ছোটদের পথের পাঁচালী প্রথম পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণি | Chotoder Pother Panchali 1st Unit Test Question and Answer Class 8 Bengali wbbse

ছোটদের পথের পাঁচালী
অষ্টম শ্রেণি বাংলা
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

ছোটদের পথের পাঁচালী প্রথম পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণি | Chotoder Pother Panchali 1st Unit Test Question and Answer Class 8 Bengali wbbse

ছোটদের পথের পাঁচালী প্রথম ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়) অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Chotoder Pother Panchali 1st Unit Test Question Answer Class 8 Bengali wbbse

ছোটদের পথের পাঁচালী প্রথম থেকে অষ্টম পরিচ্ছেদের প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Chotoder Pother Panchali 1st Unit Test Question Answer Class 8 Bengali wbbse

📌অষ্টম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

ছোটদের পথের পাঁচালী প্রথম থেকে অষ্টম পরিচ্ছেদের প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Chotoder Pother Panchali 1st Unit Test Question Answer Class 8 Bengali wbbse

(১) প্রথম পরিচ্ছেদ (পৃষ্ঠা নং ৭)

বিষয় সংক্ষেপ : কুঠির মাঠ

প্রথম পরিচ্ছেদে আমরা দেখি নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের কয়েকজন লোক সরস্বতী পুজোর দিন বিকেলবেলা গ্রামের বাইরের মাঠে নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে যাচ্ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল হরিহর ও তার বছর ছয়-সাতের ছেলে অপু। সবকিছুতেই বালক অপুর ছিল অসীম আগ্রহ। অপু তার ছয় বছরের জীবনে প্রথম বাড়ি থেকে এত দূরে এসে চারিদিকের সমস্তকিছু দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল। তাই প্রশ্নের পর প্রশ্নে সে বাবাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলছিল। কুঠির মাঠ দেখার পর বাড়ি ফিরতে তাদের রাত হয়ে গিয়েছিল।

১. পথের পাঁচালী উপন্যাস এর শুরুতে কোন ঋতুর উল্লেখ আছে ?

উত্তরঃ পথের পাঁচালী উপন্যাসের শুরুতে শীত ঋতু বা মাঘ মাসের উল্লেখ আছে।

২. ‘ছোটদের পথের পাঁচালী’ রচনাটি কার লেখা ?

উত্তরঃ ‘ছোটদের পথের পাঁচালী’ রচনাটি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা।

৩. অপু গ্রামের বাইরে বাবার সঙ্গে কোন পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ অপু গ্রামের বাইরে বাবার সঙ্গে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে গিয়েছিল।

৪. অপুর গ্রামের নাম কী ?

উত্তরঃ অপুর গ্রামের নাম নিশ্চিন্দিপুর।

৫. অপু কোন দিন পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ অপু সরস্বতী পুজোর দিন পাখি দেখতে গিয়েছিল।

৬. অপুর বয়স কত ?

উত্তরঃ অপুর বয়স ছয় সাত বছর।

৭. পথে যেতে যেতে অপু কোন প্রাণী দেখেছিল ?

উত্তরঃ পথে যেতে যেতে অপু খরগোশ দেখেছিল।

৮. নবীন পালিত মহাশয় মাঠের উত্তর অংশের জমিতে কী চাষ করেছিলেন ?

উত্তরঃ নবীন পালিত মহাশয় মাঠের উত্তর অংশের জমিতে শাঁক আলু চাষ করেছিলেন।

৯. কোন বাজারে দুধের গোলদারি দোকান পুড়েছিল ?

উত্তরঃ আষাঢ়ুর বাজারে বাজারে দুধের গোলদারি দোকান পুড়েছিল।

১০. কোন ফলে হাত চুলকে ফোসকা হবে ?

উত্তরঃ আলকুশি ফলে হাত চুলকে ফোসকা হবে।

১১. অপু কোন মাঠে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ অপু কুটির মাঠে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে গিয়েছিল।

১২. আলকুশি কী ?

উত্তরঃ বনে জঙ্গলে গজিয়ে ওঠা এক ধরনের গাছ। শুঁয়ো ফুটে গেলে জ্বালা করে। হাতে গায়ে পায়ে লাগলে চুলকানি হয়। ফোঁসকা পড়ে।

১৩. নিশ্চিন্দিপুরের লোক কখন নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে যাচ্ছিল ?

উত্তরঃ সরস্বতী পুজোর বিকেলে হরিহর ও অপু-সহ নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে বেরিয়েছিল।

১৪. নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক কবে গ্রামের বাইরের মাঠে নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে গেছিল ?

উত্তরঃ নিশ্চিন্দিপুরের কয়েকজন লোক মাঘ মাসের শেষে সরস্বতীপুজার বিকেলে গ্রামের বাইরের মাঠে নীলকণ্ঠ পাখি দেখতে গেছিল।

১৫. অপু কোন বইয়ে খরগোশের ছবি দেখেছিল ?

উত্তরঃ অপু বর্ণ পরিচয় বইতে খরগোশের ছবি দেখেছিল।

১৬. “এই দেখো এখন, বাবলা গাছে এক্ষুনি এসে বসবে।”– এখানে কী বসার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ এখানে নীলকন্ঠ পাখির বসার কথা বলা হয়েছে।

১৭. অপু বাবার সাথে সরস্বতী পূজার বিকেলে কোন্ পাখি দেখতে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ সরস্বতী পূজার বিকেলে অপু, বাবা ও কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে ‘নীলকণ্ঠ’ পাখি দেখতে গিয়েছিল।

১৮. আঙুল দিয়া দেখাইয়া বলিত, মা, ওদিকে কি সেই কুঠি ?”– কোন কুঠির কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের অদূরে অবস্থিত সাহেবদের কুঠির কথা বলা হয়েছে।

১৯. হরিহর কার সঙ্গে মৎস্য-শিকারের পরামর্শ করছিলেন ?

উত্তরঃ হরিহর নবীন পালিতের সঙ্গে মৎস্য শিকারের পরামর্শ করছিলেন।

২০. অপু কাদের মুখে কুঠির মাঠের কথা শুনেছিল ?

উত্তরঃ সে তার বাবার মুখে, দিদির মুখে, আরো পাড়ার কত লোকের মুখে কুঠির মাঠের কথা শুনেছিল।

২১. “বালক অবাক হইয়া লুব্ধ দৃষ্টিতে সেদিকে চাহিয়া চাহিয়া দেখিল”– কে কি দেখছিল ?

উত্তরঃ অপু কুঠির মাঠে নিচু নিচু কুল গাছে অনেক কুল পেকে আছে, অবাক হয়ে সে লুব্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে দেখছিল।

২২. নীল কুঠি সাহেবদের জ্বালঘরের ভগ্নাশয় দেখতে কেমন ?

উত্তরঃ নীল কুঠি সাহেবদের জ্বালঘরের ভগ্নাশয় দেখতে বড় ইটের পাঁজার মত।

২৩. নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের বাইরের নদীর ধারের মাঠটি কী নামে পরিচিত ?

উত্তরঃ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের বাইরের নদীর ধারের মাঠটি কুঠির মাঠ নামে পরিচিত।

২৪. জীবন্ত খরগোশ দেখে অপুর মনোভাব কেমন ছিল ?

উত্তরঃ প্রথমবার খরগোশ দেখে অপু ভীষণ উত্তেজিত হয়েছিল। এর আগে সে বইয়ের ছবিতে খরগোশ দেখেছিল। এখন সে দেখল একেবারে কানখাড়া সত্যিকারের খরগোশ।

২৫. ইঁটের পাঁজার মত জিনিসটি কী ?

উত্তরঃ ইঁটের পাঁজার মতো জিনিসটি ছিল নীলকুঠির জ্বালঘরের ভগ্নাবশেষ।

২৬. “সেকালের কুঠিটা প্রাগৈতিহাসিক যুগের অতিকায় হিংস্র জন্তুর কঙ্কালের মতো”– কোন কুঠির কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের অদূরে অবস্থিত সাহেবদের কুঠি অর্থাৎ ইংরেজদের নীলকুঠির কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় লোকেরা একে কুঠির মাঠ বলে।

২৭. “বালক অবাক হইয়া চারিদিকে চাহিয়া চাহিয়া দেখিতেছিল”– কোন্ বালক কী দেখছিল ?

উত্তরঃ বালক অপু চারদিকে চেয়ে চেয়ে দেখছিল। তার ছয় বছরের জীবনে প্রথম সে বাড়ি থেকে এত দূরে নীলকুঠি দেখতে এসেছিল। তাই সে অবাক হয়ে সবকিছু দেখছিল।

২৮. “ইহাই ছিল তাহার জগতের সীমা”– অপুর জগতের সীমা কত দূর ছিল ?

উত্তরঃ অপুর জগতের সীমা ছিল নেড়াদের বাড়ি, নিজেদের বাড়ির সামনেটা, বড়জোর রানুদিদিদের বাড়ি।

(২) দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ (পৃষ্ঠা নং ১০)

বিষয় সংক্ষেপ : আমের কুশি

একদিন সকালবেলা অপু রোয়াকে বসে তার খেলার সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে খেলা করছিল। তখন তার দশ এগারো বছর বয়সী দিদি দুর্গা কোথা থেকে এসে চুপি চুপি অপুকে ডাক দেয়। সারাদিন সে এ বাগান ও বাগান ঘুরে ফলটল সংগ্রহ করে আনে। আজ সে কতগুলি কচি আম কুড়িয়ে এনেছে। অপুর মা সর্বজয়া সে সময় ঘরে না থাকায় ভাই-বোন মিলে তেল-নুন দিয়ে কচি আমের কুসি জারিয়ে খায়। পরে অপু তার মা-কে মুখ ফসকে আম খেয়ে দাঁত টকে গেছে বলে ফেলায় দুর্গা অপুর উপর রেগে যায়। সর্বজয়া অনেক বকেও দুর্গাকে বাড়িতে আটকে রাখতে পারে না। দুর্গা মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায়।

১. অপুর খেলার সম্পত্তি কোথায় থাকতো ?

উত্তরঃ অপুর খেলার সম্পত্তি একটি ছোট টিনের বাক্সে থাকতো।

২. অপুর টিনের বাক্সের মধ্যে কী ছিল ?

উত্তরঃ অপুর টিনের বাক্সের মধ্যে চার পয়সা দামের রং ওঠা কাঠের ঘোড়া, একটা টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁশি এবং কতগুলি কড়ি, একটা দু পয়সা দামের পিস্তল, কতকগুলো শুকনো নাটা ফল, খান কতক খাপরার কুচি ছিল।

৩. অপু তার কড়িগুলো কোথায় পেয়েছিল ?

উত্তরঃ অপু তার কড়িগুলো মায়ের লক্ষ্মী পূজার কড়ির চুপড়ি থেকে খুলে নিয়েছিল।

৪. অপুর রং ওঠা কাঠের ঘোড়াটির দাম কত ?

উত্তরঃ অপুর রং ওঠা কাঠের ঘোড়াটির দাম চার পয়সা।

৫. খাপরার কুচি দিয়ে অপু কি খেলতো?

উত্তরঃ খাপরার কুচি দিয়ে অপু গঙ্গা যমুনা খেলা খেলতো।

৬. অপুর খেলনা পিস্তলটার দাম কত ?

উত্তরঃ অপুর খেলনা পিস্তলটার দাম দুপয়সা।

৭. দুর্গা দিদি কোথা থেকে অপুকে ডাকলো ?

উত্তরঃ দুর্গা দিদি কাঁঠালতলা থেকে অপুকে ডাকলো।

৮. দুর্গা দিদির ডাক শুনে অপু কোন জিনিস লুকিয়ে রাখল ?

উত্তরঃ দুর্গা দিদির ডাক শুনে অপু লক্ষ্মীর চুপড়ির কড়িগুলি তাড়াতাড়ি লুকিয়ে ফেলল।

৯. অপুর দিদির নাম কী ?

উত্তরঃ অপুর দিদির নাম দুর্গা।

১০. অপুর দিদির বয়স কত ?

উত্তরঃ অপুর দিদির বয়স দশ-এগারো বছর।

১১. দুর্গা দেখতে কেমন ছিল ?

উত্তরঃ গড়ন পাতলা পাতলা, রং অপুর মতো অতটা ফর্সা নয়, একটু চাপা। হাতে কাচের চুড়ি, মুখের গড়ন মন্দ নয়, অপুর মতো চোখগুলি বেশ ডাগর ডাগর।

১২. দুর্গা কাঁচা আম কোথায় পেয়েছিল?

উত্তরঃ পটলিদের বাগানে সিন্দুরকোটোর তলায় পড়েছিল। সেখান থেকে সে কাঁচা আম পেয়েছিল।

১৩. অপুর দিদি আমের কুশি কী কী দিয়ে বানিয়ে ছিল ?

উত্তরঃ লবণ, লঙ্কা ও তেল দিয়ে অপুর দিদি আমের কুশি বানিয়ে ছিল।

১৪. ‘মা আসতে এখন ঢের দেরি।’– অপুর মা কোথায় গিয়েছিল ?

উত্তরঃ অপুর মা পুকুরে ক্ষার অর্থাৎ জামা কাপড় কাচতে গিয়েছিল।

১৫. “তুই এতগুলো খাবি দিদি।”– এখানে কে কাকে এ কথা বলেছিল ? কি খাবার কথা বলা বলেছে ?

উত্তরঃ অপু দুর্গাকে এ কথা বলেছিল।
এখানে কচি আম খাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

১৬. ছোটদের পথের পাঁচালী গল্পে নীলমণি রায়ের পরিচয় দাও।

উত্তরঃ হরিহর রায়ের জ্ঞাতি-ভ্রাতা ছিলেন নীলমণি রায়। তিনি গত বছর মারা গেছেন। তার স্ত্রী, পুত্র কন্যা নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন।

১৭. হরিহরের বাড়িটি কেমন ছিল?

উত্তরঃ হরিহরের বাড়ির সামনের দিকের রোয়াক ভাঙ্গা, ফাটলে বন বিছুটি ও কালমেঘ গাছের বন গজিয়েছে, ঘরের দোর জানলার কপাট সব ভাঙ্গা, নারকেলের দড়ি দিয়ে গরাদের সঙ্গে বাঁধা আছে।

১৮. “মুখটা মুছে ফেল না বাঁদর”– দুর্গা কেন অপুকে মুখটা মুছে ফেলতে বলেছিল ?

উত্তরঃ দুর্গা অপুকে মুখ মুছে ফেলতে বলেছিল কারণ দুই ভাই বোনে আম মাখানো খেতে গিয়ে অপুর মুখে নুন লেগেছিল।

১৯. মা বাড়ি ফিরে আসায় দুর্গা অবশিষ্ট আম গুলি নিয়ে কি করেছিল ?

উত্তরঃ দুর্গা কাঁঠাল গাছের কাছে সরে গিয়ে গুড়ির আড়ালে দাঁড়িয়ে অবশিষ্ট আম গুলি সে গোগ্রাসে খেয়ে ফেলেছিল।

২০. আম খাওয়ার পর খালি মালাটা দুর্গা কোথায় ফেলে দিয়েছিল ?

উত্তরঃ খালি মালাটা দুর্গা টান মেরে ভেরেন্ডা-কচার বেড়া পার করে নীলমণি রায়ের ভিটের দিকে জঙ্গলের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল।

২১. অপু ও দুর্গা আমের কুশি খাওয়ার ঘটনাটি কেমন ভাবে ধরা পড়ল ?

উত্তরঃ অপূ মা এর সামনে চাল ভাজা খেতে গিয়ে যখন সে আম খেয়ে দাঁত টকে যাওয়ার কথা বলে।

২২. আপুদের বাড়িতে কে গাই দুইতে আসে ?

উত্তরঃ আপুদের বাড়িতে স্বর্ণ গোয়ালিনী গাই দুইতে আসে।

২৩. অপুর মুখে নুনের গুঁড়ো কেন লেগেছিল ?

উত্তরঃ অপু তেল, নুন ও লঙ্কা মিশিয়ে কাঁচা আম খাচ্ছিল, তাই তার মুখে নুনের গুঁড়ো লেগেছিল।

২৪. অপুদের বাড়ির পাশে কার ভিটা জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল ?

উত্তরঃ অপুদের বাড়ির পাশে নীলমণি রায়ের ভিটা জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল।

২৫. হরিহর কার বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে ?

উত্তরঃ হরিহর অন্নদা রায়ের বাড়িতে গোমস্তার কাজ করে।

(৩) তৃতীয় পরিচ্ছেদ (পৃষ্ঠা নং ১৪)

মূলকথা: গ্রীষ্মের দুপুরে অপুর কল্পনা

অপুদের বাড়ি থেকে কিছু দূরে খুব বড়ো একটা অশ্বত্থ গাছ ছিল। অপু সেদিকে তাকিয়ে মনে মনে একটা রূপকথার জগৎ কল্পনা করত। দুপুরবেলা মায়ের মুখে কাশীদাসি মহাভারত আবৃত্তি শুনতে তার খুব ভালো লাগত। কর্ণের প্রতি তার কেমন একটা মমতা জেগে উঠত। অপুর মনে হত মহাভারতে যুদ্ধের বিষয়টা বড়োই কম। তাই সে মহাভারতের চরিত্রদের মনে মনে কল্পনা করে নিত। বাড়ির পিছনের বাঁশবাগানটিকে যুদ্ধক্ষেত্ররূপে সাজিয়ে আপনমনে যুদ্ধে মেতে উঠত। দুর্গা অপুর এইসব আচরণকে পাগলামি বলে। অপু লজ্জা পায়। তারপর দুই ভাইবোন বনজঙ্গলে খেলায় মেতে ওঠে। চিনিবাস ময়রা মিষ্টি বিক্রি করতে আসে। অপু-দুর্গার কাছে পয়সা না থাকায় তারা কিনতে পারে না। দুর্গা রথের মেলায় ভাইকে মুড়কি কিনে খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।

১. অপুদের বাড়ির কিছু দূরে খুব বড় কী গাছ ছিল ?

উত্তরঃ অপুদের বাড়ির কিছু দূরে খুব বড় একটা অশ্বত্থ গাছ ছিল।

২. কোনো এক গ্রীষ্মের দুপুরে অপুর মা কী মাছ রান্না করছিল ?

উত্তরঃ কোনো এক গ্রীষ্মের দুপুরে অপুর মা চিংড়ি মাছ রান্না করছিল।

৩. কখনো কখনো দুপুরে খাবার পর অপূর মা সুর করে কী পড়ত ?

উত্তরঃ কখনো কখনো দুপুরে খাবার পর অপূর মা সুর করে মহাভারত পড়ত।

৪. বাড়ির কাছাকাছি নারকেল গাছটাতে কোন পাখি ডাকত ?

উত্তরঃ বাড়ির কাছাকাছি নারকেল গাছটাতে শঙ্খচিল পাখি ডাকত।

৫. ‘অনেক দূরে মাটি হইতে রথের চাকা দুই হাতে প্রানপনে টানিয়া তুলিতেছে’– কে রথের চাকা টেনে তুলছে ?

উত্তরঃ মহাভারতের এক চরিত্র কর্ণ রথের চাকা টেনে তুলছে।

৬. অপুর কল্পনায় গুরু দ্রোণ কার ভিটার দিকে জঙ্গলের ধারে বিপদে পড়েছিলেন ?

উত্তরঃ অপুর কল্পনায় গুরু দ্রোণ নীলমণি রায়ের ভিটার দিকে জঙ্গলের ধারে বিপদে পড়েছিলেন।

৭. ‘এখন কি করে পাড়া যায় বল দেখি’– কী পাড়ার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তরঃ নোনা ফল পাড়ার কথা বলা হয়েছে

৮. ‘মাথায় করিয়া খাবার ফেরি করে।’— কে মাথায় করে খাবার ফেরি করে ?

উত্তরঃ চিনিবাস মাথায় করে খাবার ফেরি করে।

৯. যুদ্ধের কথায় প্রভাবিত হয়ে অপু কোন জিনিসটা অস্ত্র ভেবে বাঁশ বাগানের পথে ঘুরে বেড়ায় ?

উত্তরঃ বাখারি কিংবা হালকা কোন গাছের ডাল।

১০. অপুর দিদি কোন ফুলের নোলক পড়তে পছন্দ করে ?

উত্তরঃ অপুর দিদি ওড়্-কলমি ফুলের নোলক পড়তে পছন্দ করে।

১১. মহাভারতের চরিত্রদের মধ্যে অপুর কোন্ চরিত্রটি ভালো লাগে ?

উত্তরঃ মহাভারতের চরিত্রদের মধ্যে অপুর কর্ণের চরিত্র ভালো লাগে।

শূন্যস্থান পূরণ করো :

১২. অপু, বিশেষত _________ যুদ্ধের কথা শুনিতে শুনিতে তন্ময় হইয়া যায়।

উত্তরঃ কুরুক্ষেত্রের।

১৩. যুদ্ধ জিনিসটা _________ বড় কম লেখা আছে।

উত্তরঃ মহাভারতে।

১৪. __________ ধনু হইতে ব্রহ্মাস্ত্রমুক্ত হইবার বিলম্ব চক্ষের পলক মাত্র।

উত্তরঃ গাণ্ডীব।

(৪) চতুর্থ পরিচ্ছেদ (পৃষ্ঠা নং ১৮)

দুগ্গা দিদির চোর অপবাদ

চতুর্থ পরিচ্ছেদে গল্প পড়ে আমরা জানতে পারি দুর্গার বেশির ভাগ দিনে কাটতো খেলে অথবা সারাদিন টং টং করে ঘুরে বেড়িয়ে বিভিন্ন বাগানের আম, নাটাফল এসব কুড়িয়ে আনত এবং ভাইকে দিত, তার এই স্বভাবের জন্য তাকে মাঝে মাঝে চুরির অপবাদও পেতে হতো। এছাড়াও সে কখনো কখনো মা এর রান্নার কাজ করত, বিভিন্ন ব্রত করত এইভাবেই দুর্গার দিন কেটে যেত। তার মাঝে একদিন ঘটে গেলো এক কান্ড— সর্বজয়া অপুকে দুধভাত খাওয়াচ্ছিল, ঠিক সেইসময় ভুবন মুখুজ্যের বাড়ির সেজ ঠাকরুণ দুর্গার নামে নালিশ করতে আসে। তাঁর মেয়ে টুনু আর দেওরের ছেলে সতু দুর্গার পুতুলের বাক্স থেকে তাদের চুরি যাওয়া পুঁতির মালা ও কিছু আমের গুটি খুঁজে পেলে সেজ ঠাকরুন দুর্গাকে ‘চোর’ বলে সর্বজয়াকে অপমান করে চলে গেলেন। সর্বজয়া রাগে ও অপমানে দুর্গাকে মারে ও বাড়ি থেকে দূর হয়ে যেতে বলে। বিকেল পর্যন্তও দুর্গা না ফেরায় অপু তাকে খুঁজতে যায়। কোথাও সে তার দিদির সন্ধান না পাওয়ায় দুঃখিত হয়। খেলায় তার মন বসে না। বকুলতলায় দিদিকে খুঁজতে গিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসায় ভয় পেয়ে যায়। বাড়ি ফিরে দেখে মা দিদিকে মারতে মারতে বের করে দিচ্ছে। পরে মা তাকে দুধ খেতে দিলে দিদির জন্য দুঃখে অপু কেঁদে ফেলে। রাতে হরিহর দুর্গাকে বাড়ি নিয়ে আসে। তারপর দুই ভাইবোন আনন্দে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে।

১. দুর্গার বাড়ি থেকে কে কে তার টিনের পুতুলের বাক্স বার করে এনেছিল ?

উত্তরঃ টুনু ও সতু

২. দুর্গার বাক্সে অনুসন্ধান করে কী পাওয়া গিয়েছিল ?

উত্তরঃ পুঁতির মালা ও আমের গুটি

৩. কার পুতুলের বাক্স থেকে পুঁতির মালা চুরি গিয়েছিল বলে দুর্গার ওপর দোষ দেওয়া হয়েছিল ?

উত্তরঃ টুনুর বাক্স থেকে

৪. দিদিকে খুঁজতে গিয়ে অপু দিদির কথা কাকে প্রথম জিজ্ঞেস করেছিল ?

উত্তরঃ রাজকৃষ্ণ পালিতের স্ত্রীকে

৫. ‘সেখানে দুর্গা প্রায়ই থাকে।’– এখানে বলতে কোথায় ?

উত্তরঃ বকুলতলায়

৬. অপু কোন শ্রেণিতে পড়ে ?

উত্তরঃ তৃতীয় ভাগ

৭. অপুর কাছে কার রচিত পাঁচালী ছিল ?

উত্তরঃ দাশু রায়ের

৮. ‘মিষ্টি যেন গুড়।’- দুর্গা এখানে কোন ফলের কথা বলেছে ?

উত্তরঃ কামরাঙা

৯. ‘ওদের তুমি মঙ্গল করো’ কে সন্তানদের জন্য মঙ্গল কামনা করেছিল ?

উত্তরঃ সর্বজয়া।

১০. ‘কবিরাজি ঔষধের তালিকা’ রয়েছে কার কাছে ?

উত্তরঃ অপুর কাছে

∆শূন্যস্থান পূরণ করো :

১. পাড়ার ___________ ছেলে মেয়েদের সঙ্গে তাহার বড় একটা খেলাধুলা নাই।

উত্তরঃ সমবয়সী।

২. ____________ মাসের দিন সকলের মেয়ে দেখো গে যাও সেঁজুতি করছে,শিব পুজো করছে।

উত্তরঃ বোশেখ/বৈশাখ।

৩. _____________ সহ সেজ ঠাকরুন দরজার বাহির হইয়া গেলেন।

উত্তরঃ দলবল

৪. অপমানের দুঃখে __________ চোখে জল আসিল।

উত্তরঃ সর্বজয়ার

৫. দিদির ___________ ছড়িয়ে দেওয়ার মায়ের ওপর অপুর অত্যন্ত রাগ হইল।

উত্তরঃ চুল

৬. পটলির বোনের নাম ______________।

উত্তরঃ রাজী।

৭. একেবারে ছাতিমতলায় দিয়ে আসি, ছাতিমতলায় আছে গ্রামের _____________।

উত্তরঃ শ্মশান।

(৫) পঞ্চম পরিচ্ছেদ (পৃষ্ঠা নং ২৫)

মূলকথা: বড়োলোক হওয়ার স্বপ্ন

পঞ্চম পরিচ্ছেদের পাঠ্যাংশে দেখা যায়, অপু বাবার আদেশে তাল পাতায় হাতের লেখা শেষ করে দিদিকে বাড়ির মধ্যে খুঁজতে যায়। দুর্গা পুণ্যিপুকুর ব্রত পালন করে অপুকে নিয়ে গড়ের পুকুরে পানিফল তুলতে যায়। সেখানে অপু শেওড়াগাছের পাশে একটি জিনিস দেখতে পেয়ে মাটি খুঁড়ে সেটা তুলে নেয়। তাদের মনে হয়েছিল জিনিসটা হিরে। বাড়ি ফিরে সেটা সর্বজয়াকে দেখাতে তারও মনে আশা জেগে ওঠে এবং সে সেটা তার স্বামী হরিহরকেও বলে। কিন্তু হরিহর সেটা পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারে জিনিসটা আসলে কাচ।

১. অপু কিসের উপর হাতের লেখা লেখে।

উত্তরঃ অপু তাল পাতায় হাতের লেখা লেখে।

২. দুর্গা পুণ্যিপুকুরের যে ব্রত আবৃত্তি করেছিল সেটি লেখ।

উত্তরঃ পুণ্যিপুকুর পুষ্পমালা কে পূজে রে দুপুরবেলা ? আমি সতী লীলাবতী ভায়ের বোন ভাগ্যবতী।

৩. দুর্গা অপুকে নিয়ে কোথায় পান ফল আনতে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ গ্রামের আদিবাসী না মজুমদারের বাড়ির পাশে অবস্থিত গড়ের পুকুরে।

৪. দুর্গা ও অপু হিরে ভেবে বাড়িতে কী নিয়ে এসেছিল ?

উত্তরঃ দুর্গা ও অপু হিরে ভেবে বাড়িতে এক ধরনের কাচ (বেলোয়ারি কাচ) নিয়ে এসেছিল।

(৬) ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ (পৃষ্ঠা নং ২৮)

মূলকথা : আম কুড়োনোর মজা

কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে আম কুড়ানোর জন্য অপু দুর্গা চরম উৎসাহে আম বাগানের দিকে দৌড় দেয়। মহানন্দে কিছু আম কুড়োয়। ভুবন মুখুজ্যের সোনামুখী আমতলায় এই দুই ভাইবোনকে দেখতে পেয়ে সতু তাদের তাড়িয়ে দেয়। দুর্গা আর অপু সেখান থেকে যায় গড়ের পুকুরধারের বাগানে। সেখানে প্রবল বৃষ্টিতে দুজনে ভিজে একটা ঝুনা নারকেল ও একটা নারকেলের বাগলো নিয়ে বাড়ি ঢোকে। সর্বজয়া প্রথমে খুশি হয়। পরে সেজঠাকরুনের অভিশাপের ভয়ে নারকোল ফিরিয়ে দিয়ে আসতে বলে।

১. ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে দুর্গা তার ভাইকে কোথায় থাকতে বলেছিল ?

উত্তরঃ সিঁদুরকৌটো-তলায়।

২. কোন গাছের ফুল শুঁয়ার মতো পালকওয়ালা ও সাদা সাদা ?

উত্তরঃ কুকশিমা।

৩. সোনামুখী তলায় দুর্গা কয়টা আম কুড়িয়ে পেয়েছিল ?
(ক) পাঁচ-ছয়টা (খ) সাত-আটটা
(গ) আট-নয়টা (ঘ) নয়-দশটা

উত্তরঃ (গ) আট-নয়টা।

৪. সোনামুখী তলায় অপু কয়টা আম কুড়িয়ে পেয়েছিল ?
(ক) দুইটা (খ) তিনটা (গ) চারটা (ঘ) পাঁচটা

উত্তরঃ (ক) দুইটা।

৫. হৈ-হাই শব্দে কার বাড়ির ছেলেমেয়েরা সোনামুখী তলায় আম কুড়াতে গিয়েছিল ?
(ক) অন্নদাশঙ্কর (খ) মিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) নীলমণি রায়ের (ঘ) ভুবন মুখুয্যে

উত্তরঃ (ঘ) ভুবন মুখুয্যে।

৬. সোনামুখী তলা থেকে কে দুর্গাকে চলে যেতে বলেছিল ?
(ক) রাণু (খ) সতু (গ) টুনু (ঘ) নীতু

উত্তরঃ (খ) সতু।

৭. সোনামুখী থেকে গড়ের পুকুর ধারের বাগান যেতে কত সময় লাগে ?
(ক) পাঁচ মিনিট (খ) আট মিনিট
(গ) পনেরো মিনিট (ঘ) কুড়ি মিনিট

উত্তরঃ (গ) পনেরো মিনিট।

৮. গড়ের পুকুর ধারের বাগানে দুর্গা ক’টা আম খেয়েছেলো ?
(ক) ৫-৭টা (খ) ৬-৮টা (গ) ৭-৯টা (ঘ) ৮-১০টা

উত্তরঃ (ঘ) ৮-১০টা।

৯. ‘নেবুর পাতায় করমচার/হে বিষ্টি ধরে যা।’ বৃষ্টির সময় কারা চেঁচিয়ে বলছিল ?
(ক) অপু ও দুর্গা (খ) রানু ও টুনু
(গ) সতু ও মিতু (ঘ) মিনা ও লিনা

উত্তরঃ (ক) অপু ও দুর্গা।

১০. ঝড়ের সময় যে গাছের তলায় অপু ও দুর্গা দাঁড়িয়েছিল সে গাছের মাথায় কোন ফল ঝুলছিল ?
(ক) বাতাবি লেবু (খ) ডালিমের ফল
(গ) বন-ধুদুলের ফল (ঘ) ডেউয়া ফল

উত্তরঃ (গ) বন-ধুদুলের ফল।

১১. বৃষ্টির পর কার স্ত্রী পুকুরঘাটে যাচ্ছিল ?
(ক) ভুবন মুখুয্যের (খ) মিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) নীলমণি রায়ের (ঘ) রাজকৃষ্ণ পালিতের

উত্তরঃ (ঘ) রাজকৃষ্ণ পালিতের।

১২. বৃষ্টির পর বাড়ি ফেরার সময়ে দুর্গার হাতে কি ছিল ?
(ক) বাতাবি লেবু (খ) নারিকেলের বাগলো
(গ) ঝুনা নারিকেল (ঘ) বন কাঁঠাল

উত্তরঃ (গ) ঝুনা নারিকেল।

১৩. বৃষ্টির পর বাড়ি ঢোকার সময় অপুর হাতে কি ছিল ?
(ক) বাতাবি লেবু (খ) নারিকেলের বাগলো
(গ) ঝুনা নারিকেল (ঘ) বন কাঁঠাল

উত্তরঃ (খ) নারিকেলের বাগলো

১৪. সর্বজয়া কুয়োঁর জল তুলতে কার বাড়ি যেত ?
(ক) মিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের (খ) নীলমণি রায়ের
(গ) ভুবন মুখুয্যে্র (ঘ) রাজকৃষ্ণ পালিতের

উত্তরঃ (গ) ভুবন মুখুয্যে্র।

১৫. ঝড়ের পরে দুর্গা কার বাগান থেকে নারিকেল কুড়িয়ে এনেছিল ?
(ক) মিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের (খ) ভুবন মুখুয্যের
(গ) নীলমণি রায়ের (ঘ) রাজকৃষ্ণ পালিতের

উত্তরঃ (খ) ভুবন মুখুয্যের।

১৬. সর্বজয়া দুর্গাকে সতুদের বাড়িতে কি ফেরত দিয়ে আসতে বলেছিল ?
(ক) নারিকেল (খ) আম (গ) কামরাঙা (ঘ) জাম

উত্তরঃ (ক) নারিকেল।

(৭) সপ্তম পরিচ্ছেদ (পৃষ্ঠা নং ৩৩)

মূলকথা : অপুর পাঠশালা যাওয়ার অভিজ্ঞতা

গ্রামের প্রসন্ন গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় অপুকে পাঠানো হবে শুনে সে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। তার ধারণা ছিল যে, সমস্ত দুষ্টু ছেলে যারা মা-বাবার অবাধ্য তারাই কেবল পাঠশালায় যায়। সর্বজয়া অনেক বোঝানোর পর ও হরিহরের কড়া শাসনের ভয়ে শেষে অপু নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাঠশালায় যায়। পাঠশালায় পুরুমশাই দোকানদারিও করেন আবার ছাত্র পড়ান। তিনি খুব রাশভারী মানুষ। গুরুমশায়ের কাছে মাঝেমধ্যে আসতেন দীনু পালিত, রাজু রায়, রামকৃয় সান্যাল প্রমুখ। তাঁদের মুখে দেশভ্রমণ ও নানা অভিজ্ঞতার কথা অপুকে কল্পনার জগতে নিয়ে যেত। পাঠশালায় শ্রুতিলিখন লিখতে গিয়ে অপুর সাহিত্যবোধ জেগে ওঠে। তার কল্পণাপ্রবণ মন অজানা জগতে পৌঁছোনোর জন্য আকুল হয়ে উঠত।

বিকল্পধর্মী প্রশ্নোত্তর : ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা

১. পথের পাঁচালী গল্পে গুরু মশায়ের নাম—
(ক) রাজকৃষ্ণ সান্যাল (খ) দীনু পালিত
(গ) প্রসন্ন গুরুমশায় (ঘ) দিবাকর গুরুমশা

উত্তরঃ (গ) প্রসন্ন গুরুমশায়।

২. পাঠশালায় গুরুমহাশয় কিসের উপর বসে থাকেন—
(ক) তালপাতার চাটাই এর উপর
(খ) চটের বস্তার উপর
(গ) কাঠের তৈরি চেয়ার এর উপর
(ঘ) প্লাস্টিক চেয়ারের উপর

উত্তরঃ (ক) তালপাতার চাটাই এর উপর।

৩. কোন ছাত্রকে গুরুমশাই শাস্তি দেওয়ার উপকরণ আনতে বলেছিলেন ?
(ক) ফতে নামের এক ছাত্রকে
(খ) ছোটু নামের এক ছাত্রকে
(গ) ফণে নামের এক ছাত্রকে
(ঘ) সতে নামের এক ছাত্রকে

উত্তরঃ (ঘ) সতে নামের এক ছাত্রকে।

৪. দুষ্টু ছাত্র দুটি কে শায়েস্তা করতে গুরুমহাশয় যা আনতে বলেছিলেন—
(ক) একখানা বেত (খ) একখানা থান ইঁট
(গ) একখানা বাঁশের কঞ্চি (ঘ) একখানা বড় লাঠি

উত্তরঃ (খ) একখানা থান ইঁট।

৫. প্রসন্ন গুরুমশাই এর সঙ্গে গল্প করতে গ্রামের দুজন ব্যক্তি কখন আসতো ?
(ক) সকালে (খ) দুপুরে (গ) বিকালে (ঘ) রাত্রে

উত্তরঃ (গ) বিকালে।

৬. রাজু রায় যে বাজারে তামাকের দোকান খুলে ছিলেন—
(ক) আষাঢ়ুর বাজারে (খ) নবাবগঞ্জ বাজারে
(গ) মতিঝিল বাজারে (ঘ) বটতলা বাজারে

উত্তরঃ (ক) আষাঢ়ুর বাজারে।

৭. অপু বড় হলে কিসের দোকান খুলবে বলে ভাব ছিল ?
(ক) কাপড়ের দোকান (খ) তামাকের দোকান
(গ) সোনার দোকান (ঘ) মুদিখানার দোকান

উত্তরঃ (খ) তামাকের দোকান।

৮. গ্রামের রাজু রায় আষাঢ়ুর বাজারে কিসের দোকান খুলে ছিল ?
(ক) কাপড়ের দোকান (খ) তামাকের দোকান
(গ) সোনার দোকান (ঘ) মুদিখানার দোকান

উত্তরঃ (খ) তামাকের দোকান।

৯. যেকোনো গল্প সুন্দর করে সাজিয়ে বলার ক্ষমতা ছিল—
(ক) রাজকৃষ্ণ সান্যালের (খ) দীনু পালিতের
(গ) প্রসন্ন গুরুমশাই এর (ঘ) রাজু রায়ের

উত্তরঃ (ক) রাজকৃষ্ণ সান্যালের।

১০. রাজকৃষ্ণ সান্যাল কীসে বাতিকগ্রস্ত ছিলেন ?
(ক) গল্পগুজবে (খ) খেলাধুলায় (গ) রসিকতায়
(ঘ) দেশ ভ্রমণে

উত্তরঃ (ঘ) দেশ ভ্রমণে।

১১. ‘আম গাছে বেদানা ফলিয়া আছে।’- কীভাবে ?
(ক) এক সাধুবাবার মন্ত্রোচ্চারণে
(খ) এক জাদুকরের মন্ত্রোচ্চারণে
(গ) এক ফকিরের মন্ত্রোচ্চারণে
(ঘ) ভগবানের কৃপায়

উত্তরঃ (গ) এক ফকিরের মন্ত্রোচ্চারণে।

১২. বুদ্ধ গাড়োয়ান কত বছর বয়সে মারা যায় ?
(ক) 80 বছর (খ) 90 বছর (গ) 100 বছর
(ঘ) 110 বছর

উত্তরঃ (গ) 100 বছর।

১৩. ‘চাকদা থেকে গঙ্গা চান করে গরুর গাড়ি করে ফিরছি।’- কে ফিরছে ?
(ক) সান্যাল মহাশয় (খ) দীনু পালিত
(গ) প্রসন্ন গুরুমশাই (ঘ) গ্রামের রাজু রায়

উত্তরঃ (খ) দীনু পালিত।

১৪. ‘আজ সব থানায় নিয়ে গিয়ে পাঠিয়ে দেবো।’-থানার নাম ছিল—
(ক) এলাহিগঞ্জ (খ) জিয়াগঞ্জ (গ) রঘুনাথগঞ্জ
(ঘ) নবাবগঞ্জ

উত্তরঃ (ঘ) নবাবগঞ্জ।

১৫. ‘সে গিয়া বসিয়া পড়িতেছিল।’-সে কী বই পড়ছিল ?
(ক) শিশু সাহিত্য (খ) শিশুপাঠ্য (গ) শিশু বোধক
(ঘ) বর্ণপরিচয়

উত্তরঃ (গ) শিশু বোধক।

১৬. বুধু গাড়োয়ানের ঘটনার সময় দিন পালিতের বয়স ছিল—
(ক) সতেরো-আঠারো (খ) আঠারো-ঊনিশ
(গ) ঊনিশ-কুড়ি (ঘ) কুড়ি-একুশ

উত্তরঃ (গ) ঊনিশ-কুড়ি।

১৭. বুধু গাড়োয়ানের গাড়ির পিছু নিয়েছিল যারা, তারা সংখ্যায় ছিল—
(ক) তিনজন (খ) চারজন (গ) পাঁচজন (ঘ) ছয়জন

উত্তরঃ (খ) চারজন।

১৮. প্রসন্ন গুরুমশাই এর শ্রুতিলিখনে কোন নদীর নাম আছে ?
(ক) গঙ্গা (খ) ভাগীরথী (গ) যমুনা (ঘ) গোদাবরী

উত্তরঃ (ঘ) গোদাবরী।

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর : ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা

১. প্রসন্ন গুরুমশাই এক ছাত্রকে একখানা থান ইট কোথা থেকে আনতে বলেছিলেন ?

উত্তরঃ তেঁতুলতলা থেকে।

২. গ্রামের পাঠশালায় গল্প করতে থেকে আসতেন ?

উত্তরঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল দীনু পালিত ও রাজু রায়।

৩. পাঠশালায় গল্পগুজব কখন জমে উঠতো ?

উত্তরঃ যখন গ্রামের ও পাড়ার রাজকৃষ্ণ সান্যাল মশাই যেদিন আসতেন।

৪. ‘বিন্ধ্যাচল না চন্দ্রনাথ ভ্রমণে গিয়েছেন।’- কে ?

উত্তরঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল।

৫. ‘খরচ পত্র কোরিয়া সর্বস্বান্ত হইয়া ফিরিতেন।’- কে ?

উত্তরঃ রাজকৃষ্ণ সান্যাল।

৬. ‘এই যে প্রসন্ন, কিরকম আছো, বেস্ট জাল পেতে বসেছো যে।’- বক্তা কে ? তিনি কীভাবে বিদ্যালয় আসতেন ?

উত্তরঃ তাহলে রাজকৃষ্ণ সান্যাল। একটা মোটা লাঠি হাতে তিনি লম্বা লম্বা পা ফেলে পাঠশালায় আসতেন।

৭. ‘অপুর মুখ অমনি অসীম আহ্লাদে উজ্জ্বল হইয়া উঠিত।’- কখন ?

উত্তরঃ যখন রাজকৃষ্ণ সান্যাল পাঠশালায় আসতেন।

৮. ‘নামটা শুনিয়া অপুর বাড়ি হাসি পেয়েছিল।’- কীসের নাম ? নামটা কী ?

উত্তরঃ খাবারের নাম। নামটা হল প্যাঁড়া।

৯. বুধো গাড়োয়ানের বাড়ি কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ বেলডাঙায়।

১০. ‘একটা গল্প বলি শোনো।’-বক্তা কে ?

উত্তরঃ বক্তা হলেন দীনু পালিত।

১১. বুধো গাড়োয়ানের ঘটনা কোথায় ঘটেছিল ?

উত্তরঃ কানশোনার মাঠের কাছে ।

১২. শ্রুতিলিখন শুনতে শুনতে অপুর কত বছর আগের কথা মনে পড়ছিল ?

উত্তরঃ দুই বছর।

১৩. ‘সে বড় হইলে যাইয়া দেখিবে।’- সে কে ? সে কী দেখবে ?

উত্তরঃ বক্তা অপু, সে বড় হলে প্রস্রবণ গিরি দেখতে যাবে।

(৮) অষ্টম পরিচ্ছেদ (পৃষ্ঠা নং ৪০)

মূলকথা : আতুরি ডাইনি

ভাদ্র মাসের একদিন মায়ের অনুরোধ উপেক্ষা করে অপু নীলুদের বাড়ি যায়। নীলু আর অপু দুজনে মিলে পাখির ছানা দেখতে যায়। ফেরার সময় পথ হারিয়ে তারা আতুরি ডাইনির বাড়ির সামনে চলে আসে। আর আত্বরি ডাইনি তখন তাদের সামনে দাঁড়িয়ে। অপু নীলু ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। আতুরি ডাইনি সম্বন্ধে গ্রামের বাচ্চা ছেলেমেয়েরা অনেক অস্বাভাবিক গল্প শুনে ভয় পেত। তাই সেইসব মনে করে ভয়ে অপুর গলা শুকিয়ে যায়। অপু মনে মনে ভাবল, মায়ের কথা না শুনেই এই বিপত্তি। আতুরি ডাইনি তাদের আমচুর দিতে চাইলে তারা আরো ভয় পেয়ে যায়। আতুরি ডাইনির আশ্বাসেও কোন কাজ হলো না। শেষ পর্যন্ত প্রাণের ভয়ে অপু ও নীলু ছুটতে লাগলো। সন্ধ্যার পর অপু বাড়ি এসে পৌঁছল।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণি বাংলা।

১. মায়ের ডাক উপেক্ষা করে অপু কোথায় গিয়েছিল ?

উত্তরঃ মায়ের ডাক উপেক্ষা করে অপু নীলু ওদের বাড়ি খেলতে গিয়েছিল।

২. অপু ও নীলু দুজনে মিলে দক্ষিণ মাঠে কেন গিয়েছিল ?

উত্তরঃ পাখির ছানা দেখতে।

৩. অপু ও নীলু বাড়ি ফেরার পথ হারিয়ে কার সামনে পড়েছি ?

উত্তরঃ আতুরি ডাইনির সামনে।

৪. অপু তার দিদিকে আতুরি ডাইনির গল্পের বদলে কোন গল্প বলতে বলেছিল ?

উত্তরঃ কুঁচবরণ রাজকন্যার গল্প।

৫. ‘কোন দিকেই আর পালাইবার পথ নাই।’– কাদের কেন পালাবার পথ ছিল না ?

উত্তরঃ অপু ও নীলু আতুরি ডাইনির কবলে পড়ে তাদের কোন দিকে পালাবার পথ ছিল না।

৬. আতুরি ডাইনি অপু ও নিলুকে কি দেখতে চেয়েছিল ?

উত্তরঃ আমচুর।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর : ছোটদের পথের পাঁচালী অষ্টম শ্রেণী বাংলা

১. ‘অপুর মুখ শুকাইয়া গেলো।’– অপর মুখ শুকিয়ে যাওয়ার কারন কী ?

উত্তরঃ অপু ও নীলু সারাদিন বন জঙ্গলের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হয়। অপ শুনেছিল যে আতুরি ডাইনি ছেলেদের প্রাণ কচুর পাতায় মুড়ে জলে ডুবিয়ে রাখে এবং ছোট ছেলেদের রক্ত চুষে মেরে ফেলতে পারে। ভয়ে অপুর চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। সে দেখে আতুরি ডাইনি তার দিকে চেয়ে কি যেন বলছে। এই অবস্থায় প্রাণের ভয়ে অপুর মুখ শুকিয়ে গেল।

২. ‘নীলুদা, আমার মা বকবে।’– বক্তা কে ? সে কেন তাকে এ কথা বলেছিল ?

উত্তরঃ বক্তা নিশ্চিন্দিপুর গ্রামের দরিদ্র ব্রাহ্মণ পুরোহিতের ছেলে অপু।

এ কথা সে তার খেলার সাথী নীলুদাকে বলেছিল। কারণ অপু নীলুদাকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণের মাঠে পাখির ছানা দেখতে গিয়েছিল। গ্রাম থেকে তারা অনেক দূরে চলে আসে। কিন্তু অপরিচিত জগতে অপুর কেমন অস্বস্তি হয়। কারণ এত দূর সে কখনো আসেনি। তাই অপু বাড়ি ফেরার কথা নীলুদাকে উদ্ধৃত কথাটি বলেছিল।

৩. ‘তাহার ফল এই ফলিতে চলিল’– কোন ফল কিভাবে ফলবে বলে বক্তার মনে হয়েছে ?

উত্তরঃ অপু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মা সর্বজয়া বারবার করে তাকে নিষেধ করে। অপু যেন চাল ভাজা খেয়ে বের হয়। কিন্তু অপু তার মায়ের কথা শোনেনি। তাই বাড়ি ফেরার পথ হারিয়ে আতুরি ডাইনির বাড়িতে এসে পড়ে তাদের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তখন তার মনে হয় এই বিপদ যেন মায়ের কথা না শোনার ফল। যদি সে মায়ের কথা শুনতো তবে তাকে এই বিপদে পড়তে হতো না বলেই তার মনে হয়েছে।

📌আরো দেখুনঃ

∆পথের পাঁচালী দ্বিতীয় পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

∆পথের পাঁচালী তৃতীয় পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:22 mins read