একাদশ শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নপত্র দ্বিতীয় সেমিস্টার সেট-২ | Class 11 History Question Paper 2nd Semester Set-2 wbchse

একাদশ শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নপত্র দ্বিতীয় সেমিস্টার সেট-২ | Class 11 History Question Paper 2nd Semester Set-2 wbchse

📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here

📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here

📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here

HISTORY QUESTION PAPER
CLASS – XI
SEMESTER – II
(Full Marks: 40)

‘ক’ বিভাগ

1. যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 3×4=12

(i) অর্থশাস্ত্রের মূল বিষয়বস্তু কী ছিল ?

(ii) ইকতা ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ ?

(iii) ভক্তিবাদের মূল আদর্শগুলি কী ছিল ?

(iv) প্রযুক্তি বিপ্লব সম্পর্কে লেখো।

(v) জ্যোতিষ থেকে জ্যোতির্বিদ্যার উদ্ভব কীভাবে ঘটে ?

‘খ’ বিভাগ

2. যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 4×5=20

(i) বরনির ফতেয়া-ই-জাহান্দারিতে রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে কী ধারণা ছিল ?

(ⅱ) নয়া রাজতন্ত্রে টমাস ক্রমোয়েলের ভূমিকা কী ছিল ?

(iii) মনসবদারি ব্যবস্থা কী ? এর বৈশিষ্টগুলি আলোচনা করো। 1+3

(iv) সুফী আন্দোলনের ফলাফলগুলি লেখো।

(v) ক্রুসেড কী ? এর ফলাফলগুলি লেখো। 1+3

(vi) মুদ্রণ বিপ্লব কী ? ইউরোপ মুদ্রণ বিপ্লবে আরবদের অবদান কী ছিল ? 1+3

‘গ’ বিভাগ

3. একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 1×8=8

(i) পারস্যের ক্ষত্রপ ও চিনের ম্যান্ডারিন ব্যবস্থার বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ ∆ পারস্যের ক্ষত্রপ ব্যবস্থা—

সূচনা : সুবিশাল পারস্য সাম্রাজ্যের প্রশাসন চালাতে সম্রাট সাইরাস দ্য গ্রেট সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রশাসনিক এককে (স্যাট্রাপি) বিভক্ত করেন এবং প্রতিটি প্রদেশে শাসক হিসেবে ‘স্যাট্রাপ’ বা ‘ক্ষত্রপ’ নিয়োগ করেন।

কার্যাবলি :
(১) সামরিক দায়িত্ব পালন, সৈন্য নিয়োগ ও শৃঙ্খলা রক্ষা।
(২) বিদ্রোহ দমন ও শান্তি বজায় রাখা।
(৩) কর আদায় করে কেন্দ্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া।
(৪) বিচারকার্য পরিচালনা।
(৫) স্থানীয় আমলা নিয়োগ ও প্রশাসনিক তদারকি।
(৬) যাতায়াতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সম্রাটের নিয়ন্ত্রণ :

• “রাজার নয়ন” নামক পর্যবেক্ষকরা ক্ষত্রপদের কাজ তদারকি করতেন।

• দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সতর্কীকরণ ও প্রয়োজনে পদচ্যুতি ঘটানো হত।

সীমাবদ্ধতা :

• ক্ষত্রপ পদ বংশানুক্রমিক হওয়ায় অযোগ্য ব্যক্তির প্রবেশ ঘটে।

• অনেক সময় কেন্দ্রীয় শাসন অমান্য করে বিদ্রোহের প্রবণতা বাড়ে।

গুরুত্ব : ক্ষত্রপরা পারস্য সাম্রাজ্যের প্রশাসন, অর্থনীতি ও নিরাপত্তায় অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছিল।

∆ চিনের ম্যান্ডারিন ব্যবস্থা—

সূচনা : মাঞ্চু রাজবংশের আমলে চিনে প্রশাসনের স্তম্ভ ছিল “ম্যান্ডারিন” নামক উচ্চপদস্থ আমলারা।

নিয়োগ ও পদচ্যুতি :

• কাব্য, সাহিত্য, কনফুসীয় ধর্মে দক্ষতা ও যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হত।

• অপরাধী, ভিক্ষুক বা ক্রীতদাসরা পরীক্ষায় বসতে পারত না।

• নিয়োগ ও পদচ্যুতি সম্রাটের ইচ্ছাধীন ছিল।

শ্রেণিবিভাগ :
(১) উচ্চপদস্থ ম্যান্ডারিন (প্রধানমন্ত্রী বা গভর্নর সমতুল্য)।
(২) সাধারণ ম্যান্ডারিন।
(৩) নিম্নপদস্থ ম্যান্ডারিন।

কার্যাবলি:

• প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা।

• সম্রাটকে শাসনে সহায়তা।

•‌ প্রদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা।

• বাণিজ্য, আইন, বিচার ও কূটনীতি পরিচালনা।

• সাহিত্য-সংস্কৃতি সংরক্ষণ।

গুরুত্ব :

• চিনের প্রশাসনিক সাফল্য অনেকাংশে ম্যান্ডারিনদের উপর নির্ভরশীল ছিল।

• বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও শাসনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অবসান : 1905 খ্রিস্টাব্দে ম্যান্ডারিন পরীক্ষা বন্ধ হয় এবং 1911 খ্রিস্টাব্দে চিং রাজবংশের পতনের সঙ্গে প্রথার সমাপ্তি ঘটে।

এইভাবে পারস্যের ক্ষত্রপ ও চিনের ম্যান্ডারিন ব্যবস্থা উভয়ই তাদের সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছিল।

(ii) প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য স্যাট্রপ ও ম্যান্ডরিনদের ভূমিকা কী ছিল ? 4+4

(iii) ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের অবদান লেখো। 8

উত্তরঃ জার্মানি তথা ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬ খ্রি.)। তিনি প্রথম খ্রিস্টান চার্চ ও পোপতন্ত্রের অনাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূচনা ঘটান।

লুথার সর্বপ্রথম ইনডালজেন্স বা মার্জনাপত্র বিক্রয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে উইটেনবার্গের কাসেল চার্চের দরজায় তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ‘৯৫ থিসিস’ টাঙিয়ে পোপতন্ত্রের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন। তিনি খ্রিস্টধর্মের মূল আদর্শের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে চেয়েছিলেন। তাঁর মতে, ঈশ্বরে অবিচল বিশ্বাসই মুখ্য, মানুষের ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত এবং প্রত্যেকেই ঈশ্বরের করুণার অধিকারী।

লুথার অপ্রয়োজনীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেন। ইউকরিস্ট, ব্যাপ্টিজম, পেনান্স কিংবা অর্থের বিনিময়ে পাপমুক্তি প্রভৃতিকে তিনি অগ্রহণযোগ্য মনে করেন। এর ফলে খ্রিস্টান সমাজে বিভাজন ঘটে—পোপতন্ত্রের সমর্থকেরা ক্যাথলিক এবং লুথারের সমর্থকেরা প্রোটেস্ট্যান্ট নামে পরিচিত হন।

লুথার রাষ্ট্রশক্তিকে চার্চের ঊর্ধ্বে স্থান দেন। তাঁর মতে, সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজা ও রাষ্ট্রের। এভাবে ইউরোপে জাতীয় রাজতন্ত্র সুদৃঢ় হয়। তিনি চার্চের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেন, রোমে পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাইবেলের অনুবাদে উৎসাহ জোগান। তাঁর রচিত বন্ডেজ অব দ্য উইল, বাবিলনিয়ান ক্যাপটিভিটি ও রেজোলিউশান গ্রন্থে পোপতন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ প্রকাশিত হয়।

জার্মানি থেকে শুরু হয়ে তাঁর ধর্মসংস্কার আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র ইউরোপে।

মূল্যায়ন : ষোড়শ শতকে চার্চের অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর তোলার জন্য মার্টিন লুথার ইউরোপীয় ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। ইতিহাসবিদ গেরহার্ড রিটার যথার্থই বলেছেন—“ধর্মবিপ্লবের সাফল্যের জন্য লুথারের প্রচারশক্তি ছিল মূল ভিত্তি।”

(iv) ভৌগোলিক আবিষ্কারের পটভূমি লেখো। এর গুরুত্ব আলোচনা করো। 4+4

📌 আরো দেখুনঃ

📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here

📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here

📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:4 mins read