একাদশ শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নপত্র দ্বিতীয় সেমিস্টার সেট-১ | Class 11 History Question Paper 2nd Semester Set-1 wbchse
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here
HAZARATPUR HIGH SCHOOL
2nd Semester – 2025
Class- XI
Subject – HISTORY
FM-40 Time – 2 Hrs
1. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 3 x4=12
(i) ইক্তা ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি কী ছিল ?
অথবা, স্যাট্রাপদের তিনটি কাজের উল্লেখ করো।
(ii) রেনেসাঁস বলতে কী বোঝ ?
(iii) সমুদ্র অভিযানে ভাস্কো-দা-গামার অবদান লেখো।
2. যেকোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 4×3=12
(i) অর্থশাস্ত্রের বিষয়বস্তু কি ছিল ?
(ii) মানবতাবাদের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো।
(iii) ভৌগোলিক অভিযানের অর্থনৈতিক কারণ লেখো।
(iv) জ্যোতিষ শাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
3. যেকোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 8×2=16
(i) মনসবদারী ব্যবস্থা বলতে কী বোঝো ? এই ব্যবস্থার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তরঃ মনসব’ কথাটির অর্থ হল ‘পদমর্যাদা’
বা ‘Rank’। এই পদমর্যাদার অধিকারীদের ‘মনসবদার’ বলা হয়। মনসবদারি প্রথা একটি পারসিক প্রথা। আকবরের বহুপূর্বে মধ্যে এশিয়াতে তৈমুরলঙ ও চেঙ্গিস খাঁর শাসনব্যবস্থায় মনসবদারি প্রথা প্রচলিত ছিল। সম্রাট আকবর 1578 খ্রিস্টাব্দে সাম্রাজ্যের সামরিক ও অসামরিক ভিত্তি হিসেবে মনসবদারি প্রথা প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা ও সামরিক জেনারেলদের পদমর্যাদা, বেতন এবং সামরিক দায়িত্ব নির্ধারিত হতো।
∆ মনসবদারী ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য—
পদমর্যাদা নির্ধারণ : এই ব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা ও বেতন নির্ধারণ করা। প্রতিটি কর্মকর্তাকে একটি ‘মনসব’ বা পদ দেওয়া হত, যা তার সামাজিক ও সামরিক অবস্থান নির্দেশ করত।
বেতন ও জায়গির : মনসবদারদের পদমর্যাদা অনুযায়ী বেতন দেওয়া হত এবং তাদের সেবার জন্য জায়গির বা রাজস্ব বরাদ্দ করা হত।
সামরিক ও বেসামরিক দায়িত্ব : এই ব্যবস্থার অধীনে থাকা কর্মকর্তারা সামরিক এবং বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই দায়িত্ব পালন করতেন, যার মধ্যে সাম্রাজ্যের প্রশাসন, রাজস্ব সংগ্রহ এবং সামরিক কৌশল অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সম্রাট কর্তৃক নিয়োগ ও বরখাস্ত : সকল মনসবদারকে মুঘল সম্রাট নিয়োগ করতেন এবং প্রয়োজনে তাদের বরখাস্ত করার অধিকারও সম্রাটের হাতেই ছিল।
অভিজাত শ্রেণী গঠন : মনসবদারী ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি শাসক ও অভিজাত শ্রেণী গড়ে ওঠে, যারা সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ও সামরিক যন্ত্রপাতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করত।
সামরিক শক্তি বৃদ্ধি : এই ব্যবস্থার ফলে সম্রাটের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে একটি শক্তিশালী ও প্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনী তৈরি হয়, যা সাম্রাজ্যকে স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।
(ii) ভৌগোলিক অভিযানের ফলাফল আলোচনা করো।
উত্তরঃ ভৌগোলিক অভিযানের ফলাফল—
ভৌগোলিক অভিযান পৃথিবীর ইতিহাসে এক নবযুগের সূচনা ঘটায়। ইউরোপীয়দের সামুদ্রিক অভিযান ও নতুন ভূখণ্ডের আবিষ্কারের ফলে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এর সুফল ও কুফল উভয়ই লক্ষ্য করা যায়।
(১) সুফল :
ভৌগোলিক জ্ঞানবৃদ্ধি : নতুন দেশ, মহাদেশ ও সমুদ্রপথ আবিষ্কারের ফলে ইউরোপীয়দের ভৌগোলিক জ্ঞানের বিপুল বিস্তার ঘটে। বিভিন্ন দেশের জলবায়ু, সমাজ, সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা ও সভ্যতা সম্পর্কে তারা বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করে। মানচিত্র অঙ্কনে ও নৌ-প্রযুক্তিতেও অগ্রগতি ঘটে।
নতুন বাণিজ্যকেন্দ্রের উদ্ভব : ভূমধ্যসাগরীয় বাণিজ্যের গুরুত্ব কমে গিয়ে আটলান্টিক উপকূলবর্তী শহরগুলি—যেমন লন্ডন, আমস্টারডাম, অ্যান্টওয়ার্প, বর্দো, কাদিজ প্রভৃতি—নতুন বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব লাভ করে।
বাণিজ্যে নতুন গতি : ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকা, আফ্রিকা ও প্রাচ্যের দেশের নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রাচ্য থেকে মশলা, রেশম, সুগন্ধি পদার্থ আসে; আমেরিকা থেকে সোনা ও রুপো; আর আফ্রিকা থেকে আনা হয় ক্রীতদাস। ফলে ইউরোপীয় বাণিজ্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
নতুন সামাজিক শ্রেণির উত্থান : সামুদ্রিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণি বা বুর্জোয়া সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়, যারা পরবর্তীকালে সমাজ ও অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের বিকাশ : যৌথ বাণিজ্যিক সংস্থা গঠনের মাধ্যমে আধুনিক ব্যাংকিং ও আর্থিক ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপিত হয়।
(২) কুফল :
উপনিবেশ স্থাপন : সামুদ্রিক অভিযানের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি আফ্রিকা, এশিয়া ও আমেরিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে স্থানীয় জনগণকে শোষণ ও অত্যাচার করে।
প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংস : স্পেনীয় বিজেতারা মেক্সিকো ও পেরুর প্রাচীন অ্যাজটেক, মায়া ও ইনকা সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেয়।
ক্রীতদাস ব্যবসা : আফ্রিকা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে জোরপূর্বক ধরে এনে দাস হিসেবে বিক্রি করা হয়, যা মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।
মূল্যায়ন : যদিও ভৌগোলিক অভিযানের ফলে উপনিবেশবাদ, শোষণ ও মানবিক বিপর্যয়ের জন্ম হয়, তবুও এর মাধ্যমে বিশ্বে যোগাযোগ, বাণিজ্য, জ্ঞান, সংস্কৃতি ও সভ্যতার এক মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়। এক কথায়, ভৌগোলিক আবিষ্কার মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে।
(iii) আধুনিক রাষ্ট্রের প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।
📌 আরো দেখুনঃ
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here
