আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্নোত্তর দ্বিতীয় সেমিস্টার একাদশ শ্রেণি বাংলা | Adda Probondher Question Answer 2nd Semester Class 11 Bengali wbchse
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : আড্ডা প্রবন্ধ দ্বিতীয় সেমিস্টার একাদশ শ্রেণি বাংলা | Adda Probondho Essay Type Question Answer 2nd Semester Class 11 Bengali wbchse
∆ অনধিক একশো পঞ্চাশ শব্দে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান- ৫
প্রশ্ন ১। “উপর্যুক্ত সর্ব মৎস্য একই বস্তু — দেশভেদে ভিন্ন নাম।” – মৎস্যটির নাম কী ও দেশভেদে ভিন্ন নামগুলি উল্লেখ করো। এই প্রসঙ্গ অবতারণার কারণ কী ? ৩+২=৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক প্রাবন্ধিক সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে উল্লেখিত মৎস্যটির নাম ইলিশ।
এই ইলিশ মাছের দেশভেদে নানান নাম রয়েছে। সিন্ধুনদ উজিয়ে এই মাছ ধরা পড়লে তার নাম হয় ‘পাল্লা, নর্মদা নদী উজিয়ে ভরোচ শহরে এই মাছ ‘মদার’ এবং খোট্টামুলুকে অর্থাৎ বিহারের দিকের মানুষ এই মাছকে ‘হিলসা’ বলেই চেনে। আসলে মাছ একই স্থানভেদে তার ভিন্ন নাম। আড্ডাও একই, স্থানভেদে তার ভিন্ন রূপ-রং-রস।
‘আড্ডা’ নামক প্রবন্ধের প্রায় শুরুতেই এরকম একটা বিষয়ের অবতারণার কারণ হল-একই মাছ বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও তার স্বাদ একই। তেমনি ভ্রমণিবলাসী আড্ডাপ্রিয় মানুষ প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী মনে করেন দেশ বিভিন্ন হতে পারে, ধরণ বা প্রক্রিয়া আলাদা হতে পারে, কিন্তু আড্ডার রূপ-রস-গন্ধ- স্পর্শ এবং উপভোগ ও উপকারিতার রং একই।
প্রশ্ন ২। “কাইরোর আড্ডা কখনো কোনো অবস্থাতেই কারো বাড়িতে বসে না।”- কেন ? ৫
অথবা, “বাড়ির আড্ডায় ‘মেল’ মেলে না।”- কেন ? [সংসদ প্রদত্ত নমুনা প্রশ্ন] ৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক প্রাবন্ধিক সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে উল্লেখিত আড্ডা কখনোই কোনো অবস্থাতেই কারও বাড়িতে বসে না, বসা সম্ভব নয় এবং না বসাই ভালো। কারণ হিসেবে আড্ডাবাজরা বলেন, তাতে আড্ডার নিরপেক্ষতা বা গণতন্ত্র দুটোই লোপ পায়। কারণ যার বাড়িতে আড্ডা বসে, তার প্রতি আড্ডার অন্য সদস্যদের একটু হলেও সহানুভূতি থাকে। আড্ডার যে ভোজনের ব্যবস্থা হয়, সে-বিষয়েও তাকে একটু বেশি তোয়াজ করা হয়। শুধু তা-ই নয়, বাড়ির গিন্নি ‘মুখপোড়া মিনষে’ বলে গলাবাজি করে বা আভাসে-ইঙ্গিতে আড্ডার অকালমৃত্যু ঘটিয়ে দিতে পারে যখন-তখন। কারণ বাড়ির আড্ডায় লেখকের ভাষায় ‘মেল মেলে না’। কারণ হিসেবে তিনি স্পষ্টরূপে খিচুড়ি-ইলিশ ভাজার কথা তুলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। ইলিশ প্রিয় হলেও যার বাড়িতে আড্ডা বসবে চক্ষু লজ্জার খাতিরে তাকে একটু বেশি দিয়ে তোয়াজ করতেই হয়। সুতরাং মিল হল না তথা সাম্য বজায় থাকল না। তাই কারও বাড়ির আড্ডা পরিত্যাগ করে কাফে-র আড্ডা ঢের ভালো। এখানে ইচ্ছামতো আড্ডা দেওয়া যায়। এখানে কেউ আড্ডার অকাল সমাপ্তিও ঘটাতে পারে না।
প্রশ্ন ৩। “তখন রাস্তার লোক পর্যন্ত উন্নাসিক হয়ে থমকে দাঁড়ায়,”- কেন মানুষদের মধ্যে এরকম প্রতিক্রিয়া হয় নিজের ভাষায় লেখো। ৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক, সাহিত্যিক ও সুপন্ডিত সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ভূত অংশে কায়রোর তামাকের গুণকীর্তন করা হয়েছে। লেখক জানিয়েছেন, কায়রোর কোনো কাফেতে যখন তামাকরসিকের তদারকিতে তামাক সাজা হয় এবং সেই সাজা-তামাক সেবন করা হয়, তখন এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে। তামাকের কদরদার সেই তামাকের নীলাভ ধোঁয়া ফুরফুর করে নাকের মধ্যে দিয়ে ছাড়তে থাকেন এবং নীলনদের মন্দমধুর ঠান্ডা হাওয়া সেই ধোঁয়ার সঙ্গে রসকলি করে। তাকে ছিন্নভিন্ন করে কাফের চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। সে-সময় সেই সুগন্ধ পথচলতি মানুষকেও আবিষ্ট করে। সে নাক উঁচু করে সেই তামাকের সুগন্ধ প্রাণভরে গ্রহণ করতে থাকে। এমন কি সে থমকে দাঁড়িয়ে যায় পর্যন্ত রাস্তায়। পাঁড় সিগারেট ফোঁকা মানুষ অথবা পাইকারি সিগারেট ফোঁকা সাধারণ মানুষ পর্যন্ত বুকের উপর হাত রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ‘অলহমদুলিল্লা, অলহমদুলিল্লা’ বলে ওঠে অর্থাৎ মহান আল্লা বা খোদাতালাকে প্রশংসা করে এমন স্বর্গীয় সৌরভ সৃষ্টির জন্য।
প্রশ্ন ৪। “প্রেমের সবচেয়ে মহান দিবস সেদিন,”— এখানে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে ? এই প্রসঙ্গে আর যাদের কথা উল্লেখিত, তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ২+৩=৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক প্রাবন্ধিক সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে এক ফরাসি কবির মত অনুযায়ী সেদিনই প্রেমের সবচেয়ে মহান দিন, যেদিন প্রথম ভালোবাসার কথা বলা যায়।
এই প্রসঙ্গে প্রথম পরিচয়ের মহালগনের প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক সুরসিক পাঠককে মনে করিয়ে দিয়েছেন, শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা, ইউসুফ ও জুলেখা, লায়লী ও মজনু, ত্রিস্তান ও ইজোল্দেতে প্রমুখ ভুবনবিখ্যাত প্রেমিক-প্রেমিকার প্রথম পরিচয়ের দৃষ্টি বিনিময়ের ক্ষণটির কথা। কী ব্যাকুলতা, কী গভীর তৃষ্ণা, কী মহা-ভবিষ্যতের প্রগাঢ় সুখস্বপ্ন, কী মরুতীর পার হয়ে সুধাশ্যামলিম নীলাম্বুজে অবগাহানন্দ ছিল লেখকের আড্ডার প্রথম পরিচয়ের লগ্নে। এই বিশেষ পরিচয়ের লগনে চারিচক্ষুর দৃষ্টি বিনিময় ছিল না। ছিল দুটি চক্ষুর সঙ্গে বেশ কয়েক জোড়া চক্ষুর শুভমিলনান্তক স্নিগ্ধ হাস্যময় দৃষ্টি বিনিময়। প্রথম দর্শনেই প্রেমের তত্ত্বটা বৈষ্ণব পদাবলির লাইন থেকে উঠে এল যেন নীলনদ কাফেতে। পরিচয়ে মাহাত্ম্যঘন তত্ত্বটা হৃদয়ঙ্গম হল সেই ব্রাহ্মত্মমুহূর্তে। তাই ইতিহাস ও পুরাণ বিখ্যাত প্রেমিক-প্রেমিকা জুটির কথা এখানে যথার্থ প্রাসঙ্গিক।
প্রশ্ন ৫। “বাঙালি তার চুলটিকে কেতাদুরস্ত করে রাখতে ভালোবাসে।”- আড্ডার অন্যান্য দেশের সদস্যরা কী করতে ভালোবাসে তা সংক্ষেপে লেখো। ৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক, প্রাবন্ধিক ও কথা-সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশে পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে প্রাবন্ধিকের মনে হয়েছে, বাঙালি যেমন তার চুলকে সদাসর্বদা কেতাদুরস্ত করে রাখতে ভালোবাসে, তেমনি কাবুলিরা বেলা-অবেলা সময় সুযোগ পেলেই তার পায়জারে অর্থাৎ জুতোতে গুটিকয়েক পেরেক ঠুকিয়ে নেয়। এ ছাড়া ইংরেজরা আয়না সামনে পেলেই টাইটা ঠিক মধ্যিখানে আছে কি না তার তদারকিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। পেশওয়ারী পাঠানদের মাথাব্যথা থাকে তাদের পাগড়ি নিয়ে, সেটা তারা সর্বদা ঠিকঠাক করতে থাকে। আর মিশরীয়দের চরম দুর্বলতার জায়গা হল তাদের বুট জুতো। পারলে তারা তা প্রতিদিনই পালিশ করায়। ঠিক এই কারণেই নীলনদ কাফেতে ঢোকামাত্রই সেখানকার বুট পালিশ করনেওয়ালা ছোকরা এসে আপনাকে সেলাম ঠুকে পরিচিত ভঙ্গিমায় বুট পালিশ করানের কথা বলবে। আপনি দাঁতমুখ খিঁচিয়ে ‘ঘা ঘা’ বললে অর্থাৎ পালিশ করার কথা বললে সে বত্রিশখানা ঝকঝকে দাঁত দেখিয়ে সযত্নে আপনার বুট পালিশে মন দেবে।
প্রশ্ন ৬। “ভাবখানা ভুল লোককে বাছা হয়নি।”- কারা ভাব দেখিয়েছিল ? তাদের এমন ভাবের কারণ কী ? ২+৩=৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক প্রাবন্ধিক সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে ভুল লোক বাছা হয়নি, এমন ভাব দেখিয়েছিল ‘নীলনদ কাফে’র আড্ডার সদস্যরা- মিশরি মুসলমান রমজান বে আর সজ্জাদ এফেন্দি, কপ্ট ক্রিশ্চান ওয়াহহাব আতিয়া, ফরাসি জুর্নো এবং গ্রিক মার্কোস।
তাদের এমন ভাবের কারণ : প্রথম পরিচয়ের লগ্নে প্রাবন্ধিক অমৃত ছেনে নয়ন হেনে এমনভাবে ‘এক রোঁদ কফি’ বলেছিলেন, তাতে পোড়-খাওয়া আড্ডাবাজরা বুঝে গিয়েছিলেন, ইনিও বহু আড্ডার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুষ। অর্থাৎ তাঁর সঙ্গে আড্ডা জমবে ভালো। হাঁড়ির একটা ভাত টিপলে যেমন বোঝা যায়, তেমনি তাঁরাও একটি বাক্যে বুঝে গিয়েছিলেন যে, ঠিক লোককেই বাছা হয়েছে। অথচ এই আড্ডার পরিচয় জমাতে পৃথিবীর অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো তাবা-তুলসী-গঙ্গাজলের আয়োজনের মতো আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন লাগত। সময় লাগত অনেক বেশি। ধীরে ধীরে অর্থাৎ একদিনে নয়, কয়েক দিন পার হওয়ার পর এই পরিচয় শুরু হয় এবং আড্ডা গাঢ় হতে শুরু করে। কিন্তু প্রাবন্ধিক মুজতবা আলী এমন কথা শুরু করেছেন যে পরিচয় এবং প্রথম তথা শুরু থেকেই জমে উঠেছে।
প্রশ্ন ৭। “হেলায় মক্কা করিলা জয়।”– কার কোন্ কবিতার কোন্ চরণের সঙ্গে মিল রেখে এটি রচিত ? লেখকের এ কথা বলার কারণ কী ? ২+৩=৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক প্রাবন্ধিক সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ভূত অংশটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘বঙ্গজননী’ কবিতার ‘একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়/একদা যাহার অর্ণবপোত ভ্রমিল ভারত সাগরময়’ চরণের সঙ্গে মিল রেখে রচিত।
লেখক ‘নীলনদ কাফে’-তে প্রথম বাঙালি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পর নিজেকে গর্বিত মনে করেছেন। বাঙালি বিজয় সিংহের খুব সহজেই লঙ্কা জয় করার মতো তিনিও আড্ডার পীঠস্থান বা ‘মক্কা’ ‘নীলনদ কাফে’ জয় করলেন আপন আড্ডা-প্রতিভার গুণে। শ্রীহট্ট, নোয়াখালি, চাঁটগা, কাছাড়, খিদিরপুর প্রভৃতি স্থানে আড্ডা মারতে শিখে কায়রোতে এসে তিনি বাজিমাত করলেন পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে। বাংলার কোমল মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণদেব, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম। তাঁরা তাঁদের কৃতিত্বে বাঙালি জাতিকে গর্বিত করেছিলেন। এঁদের জন্য লেখক বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ তো করেন, কিন্তু আরও বেশি গর্বেবাধ করেন আড্ডাবাজ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন বলে। তিনি নিজেও বোধহয় ভাবতে পারেননি এত তাড়াতাড়ি মানুষের মন জয় করে নিতে পারবেন আড্ডাবাজ হিসেবে।
প্রশ্ন ৮। “আমরা সে তত্ত্বগুলো মাথা খুঁড়েও বের করতে পারিনি।”- কোন্ প্রসঙ্গে কথাগুলি এসেছে ? এখানে কোন্ তত্ত্বগুলির কথা বলা হয়েছে ? ২+৩=৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে উল্লেখিত যে তত্ত্বের প্রসঙ্গ এসেছে, সেটি হল তামাকের স্বাদ নষ্ট না-করে সেই সিগারেটকে খুশবাইয়ে মজিয়ে ভুবনবিখ্যাত ইজিপশিয়ন সিগারেট তৈরির মতো কঠিন কাজের বিষয়।
এই প্রসঙ্গে লেখক জানিয়েছেন, অজন্তার দেয়ালে ছবি ও তার রং কোন্ কোন্ মশলা মিশিয়ে তৈরি যে আজও তার এত ঔজ্জ্বল্য বজায় আছে, পাঠানযুগে পাথরে পাথরে জোড়া দেওয়ার জন্য কী মাল কোন্ পরিমাণে লাগানো হয়েছিল যে আজ তা অটুট- এই সমস্ত তত্ত্বগুলোর রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। এই প্রসঙ্গেই প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছিলেন যে অ্যাটম বোমের মাল-মশলা মেশানোর হাড় হদ্দ হালহকিকৎ জানা গুণী লোকের সন্ধান মিলবে, কিন্তু এখনও হয়তো বিশ্বসংসার বের করতে পারেনি কী মশলা দিয়ে কেমন করে মিশরীয়রা তাদের মমিগুলিকে পচে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিল দীর্ঘ দীর্ঘ বছর।
প্রশ্ন ৯। “এত বলি সিক্তপক্ষ্ম দুটি চক্ষু দিয়া / সমস্ত লাঞ্ছনা যেন লইল মুছিয়া / বিদেশীর অভঙ্গ হতে”— কার লেখা কোন্ কবিতার অংশ এটি ? কোন্ প্রসঙ্গে লেখক উদ্ধৃতাংশটি ব্যবহার করেছেন ? ২+৩=৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক, সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে উল্লেখিত কবিতার চরণ তিনটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কথা’ কাব্যগ্রন্থের ‘পরিশোধ’ কবিতার অংশ।
নীলনদ কাফেতে প্রাবন্ধিক যখন চোখে অমৃত ঝরিয়ে ‘এক রোঁদ কফি’ বলে পরিচয় শুরু করেছিলেন, তখন পরিচয়ের প্রাথমিক জড়তা কাটাতে এগিয়ে এসেছিলেন ফরাসি জুর্নো। তিনি লেখকের আরবি উচ্চারণের প্রশংসা করেই এই জড়তা কাটিয়েছিলেন। দুজনে দুজনের কাছে বিদেশি। প্রবাসী লেখক দেহ থেকে প্রবাসবাসের সমস্ত লাঞ্ছনা যেন এক থাবড়ায় মুছে দিয়েছিলেন জুর্নো। প্রাবন্ধিক যখন ‘এক রোঁদ কফি’ বলে পরিচয়ের শুরুটা করলেন, তখন উপস্থিত সবাই হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন যে, ইনি একজন প্রকৃত আড্ডাবাজ; কিন্তু প্রথম মুখ ফুটে কথা বলে জড়তা কাটিয়েছিলেন জুর্নো। সে বলেছিল, ‘খাসা আরবি বলেন তো আপনি’। প্রাবন্ধিক মনে মনে ভাবলেন যে, তেরো দিনের আরবিকে যদি এরা খাসা বলে তাহলে তো প্রিয় অসত্য হলেও বলবে। এই প্রসঙ্গেই প্রাবন্ধিক রবিঠাকুরের চরণ তিনটির স্মরণ করেছেন।
প্রশ্ন ১০। “সবসুদ্ধ জড়িয়ে মড়িয়ে কাইরো ট্যুরিস্টজমের ভূস্বর্গ এবং ট্যুরিস্টদেরও বটে।” – কেন ? ৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক প্রাবন্ধিক সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে লেখক মিশরের রাজধানী কাইরো শহরকে প্রাবন্ধিক টুরিজম এবং টুরিস্টদের স্বর্গ বলে বিবেচনা করেছেন। কারণ কাইরোতে বছরে আড়াই ফোঁটা বৃষ্টি হয়। অর্থাৎ বৃষ্টির প্রাবল্য ভ্রমণে বাধা দিতে পারে না। সাহারার শুকনো হাওয়া সেখানে যক্ষ্মা রোগ সারিয়ে দেয়, সেখানে পিরামিডের শহর কাইরো ফুর্তিফার্তির জন্য তো পোয়া বারো! আর শীতকাল হলে তো কথাই নেই! অগুণতি মসজিদ ও কবরের শহরে না-গরম না-ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভ্রমণকারী মনের সুখে বিচরণ করতে পারে। শুধু কি ভ্রমণকারীরা আসে। তার বাইরেও নানা মানুষ আসে নানা ধান্দায়। এখানে মার্কিন লক্ষপতিরা আসেন। তাঁদের সন্ধানে আসেন বিশ্বের ডাকসাইটের সুন্দরীরা। তাঁদেরও সন্ধানে আসেন হলিউডের ডিরেক্টররা। এঁদের সঙ্গেও থাকে আর-এক ঝাঁক সুন্দরী। তাই তো লেখক বলেছেন যে কায়রো হল ভ্রমণকারীদের স্বর্গ। একদিকে নীলনদ ও তার অপার সৌন্দর্য এবং অন্যদিকে মনোমুগ্ধকর আবহাওয়া। এর বাইরে সুন্দরী বিদেশিনীর ভিড়-সব মিলিয়ে ছুটি কাটানোর জায়গা হিসেবে কাইরো ভূস্বর্গ হয়ে উঠেছে।
প্রশ্ন ১১। “একাফে আপনাকে উদ্বাহুহয়ে অভ্যর্থনাকরবে…।” – এখানে কোন্ ‘কাফে’-র কথা বলা হয়েছে ? আপনাকে দুবাহু তুলে সেই কাফে অভ্যর্থনা করবে কেন ? ২+৩=৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক প্রাবন্ধিক সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে ‘এ কাফে’ বলতে শহর থেকে মাইল তিনেক দূরে একটি কাফের কথা বলা হয়েছে যার সামনেই নীলনদ বয়ে চলেছে, যেখানে আপনি মাসে এক বা দু-দিন যান।
এই কাফে-র সদস্যরা আপনাকে দু-বাহু বাড়িয়ে এমনভাবে অভ্যর্থনা করবে যেন মনে হবে, অনেকদিনের হারিয়ে যাওয়া ভাই। এমন অভ্যর্থনার কারণ হল প্রথমত, আপনি কালেভদ্রে সেখানে যান। দ্বিতীয়ত, ওরা পনেরো দিন ধরে যে বিষয়গুলিকে কেটেকুটে ঘষেপিষে প্রায় চাটনি বানিয়ে ফেলেছে, সেই বিষয়ের পুনরুদ্ধার করে আপনার রায় জানতে চাইবে। কারণ আপনি গাঁধি তথা গান্ধির দেশের লোক। আপনি যতই বোঝাবার চেষ্টা করুন না কেন গান্ধির সঙ্গে আপনার কোনো যোগাযোগ নেই, তবুও তারা নাছোড়বান্দাই থাকবে।
আপনি যে রায়ই দিন না কেন, তারা ছাড়বে না। তারা বিশ্বাসও করবে না। আপনার কাছ থেকে মতামত নিয়েই ছাড়বে। তারা আপনার জ্ঞানগম্যি নিয়ে কোনোদিন সন্দেহ করেনি, করবেও না। কিন্তু আড্ডার মজাটা এখানেই যে, যা হোক একটা কিছু মতামত নিয়ে আড্ডার গতি সচল রাখা।
প্রশ্ন ১২। “হরেক জাতের চিড়িয়া সে আড্ডায় হরবকৎ মৌজুদ থাকত।”- ‘হরেক জাতের চিড়িয়া’ বলতে এই প্রসঙ্গে কাদের কথা বলেছেন লেখক ? ৫
উত্তরঃ বিশিষ্ট বাঙালি ভ্রমণরসিক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ প্রবন্ধ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে ‘হরেক জাতের চিড়িয়া’ বলতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিচিত্র মানুষের কথা বলেছেন লেখক। যেমন, খাঁটি মিশরি মুসলমান রমজান বে আর সজ্জাদ এফেন্দি, কপ্ট ক্রিশ্চান ওয়াহহাব আতিয়া (যদিও এনাকে প্রাবন্ধিক খাঁটি মিশরি বলছেন কারণ তাঁর শরীরে রয়েছে ফারাওদের রক্ত), ফরাসি জুর্নো-ইনি অতি উত্তম আরবি কবিতা লেখেন আর গ্রিক মার্কোস লেখকের রঙ্গাত্মক ভাষায় যার সঙ্গে কিনা গ্রিক রানি ক্লিয়োপাত্রার খোশ কুটুম্বিতা আছে আর রইলেন লেখক নিজে যিনি ভারতীয় বাঙালি মুসলমান। এইভাবে হরেক জাতের চিড়িয়া তথা আড্ডাবাজদের কেবল পরিচয় দিয়ে থেমে থাকেননি রসিক আড্ডাপ্রিয় প্রাবন্ধিক। তিনি স্বভাবজাত ভঙ্গিমায় তাদের সম্বনেধ কিছু সরস কথাও বলেছেন। যেমন, জুর্নো ফরাসি হলেও সে নাকি অতি উত্তম আরবি কবিতা লেখে, যার মূল বক্তব্য হল সে তলোয়ার চালিয়ে আড়াই ডজন বেদুইন ঘায়েল করে প্রিয়াকে উটের উপর তুলে মরুভূমির দিগন্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই রকম সরস মন্তব্য উদ্দিষ্ট ব্যক্তির সরস পান্ডিত্যপূর্ণ চরিত্রকে পরিস্ফুট করে।
প্রশ্ন ১৩। “বাড়ির আড্ডায় ‘মেল’ মেলেনা”-এরূপ উক্তির কারণ কী? লেখক কোথায়, কাদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন?
উত্তরঃ ‘আড্ডা’ নিবন্ধে সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন যে, কায়রোর আড্ডা কখনও কোনো অবস্থাতেই কারোর বাড়িতে বসত না, কারণ কায়রোর আড্ডাবাজরা মনে করতেন যে, আড্ডার নিরপেক্ষতা বা গণতন্ত্র কোনোটাই বাড়ির আড্ডায় বজায় থাকত না। তার কারণ, যাঁর বাড়িতে আড্ডা বসত তিনি যেহেতু সকলকে আপ্যায়ন করতেন তাই তাঁর বাড়তি খাতির হত। একারণে আড্ডায় যাঁরা বিশেষভাবে পরীক্ষিত তাঁরা মনে করতেন যে, বাড়ির আড্ডায় আড্ডার যথার্থ মজা পাওয়া যায় না।
লেখকদের আড্ডা বসত ‘কাফে দ্য নীল’ বা ‘নীলনদ কাফে’তে। সেখানে নানাধরনের মানুষ আড্ডার সদস্য ছিলেন। যেমন, রমজান বে আর সাজ্জাদ এফেন্দি ছিলেন খাঁটি মিশরীয় মুসলমান, ওয়াহহাব আতিয়া ছিলেন কপ্ট ক্রিশ্চান এবং খাঁটি মিশরীয়, কারণ তিনি মনে করতেন তাঁর শরীরে আছে ফ্যারাওদের রক্ত। আড্ডায় ছিলেন ফরাসি জুর্নো, যিনি বীরত্বব্যঞ্জক আরবি কবিতা লিখতেন। আড্ডার সদস্য ছিলেন জাতিতে গ্রিক মার্কোস, যিনি দাবি করতেন প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে তাঁরা মিশরে আছেন এবং মিশরের রানি ক্লিয়োপেট্রার সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তা আছে। তাঁদের সঙ্গেই বাংলার চন্ডীমণ্ডপ এবং জমিদার-হাভেলির আড্ডার একমাত্র প্রতিভূ হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী।
প্রশ্ন ১৪। “কথাটা ঠিকও, ভুলও।”- কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে ? একই সঙ্গে তা ঠিক এবং ভুল কেন বলা হয়েছে ? ২+৩
উত্তরঃ বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক “সৈয়দ মুজতবা আলী” রচিত “পঞ্চতন্ত্র” প্রবন্ধ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত “আড্ডা” শীষর্ক প্রবন্ধ থেকে প্রশ্নোক্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ : বাঙালির আড্ডা নিয়ে ইংরেজি বা অন্য যে ভাষাতেই চর্চা হোক না কেন, বাঙালি আড্ডাবাজরা বলতে চান, বাংলার বাইরে নাকি আড্ডা নেই। তবে এই প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক সহমত প্রকাশ করেননি বরং খানিক সংশয়ই প্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে তা ঠিক ও ভুল বলার কারণ—
বাংলার আড্ডাবাজরা বাংলার বাইরে আড্ডা নেই বলে যে দাবি করেন তা আংশিকভাবে সঠিক; কারণ, বাঙালিরা চন্ডীমণ্ডপ থেকে শুরু করে জমিদারের হাবেলি সর্বত্র জমিয়ে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। আবার কথাটা আংশিকভাবে ভুলও; কারণ কোন্ জাতির মানুষ সেরা আড্ডাবাজ তার সঠিক বিচার করা দুঃসাধ্য।
প্রাবন্ধিকের মতে, আড্ডা ভোজনরসের মতন রসবস্তু। ব্যক্তিভেদে পছন্দের তারতম্য সেখানে স্বাভাবিক, ফলে সূক্ষ্ম ও নিরপেক্ষ বিচার করা প্রায় অসম্ভব। বাঙালিরা সরষে বাটা আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে যে ইলিশ মাছ রান্না করে তার অপূর্ব স্বাদ সিন্ধিরা পছন্দ করে না। আবার তাদের রান্না করা ইলিশ মাছ ভরোচের লোকজনের মুখে রোচে না। তাই প্রাবন্ধিক মন্তব্য করেছেন – “আড্ডা বহু দেশেই আছে, শুধু আমাদের মত তরিবৎ করে রসিয়ে রসিয়ে চাখতে তারা জানে না।”
তাই “বাংলার বাইরে নাকি আড্ডা নেই” কথাটিকে প্রাবন্ধিক ঠিক ও ভুলের মধ্যবর্তী বলেই অভিমত প্রদান করেছেন।
প্রশ্ন ১৫। ‘আড্ডা’ রচনাংশে লেখক আড্ডার কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলেছেন, আলোচনা করো। ৫
উত্তরঃ রবীন্দ্র-সান্নিধ্যধন্য প্রাবন্ধিক ‘সৈয়দ মুজতবা আলী’ তাঁর ‘পঞ্চতন্ত্র’ গ্রন্থের অন্তর্গত ‘আড্ডা’ রচনায় বিবিধ আড্ডার বর্ণনা দিয়েছেন।
আড্ডার বিবিধ বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
আমরা ক্রমান্বয়ে প্রাবন্ধিক বর্ণিত আড্ডার বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করে দেখবো—
প্রথমত, তিনি বলেছেন আড্ডা সব দেশেই বিদ্যমান, শুধু নাম ও স্থান আলাদা। উদাহরণস্বরূপ মিশরের রাজধানী কায়রোর ‘নীলনদ কাফে’-তে ভিন্ন জাতীয় বর্ণের মানুষের আড্ডার উদাহরণ প্রদান করেছেন।
দ্বিতীয়ত, তিনি বলেছেন, কারো বাড়িতে আড্ডা দিলে আড্ডার গণতন্ত্র বজায় থাকে না। কেন-না, সেখানে গৃহস্থের অন্যান্য সদস্যদের অসন্তোষের মুখে পড়তে হয়, আর আড্ডার সময়সীমাও হয়ে যায় নির্দিষ্ট। তার বর্ণনায় ‘কাইরোর আড্ডা কখনো কোন অবস্থাতেই কারো বাড়িতে বসে না।’
তৃতীয়ত, আড্ডার মধ্যে যত গুণীজনই আসুন না কেন, সেখানে পান্ডিত্য জাহির করার কোনো জায়গা নেই। তাহলে আড্ডা বক্তৃতাধর্মী হয়ে যায় ও আড্ডার আসল প্রাণ মারা পড়ে- ‘বক্তৃতা আড্ডার সবচেয়ে ভাঙর দুশমন।’
চতুর্থত, আড্ডায় সকলের কথার পিঠে কথা চলবে, এমন কোনো দিব্যি নেই। কেন-না, আড্ডা পার্লামেন্ট নয়। কোনো নির্বাক শ্রোতাও আড্ডায় অংশ নিতে পারে।
পঞ্চমত, নতুন আড্ডা ছেড়ে পুরাতন আড্ডায় কদাচিত কেউ প্রবেশ করলে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয় ঠিকই, তবে পক্ষাধিক কাল ধরে যেসব আলোচনা তাদের মধ্যে হয়েছে, তা উত্থাপন করে পুনরাগত ব্যক্তির রায় জানতে চাওয়া হয়।
ষষ্ঠত, আড্ডা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কেন্দ্রিক হয় না। বিভিন্ন বিষয় আড্ডার মধ্যে প্রবেশ করে আড্ডাকে বহুমুখী করে তোলে।
এইরূপে আমরা সমগ্র রচনাংশ জুড়ে আড্ডার বিবিধ বৈশিষ্ট্যের পরিচয় লাভ করি।
◆ দ্বিতীয় সেমিস্টার বাংলা প্রশ্নোত্তর
◆ তেলেনাপোতা আবিষ্কার পাঠ্য বইয়ের গল্প
◆ তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বিষয়বস্তু
◆ তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের প্রশ্নোত্তর
◆ ভাব সম্মিলন কবিতার বিষয়বস্তু
◆ ভাব সম্মিলন কবিতার প্রশ্ন উত্তর
◆ লালন শাহ্ ফকিরের গান বিষয়বস্তু
◆ লালন শাহ্ ফকিরের গান প্রশ্নোত্তর
◆ বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর
◆ আজব শহর কলকেতা প্রবন্ধের প্রশ্নোত্তর
◆ পঁচিশে বৈশাখ প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর
◆ আড্ডা প্রবন্ধের প্রশ্ন ও উত্তর
◆ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা (৩য়) প্রশ্নোত্তর
◆ লৌকিক সাহিত্যের নানা দিক (৪র্থ) প্রশ্নোত্তর
📌 আরো দেখুনঃ
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নপত্র সেমি-২ Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি প্রশ্নোত্তর বাংলা Click Here
📌 একাদশ শ্রেণি সিলেবাস বাংলা Click Here
