THIRD SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 6 (VI) WBBSE
HISTORY QUESTION PAPER
Class 6 History 3rd Unit Test Question Paper Set-1 wbbse | ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস তৃতীয় ইউনিট প্রশ্নপত্র সেট-১
📌ষষ্ঠ শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
বিঃ দ্রঃ নিম্নে প্রদত্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্নপত্রটি হাজার নোটস ডট কম এর নিজস্ব প্রশ্নপত্র নয়। বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করা প্রশ্নপত্র। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত সিলেবাস ও নম্বর বিভাজন অনুযায়ী প্রশ্ন না মিললে ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
Set-1
তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
ষষ্ঠ শ্রেণি
বিষয় : ইতিহাস
পূর্ণমান : ৭০ সময় : ২.৩০ মিনিট
১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো: 1×10=10
১.১ মিশরের শাসকদের বলা হত- (পলিস / ফ্যারাও / সম্রাট)।
১.২ জৈনরা গণিত বিজ্ঞানকে বলত- (সংখ্যায়ন / পঞ্চসিদ্ধান্তিকা / মহাভাষ্য)।
১.৩ পঞ্চমবেদ বলা হয়- (রামায়ণকে / মহাভারতকে / পুরাণকে)।
১.৪ নন্দবংশের শেষ রাজা কে ছিলেন- (ধননন্দ / বৃহদ্রথ / শশাঙ্ক)।
১.৫ ‘মৃচ্ছকটিকম’ এর রচয়িতা হলেন- (শূদ্রক / কম্বন / দন্ডী)।
১.৬ দক্ষিণ ভারতে সমুদ্রগুপ্ত কতজন রাজাকে হারিয়ে ছিলেন – (দশজন / এগারোজন / বারোজন)।
১.৭ সাতবাহন রাজা – (হাল / সিমুক / সাতকর্ণী) গাথাসপ্তশতি রচনা করেন।
১.৮ সুর করে গানের মতো গাওয়া হতো- (ঋকবেদ / সামবেদ / অর্থববেদ)।
১.৯ তামিলনাডুর- (কাবেরীপট্টনম / নেগপট্টনম / চেন্নাই) বন্দরে দূর পাল্লার বাণিজ্য চলত।
১.১০ (খরোষ্ঠী / উর্দু / ব্রাহ্মী) – লেখা হত বাঁদিক থেকে ডান দিকে।
২। শূন্যস্থান পূরণ করঃ 1×5=5
(ক) মহাভারতের আদি নাম ____________ ।
(খ) _____________ ছিলেন রাজা বিম্বিসারের রাজবৈদ্য।
(গ) ‘পঞ্চতন্ত্র’ গল্পের লেখক হলেন _____________ ।
(ঘ) ব্যাবিলনের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন _____________।
(ঙ) ‘মিলিন্দপনহো’ _____________ এর লেখা।
৩। নীচের বাক্যগুলি কোনটি ঠিক কোনটি ভুল লেখো : 1×5=5
(ক) কম্বনের রামায়নে রামকে বড়ো করে দেখানো হয়েছে।
(খ) কুষাণ আমলে গান্ধার শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল।
(গ) দমঅর্ত উপাধি নেন কণিষ্ক।
(ঘ) প্রথম কাগজ বানানোর কৌশল আবিষ্কৃত হয় রোমে।
(ঙ) প্রথম দরায়বৌষের লেখতে ‘হিদুষ’ শব্দটি পাওয়া যায়।
৪। বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো : 1×5=5
(ক) আলেকজান্ডার, সেলিউকাস, কণিষ্ক, মিনান্দার।
(খ) ভৃগুকচ্ছ, কল্যাণ, সোপারা, তাম্রলিপ্ত।
(গ) নালন্দা, তক্ষশিলা, বলভী, পাটলিপুত্র।
(ঘ) রত্নাবলী, মৃচ্ছকটিকম, অর্থশাস্ত্র, অভিজ্ঞান শকুন্তলম।
(ঙ) সিরিয়া, মিশর, ম্যাসিডন, সাকল।
৫। ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো : 1×5=5
ক-স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ |
(ক) মহাবলীপুরম | (i) অমর সিংহ |
(খ) গণিতবিদ | (ii) গুহাচিত্র |
(গ) অমরকোষ | (iii) তামিলমহাকাব্য |
(ঘ) মনিমেখলাই | (iv) নার্গাজুন |
(ঙ) অজন্তা | (v) রথের মত মন্দির |
৬। এক কথায় উত্তর দাও 10টি : 1×10=10
৬.১ ‘পুরাণ’ শব্দের অর্থ কী ?
৬.২ ‘বুদ্ধচরিত’ কার লেখা ?
৬.৩ বিশাখদত্তের লেখা দুটি নাটকের নাম লেখ।
৬.৪ মোগলমারি বৌদ্ধবিহার কোথায় অবস্থিত ?
৬.৫ মিশরীয় লিপিকে কী বলা হত?”
৬.৬ চীন সভ্যতা কোন কোন নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল ?
৬.৭ ‘স্যাট্রাপি’ কথার অর্থ কী ?
৬.৮ গন্ডোফারনেস কী উপাধি গ্রহণ করেছিলেন ?
৬.৯ ‘যবনিকা’ কী ?
৬.১০ সুয়াং জাং কার আমলে ভারতে আসেন ?
৬.১১ মেসোপটেমিয়া কথার অর্থ কী ?
৬.১২ মেহরৌলির লোহার স্তম্ভ কোথায় অবস্থিত ?
৭। যে কোন 4টি প্রশ্নের উত্তর দাও: 3×4=12
(ক) মেগাস্থিনিসের ‘সপ্তজাতিতত্ত্ব’ কী ?
(খ) তামিল সাহিত্যকে সঙ্গম সাহিত্য বলা হয় কেন ?
(গ) টীকাঃ বন্দর নগর তাম্রলিপ্ত।
(ঘ) কুমারজীব কে ছিলেন ? তার সম্পর্কে লেখ।
(ঙ) তক্ষশীলা মহাবিহার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
(চ) টীকাঃ চন্দ্রকেতুগড়।
৮। যে কোন ৩টি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৬x৩=১৮
(ক) প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে জলসেচ ব্যবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা করো।
উত্তরঃ প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে কৃষিকাজের উন্নতির জন্য ভালো সেচব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল। শাসক ও ধনী ব্যক্তিরা এই কাজে উদ্যোগ নিতেন। নদীর জল ক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেচ প্রকল্প তৈরি হতো, যাকে সেতু বলা হত। সেতু ছিল দুই রকম— প্রাকৃতিক উৎসভিত্তিক এবং কৃত্রিম উপায়ে আনা জলভিত্তিক। কৃষকদের এই জল ব্যবহারের জন্য জলকর দিতে হত। কূপ ও জলাশয় খননকে শুভকর্ম মনে করা হত। সেচের জন্য চাকাভিত্তিক যন্ত্রও ব্যবহার করা হতো।
গুপ্ত আমলে কৃষি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচের উন্নতি হয়েছিল। গ্রামের পুকুর, তড়াগ খোঁড়ার কথাও শিলালিপি থেকে জানা যায়। রাজাদের পাশাপাশি ধনী ব্যক্তিরাও সেচব্যবস্থা গড়ে তুলতেন। রাজকীয় উদ্যোগে নির্মিত সুদর্শন হ্রদ ছিল একটি বিখ্যাত প্রকল্প। এটি মৌর্য আমলে তৈরি হয়, অশোক খাল যোগ করেন, রুদ্রদামন সংস্কার করেন এবং পরে গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্তও তা মেরামত করেন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতক পর্যন্ত এর ব্যবহার চলেছিল।
(খ) মৌর্য আমলের শিল্পচর্চা সম্পর্কে লেখো।
উত্তরঃ প্রাচীন ভারতীয় শিল্পকলার ইতিহাসে মৌর্য যুগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় শিল্পকলায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
মৌর্য রাজপ্রাসাদ : মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রাসাদ তার স্থপতিদের দক্ষতার পরিচয় দেয়। ধ্বংসাবশেষ থেকে জানা যায়, এখানে ৮০টি স্তম্ভসহ একটি বড় হলঘর ছিল।
স্তূপ : বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সমাধির উপর তৈরি স্থাপনাকে স্তূপ বলা হয়। অশোক অসংখ্য স্তূপ তৈরি করেন। এর মধ্যে সাঁচী, অমরাবতী ও ধর্মরাজিকা স্তূপ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
চৈত্য : বৌদ্ধ ভক্তদের উপাসনার জন্য নির্মিত স্থানকে চৈত্য বলা হয়। বিহারের বরাবর পাহাড়ে অশোকের সময়কার চৈত্য আজও দেখা যায়।
স্তম্ভ : মৌর্য শিল্পকলার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলো অশোকস্তম্ভ। এগুলি পাথরে তৈরি হত। স্তম্ভের নিচে থাকত পদ্মফুল এবং ওপরে থাকত প্রাণীর মূর্তি (সিংহ, ঘোড়া, ষাঁড় বা হাতি)। বিহারের বৈশালী ও রামপূর্বা, উত্তরপ্রদেশের সারনাথ ও মধ্যপ্রদেশের সাঁচীতে এর নিদর্শন পাওয়া যায়।
(গ) প্রাচীন ভারতে চিকিৎসা ব্যবস্থার বিবরণ দাও।
(ঘ) ‘স্তূপ-চৈত্য-বিহার’ সম্পর্কে বিবরণ দাও।
(ঙ) গান্ধার শিল্পের পরিচয় দাও।
📌আরও দেখুনঃ
📌ষষ্ঠ শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌ষষ্ঠ শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here