Class 7 Bengali 2nd Unit Test Question Paper Set-1 wbbse | সপ্তম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট সেট-১

2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 7 (VII) WBBSE
BENGALI QUESTION PAPER

Set-1

Class 7 Bengali 2nd Unit Test Question Paper Set-1 wbbse | সপ্তম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট সেট-১

📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

সিলেবাস—

সাহিত্য মেলা : কার দৌড় কতদূর, নোট বই, মেঘ চোর, দুটি গানের জন্মকথা, কাজী নজরুলের গান, স্মৃতি চিহ্ন, চিরদিনের

মাকু : তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায়।

ব্যাকরণ : বাংলা বানান (২য় অধ্যায়), নানা রকম শব্দ (৩য় অধ্যায়), নির্মিতিঃ প্রবন্ধ রচনা / চিঠি।

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৫
সপ্তম শ্রেণি
বিষয় : বাংলা

পূর্ণমান-৫০                 সময় : ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট

১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো (যে-কোনো ৫টি) : ১x১২ = ১২

১.১ “দেবদূত মঞ্চ আলো করে দাঁড়িয়ে আছেন।”— এখানে ‘দেবদূত’ হলেন ? (কাজী নজরুল ইসলাম / নেতাজি / রামকুমার চট্টোপাধ্যায়)।

উত্তরঃ নেতাজি।

১.২ ‘তুমি একটা স্পাই।’— স্পাই শব্দের অর্থ হলো- (চোর / গোয়েন্দা / মেঘ চোর)।

উত্তরঃ গোয়েন্দা।

১.৩ ঠাকুমা গল্প শোনায়— ( নাতনিকে / নাতিকে / পাড়াপড়শিকে)।

উত্তরঃ নাতনিকে।

১.৪ বাংলা সাহিত্যে কিশোর কবি হলেন—
(দ্বিজেন্দ্রলাল রায় / সুকান্ত ভট্টাচার্য / জীবনানন্দ দাশ / সুকুমার রায়)।

উত্তরঃ সুকান্ত ভট্টাচার্য

১.৫ সঠিক বানানটি বেছে নিয়ে লেখো— (সংশোধন / সম্বোধন / সম্বধন)।

উত্তরঃ সম্বোধন।

১.৬ ‘পঙ্কজ’—কী ধরনের শব্দ ? (যৌগিক / রুঢ় / যোগরূঢ়)।

উত্তরঃ (গ) যোগরূঢ়

১.৭ বিপরীতার্থক শব্দদ্বৈতের উদাহরণ কোনটি ? ( বাড়িঘর / অল্পবিস্তর / ধারেকাছে)।

উত্তরঃ অল্পবিস্তর।

১.৮ মিনিটে মিনিটে গোল দিল জার্মানি।– ‘মিনিটে মিনিটে’ শব্দদ্বৈতটি ব্যবহৃত হয়েছে– (নিয়মিত অর্থে / দ্রুত অর্থে / বহুলতা বোঝাতে / গভীরতা বোঝাতে)।

উত্তরঃ দ্রুত অর্থে।

১.৯ ‘মাথাটা কেমন ঝিম্ ঝিম্ করছে।’- চিহ্নিত শব্দটি কী ধরনের ধ্বন্যাত্মক শব্দ ?
( ভাবপ্রকাশক / ভয়প্রকাশক / ব্যাধিপ্রকাশক / ক্ষোভপ্রকাশক)।

উত্তরঃ ভাবপ্রকাশক

১.১০ শব্দের কোন্ বানানটি সঠিক ? (প্রানাম / প্রণাম / প্রানম / প্রাণাম)।

উত্তরঃ প্রণাম

১.১১ ‘ছমছম’ শব্দটি হল—(যৌগিক শব্দ / রুঢ় শব্দ / যোগরুঢ় শব্দ / ধ্বন্যাত্মক শব্দ)।

উত্তরঃ ধ্বন্যাত্মক শব্দ

১.১২ ‘দুমদাম’ এটি কি ধরনের শব্দ— (ধ্বন্যাত্মক শব্দ / অনুকার শব্দ / শব্দদ্বৈত)।

উত্তরঃ অনুকার শব্দ।

২। একটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো ৫টি) : ১×১২ = ১২

২.১ ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পুরন্দর কর্তৃক সৃষ্ট অ্যালয়টি কী দিয়ে তৈরি ?

উত্তরঃ মার্কারি বা পারদের সঙ্গে আরও ১১ টি ধাতু মিশিয়ে পুরন্দর চৌধুরী অ্যালয়টি তৈরি করেছিলেন।

২.২ ‘জনগণমন-অধিনায়ক’—গানটি প্রথম কোথায় গাওয়া হয়েছিল ?

উত্তরঃ ‘জনগণমন-অধিনায়ক’ গানটি ‘ভারতের জাতীয় কংগ্রেস’-এর ২৬তম বার্ষিক অধিবেশন উপলক্ষে প্রথম গাওয়া হয়েছিল।

২.৩ লেখক ইস্কুলে যাওয়ার সময় কোথায় ভিড় দেখেছিলেন ?

উত্তরঃ লেখক হেদো পার্কের কাছে ভিড় দেখেছিলেন।

২.৪ আইনস্টাইন ছিলেন কোন শতাব্দীর মানুষ ?

উত্তরঃ আইনস্টাইন ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর মানুষ।

২.৫ স্মৃতিচিহ্ন কবিতাটি কামিনী রায়ের কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ?

উত্তরঃ স্মৃতিচিহ্ন কবিতাটি কামিনী রায়ের ‘আলোক সংগীত’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

২.৬ ভালো কথা শুনলে কবিতার লোকটি কী করে ?

উত্তরঃ ভালো কোন কথা শুনলে লোকটি সঙ্গে সঙ্গে তার নোট বইতে লিখে রাখে।

২.৭ কিষানপাড়া নীরব কেন ?

উত্তরঃ কিষানপাড়ার নীরবতার কারণ পচা জল আর মশার অহংকার।

২.৮ ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতাটি কার রচনা ?

উত্তরঃ ‘স্মৃতিচিহ্ন’ কবিতাটি কামিনী রায়ের রচনা।

২.৯ হোটেলে সোনা ও টিয়া কী কী খেয়েছিল ?

উত্তরঃ হোটেলে সোনা ও টিয়া রুটি আর সুরুয়া খেয়েছিল।

২.১০ পরিদের রানির পরনে কী রঙের পোশাক ছিল ?

উত্তরঃ পরিদের রানির পরনে গোলাপি রঙের পোশাক ছিল।

২.১১ কে হোটেলওয়ালাকে দাড়ি গোঁফ সরবরাহ করতো ?

উত্তরঃ ঘড়িওয়ালা হোটেলওয়ালাকে দাড়ি গোঁফ সরবরাহ করত।

২.১২ হোটেলওয়ালা কী দিয়ে সুরুয়া রান্না করে ?

উত্তরঃ হোটেলওয়ালা তার দাড়ি-গোঁফ দিয়ে সুরুয়া রান্না করে।

৩. কমবেশি ছ-টি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো তিনটি) : ৩×৬ = ১৮

৩.১ ব্যাখ্যা করো : “সবুজ ফসলের সুবর্ণযুগ আসে”।

উত্তরঃ উত্তরঃ উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত চিরদিনের কবিতা থেকে।

১৩৫০ সালে দুর্ভিক্ষের দিনে মানুষের কি অসহায় অবস্থা হয়েছিল সেই গল্পের কথা বলা হয়েছে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পর আবার নতুন করে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা শুরু হয়। চারিদিকে দেখা যায় প্রাণের স্পন্দন। পরিশ্রমি গ্রামের কৃষক, তাঁতি, জেলে দুর্ভিক্ষের কষাঘাতকে অগ্রাহ্য করে দৈন্দিন কাজে মেতে ওঠে। তারা তারা পাখির ডাকে ঘুম থেকে উঠে সারাটা দুপুর ধরে কাজ করে। অবশেষে পরিশ্রমের ফল দেখা দেয়। কৃষক-বধূ জল আনতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায় পথে। তার চোখে পড়ে মাঠ ভরে গেছে সবুজ কচি ধানে, ভবিষ্যতের সুদিনের স্বপ্ন দেখে সে।

৩.২ “ওরা ভেবেছিল মনে……”— উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? এখানে ‘ওরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? তারা কী ভেবেছিল ?

উত্তরঃ স্মৃতিচিহ্ন কবিতায় কবি ‘ওরা’ বলতে অর্থ-প্রতিপত্তি সম্পন্ন মানুষদের কথা বুঝিয়েছেন।

আলোচ্য পাঠ্যাংশে ‘ওরা’ বলতে অর্থ-প্রতিপত্তি সম্পন্ন মানুষদের কথা বোঝানো হয়েছে।

তারা ভেবেছিল তাদের তৈরি করা সৌধের মাধ্যমে মানুষ তাদের চিরকাল মনে রাখবে।

৩.৩ ‘পৃথিবীতে জল যেমন আছে তেমনই থাকুক’— কে, কখন, কেন এই কথা বলেছে ? ৩

উত্তরঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মেঘ-চোর গল্পে পুরন্দর চৌধুরি একজন পৃথিবী বিখ্যাত বৃষ্টিবিজ্ঞানী। এক আবহাওয়া বিজ্ঞানী তাঁকে যে অপমান করেছিল, সেই অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পৃথিবীর একটি হ্রদের বরফকে তিনি বাষ্পের মেঘ করতএ চেয়েছিলেন। তাঁর সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন এক ঠান্ডা মাথার বুদ্ধিমতী মেয়ে অসীমা। সে প্রকৃতির বিরুদ্ধে যেতে চায়নি। তাই পুরন্দরের তৈরি অ্যালয় বলটি মহাশূন্যে নিরাপদে রেখে দিয়ে সে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছে।

৩.৪ ‘মনের দৌড়ে মানুষ চ্যাম্পিয়ন’– এমন কয়েকজন মানুষের কথা লেখো যাদের শারীরিক অসুবিধা থাকলেও মনের দৌড়ে সত্যিই তারা প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছেন।

উত্তরঃ শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত কারদৌড় কতদূর প্রবন্ধে গৃহীত বাকাংটি আমরা পাই। পৃথিবীতে কিছু মানুষ ছিলেন যারা শারীরিক সমস্যাকে জয় করে দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।

মনের দৌড়ে চ্যাম্পিয়ান এমন কয়েকজন মানুষ হলেন- স্টিফেন হকিং যিনি সম্পুর্ণ অথর্ব হওয়া সত্ত্বেও একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, হেলেন কেলার যিনি অন্ধ ও বধির হওয়া সত্ত্বেও সমাজসেবামূলক কাজে বিশ্বখ্যাতা। গ্রিক কবি হোমার ছিলেন অন্ধ অথচ তার রচিত দুই মহাকাব্য ‘ইলিয়াড’ ও ‘ওডিসি’ তাকে এনে দিয়েছিল বিশ্বখ্যাতি। একইভাবে বিথোফেন, ভ্যান গখ, সুধাচন্দ্রন, মাসুদুর রহমানের নাম করা যেতে পারে।

৩.৫ মাকু গল্পে জঙ্গলের পাতা ফাঁদগুলি কেমন তার বিবরণ দাও।

উত্তরঃ লীলা মজুমদার রচিত মাকু গল্পে জঙ্গলে বাঘ ধরার জন্য ফাঁদ পাতা কয়েকটি পুরোনো গর্ত আছে। সেইগুলি বাঘ ধরার ফাঁদ না শুয়োর ধরার তা বলা যায় না। ফাঁদগুলি বহুদিনের পুরোনো। মাটিতে দু-মানুষ গভীর গর্ত, তার উপরটা লতাপাতাতে ঢেকে গিয়ে বুজে গেছে। কিন্তু তার উপর একবার পা পড়লে লোকজন বা জন্তুজানোয়ার তার ভেতরে গিয়ে পড়বে। তাই সেখানে ফাঁদ পাতা আছে। হোটেলওয়ালা সেখানে একটা বাঁশের খুঁটি পুঁতে রেখেছে যাতে লোকজন দেখতে পেয়ে সাবধান হয়।

৩.৬ হোটেলওয়ালা কী কারণে সুরুয়াতে দাঁড়ি গোঁফ ফেলে দিয়ে রান্না করে ?

উত্তরঃ লীলা মজুমদার রচিত গল্পে আমরা হোটেলওয়ালা একজন মানুষের পরিচয় পায়। হোটেল ওয়ালার কাছ থেকে সুরুয়া রান্নার এক চমৎকার বিবরণ পাওয়া যায়।

আগে হোটেলওয়ালার রান্না সুরুয়া মুখে দিলেই লোকে ওয়াক-থু বলে ফেলে দিত আর পয়সা ফেরত চাইত। তারপর আচমকা একদিন তার দাড়িগোঁফ খুলে সুরুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে রান্না হয়ে গেল। আর সেদিন সবাই সুরুয়া খেয়ে সুখ্যাতি করতে লাগল। সেই থেকে হোটেলওয়ালা রান্নার সময় দাড়িগোঁফ সুরুয়াতে ফেলে দিয়ে রাঁধে।

৪. যে-কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো : ৮x১ = ৮

৪.১ পরিবেশ রক্ষায় ছাত্র সমাজের ভূমিকা।
৪.২ একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
৪.৩ তোমার দেখা একটি মেলার বর্ণনা।

উত্তরঃ

৪.১ পরিবেশ রক্ষায় ছাত্র সমাজের ভূমিকা।

ভূমিকাঃ উদ্ভিদ ও জীবজগৎ-সহ যে প্রাকৃতিক ঘেরের মধ্যে আমরা বাস করি, তা-ই হল পরিবেশ। প্রাকৃতিক নিয়মে এই পরিবেশের মধ্যে যুগ যুগ ধরে ভারসাম্য রক্ষিত হয়ে আসছে বলে জীবকুল আজও পৃথিবীতে সুস্থ- স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারছে। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্যরক্ষার একটি অনিবার্য সম্পর্ক রয়েছে।

আধুনিক যন্ত্রসভ্যতা ও পরিবেশের ভারসাম্যঃ আধুনিক যন্ত্রসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্যে সংকটের সূচনা ঘটেছে। জীবনযাপনের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আমরা হাতের কাছে পেয়েছি অজস্র উপকরণ, গড়ে উঠেছে বড়ো বড়ো কলকারখানা। দ্রুতগামী যানবাহন থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক কম্পিউটার—সবই আজ আমাদের হাতে। মানুষ জেনেছে পারমাণবিক মহাশক্তির রহস্য। কিন্তু এসবের জন্য আমরা অবহেলা করেছি পরিবেশকে। যত বেশি আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে উল্লসিত হয়েছি তার থেকে অনেক কম মনোযোগ দিয়েছি পরিবেশের ভারসাম্যের দিকে।

ভারসাম্যের সংকটঃ বাতাসে, জলে, মাটিতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক দূষণ। অজস্র যানবাহন আর কলকারখানা থেকে প্রতি মুহূর্তে বের হচ্ছে বিষাক্ত ধোঁয়া। বনজঙ্গল কেটে নগরায়ণ করতে গিয়ে এবং শিল্পের প্রসার ঘটাতে গিয়ে কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও সালফার ডাইঅক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসে ভরে গেছে বাতাস। রাসায়নিক সার, কীটনাশক ওষুধ এবং কলকারখানা থেকে যে বর্জ্য পদার্থ বের হচ্ছে, তা থেকে দূষিত হচ্ছে নদী, সমুদ্র ও ভূগর্ভের জল; দূষিত হচ্ছে মাটি। শব্দদানবতো আজকের যুগের একটি বড়ো সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। যানবাহনের শব্দ, বাজি ও মাইকের আওয়াজে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। পরিবেশের এই ভারসাম্যহীনতায় একদিকে যেমন দেখা দিচ্ছে অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি, অন্যদিকে নানা অসুখবিসুখ ।

ভারসাম্যরক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকাঃ পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ভারসাম্যরক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও বনসংরক্ষণ খুবই জরুরি। ছাত্রছাত্রীরা পরিকল্পিতভাবে রাস্তার ধারে, বিদ্যালয়ে কিংবা পোড়ো জমিতে বৃক্ষ রোপণ করতে পারে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কিংবা জল ও বাতাসকে যথাসম্ভব বিশুদ্ধ রাখার জন্য তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এর জন্য তারা আলোচনা সভা, পথ-নাটিকা প্রভৃতির আয়োজন করতে পারে।

উপসংহারঃ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটা সুস্থ পরিবেশ খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের একটি গুরুদায়িত্ব রয়েছে। তারা বয়সের ব তরুণ, তাদের দেহে-মনে আছে অদম্য প্রাণশক্তি। যারা আজকের ছাত্রছাত্রী, ভবিষ্যতে তারাই হবে দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক।

৪.৩ আমার দেখা একটি মেলা

ভূমিকাঃ মেলা শব্দটি শােনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনে আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আক্ষরিকভাবে মেলা শব্দের অর্থ হলাে ‘মিলন’। মেলায় পরিচিতজনদের সঙ্গে দেখা হয় এবং ভাববিনিময় হয়। একের সঙ্গে অন্যের সংযােগ ঘটে মেলায়। আমাদের সংস্কৃতিতে মেলার গুরুত্ব অসীম। মেলার প্রচলন । অতি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে মেলার প্রচলন ছিল। তবে তখন মেলার আয়ােজন হতাে সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানে এবং বৃহৎ পরিসরে। বর্তমানে দেশের প্রায় সব স্থানেই মেলা হয়। কোনাে কোনােটির আয়ােজন অনেক বড়, আবার কোনােটির ক্ষুদ্র। তবে মেলার আনন্দ এখন আগের মতােই রয়েছে।

মেলার বর্ণনাঃ বাবা মার হাত ধরে জীবনে অনেক মেলাতেই যাওয়ার সুযোগ ঘটেছে আমার। নানা ধরনের মেলায় গিয়ে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি আমি। কিন্তু আমার মনের মধ্যে চিরস্থায়ী হয়ে আছে আমার গ্রামের বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া মেলাটি, দা-বঁটি, কোদাল, ধামা-কুলো-টুকরি, গোরুর গাড়ির চাকা, বারকোশ-লাঙল, তাঁতের বোনা কাপড়, চাদর, জানালার পর্দা, রকমারি মাটির আর কাঠের তৈরি পুতুল, মাটির নানাধরেনর পাত্র, বেলোয়ারি জিনিস, মনোহারী দ্রব্য, ফটো, সোনার রঙে জল করা গহনা, কাঁসা, পেতল, অ্যালুমিনিয়াম, স্টেনলেস স্টীলের থালাবাসন, গ্রামীণ হস্তশিল্প থেকে কারখানায় তৈরি দ্রব্যাদি কী নেই। প্রতিটি দোকানের সামনে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। রাস্তার ধারে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এই মেলা বসে। বিজয় দশমীতে ইচ্ছামতী নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের ভিড়ে শামিল । সন্ধ্যা নামে, মেলায় আসা মানুষগুলোও ঘরে ফেরে।

মেলার প্রয়োজনীয়তাঃ আমার আমার গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিজীবি বা মৎস্যজীবি-মুসলমানের মিলিত বাস এই গ্রামে সবাই মেলার আনন্দের ভাগীদার হয়, কত মানুষের উপার্জনের পথ তৈরি করে দেয় এই রিক্সাভ্যানওয়ালা মানুষ নিয়ে আসে বা নৌকার মাঝি – উপার্জন হয় তাদেরও। তবুও সবথেকে বেশি করে এ মেলা আনন্দের এ মেলা মিলনের।

উপসংহারঃ শহর কলকাতার উৎসবের উন্মাদনাকে পিছনে ফেলে বাবার সঙ্গে আমি যে প্রতি পুজোয় আমার গ্রাম উত্তর ২৪ পরগণার সৈদপুরে চলে যাই, সে যেমন শিশিরভেজা মাটি আর শিউলির গন্ধ নেওয়ার জন্য, তেমনই দশমীর দিন মেলার বাদামভাজা আর গরম জিলিপি জীবনের উন্নতাকেই আমার কাছে পৌঁছে দেয়।

📌আরও পড়ুনঃ

📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:9 mins read