বচন চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্নোত্তর পঞ্চম শ্রেণি ভাষাপাঠ | Class 5 Bochon Question Answer Chapter 4 Bhasa Path wbbse
📌পঞ্চম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌পঞ্চম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌পঞ্চম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here
বচন
চতুর্থ অধ্যায়
ভাষাপাঠ ব্যাকরণ
হাতেকলমে প্রশ্নোত্তর : বচন চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্নোত্তর পঞ্চম শ্রেণি ভাষাপাঠ | Bochon Question Answer Chapter 4 Class 5 wbbse
১। নীচের অনুচ্ছেদগুলিতে নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দগুলিতে কোন কোন বচনের ব্যবহার হয়েছে, তা নির্ণয় করো :
১.১. আজ থেকে ঠিক বাহান্ন বছর আগে মা-বাবা-ভাই-বোন আত্মীয় বন্ধু ও ঘর-বাড়ি ছেড়ে আরামহীন অনিশ্চিতের পথে বেরিয়ে পড়েছিলাম অজানাকে জানার ও অচেনাকে চেনার জন্য। সারা পৃথিবী ঘোরবার স্বপ্ন যা ছেলেবেলায় ভূগোল পড়বার সঙ্গে সঙ্গে নেশার মতো আমাকে আঁকড়ে ধরেছিল, ১৯২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর, তার বাস্তব রূপ নেওয়ার পথের প্রথম পদক্ষেপ শুরু হল। আমার বয়স তখন তেইশ, সঙ্গে তিন বন্ধু-অশোক মুখার্জী, আনন্দ মুখার্জী, মণীন্দ্র ঘোষ। অশোক মুখার্জী আমাদের দলের নেতা। সাইকেল চারখানা আমাদের বাহন।
উত্তরঃ ঘর-বাড়ি ➙ বহুবচন। পৃথিবী ➙ একবচন। আমাকে ➙ একবচন। আমার ➙ একবচন। তেইশ ➙ বহুবচন। আমাদের ➙ বহুবচন।
১.২ যাত্রা শুরু হল সেই নির্দিষ্ট দেশের দিকে। কিছু দূরে যেতে না যেতে নানা প্রকারের বাধা আসতে লাগল। ক্রমশ তাঁরা এগোতে লাগলেন। যেখান দিয়ে যান সেখানে এক-এক জায়গায় তাঁবু ফেলে খাবার রেখে যান এবং প্রত্যেক তাঁবুর ওপর একটা করে পতাকা গুঁজে রাখেন, কারণ ফেরবার সময় যখন খাবার দরকার হবে তখন এই সমস্ত তাঁবু থেকেই তা পাওয়া যাবে এবং ফেরবার পথেরও নিশানা হবে।
উত্তরঃ দেশের ➙ একবচন। নানা ➙ বহুবচন। তাঁরা ➙ বহুবচন। তাঁবু ➙ একবচন। সমস্ত ➙ বহুবচন।
১.৩ বেশ হই হই করে পথ চলছিলাম। অপরাহ্ণে হঠাৎ মেঘ উঠল যেন নীল ঘাস দিয়ে বোনা পাখির বাসা। বাতাস আর বিদ্যুৎ তার মধ্যে এসে ঘোঁট পাকাতে লাগল। তারপর পুটপাট করে বৃষ্টি নামল। আমাদের পাঁচজনের তাগ্নিমারা একটামাত্র ছাতা, সেটাও হাওয়ার দমকে উলটে গেল। বৃষ্টি কেঁপে এলে পথের পাশে গাছতলায় দাঁড়াই, কমে গেলে আবার হাঁটি- এইভাবে থেমে থেমে চলতে চলতে শেষে বিরক্ত হয়ে বেপরোয়া বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটতে লাগলাম। মাঠে মাঠে জল দাঁড়িয়ে গেছে। ছোটো ছোটো স্রোত এসে পড়ছে খালে, দূরে দেখা যায় পাটক্ষেতের ওপর বৃষ্টি ঘুরপাক খাচ্ছে, জলের ছায়া কত দূর পর্যন্ত আমাদের ঘিরে আছে।
উত্তরঃ পথ ➙ বহুবচন। নীল ঘাস ➙ একবচন। বৃষ্টি ➙ বহুবচন। পাঁচজনের ➙ বহুবচন। মাঠে মাঠে ➙ বহুবচন। ছোটোছোটো ➙ বহুবচন।
২। নীচের শব্দগুলির বহুবচনের রূপগুলি লেখো : আমি, জন্তু, সে, টেলিভিশন, আমার, তিনি, পাঠশালা
একবচন | বহুবচন |
আমি | আমরা |
জন্তু | জন্তুগুলি |
সে | তারা |
টেলিভিশন | টেলিভিশনগুলি |
আমরা | আমাদের |
তিনি | তাঁরা |
পাঠশালা | পাঠশালাগুলি |
৩। নীচের একবচন ও বহুবচন শব্দগুলি নির্দিষ্ট স্থানে বসাও : নৌ-সেনা, মা, তোদের, তাঁকে, মাঠ, তিমি, ধুলো, বন্ধুরা
একবচন | বহুবচন |
মা, তাঁকে, মাঠ, তিমি | নৌ-সেনা, তোদের, বন্ধুরা |
বিঃ দ্রঃ ধুলো — শব্দটির বহুবচন হবে না।
৪। নীচের বাক্যগুলিতে কী ভুল আছে তা নির্দেশ করে বাক্যগুলি শুদ্ধ করে লেখো :
৪.১. একটি ছোট্ট ছোট্ট বইয়ের দোকান।
উত্তরঃ ‘ছোট্ট ছোট্ট’– শব্দদুটি বোঝায় বহুবচন। কিন্তু বাক্যটিতে ‘একটি’ শব্দটি রয়েছে। তাই বাক্যটি ভুল হয়েছে। শুদ্ধ বাক্যটি হবে– একটি ছোট্ট বইয়ের দোকান।
৪.২ যতীনদের রাগ তখন কমে এসেছে, তার মনের ভয় হয়েছে।
উত্তরঃ বাক্যটিতে ‘যতীনদের’ শব্দটি বহুবচন এবং ‘তার’ আর ‘মনের’ পদটির দ্বারা একবচন প্রকাশিত হয়েছে। শুদ্ধ বাক্যটি হবে– যতীনের রাগ তখন কমে এসেছে, তার মনে ভয় হয়েছে।
৪.৩ সুয্যিরা ডুবে গেছে কতক্ষণ!
উত্তরঃ সুয্যি অর্থাৎ ‘সূর্য’ একটিই হয়, তাই সূর্যের বহুবচনও হয় না। শুদ্ধ বাক্যটি হবে– সুয্যি ডুবে গেছে কতক্ষণ!
৫। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৫.১ বচন বলতে কী বোঝো ? বাংলায় বচন কত প্রকার ও কী কী ? প্রত্যেক ক্ষেত্রে দুটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যার দ্বারা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সংখ্যা সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়, তাকে বচন বলে।
বাংলায় বচন দুই প্রকার- একবচন ও বহুবচন। উদাহরণ : একবচন– গাছ, ফুল, বই। বহুবচন– গাছগুলি, ফুলগুলি, বইগুলি।
৫.২ বাংলায় একবচনকে বহুবচনে পরিণত করার তিনটি নিয়ম দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করো।
উত্তরঃ বাংলায় একবচনকে বহুবচনে পরিণত করার নিয়মগুলি হল—
(১) শব্দের পূর্বে অনেক, বহু, সকল, সব অসংখ্য ইত্যাদি বিশেষণ পদ যোগ করে। যেমনঃ বহু ছেলে। সব আশা। অসংখ্য লোক। সকল দেশ।
(২) প্রাণীবাচক শব্দের সঙ্গে রা, এরা, গুলি, দের ইত্যাদি বিভক্তি এবং কুল, গণ, পাল, বৃন্দ, বর্গ, মণ্ডলী, মহল, সমূহ, বাহিনী শব্দ যোগ করে। যেমন— ছেলে + রাত = ছেলেরা, বালক + এরা = বালকেরা, লোক + গুলি লোকগুলি, শিক্ষক + দের = শিক্ষকদের, শিক্ষক + কুল = শিক্ষককুল, নেতৃ + বৃন্দ = নেতৃবৃন্দ, প্রজা + বর্গ = প্রজাবর্গ, ভদ্র + মণ্ডলী = ভদ্রমণ্ডলী, মহিলা + মহল = মহিলা মহল, সেনা + বাহিনী = সেনাবাহিনী, বন্ধু + গণ = বন্ধুগণ, গোরুর + পাল = গোরুরপাল ইত্যাদি।
(৩) অপ্রাণীবাচক শব্দের শেষে রাশি, রাজি, মালা, পুঞ্জ, শ্রেণি, সমূহ ইত্যাদি বহুবচন-বোধক শব্দ যোগ করে বহুবচন করা হয়। যেমন— পুষ্প + রাশি = পুষ্পরাশি, গ্রন্থ + রাজি = গ্রন্থরাজি, ঊর্মি + মালা = ঊর্মিমালা, মেঘ + পুঞ্জ = মেঘপুঞ্জ, পর্বত + শ্রেণি = পর্বতশ্রেণি, বৃক্ষ + সমূহ = বৃক্ষসমূহ।
(৪) একই শব্দকে দু-বার ব্যবহার করে বহুবচন করা যায়। যেমন— দেশে দেশে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ল।
৫.৩ কোন কোন ক্ষেত্রে বহুবচন হয় না, উদাহরণসহ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ
(১) ব্যক্তি ও স্থানবাচক শব্দের সাধারণত বহুবচন হয় না। যেমন— রাম, কৃষ্ণ, কালী, কলকাতা, কোন্নগর ইত্যাদি।
(২) বস্তুবাচক শব্দের বহুবচন হয় না। যেমন— সোনা, তামা, তেল, ঘি, মধু, দুধ ইত্যাদি। কিন্তু পরিমাণ বোঝালে বহুবচন হয়। যেমন— পাঁচ গ্রাম সোনা, দু-কিলো তেল, অনেক দুধ ইত্যাদি।
(৩) ক্রিয়াবাচক শব্দের বহুবচন হয় না। যেমন— ভ্রমণ, গমন, ভোজন ইত্যাদি।
(৪) গুণবাচক শব্দের বহুবচন হয় না। যেমন— সাধুতা, সরলতা ইত্যাদি।
(৫) একই সঙ্গে একের অধিক বহুবচনে বিভক্তি চিহ্ন যুক্ত হয় না। যেমন— ‘অনেক ছেলেরা’ হবে না, ‘অনেক ছেলে’ হবে।
৬। উদাহরণ দাও :
৬.১. সমার্থক শব্দযোগে বহুবচন—
উত্তরঃ (১) বাড়িতে গিয়ে চিঠিপত্র লিখ। (২) অনেক পড়াশোনা হয়েছে, এবার বইপত্র গুছিয়ে রাখো।
৬.২. সর্বনামের দ্বিত্ব প্রয়োগে বহুবচন—
উত্তরঃ (১) কে কে আমার সঙ্গে বেড়াতে যাবে ? (২) কেউ কেউ খুব আনন্দ পেয়েছে।
৬.৩ একবচনের রূপ দ্বারা বহুবচনের অর্থ—
উত্তরঃ (১) মানুষ মরণশীল। (২) বিদ্যাসাগর বাঙালির গৌরব।
৬.৪ বহুবচনের রূপ দ্বারা একবচনের অর্থ—
উত্তরঃ (১) এই কথাগুলো না বললেই ভালো হত। (২) আমরা (পত্রিকার সম্পাদক) অনেকবার এই জাতীয় বই ছাপিয়েছি।
৬.৫ সমষ্টিবাচক শব্দের যোগে বহুবচন—
উত্তরঃ ছাত্রগণ, সেনাবাহিনী, প্রজাবর্গ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : বচন চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্নোত্তর পঞ্চম শ্রেণি ভাষাপাঠ | Bochon Question Answer Chapter 4 Class 5 wbbse
১. ‘ভক্তবৃন্দের ভিড়ে মন্দির চত্বর পরিপূর্ণ।’- ‘ভক্তবৃন্দের’ শব্দটি– (একবচন / দ্বিবচন / বহুবচন / কোনোটিই নয়)।
উত্তরঃ বহুবচন।
২. আমি শব্দের বহুবচন হবে– (আমরা / আমাদের / আমাকে / কোনোটিই নয়)।
উত্তরঃ আমরা।
৩. মেয়েটি গান গাইছে– ‘মেয়েটি’ শব্দ হলো– (একবচন / দ্বিবচন / বহুবচন / কোনোটিই নয়)।
উত্তরঃ একবচন।
৪. বাংলা ব্যাকরণে বচন (এক / দুই / তিন / চার) প্রকার।
উত্তরঃ দুই।
৫. তুমি শব্দের বহুবচন হবে (তোমার / তোমাদের / তোমরা / কোনোটিই নয়)।
উত্তরঃ তোমরা।
৬. মেঘরাশি শব্দটি হল (একবচন / দ্বিবচন / বহুবচন / কোনোটিই নয়)।
উত্তরঃ বহুবচন।
৭. ‘দেশে দেশে তার নাম ছড়িয়ে পড়ল।’– ‘দেশে’ শব্দটি দুবার ব্যবহার করলে (একবচন হয় / দ্বিবচন হয় / বহুবচন হয় / কিছু হয় না)।
উত্তরঃ বহুবচন হয়।
৮. ‘মালা’ শব্দটির সঙ্গে ‘খানি’ যুক্ত করলে (একবচন বোঝায় / দ্বিবচন বোঝায় / বহুবচন বোঝায় / কিছুই বোঝায় না)।
উত্তরঃ একবচন বোঝায়।
৯. প্রাণী বা বস্তু উভয় ক্ষেত্রেই টি, টা যোগ করলে (একবচন বোঝায় / দ্বিবচন বোঝায় / বহুবচন বোঝায় / কিছুই বোঝায় না)।
উত্তরঃ একবচন বোঝায়।
১০. সমস্ত মাঠটা ‘কচি কচি গাছে ভরে গেছে।’– ‘কচি’ শব্দটি দুবার ব্যবহার করলে (একবচন হয় / দ্বিবচন হয় / বহুবচন হয় / কিছু হয় না)।
উত্তরঃ বহুবচন হয়।
১১. কোন প্রাণী বা বস্তুর সংখ্যা বা পরিমাণ সম্বন্ধে আমরা যে ধারণা দিই তাকে ব্যাকরণের ভাষায় (পদ / বচন / লিঙ্গ / পুরুষ) বলে।
উত্তরঃ বচন।
১২. ‘এইসব কথা না বললেই ভালো হয়।’– এখানে ‘কথা’ শব্দটি (একবচন / দ্বিবচন / বহুবচন / কোনোটিই নয়)।
উত্তরঃ বহুবচন।
📌আরও পড়ুনঃ
◆ দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্নোত্তর