অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান
—জয় গোস্বামী
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী (SAE) প্রশ্নোত্তর দশম শ্রেণি বাংলা | Astrer Biruddhe Gaan Kobitar Question Answer Class 10 Bengali wbbse
সাহিত্য সঞ্চয়ন
দশম শ্রেণি বাংলা (প্রথম ভাষা)
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতার সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর দশম শ্রেণি বাংলা | Astrer Biruddhe Gaan Kobitar Short and Explanatory SAE Question Answer Class 10 Bengali wbbse
📌দশম শ্রেণির ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌 দশম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা দশম শ্রেণি বাংলা | Astrer Biruddhe Gaan Kobitar Question Answer Class 10 Bengali wbbse
∆ কমবেশি ৬০ শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান-৩
১. “অস্ত্র ফেলো, অস্ত্র রাখো”– কবি কোথায় অস্ত্র রাখতে বলেছেন ? তাঁর এ কথা বলার কারণ কী ?
উত্তরঃ কবি গানের দুটি পায়ের নিচে অস্ত্র রাখতে বলেছেন।
জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় যুদ্ধবাজ মানুষদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানিয়েছেন। ক্ষমতার নেশায় মেতে ওঠা মানুষ নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। অস্ত্র হিংস্রতার প্রতীক। পৃথিবীতে মানুষের অস্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ অস্ত্রই সভ্যতার শেষ কথা নয়। তার বদলে চাই গান, যা সাম্যের এবং সুন্দরের কথা বলে। তাই কবি অস্ত্র ফেলে গানকেই জীবনযুদ্ধের হাতিয়ার করতে বলেছেন। কবির মানবতাবাদী মনোভাবটিই এখানে প্রকাশিত হয়েছে।
২. ‘আমি এখন হাজার হাতে পায়ে / এগিয়ে আসি, উঠে দাঁড়াই’— কে, কেন এগিয়ে আসেন ?
উত্তরঃ জয় গোস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি শান্তিকামী সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।
মানুষের একজোট হওয়া যে-কোনো অস্ত্রের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। মানুষের প্রতিরোধ যে-কোনো অস্ত্রকে আটকাতে পারে। যে মানুষেরা অস্ত্রের উপর নির্ভরশীল তাদের কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, অস্ত্র আসলে মানবতা বিরোধী। মানুষের সঙ্গে মানুষের সুসম্পর্কই হল শ্রেষ্ঠ। সেই অজস্র শুভবুদ্ধি মানুষের শক্তিতেই তিনি শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে আসেন।
৩. ‘হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াই’- হাত নাড়িয়ে কবি কীভাবে বুলেট তাড়ান ?
উত্তরঃ কবি জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায়, বুলেট অর্থাৎ বন্দুক থেকে নির্গত গুলি প্রতিহত করার কথা বলেছেন। এখানে হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়ানো বলতে গানের প্রাণবন্ত সজীবতায়, অস্ত্রের শত আঘাতকেও তুচ্ছ জ্ঞান করার কথা বলা হয়েছে। আর এই বুলেটের একটিও গায়ে লাগে না কারণ, তিনি আজ গানের বর্ম অর্থাৎ মানবিকতার মঙ্গলময় মন্ত্রকে অন্তরে ধারণ করেছেন। তাই কবি গানকে হাতিয়ার করে সহজেই হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়ান।
৪. ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’- কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলোচনা করো।
উত্তরঃ কবি জয় গোস্বামী ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় বন্দুক থেকে নির্গত বুলেট প্রতিরোধের জন্য গানের বর্মের শরীরে ধারণ করতে চেয়েছেন। মানুষের হৃদয়ের কোমল সুরময় ব্যঞ্জনার বহিঃপ্রকাশ হল গান। অস্ত্রের দানবিক সত্তার বিনাশ ঘটাতে তাই গানকেই কবি রক্ষাকবচ হিসেবে তুলে ধরেন। মানবতার এই জীবনজয়ী গানই অশুভ দানবিক প্রবৃত্তিসম্পন্ন অস্ত্রের হাত থেকে সভ্যতাকে রক্ষা করবে।
৫. ‘গান তো জানি একটা দুটো’- উদ্ধৃত অংশটির তাৎপর্য কী ?
উত্তরঃ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি অস্ত্রের দানবীয়তার প্রতিরোধে গানকেই রক্ষাকবচ হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও তাঁর সম্বল যৎসামান্য। তবু আত্মশক্তিকে সঙ্গী করে প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্রের বিরুদ্ধে এটুকুকে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরেই, তিনি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উদ্যত। তিনি প্রবলের ভয়ে ভীত হয়ে লুকিয়ে থাকতে নারাজ। তাই যা আজ মানবতার একক প্রতিরোধের গান, তাই একদিন সমগ্র শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সমবেত কলতানে পরিণত হবে।
৬. ‘আঁকড়ে ধরে সে খড়কুটো’- কবি কাকে ‘খড়কুটো’ বলেছেন ? তাকে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছেন কেন ?
উত্তরঃ কবি জয় গোস্বামী রচিত ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় গানকে তিনি খড়কুটো বলেছেন।
খড়কুটো শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো শুকনো ঘাস বা বিচালি। কিন্তু পাঠ্য কবিতায় শব্দটিকে রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। এখানে খড়কুটোর অর্থ হল তুচ্ছ কিংবা সামান্য অবলম্বন। অর্থাৎ প্রতিকূল অবস্থাকে অতিক্রম করার যৎসামান্য অথচ মূল্যবান রসদ। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এ পৃথিবীতে মানবিকতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি অন্তরমনের শুভবুদ্ধি কিংবা বিবেকের তাড়নাকে শত ঝড়ঝাপটাতেও অস্থির হতে দেন না। বরং সেটুকুকে পাথেয় করেই মানুষকে মনুষ্যত্বের পথে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেন। দিশাহীন সময়ে অন্তরের আহ্বান ‘খড়কুটো’র মতোই আমাদের দিশা দেখায়।
৭. ‘রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে’— উদ্ধৃত অংশটির তাৎপর্য লেখাে।
উত্তরঃ কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে অস্ত্রের বিরুদ্ধে অর্থাৎ হিংসার বিরুদ্ধে গানের মানবিক, প্রেমময় প্রতিবাদী অবস্থানকে তুলে ধরা হয়েছে। অস্ত্র মানে হানাহানি হিংসা রক্তপাত। কিন্তু গানে আছে প্রাণের সুধা। গানের সুরের ঝরনাধারায় স্নাত হৃদয়ে জাগরিত হয় প্রেম-প্রীতি, শান্তি, শুভ চেতনা, সৃজনশীলতা। অস্ত্রের আঘাতে যে রক্তক্ষরণ ঘটে, যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় গানেই আছে তার প্রকৃত উপসম। গান ভুলিয়ে দিতে পারে যাবতীয় জীঘাংসা বৃত্তি এবং নরকের দুঃস্বপ্নগুলিকে।
৮. ‘মাথায় কত শকুন বা চিল’—উদ্ধৃতাংশটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে শকুন বা চিল বলতে কবি স্বার্থান্ধ, অস্ত্রনির্ভর, যুদ্ধবাজ মানুষদের বুঝিয়েছেন। স্বার্থান্ধ, সুবিধাবাদী, লােভী, নিষ্ঠুর, অস্ত্রনির্ভর মানুষগুলি যাবতীয় মানবিক হৃদয় বৃত্তি, বােধ-বুদ্ধিকে বিসর্জন দিয়েছে। যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠে হেলায় পদদলিত করছে মানবতাকে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য যেনতেন উপায়ে স্বার্থ সিদ্ধি করা। তাদের এই ঘৃণ্য স্বার্থান্ধ হিংস্র প্রয়াসের চিত্রটি ভাগাড়ের ওপর মৃতভুক তীক্ষ্ণ নখ-চক্ষুবিশিষ্ট শকুন বা চিল চক্কর কাটার সঙ্গে তুলনীয়।
৯. ‘আমার শুধু একটা কোকিল’- একটা কোকিল কোন্ ভুমিকা পালন করবে ?
উত্তরঃ কবি জয় গােস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই অংশে অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানের অপরাজেয় ভূমিকা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। অস্ত্র নৃশংসতার পরিচয় দিয়ে মানুষের শুভ চেতনাকে ধ্বংস করে তার প্রবৃত্তিগত নীচতার বিকাশ ঘটায়। মানুষকে শকুন বা চিলের মতাে মৃতভুক করে তােলে। কিন্তু কোকিলের গান বয়ে আনে বসন্তের বার্তা। তার ‘সহস্ৰ উপায়ে বাঁধা’ গান হৃদয়ে হৃদয়ে নির্মাণ করবে প্রেমের মন্দির। কোকিল সংখ্যায় অনেক না হলেও অনেক গভীরে প্রভাব ফেলবে তার গান। মানুষকে নীচতা, স্বার্থপরতা, নিষ্ঠুরতা ভুলিয়ে প্রাণের বসন্তের উৎসবে শামিল করবে।
১০. “গান বাঁধবে সহস্র উপায়ে”– কে গান বাঁধবে ? সহস্র উপায়ে গান বাঁধার তাৎপর্য কী ?
উত্তরঃ কবি বলেছেন, তাঁর শুধু একটা কোকিল আছে। এই কোকিলই গান বাঁধবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মধুর কণ্ঠের কোকিল সৌন্দর্যের প্রতীক। কোকিলের রূপক ব্যবহার করে কবি তাঁর অন্তরের সৃজনশীল সত্তাকে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। এই কোকিল নানান উপায়ে গান বাঁধবে, যা হতে পারে প্রেম অথবা প্রতিবাদ যে কোনো ধারাতেই। সকল অস্ত্রের হুঙ্কারকে স্তব্ধ করে এই গান পৃথিবীতে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে।
১১. ‘বর্ম খুলে দ্যাখাে আদুড় গায়ে’- কবি কেন ‘বর্ম খুলে আদুড় গায়ে’ দেখতে বলেছেন ?
উত্তরঃ অস্ত্রনির্ভর আধুনিক সভ্যতায় ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ মানুষ অহংকারের বর্মে আচ্ছাদিত। ক্ষমতার দম্ভই সুকোমল মানবিক বৃত্তিগুলিকে ধ্বংস করে এক ধরনের যন্ত্র-জটিল জীবনে তাদের অভ্যস্ত করে তােলে। এভাবেই সমাজে বেড়ে চলে অশুভ শক্তির দৌরাত্ম্য। মানবতাবাদী কবি এই দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে চান। অস্ত্রনির্ভর হিংসাশ্রয়ী মানুষকে তার অমৃতময় সত্তায় ফেরাতে চান। তার শাশ্বত অধ্যাত্ম আত্মাকে জাগ্রত করে সহজ সরল প্রকৃতির রাজ্যে বিচরণ করাতে চান। তাই বর্ম খুলে আদুড় গা হতে বলেন।
১২. ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক / মাথায় গোঁজা ময়ূরপালক’- উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তরঃ কবি জয় গােস্বামী তার ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানের প্রতিবাদী চরিত্রটি বিশ্লেষণের পাশাপাশি এর প্রকৃতিগত মাধুর্যকে কাব্যসুন্দর ভাষায় উপস্থাপিত করেছেন। গান বুলেটকে প্রতিরােধ করতে পারে। সহস্র সুরের ঝরনাধারায় মানব হৃদয়কে ধৌত করে তাকে স্নিগ্ধ, সতেজ এবং স্বতঃস্ফূর্ত করতে পারে। জাগ্রত করতে পারে এক শাশ্বত অধ্যাত্মবােধ। এক্ষেত্রে গান যেন শিখিপুচ্ছ ঋষিবালকের বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়, যে তার মধুর বংশীধ্বনিতে মাতিয়ে দেয় বিশ্বভুবন।
১৩. “মাথায় গোঁজা ময়ূরপালক”– কার মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা ? এখানে ময়ূরপালক গোঁজা চিত্রকল্পের তাৎপর্য কী ?
উত্তরঃ কবির অনুভবে, গানরূপী ঋষিবালকের মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা হয়েছে।
অস্ত্রের বিরুদ্ধে গানকে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরেছেন কবি। ঋষিবালককে গানরূপী চিত্রকল্পে উপস্থাপন করে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। ঋষিবালক পবিত্রতার প্রতীক, তার মাথায় ময়ূরপালক গোঁজার মাধ্যমে কৃষ্ণের রূপকল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা শাশ্বত মানবপ্রেমের ইঙ্গিতবাহী। হিংসার বিরুদ্ধে হিংসা নয়, বরং হৃদয়ের পবিত্রতা দিয়েই হিংসাকে জয় করতে হবে। চিত্রকল্পের মাধ্যমে এই সত্যই প্রতিফলিত হয়েছে।
১৪. ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক’ – গানের সঙ্গে ঋষিবালকের উপমাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি জয় গোস্বামী গানের অসীম ক্ষমতা উপলব্ধি করেছেন। এই গান বুলেটকে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখে। তবে গানের নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বা ধরন নেই, নানান উপায়ে তা বাঁধা হয়। কখনো কখনো গান ঋষিবালকের মতো স্নিগ্ধ, সতেজ, স্বতঃস্ফূর্ত এবং আন্তরিক হয়ে ওঠে। তা অপার শান্তি নিয়ে আসে। এই কারণেই কবি গানের সঙ্গে ঋষিবালকের উপমাটি ব্যবহার করেছেন।
১৫. “তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান”– উদ্ধৃত অংশটির তাৎপর্য কী ?
উত্তরঃ গান ও সুরের মাধ্যমে মানুষের পরিচয় ঘটে বিশ্বের সাথে। গান হৃদয়ের বিস্তার ঘটায় এবং প্রকৃতির সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করে। এর মাধ্যমে মানুষ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। তাই ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার কবি যখন বলেন, “তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান / নদীতে, দেশগাঁয়ে”, তখন আসলে গানের সেই শক্তি ও সীমাহীন বিস্তারের কথাই তুলে ধরা হয়েছে।
📌 আরো দেখুনঃ
📌দশম শ্রেণির ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌 দশম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় প্রশ্নপত্র Click Here
📌 মাধ্যমিক সমস্ত বিষয় মক্ টেস্ট Click Here