THIRD SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 5 (V) WBBSE
BENGALI QUESTION PAPER
Class 5 Bengali 3rd Unit Test Question Paper Set-3 wbbse | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা তৃতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-৩
📌পঞ্চম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
Set-3
তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
পঞ্চম শ্রেণি
বিষয় : বাংলা
পূর্ণমান : ৫০ সময় : ১.৩০ মিনিট
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে পূর্ণবাক্যে উত্তর লেখো : ১×১১=১১
১.১ মাস্টারদা সূর্য সেনের আদর্শ পুরুষ ছিলেন- (রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ / ঋষি অরবিন্দ / চিত্তরঞ্জন)।
উত্তরঃ রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ।
১.২ নদীর জলে নাকানিচোবানি খেলে ঘুড়ির বুকের- (কাঁপকাঠি / জালকাঠি / বাঁশকাঠি) ছিটকে যেতে পারে।
উত্তরঃ কাঁপকাঠি।
১.৩ ভাদ্রের শেষে- (আমন / বোরো / আউস) ধান চাষিদের ঘরে ওঠে।
উত্তরঃ আউস।
১.৪ রাস্তা হোক না- (চড়াই-ভাঙা / উঁচু-নীচু / গর্তে ভরা)।
উত্তরঃ চড়াই-ভাঙা।
১.৫ ‘যেই না তাকে ধরতে যাব’— যাকে ধরতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে সে হল— (আরশোলা / কাঠবেড়ালি / খরগোশ)।
উত্তরঃ কাঠবেড়ালি।
১.৬ ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ কবিতাটি- (আবোল তাবোল / ঝালাপালা / পাগলাদাশু) থেকে নেওয়া হয়েছে।
উত্তরঃ আবোল তাবোল।
১.৭ ‘শক্তিশালী’ শব্দটি একটি (বিশেষ্য / বিশেষণ / সর্বনাম) পদ।
উত্তরঃ বিশেষণ।
১.৮ ‘আগ্রহ’ শব্দের বিপরীত শব্দ হল- (অনাগ্রহ / আগ্রহহীন / বিনা-আগ্রহ)।
উত্তরঃ অনাগ্রহ।
১.৯ ‘আমায় একটু জায়গা দাও’— ‘আমায়’ শব্দটি (প্রথম পুরুষ / মধ্যম পুরুষ / উত্তম পুরুষ)।
উত্তরঃ উত্তম পুরুষ।
১.১০ ‘একাল’ শব্দের পাশে যে শব্দটি বসালে যথার্থ হয় তা হল- (ওকাল / সেকাল / এপার)।
উত্তরঃ সেকাল।
১.১১ ‘আকাশ’ শব্দের সমার্থক শব্দ হল-(গগন / মেঘ / ধরণী)।
উত্তরঃ গগন।
২। দু-এক কথায় অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১×১১=১১
২.১ মাস্টারদা সূর্য সেন রবীন্দ্রনাথকে কোন্ উপাধি দিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ মাস্টারদা সূর্য সেন রবীন্দ্রনাথকে ‘কবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ’ উপাধি দিয়েছিলেন।
২.২ ‘কিন্তু একদিন উৎসব আসেই’- কোন্ উৎসবের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘আকাশের দুই বন্ধু’ গল্পে নির্দিষ্ট করে কোন উৎসবের কথা বলা হয়নি। সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজো সরস্বতী পুজো এবং পৌষ পার্বণের দিন ঘুড়ি উড়ানো হয়।
২.৩ ‘চুনি’ কার ছেলে ?
উত্তরঃ গ্রামের এক সম্পন্ন গৃহস্থ শিবু বাঁড়ুজ্যের ছেলে হল চুনি।
২.৪ কোন্ ঋতুতে সাধারণত আকাশে ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না ?
উত্তরঃ শীত ঋতুতে সাধারণত আকাশে ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না ।
২.৫ শঙ্খ ঘোষের প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি ?
উত্তরঃ শঙ্খ ঘোষের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘দিনগুলি রাতগুলি’।
২.৬ সুকুমার রায়ের বাবার নাম কী ?
উত্তরঃ সুকুমার রায়ের বাবার নাম ছিল উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।
২. আপনারা কোথা থেকে আসছেন ? বাক্যমধ্যস্থ মধ্যম পুরুষ নির্দেশক পদটি চিহ্নিত করো।
উত্তরঃ মধ্যম পুরুষ নির্দেশক পদ– আপনারা।
২.৮ এলোমেলো শব্দটি সাজিয়ে লেখো- অ ম স্ক ন ন্য
উত্তরঃ অন্যমনস্ক।
২.৯ বিপরীত শব্দটি লেখো : ‘পুণ্য’
উত্তরঃ ‘পুণ্য’-এর বিপরীত শব্দ হল ‘পাপ’
২.১০ নিম্নলিখিত শব্দগুলিকে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ হিসেবে পৃথক করো : মুক্তি, রঙিন, সুখ, গম্ভীর।
উত্তরঃ
বিশেষ্য পদ → মুক্তি, সুখ।
বিশেষণ পদ → রঙিন, গম্ভীর।
২.১১ কোনটি কোন্ প্রকারের বাক্য তা উল্লেখ করো :
(ক) মনে মনে বলব, বাঃ!
উত্তরঃ এটি বিস্ময়সূচক বাক্য।
(খ) খাবার চাইছে মায়ের কাছে।
উত্তরঃ এই বাক্যটি একটি সরল বাক্য।
৩। সংক্ষেপে উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : ২×২=৪
৩.১ “তাঁকে সবাই মাস্টারদা বলে ডাকে।”- কাকে সবাই ‘মাস্টারদা’ বলে ডাকে ? তিনি কোন্ বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন ? ১+১
উত্তরঃ অশোক কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত ‘মাস্টারদা’ গল্পে সূর্যকুমার সেনকে সবাই ‘মাস্টারদা’ বলে ডাকে। তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
৩.২ ‘কিন্তু তার পথ চাওয়াই সার হলো’- কীসের আশায় কে পথ চেয়েছিল ?
উত্তরঃ গোপাল পরিবারে ঘটে যাওয়া অবিচার দেখে বাড়ি থেকে চলে আসে এবং পরে তার আশা ছিল যে তার পরিবারের কেউ তাকে দেখতে আসবে বা তার খোঁজ নেবে, কিন্তু তা হয় না। সে তার বাড়িতে ফিরে সবার পথ চেয়ে বসে থাকে।
৩.৩ ‘তার পরেই সেই আশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেল’- আশ্চর্য ঘটনাটি কী ?
উত্তরঃ শৈলেন ঘোষের ‘আকাশের দুই বন্ধু’ গল্পে পেটকাটা ও চাঁদিয়াল- এই দুই বন্ধু সত্যি সত্যি শুতো থেকে একসঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে আকাশে ভেসে বেড়ানোকে আশ্চর্য ঘটনা বলা হয়েছে।
৪। সংক্ষেপে উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : ২×২=৪
৪.১ “মিষ্টি সবার চাইতে”- কোন্ দ্রব্য কীভাবে খেলে সবচেয়ে মিষ্টি হয় ?
উত্তরঃ আখের রসকে কখনোই সহজে লাভ করা যায় না। বহু কষ্ট করে আখকে চিবোলে তবেই সেই রস সহজে লাভ করা যায়। তাই আখকে কবির ‘মিষ্টি সবার চাইতে’ বলে মনে হয়েছে।
৪.২ ‘মস্ত আশীর্বাদের মতো’- আশীর্বাদের মতো মাথার ওপর কী ঝরে ? একে আশীর্বাদের সঙ্গে তুলনা করার কারণ কী ? ১+১
উত্তরঃ ‘মস্ত আশীর্বাদের মতো’ মাথার উপর গাছের পাতা ঝরে। একে আশীর্বাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কারণ গাছের পাতা ঝরে পড়া প্রকৃতির এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যা একলা মনের কোণে এক ধরণের শান্তি এবং আনন্দ এনে দেয়।
৪.৩ বোম্বাগড়ের প্রজারা সর্দি হলে কী করে ? তারা জোছনারাতে কোন্ অস্বাভাবিক কাজটি করে ?
উত্তরঃ বোম্বাগড়ের প্রজারা সর্দি হলে ডিগবাজি খেতে শুরু করে। আর জোছনারাতে তারা চোখে আলতা মাখে, যা একেবারেই অস্বাভাবিক ও উদ্ভট কাজ। সবকিছুই সেখানে হাস্যকর ও অদ্ভুত।
৫। যে-কোনো একটি প্রশ্নের বিশদে উত্তর দাও : ৫×১=৫
৫.১ মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ছেলের দল কীভাবে চট্টগ্রামকে ইংরেজশাসন থেকে মুক্ত করেছিল ? ৫
উত্তরঃ অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘মাস্টারদা’ গল্পে বর্ণিত হয়েছে কীভাবে সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের তরুণরা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিল। মাস্টারদার পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ইংরেজ পুলিশের গোলাবারুদের ভান্ডার দখল করে নেয় এবং সেখানে আগুন লাগিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, তারা টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসেও অগ্নিসংযোগ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলে। ট্রেন চলাচল রোধ করতে ছেলেরা দু’জায়গায় রেলের লাইন ভেঙে ফেলে ও একটি মালগাড়ি উল্টে দেয়। এর ফলে ইংরেজদের সাহায্য আসা বন্ধ হয়ে যায়। ইংরেজ পুলিশ ঘাঁটিতে উড়তে থাকা ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে তারা স্বাধীন ভারতের পতাকা ওড়ায়। তাদের এই অভূতপূর্ব আন্দোলনের ফলে চট্টগ্রাম তিন দিনের জন্য হলেও ব্রিটিশ শাসনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ আন্দোলন শুধু ইংরেজদের বড়ো ধাক্কা দিয়েছিল না, সারা দেশেও নতুন করে স্বাধীনতার লড়াইয়ের সাহস জুগিয়েছিল।
৫.২ আকাশের দুই বন্ধু’ গল্পটিতে দুই বন্ধুর নাম কী ছিল ? গল্পটি অবলম্বনে দুই বন্ধুর কথোপকথন সংক্ষেপে লেখো। ১+৪
উত্তরঃ ‘আকাশের দুই বন্ধু’ গল্পটিতে দুই বন্ধুর নাম ছিল চাঁদিয়াল এবং পেটকাটা।
আকাশে উড়তে উড়তে চাঁদিয়াল নীচে নদীকে আঁকাবাঁকা ভাবে বয়ে যেতে দেখে। তখন পেটকাটা নদীর সঙ্গে তার বন্ধু-ঘুড়ির লেজের তুলনা করে। চাঁদিয়াল বলে, নদী ঘুড়ির লেজের থেকে অনেক বড়ো। তখন পেটকাটা জানতে চায়, সে তা কীভাবে জানল। উত্তরে চাঁদিয়াল জানায়, যে ছেলেটি তাকে ওড়ায় তার ভাইকে মাস্টারমশাই পড়ানোর সময় থেকে সে বিষয়টি জেনেছে। এরপর চাঁদিয়াল বলে, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্যাঁচের লড়াই শুরু হবে এবং তাদের মধ্যে কেউ একজন ভোঁকাট্টা হয়ে যাবে। তখন পেটকাটা ও চাঁদিয়াল দুজনেই নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা বলে। শেষপর্যন্ত মুক্তির পথ খুঁজে তারা ঘুরপাক খেয়ে একসঙ্গে সুতো ছিঁড়ে যায়। খোলা আকাশে স্বাধীনভাবে উড়ে গিয়ে আনন্দে মাথা নাড়তে নাড়তে তারা মুক্ত জীবনের স্বাদ উপভোগ করে।
৬। যে-কোনো একটি প্রশ্নের বিশদে উত্তর দাও : ৫×১=৫
৬.১ ‘ঘর-বার সব এক হয়ে যায়’- কখন, কীভাবে ঘর-বার সব এক হয়ে যায় ? ওই সময়ে কবির মনের অনুভূতি বিবৃত করো। ৩+২=৫
উত্তরঃ কবি যখন প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যান, তখন তাঁর ঘর-বার সব এক হয়ে যায়। শালবন, তাল-সুপারিবন, সবুজ প্রকৃতি ও কল্পনার জগৎ মিলেমিশে একাকার হয়ে ওঠে। গাছের পাতারা যেন আশীর্বাদের মতো ঝরে পড়ে কবির উপর, ফলে তাঁর চারপাশে এক অদ্ভুত শান্তির আবহ তৈরি হয়। প্রকৃতির এই মিলনে ঘর ও বাইরের বিভাজন আর থাকে না, চারপাশ যেন তাঁর আপন ঘর হয়ে ওঠে।
এই সময় কবির মনে একাকীত্বের কোনো দুঃখ থাকে না। প্রকৃতির সান্নিধ্যে তাঁর অন্তর ভরে ওঠে আনন্দে। চারপাশের নীরবতা ও নির্জনতায় তিনি এক মিষ্টি সুর শুনতে পান, যা তাঁর একলা থাকার মুহূর্তকেও আনন্দময় করে তোলে। প্রকৃতির সঙ্গে এই নিবিড় মিলনে কবি খুঁজে পান আত্মার শান্তি ও গভীর আনন্দ।
৬.২ ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ কবিতাটি পড়ে সেখানকার মানুষ ও নিয়মকানুন তোমার কেমন লাগল, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ ‘বোম্বাগড়ের রাজা’ কবিতাটিতে যেসব মানুষজনের নিয়মকানুনের কথা বলা হয়েছে তাদের সবটুকুই অদ্ভুত ধরনের। বাস্তবে এসব নিয়মকানুনের প্রয়োগ হয় না। কবির এটি একটি কৌতুকময় কবিতা। এখানে রাজামশাই আমসত্ত্ব ভাজা সবসময় ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখেন। রানির মাথায় সারাদিন বালিশ বাঁধা থাকে। রানির দাদা পাঁউরুটিতে পেরেক ঠোকে। সর্দিকাশি হলে সেখানকার লোকেরা ডিগবাজি খায়। জোছনা রাতে সবাই চোখে আলতা মাখে। ওস্তাদেরা মাথায় ঘাড়ে লেপমুড়ি দেয়। পণ্ডিতেরা টাকের ওপর ডাকটিকিট মারে। ঘিয়ের মধ্যে ট্যাকঘড়িটা ডুবিয়ে রাখে। শিরীষ কাগজ দিয়ে রাজা বিছানা পাতে। এ ছাড়াও মন্ত্রী, রাজার পিসি, খুড়ো এরাও নানান অদ্ভুত ধরনের কাজ করে। এক কথায় এটি সুকুমার রায়ের একটি হাসির কবিতা এবং মজার কবিতা। ৫
৭। গরমের ছুটি কেমন কাটালে জানিয়ে দূর থেকে লেখা ভাইয়ের চিঠির প্রত্যুত্তর দাও। ৫
উত্তরঃ
দুবরাজপুর, বীরভূম
২৭/০৯/২০২৫
প্রিয় ভাই,
তোমার চিঠি পেয়ে খুব আনন্দিত হলাম। গরমের ছুটি আমি আনন্দের সঙ্গে কাটিয়েছি। সকালবেলা খেলাধুলো করেছি, গল্পের বই পড়েছি এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আনন্দ করেছি। ছুটির দিনগুলো সত্যিই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আবার দেখা হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।
তোমার
ভাই/বোন
অথবা, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস থেকে ‘নুতন বিদ্যালয় কেমন লাগছে’ জানিয়ে মাকে একটি চিঠি লেখো। ৫
[প্রেরকের ঠিকানা]
প্রিয় মা,
আশা করি তুমি ভালো আছো। আমি এখানে নতুন বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে ভালোই আছি। বিদ্যালয়টি খুব সুন্দর, শিক্ষকরা আমাদের প্রতি স্নেহশীল এবং পড়াশোনার পরিবেশও চমৎকার। নতুন বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকছি। ছাত্রাবাসে নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়, যা আমার পড়াশোনায় অনেক সাহায্য করছে। তুমি দুশ্চিন্তা কোরো না, আমি ভালো আছি। শিগগিরই তোমার সঙ্গে দেখা হবে।
তোমার স্নেহের
পুত্র/কন্যা
[প্রাপকের ঠিকানা]
৮। অনচ্ছেদ রচনা করো (যে-কোনো একটি) : ৫×১=৫
৮.১ বিদ্যালয় গ্রন্থাগার।
আমাদের বিদ্যালয়ে একটি সুন্দর গ্রন্থাগার আছে। এটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের অন্যতম কেন্দ্র। গ্রন্থাগারে অনেক রকম বই আছে— পাঠ্যবই, গল্পের বই, জীবনী, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভ্রমণকাহিনি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ছাত্রছাত্রীরা সেখানে গিয়ে বই পড়তে পারে। গ্রন্থাগারে বসার জন্য আরামদায়ক টেবিল ও চেয়ার রয়েছে। নীরব পরিবেশে বই পড়ার বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। প্রতি সপ্তাহে ছাত্রছাত্রীরা বই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। গ্রন্থাগার আমাদের পড়াশোনায় সাহায্য করে। এটি আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে। নতুন নতুন বই পড়ার মাধ্যমে কৌতূহল ও আগ্রহ বাড়ে। আমাদের গ্রন্থাগার শিক্ষক খুব যত্ন নিয়ে বইগুলি সংরক্ষণ করেন। বিদ্যালয় গ্রন্থাগারকে আমি খুব ভালোবাসি।
৮.২ একটি গ্রামের আত্মকথা।
আমি একটি শান্ত সুন্দর গ্রাম। চারিদিকে সবুজ ধানক্ষেত আমাকে ঘিরে রেখেছে। আমার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে একটি ছোট নদী। ভোরবেলা পাখির কলতানে আমি জেগে উঠি। কৃষকেরা মাঠে গিয়ে আমাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। আমার ঘরে ঘরে এখনো কাঁচা মাটির গন্ধ পাওয়া যায়। মানুষজন সরল ও পরিশ্রমী। বিভিন্ন উৎসবে আমি আনন্দে ভরে উঠি। শিশুরা মাঠে খেলাধুলা করে আমাকে হাসিখুশি রাখে। আমার পরিবেশ নির্মল ও শান্তিপূর্ণ। শহরের ভিড়ভাট্টা ও দূষণ আমার কাছে নেই। আমি গর্ব করি, কারণ আমি বাংলার প্রাণভূমি। আমার বুকেই জন্ম নেয় কবিতা, গান ও গল্পের অনুপ্রেরণা। তাই আমি চিরদিন আপনজনের হৃদয়ে বেঁচে থাকব।
৮.৩ ছুটির দিনে বনভোজন।
ছুটির দিনে বনভোজন একটি আনন্দঘন অভিজ্ঞতা। সেদিন সকালে আমরা সবাই খুব তাড়াতাড়ি উঠে প্রস্তুত হই। প্রত্যেকে বাড়ি থেকে নানা রকম খাবার নিয়ে আসে। নির্দিষ্ট স্থানে একসঙ্গে জড়ো হয়ে আমরা গাড়ি করে পিকনিকের জায়গায় যাই। সেখানে পৌঁছে আগে সবাই মিলে জায়গাটি পরিষ্কার করি। তারপর গান, নাচ, খেলা আর হাসি-আনন্দে চারপাশ ভরে ওঠে। দুপুরে সবাই মিলে বসে সুস্বাদু খাবার খাই। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে করতে সময় যেন উড়ে যায়। বিকেলে খেলাধুলা ও ঘোরাঘুরি করে আমরা আরও আনন্দ উপভোগ করি। প্রকৃতির কোলে কাটানো সময় মনকে সতেজ করে তোলে। সন্ধ্যা হলে আমরা সবাই বাড়ির পথে রওনা দিই। বনভোজন আমাদের জীবনে আনন্দ ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে দৃঢ় করে।
৮.৪ বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলোর ভূমিকা।
বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ছাত্রছাত্রীদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত খেলাধুলা করলে শরীর সবল ও সতেজ থাকে। খেলাধুলা আমাদের শৃঙ্খলা, নিয়ম মেনে চলা এবং ধৈর্য শিখায়। দলগত খেলায় অংশগ্রহণ করলে সহযোগিতার মানসিকতা গড়ে ওঠে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। খেলাধুলা মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ায়। বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ উৎসাহ দেয়। ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ইত্যাদি খেলায় ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায়। খেলাধুলা অলসতা দূর করে এবং কর্মচাঞ্চল্য আনে। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনেরও বিকাশ ঘটে। তাই বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলাকে পড়াশোনার মতোই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
📌 আরো দেখুনঃ
📌পঞ্চম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌পঞ্চম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌পঞ্চম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here
