্রি. / ১৫৯৪ খ্রি. / ১৬১২ খ্রি. / ১৫৯৬ খ্রি.)।
উত্তরঃ ১৫৯১ খ্রি.
৭. আমির খসরু কোন ভাষার সাহিত্যিক ছিলেন ? ( হিন্দি / উর্দু / ফারসি / আরবি)।
উত্তরঃ ফারসি।
৮. শেরশাহের সমাধি সৌধ অবস্থিত-
( দিল্লিতে / আজমেরে / সাসারামে / গোয়ালিয়রে)।
উত্তরঃ সাসারামে
১০. চাহার বাগ তৈরি করেন (বাবর / আকবর / শাহ জাহান / শেরশাহ)।
উত্তরঃ বাবর।
১১. শঙ্করদেব ছিলেন একজন-
( লেখক / কবি / কৃষ্ণের উপাসক / ঐতিহাসিক)।
উত্তরঃ কৃষ্ণের উপাসক।
১২. ‘হুমায়ুননামা’ লিখেছেন (হুমায়ুন / ফৈজি / আবুল ফজল / গুলবদন বেগম)।
উত্তরঃ গুলবদন বেগম।
১৩. মীরাবাঈয়ের ভক্তিগীতির সংখ্যা-
( ৪০০ / ৪৫০ / ৫০০ / ৫০০)-এর বেশি
উত্তরঃ ৫০০
১৪. ‘রজমনামা’ কার সময় অনুদিত হয় ?
(বাবরের সময় / হুমায়ুনের সময় / আকবরের সময় / ঔরঙ্গজেবের সময়)।
উত্তরঃ আকবরের সময়।
১৫. ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা-
(কলহন / ফৈজি / জয়সী / আলাওল)।
উত্তরঃ আলাওল।
১৬. ইউরোপীয় চিকিৎসা-পদ্ধতি ভারতে আসে—
(খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতকে / ষোড়শ শতকে / সপ্তদশ শতকে / অষ্টাদশ শতকে)।
উত্তরঃ সপ্তদশ শতকে।
১৭. ‘মেঘমল্লার’ রাগটি সৃষ্টি করেন-
(তানসেন / ইব্রাহিম শাহ শরকি / বৈজু বাওরা / মান সিং তোমর)।
উত্তরঃ তানসেন।
১৮. আলাই দরওয়াজা নির্মাণ করেন—
(কুতুবউদ্দিন আইবক / হুমায়ুন / আলাউদ্দিন খলজি / মহম্মদ বিন তুঘলক)।
উত্তরঃ আলাউদ্দিন খলজি।
২৩. ‘শ্রীকল্পবিজয়’ কাব্যের বাংলা অনুবাদ করেন- (কালিদাস / মালাধর বসু / কৃত্তিবাস ওঝা / চৈতন্যদেব)।
উত্তরঃ মালাধর বসু।
১৯. মুঘল শিল্পীদের মধ্যে কার ছদ্মনাম ‘শিরিন কলম’ অর্থাৎ ‘মিষ্টি কলম’ ?
(দসবন্ত / খোয়াজা আবদুস সামাদ / বসওয়ান / মির সঈদ আলি)।
উত্তরঃ খোয়াজা আবদুস সামাদ।
২০. রবিদাস কার গুরু ছিলেন ?
( রামানন্দের / কবিরের / চৈতন্যদেবের / কোনোটিই নয় )
উত্তরঃ কোনোটিই নয়।
২৪. বাবরের আত্মজীবনী রচিত হয়—
( উর্দু ভাষায় / আরবি ভাষায় / তুর্কি ভাষায় / হিন্দি ভাষায়)।
উত্তরঃ তুর্কি ভাষায়।
২৫. কোনো কিছুর সঙ্গে সাদৃশ্য মিলিয়ে ছবি আঁকাকে বলে—
( মিনিয়েচার / ক্যালিগ্রাফি / তসভির / অনুচিত্র )
উত্তরঃ তসভির।
২৬. খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে প্রথম কাগজ আবিষ্কৃত হয়- (চিনে / জাপানে / গ্রিসে / ভারতে)।
উত্তরঃ চিনে।
২৭. ‘পদ্মাবতী’ কাব্যে কোন সুলতানের উল্লেখ রয়েছে ?
(কুতুবউদ্দিন আইবক / ইব্রাহিম লোদি / আলাউদ্দিন খলজি / মহম্মদ বিন তুঘলক)।
উত্তরঃ আলাউদ্দিন খলজি।
২৯. মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে নির্মিত একটি স্থাপত্য হল—
(জাম-ই-মসজিদ / বিবি-কা মকবরা / আলাই দরওয়াজা / কুয়াত-উল ইসলাম)।
উত্তরঃ বিবি-কা মকবরা
৩০. ‘মণিপুরি’ নাচের কুমিল পোশাক তৈরি করেন—
(ভীমসেন / চন্দ্রভান / ঈশ্বরদাস / ভাগ্যচন্দ্র)
উত্তরঃ ভাগ্যচন্দ্র।
৩১. ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন—
( রুপ গোস্বামী / বৃন্দাবন দাস / সনাতন গোস্বামী / কৃষ্ণদাস কবিরাজ)।
উত্তরঃ কৃষ্ণদাস কবিরাজ।
∆ বাম-ডান মেলানো—
১. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
| ‘ক’-স্তম্ভ | ‘খ’-স্তম্ভ |
| (ক) শাহজাহান | (১) তাঁতি |
| (খ) জোলা | (২) তাজমহল |
| (গ) আবুল ফজল | (৩) আকবরনামা |
| (ঘ) পির | (৪) বাবরনামা |
| (ঙ) বাবর | (৫) ধর্ম |
উত্তরঃ
(ক) শাহজাহান → (২) তাজমহল
(খ) জোলা → (১) তাঁতি
(গ) আবুল ফজল → (৩) আকবরনামা
(ঘ) পির → (৫) ধর্ম
(ঙ) বাবর → (৪) বাবরনামা
২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
| ‘ক’-স্তম্ভ | ‘খ’-স্তম্ভ |
| (ক) খানকা | (১) গোল গম্বুজ |
| (খ) আদিল শাহ | (২) আশ্রম |
| (গ) সুফি | (৩) গুরু |
| (ঘ) দেবগিরি | (৪) ধর্ম |
| (ঙ) দিন-ই-ইলাহি | (৫) মুহাম্মদ বিন তুঘলক |
উত্তরঃ
(ক) খানকা → (২) আশ্রম
(খ) আদিল শাহ → (১) গোল গম্বুজ
(গ) সুফি → (৩) গুরু
(ঘ) দেবগিরি → (৫) মুহাম্মদ বিন তুঘলক
(ঙ) দিন-ই-ইলাহি → (৪) ধর্ম
৩. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
| ‘ক’-স্তম্ভ | ‘খ’-স্তম্ভ |
| (ক) কুতুবমিনার | (১) নবরত্ন সভা |
| (খ) আদিনা মসজিদ | (২) কুতুবউদ্দিন কাকি |
| (গ) পিয়েত্রা দূরা শিল্পরীতি | (৩) আজমীর |
| (ঘ) দরবেশের বাসস্থান | (৪) জাহাঙ্গির |
| (ঙ) আমির খসরু | (৫) চূড়া |
উত্তরঃ
(ক) কুতুবমিনার – (২) কুতুবউদ্দিন কাকি
(খ) আদিনা মসজিদ – (৩) আজমীর
(গ) পিয়েত্রা দূরা শিল্পরীতি – (৪) জাহাঙ্গির
(ঘ) দরবেশের বাসস্থান – (৫) চূড়া
(ঙ) আমির খসরু – (১) নবরত্ন সভা
৪. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
| ‘ক’-স্তম্ভ | ‘খ’-স্তম্ভ |
| (ক) রূমী | (১) দিল্লির আলো |
| (খ) পাহাড়ি শিল্পরীতি | (২) জামাতখানা |
| (গ) তানসেন | (৩) কাংড়া |
| (ঘ) আড়াই দিন কা ঝোপড়া | (৪) পাঠুয়া |
| (ঙ) নাসিরউদ্দিন চিরাগ | (৫) জাহাঙ্গির |
উত্তরঃ
(ক) রূমী – (৪) পাঠুয়া
(খ) পাহাড়ি শিল্পরীতি – (৩) কাংড়া
(গ) তানসেন – (৫) জাহাঙ্গির
(ঘ) আড়াই দিন কা ঝোপড়া – (২) জামাতখানা
(ঙ) নাসিরউদ্দিন চিরাগ – (১) দিল্লির আলো
∆ বেমানান শব্দটি খুঁজে বার করো :
১. রামানন্দ, বাবর, কবীর, নানক।
উত্তরঃ বাবর।
রামানন্দ, বাবর, কবীর, নানক — তিনজন ভক্তি / ধর্মগুরু; বাবর- মুঘল সম্রাট।
২. আম, জাম, কলা, শাঁখারি।
উত্তরঃ শাঁখারি।
আম, জাম, কলা, শাঁখারি — তিনটি ফল; শাঁখারি- পেশাভিত্তিক সম্প্রদায়/জাতি।
৩. শ্রীচৈতন্য, শাঁখারি, মালাকার, গোয়ালা।
উত্তরঃ শ্রীচৈতন্য।
(শ্রীচৈতন্য, শাঁখারি, মালাকার, গোয়ালা — তিনটি পেশাভিত্তিক সম্প্রদায়; শ্রীচৈতন্য ধর্মপ্রচারক।)
৪. দিল্লি, কুতুবমিনার, আলাই দরওয়াজা, কুয়াত-উল ইসলাম।
উত্তরঃ দিল্লি।
(দিল্লি একটি নগরী। কুতুবমিনার, আলাই দরওয়াজা, কুয়াত-উল ইসলাম — তিনটি স্থাপনা/স্মারক)
৫. ঘি-মাখা ভাত, মুঘল, শাক, মুগের ডাল।
উত্তরঃ মুঘল।
(মুঘল একটি রাজবংশ। ঘি-মাখা ভাত, শাক, মুগের ডাল — তিনটি খাদ্য / খাবারের বস্তু।)
৬. ফুল, কথক, চন্দন কাঠ, ঘৃতকুমারী।
উত্তরঃ কথক।
(কথক একটি নৃত্যশৈলী / নৃত্যশিল্প। ফুল, চন্দন কাঠ, ঘৃতকুমারী — তিনটি উদ্ভিদ / উদ্ভিজ্জ বস্তু)
৭. ভারতনাট্যম, কথাকলি, ভাগ্যচন্দ্র, কথক।
উত্তরঃ ভাগ্যচন্দ্র।
(ভাগ্যচন্দ্র (রাজা) একজন ব্যক্তি, নৃত্যশৈলী নয়। ভারতনাট্যম, কথাকলি, কথক — তিনটি নৃত্যশৈলী)
৮. হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান, সুলতান।
উত্তরঃ সুলতান।
(হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান — প্রথম তিনটি ধর্ম / সম্প্রদায়; সুলতান শাসকের উপাধি।)
৯. মির সঈদ আলি, কথাকলি, আবদুস সামাদ, দসবন্ত।
উত্তরঃ কথাকলি।
(মির সঈদ আলি, আবদুস সামাদ, দসবন্ত — তিনজন মুঘল চিত্রশিল্পী; কথাকলি নৃত্যশৈলী।)
১০. রাম, হরি, হুমায়ুন, সাঁই।
উত্তরঃ হুমায়ুন।
(রাম, হরি, সাঁই — তিনটি ধর্মীয়/আধ্যাত্মিক সম্বোধন/নাম; হুমায়ুন মুঘল সম্রাট।)
📌 আরো দেখুনঃ
📌সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here
📌সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here
