মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নপত্র ২০২৩ পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড | Madhyamik Geography Question Paper 2023 with Answers wbbse

মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্নপত্র ২০২৩ পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড | Madhyamik Geography Question Paper 2023 with Answers wbbse

2023 Geography Question Paper with answers for Madhyamik students of West Bengal Board of Secondary Education.
পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের অধীন মাধ্যমিক ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ২০২৩ সালের উত্তরসহ ভূগোল বিষয়ের প্রশ্নপত্র।

📌 বিগত বছরের মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র সমস্ত বিষয় | Madhyamik Previous Years Question Paper All Subject CLICK HERE

2023
GEOGRAPHY
TimeThree Hours Fifteen Minutes
(First FIFTEEN minutes for reading the question paper only)

Full Marks – 90
(For Regular and Sightless Regular Candidates)
Full Marks – 100
(For External and Sightless External Candidates)

Special credit will be given for answers which are brief and to the point.
Marks will be deducted for spelling mistakes, untidiness and bad handwriting.

[ ‘ক’ বিভাগ থেকে ‘চ’বিভাগ পর্যন্ত প্রদত্ত প্রশ্ন নিয়মিত ও বহিরাগত সব পরীক্ষার্থীদের জন্য এবং ‘ছ’ বিভাগে প্রদত্ত প্রশ্ন শুধুমাত্র বহিরাগত পরীক্ষার্থীদের জন্য ]

[‘ক’ বিভাগে সকল প্রশ্ন আবশ্যিক, অন্য বিভাগে বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়। ‘চ’ বিভাগে কেবলমাত্র দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীরা বিকল্প প্রশ্নের নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর লিখবে। অন্য সকলে মানচিত্র চিহ্নিত করবে।]

বিভাগ ‘ক’

১। বিকল্পগুলির থেকে সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে। ১×১৪=১৪

১.১ যে প্রক্রিয়ায় অসমতল বন্ধুর ভূমি অপসারিত হয়ে সমতল বা প্রায় সমতলে পরিণত হয় তাকে বলে—
(ক) নগ্নীভবন (খ) আরোহন (গ) পর্যায়ন
(ঘ) অবরোহন

উত্তরঃ (ঘ) অবরোহন।

১.২ মরুভূমিতে বায়ু দ্বারা বালুকণা উত্থিত এবং অপসারিত হয় যে প্রক্রিয়ার সাহায্যে তা হলো—
(ক) অপসারণ (খ) অবঘর্ষ (গ) ঘর্ষন (ঘ) লক্ষদান

উত্তরঃ (ক) অপসারণ।

১.৩ সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর গড় চাপ হলো—
(ক) ১০১২.২ মিলিবার (খ) ১০১৪.২ মিলিবার
(গ) ১০১৩.২ মিলিবার (ঘ) ১০১৫.২ মিলিবার

উত্তরঃ (খ) ১০১৪.২ মিলিবার।

১.৪ নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটে—
(ক) গ্রীষ্মকালে (খ) বসন্তকালে
(গ) শীতকালে (ঘ) সারাবছরব্যাপী

উত্তরঃ (ঘ) সারাবছরব্যাপী।

১.৫ এল নিনোর প্রভাব দেখা যায়—
(ক) আটলান্টিক মহাসাগর
(খ) ভারত মহাসাগর
(গ) প্রশান্ত মহাসাগর
(ঘ) উত্তর মহাসাগর

উত্তরঃ (গ) প্রশান্ত মহাসাগর।

১.৬ কোন স্থানের মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ারের মধ্যে সময়ের পার্থক্য হলো—
(ক) ১২ ঘণ্টা (খ) ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট
(গ) ২৪ ঘন্টা (ঘ) ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট

উত্তরঃ (খ) ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট।

১.৭ নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে বিষাক্ত বর্জ্য হলো—
(ক) পারদ (খ) কৃষিজমির বর্জ্য
(গ) সেলুলোজ (ঘ) রান্নাঘরের বর্জ্য

উত্তরঃ (ক) পারদ।

১.৮ বর্তমানে ভারতের অঙ্গরাজ্যের মোট সংখ্যা হলো—
(ক) ৩০ টি (খ) ২৯ টি (গ) ২৮ টি (ঘ) ২৭ টি

উত্তরঃ (গ) ২৮ টি।

১.৯ ভারতের সর্বোচ্চ মালভূমি হলো—
(ক) মালবের মালভূমি (খ) মেঘালয় মালভূমি
(গ) তেলেঙ্গানা মালভূমি (ঘ) লাডাক মালভূমি

উত্তরঃ (ঘ) লাডাক মালভূমি।

১.১০ গঙ্গানদীর সাথে যমুনা নদীর সঙ্গম নিম্নলিখিত স্থানে অবস্থিত—
(ক) কানপুর (খ) এলাহাবাদ (গ) দেবপ্রয়াগ
(ঘ) বারাণসী

উত্তরঃ (খ) এলাহাবাদ।

১.১১ পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় যে অঞ্চলে তা হলো
(ক) জম্মু ও কাশ্মীর (খ) তামিলনাডু (গ) কেরল (ঘ) মেঘালয়

উত্তরঃ (ক) জম্মু ও কাশ্মীর।

১.১২ ভারতে কফি উৎপাদনে প্রথম স্থানাধিকারী রাজ্যটি হলো –
(ক) কেরল (খ) তামিলনাড়ু (গ) কর্ণাটক
(ঘ) অন্ধ্রপ্রদেশ

উত্তরঃ (গ) কর্ণাটক।

১.১৩ ভারতে বেসরকারী উদ্যোগের বৃহত্তম লৌহ-ইস্পাত কারখানা হলো
(ক) দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট
(খ) ভিলাই স্টিল প্ল্যান্ট
(গ) সালেম স্টিল প্ল্যান্ট
(ঘ) টাটা আয়রন ও স্টিল প্ল্যান্ট

উত্তরঃ (ঘ) টাটা আয়রন ও স্টিল প্ল্যান্ট।

১.১৪ `74\fracm{7}`মানচিত্রের সংখ্যাসূচক স্কেল হলো—
(ক) 1 : 10,000 (খ) 1 : 25,000
(গ) 1 : 50,000 (ঘ) 1 : 1,00,000

উত্তরঃ (গ) 1 : 50,000

বিভাগ – ‘খ’

২। ২.১ নিম্নলিখিত বাক্যগুলি শুদ্ধ হলে পাশে ‘শু’ এবং অশুদ্ধ হলে পাশে ‘অ’ লেখো (যে কোনো ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১ × ৬ = ৬

২.১.১ মেরুঅঞ্চলে হিমরেখার উচ্চতা শূন্য মিটার।

উত্তরঃ‘শু’

২.১.২ আন্টার্কটিকা অঞ্চলে ওজোন গহ্বর দেখা যায়।

উত্তরঃ ‘শু’

২.১.৩ চিনুক ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি উষ্ম বায়ু।

উত্তরঃ ‘অ’

২.১.৪ সূর্য ও চন্দ্র যখন পৃথিবীর সাথে এক সমকোণে থাকে তখন সিজিগি হয়।

উত্তরঃ ‘অ’

২.১.৫ দূষিত বাতাসকে স্ক্রাবারের সাহায্যে পরিশ্রুত করা হয়।

উত্তরঃ ‘শু’

২.১.৬ ভারতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণে অগ্রণী রাজ্য হলো কেরল।

উত্তরঃ ‘অ’

২.১.৭ উপগ্রহ চিত্র ব্যাখ্যার জন্য কম্পিউটারের ব্যবহার আবশ্যিক।

উত্তরঃ‘শু’

২.২ উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো (যে কোনো ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১×৬=৬

২.২.১ ফানেল আকৃতির চওড়া নদী মোহনাকে _______________ বলে।

উত্তরঃ খাড়ি।

২.২.২ বালি দ্বারা গঠিত মরুভূমি সাহারায় _____________ নামে পরিচিত।

উত্তরঃ আর্গ।

২.২.৩ বায়ুপ্রবাহের গতিবেগ নির্ণয় করা হয় ____________________ যন্ত্রের সাহায্যে।

উত্তরঃ অ্যানিমোমিটার।

২.২.৪ ______________ স্রোত সমুদ্রতলের উপরিভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

উত্তরঃ উষ্ণ / সমূদ্র।

২.২.৫ মালাবার উপকূলের উপহ্রদগুলিকে স্থানীয় ভাষায় ______________ বলে।

উত্তরঃ কয়াল।

২.২.৬ জোয়ার বাজরা রাগি প্রভৃতি ফসলকে একসাথে _____________ বলে।

উত্তরঃ মিলেট।

২.২.৭ ভারতে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি ____________ স্থানে অবস্থিত।

উত্তরঃ ব্যাঙ্গালুরু।

২.৩ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও (যে কোনো ছয়টি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১x৬=৬

২.৩.১ মরুভূমিতে যে শুষ্ক নদী উপত্যকা দেখা যায় তার নাম লেখো।

উত্তরঃ ওয়াদি

২.৩.২ সম্পৃক্ত বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ১০০%

২.৩.৩ একটি পৃথিবীবিখ্যাত সামুদ্রিক মগ্নচড়ার নাম লেখো।

উত্তরঃ গ্র্যাণ্ডব্যাঙ্ক

২.৩.৪ একটি জৈব ভঙ্গুর বর্জ্যের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ সব্জির খোসা, কৃষি বর্জ্য,

২.৩.৫ গাঙ্গেয় সমভূমির নবীন পলিমাটিকে কি বলে ?

উত্তরঃ খাদার।

২.৩.৬ ভারতের কোন রাজ্য চা উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে ?

উত্তরঃ অসম

২.৩.৭ ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জনগণনা অনুসারে ভারতের সাক্ষরতার হার কতো ?

উত্তরঃ 74.04%

২.৩.৮ ভারতের কোন্ সংস্থা ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র প্রস্তুত করে ?

উত্তরঃ সার্ভে অব ইন্ডিয়া।

২.৪ বামদিকের সঙ্গে ডানদিকের গুলি মিলিয়ে লেখো : ১×৪=৪

বামদিক ডানদিক
২.৪.১ কালবৈশাখী ১. বেঙ্গালুরু
২.৪.২ আরাবল্লি পর্বত ২. লক্ষ্ণৌ
২.৪.৩ সিলিকন ভ্যালি ৩. পশ্চিমবঙ্গ
২.৪.৪ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র ৪. রাজস্থান

উত্তরঃ

বামদিক ডানদিক
২.৪.১ কালবৈশাখী ৩. পশ্চিমবঙ্গ
২.৪.২ আরাবল্লি পর্বত ৪. রাজস্থান
২.৪.৩ সিলিকন ভ্যালি ১. বেঙ্গালুরু
২.৪.৪ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র ২. লক্ষ্ণৌ

বিভাগ – ‘গ’

৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) : ২×৬= ১২

৩.১ জলবিভাজিকার সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ পাশাপাশি অবস্থিত দুই বা ততোধিক নদী অববাহিকা যে উচ্চভূমি দ্বারা পৃথক থাকে, তাকে (Water-Shed Or, Water-Parting) বলে । সাধারণতঃ পাহাড় – পর্বত, মালভূমি ইত্যাদি জলবিভাজিকার ভূমিকা পালন করে ।

অথবা,

ইনসেলবার্জ কাকে বলে ?

উত্তরঃ মরু অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট খাড়া পার্শ্বদেশ ও প্রায় সমতল বা গোলাকার শিখরদেশ বিশিষ্ট কঠিন শিলায় গঠিত বিচ্ছিন্ন দ্বীপের ন্যায় অবশিষ্ট বা ক্ষয়ীভূত পাহাড়কে ইনসেলবার্জ বলে।

৩.২ নিরপেক্ষ আর্দ্রতা বলতে কি বোঝো ?

উত্তরঃ কোনাে নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাকে নিরপেক্ষ আর্দ্রতা বা চরম আদ্রর্তা বলে অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণই হল চরম আদ্রর্তা।

অথবা,

হিমপ্রাচীরের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে সুমেরু অঞ্চল থেকে আগত ল্যাব্রাডর স্রোতের শীতল ও গাঢ় সবুজ রঙের জলের পাশ দিয়ে বিপরীত দিকে প্রবাহিত উপসাগরীয় স্রোতের উষ্ণ ও গাঢ় নীল জলের সীমারেখা স্পষ্ট দেখা যায়। এই সীমারেখাকে হিমপ্রাচীর বলে।

৩.৩ বর্জ্যের পুনর্নবীকরণের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ বর্জ্যপদার্থকে নতুন প্রকার প্রয়োজনীয় দ্রব্যে পরিণত করার প্রক্রিয়াই হল পুনর্নবীকরণ। যেমন — জৈব আবর্জনাকে জৈব সারে পরিণত করে বাড়ির বাগানে ব্যবহার করা যায় ।

অথবা,

কম্পোস্টিং বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ জৈব বিশ্লেষ্য বর্জ্য ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা বিশ্লেষণ করাকে কম্পোস্টিং বলে।

৩.৪ মরুস্থলী বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ ভারতীয় মরু অঞ্চলের সর্ব পশ্চিম অংশে অবস্থিত উদ্ভিদহীন বালুকাময় যে মরুভূমি অঞ্চলটি থর মরুভূমির অংশরূপে ভারতীয় সীমানা ছাড়িয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে তাকে মরুস্থলী বা বালুকাময় অঞ্চল বলে।

অথবা,

সামাজিক বনসৃজনের দুটি সুবিধা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ সামাজিক বনসৃজন এর সুবিধা—
(১) বন্ধ্যা, রুক্ষ, পতিত জমির ওপর এই প্রকল্প তৈরি করলে ওই জমির অর্থনৈতিক ব্যবহার ও গুরুত্ব বাড়ে।

(২) গরিব মানুষের প্রাথমিক উদ্দেশ্য না থাকলেও ব্যাপক মাত্রায় সামাজিক বনসৃজন প্রকল্প গৃহীত হলে তার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ও বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষিত হয়।

৩.৫ পাঞ্জাব-হরিয়ানা অঞ্চলের কৃষি উন্নতির দুটি সুফল লেখো।

উত্তরঃ

(১) শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধিঃ পাঞ্জাব-হরিয়ানার বেশিরভাগ এলাকা উর্বর পলিগঠিত সমতল ভূমি হওয়াই গম, ধান, আখ, তুলো প্রভৃতি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

(২) কৃষি জমির সম্প্রসারণঃ উন্নত জলসেচ ব্যবস্থার ফলে এই অঞ্চলে কম বৃষ্টিপাত হলেও জলসেচ ব্যবস্থার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

অথবা,

ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ যে ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে বৃহদায়তন ও ভারী অথচ জটিল যন্ত্রপাতি তৈরি হয় তাকে ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বলে।

৩.৬ উপগ্রহ চিত্রের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট স্থানের যে চিত্র তোলা হয় তাকে উপগ্রহ চিত্র বলে। একে ইংরেজি ভাষায় স্যাটেলাইট ইমেজও বলা হয়।

অথবা,

মিলিয়ন শীট বলতে কি বোঝো ?

উত্তরঃ ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন তথা সমীক্ষার সুবিধার্থে ভারতীয় সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশকে প্রথম পর্যায়ে 4° অক্ষরেখা এবং 4°দ্রাঘিমা রেখার (4°×4°) ভিত্তিতে 135 টি গ্রিডে ভাগ করেছে। এগুলি বৃহৎ পর্যায়ের মানচিত্র এবং এর স্কেল হল 1 সেমিতে 10 কিমি (R.F.= 1 : 1000000 ) । এই ধরনের ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র গুলোকে মিলিয়ন শিট বলে।

বিভাগ – ‘ঘ’

৪। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) : ৩×৪=১২

৪.১ অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি ও তির্যক বালিয়াড়ির মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ (i) বিষয় : সৃষ্টির শর্ত—

• বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়।

• বায়ুর প্রবাহ পথে আড়াআড়ি ভাবে তির্যক বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়।

(ii) বিষয় : উচ্চতা—

• অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির উচ্চতা কয়েকশো মিটার পর্যন্ত হয়।

• তির্যক বালিয়াড়ির উচ্চতা 10-30 মিটার পর্যন্ত হয়।

(iii) বিষয় : দৈর্ঘ্য-প্রস্থ—

• অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির দৈর্ঘ্য বেশি এবং প্রস্থ কম।

• তির্যক বালিয়াড়ির দৈর্ঘ্য কম ও প্রস্থ বেশি।

(iv) বিষয় : আকৃতি—

• অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি সোজা তরবারি বা সংকীর্ণ শৈলশিলার মতো দেখতে।

• তির্যক বালিয়াড়ি অর্ধচন্দ্রাকৃতি র হয়। যার সম্মুখভাগ উত্তল এবং পিছনের অংশ অবতল হয়।

অথবা,

ভরা জোয়ার ও মরা জোয়ারের তুলনামূলক আলোচনা করো।

উত্তরঃ প্রাবল্য অনুসারে জোয়ার দুই প্রকার, যথা—

(i) ভরা কোটাল বা ভরা জোয়ার : পূর্ণিমা ও অমাবস্যা তিথিতে যখন সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে তখন চাঁদ ও সুর্যের আকর্ষণ বলের প্রভাবে সমুদ্রে যে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়, তাকে ভরা কোটাল বলে।

ভরা কোটাল দুই তিথিতে দুইভাবে উৎপত্তি লাভ কর—

(ক) অমাবস্যা তিথি (সংযোগ অবস্থান) : অমাবস্যা তিথিতে একই সরলরেখায় পৃথিবীর একইদিকে চাঁদ, সূর্য অবস্থান করায় তাদের মিলিত আকর্ষণ বল পৃথিবীর একই দিকে ক্রিয়া করায় সমুদ্রের জল রাশির সর্বাধিক স্ফীত ঘটে, ফলে জোয়ার প্রবল হয়। অমাবস্যা তিথিতে সর্বাধিক প্রাবল্যযুক্ত ভরা কোটালের সৃষ্টি হয়।

(খ) পূর্ণিমা তিথি (প্রতিযোগ অবস্থান) : পূর্ণিমা তিথিতে একই সরলরেখায় পৃথিবীর একদিকে সূর্য এবং অপরদিকে চাঁদ অবস্থান করে। ফলে চাঁদের সামনে অবস্থিত সূর্যের জল রাশি চাঁদের আকর্ষণে স্ফীত হয়ে মুখ্য চন্দ্র জোয়ার এবং সূর্যের আকর্ষণে বিপরীত দিকে গৌণ সৌর জোয়ার হয়। অবশ্য তুলনায় পূর্ণিমায় জোয়ারের প্রাবল্য কম হয়।

(ii) মরা কোটাল বা মরা জোয়ার—

কৃষ্ণ ও শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে চাঁদ ও সূর্যের পরস্পর বিরোধী দুর্বল আকর্ষণ বলের প্রভাবে যে মৃদু বা কম প্রবল জোয়ার হয়, তাকে মরা কোটাল বা মরা জোয়ার বলে।

কৃষ্ণ ও শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্য পরস্পর সমকোণে অবস্থান করে। পৃথিবীর যেদিকে চাঁদ অবস্থান করে সেদিকে সমুদ্রের জল স্ফীত হয়ে জোয়ারের সৃষ্টি করে। পৃথিবী এবং চাঁদের সমকোণে অবস্থিত সূর্যের আকর্ষণেও সূর্যের সামনে থাকা অংশে জোয়ারের সৃষ্টি হয়। চাঁদ ও সূর্যের পরস্পর বিরোধী আকর্ষণ হওয়ায় জোয়ার প্রবল বা জোরালো হয় না। এই কারণে এই জোয়ারকে মরা জোয়ার বলে।

৪.২ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তাগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা—

(i) দূষণ নিয়ন্ত্রণ : মাত্রাতিরিক্ত বর্জ্য বৃদ্ধির ফলে বায়ু-জল-মাটি-দৃশ্য দূষণের সমস্যা সমাধান। মাটির উর্বরতা রক্ষা, পরিচ্ছন্ন ও নির্মল পরিবেশ তৈরি করার জন্য বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করা প্রয়োজন।

(ii) সম্পদ সৃষ্টি : দূষক বর্জ্য পদার্থগুলিকে আবার ব্যবহার করে এবং পুনরাবর্তন জৈবসার, জৈবগ্যাস, সিমেন্ট, ইট, ঠোঙা, খেলনা, পেনদানি, নতুন প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু, কাঁচ ইত্যাদি সম্পদ সৃষ্টি করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি।

(iii) বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস : জনবিস্ফোরণ, ক্রমবর্ধমান শহরায়ণ ও শিল্পায়ণ আমাদের আশেপাশে কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্যের পরিমাণ অতিদ্রুত বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি করছে। বর্জ্যের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।

(iv) এছাড়া রোগ ব্যাধি হ্রাস, মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি, দূষণমুক্ত ভৌমজল, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রভৃতি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।

অথবা,

ভাগিরথী-হুগলি নদীর জল বিভিন্ন বর্জ্যের দ্বারা কীভাবে দূষিত হচ্ছে ?

উত্তরঃ ভাগীরথী-হুগলি দূষণের জন্য চিহ্নিত মূল উৎসগুলি হল—

(i) নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা গৃহস্থালির থেকে নির্গত পয়ঃপ্রণালী ও নর্দমার নোংরা জল।

(ii) বিভিন্ন শিল্প থেকে নির্গত দূষিত জল যাতে থাকে বিভিন্ন বিষাক্ত তরল বস্তু, জৈবক্ষয়ী নয় এমন পদার্থ, ভারী ধাতু নদীতে মিলিত হয়।

(iii) ভাগীরথী-হুগলির উভয় পারের বিস্তৃত কৃষিক্ষেত্র থেকে ধুয়ে চলে আসা রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রভৃতি জলকে দূষিত করে তুলছে।

(iv) নদীতীরে মলত্যাগ, গবাদিপশুর স্নান, মৃত পশু নিক্ষেপ ও নদীপাড়ের আবর্জনা থেকে নির্গত দূষিত জল নদীতে মিশছে।

৪.৩ ভারতের অরণ্য সংরক্ষণের তিনটি পদ্ধতি আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভারতে অরণ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি—
বর্তমানে ভারতের ক্ষেত্রমানের বিচারে বনাবৃত ভূমির পরিমাণ প্রায় 24.39 শতাংশ (সূত্র: India State of Forest Report’17)। অথচ সমগ্র দেশের মােট আয়তনের 33 শতাংশ বনভূমি থাকা বাঞ্ছনীয়। তাই নানা পদ্ধতিতে অরণ্য সংরক্ষণ করা প্রয়ােজন। যেমন

(যেকোনো তিনটি লিখতে হবে)

(i) অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃক্ষচ্ছেদন রােধ : অপ্রয়ােজনীয় বৃক্ষচ্ছেদন রােধ করতে হবে। বনভূমি ও যে-কোনাে স্থান থেকে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে গাছ কাটা নিষিদ্ধ করতে হবে।

(ii) অপরিণত বৃক্ষচ্ছেদন হ্রাস : গাছ কাটার খুব প্রয়ােজন হলে কেবল পরিণত বৃক্ষই যেন ছেদন করা হয়। অপরিণত এবং চারাগাছের রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে এবং তাদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

(iii) জ্বালানি কাঠের পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি : গ্রাম এবং শহরে জ্বালানি হিসেবে কাঠের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস, জৈবগ্যাস, সৌর শক্তি ইত্যাদি বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি। করতে হবে। এতে জ্বালানি কাঠের ব্যবহার কমবে এবং অরণ্যের সংরক্ষণ হবে।

(iv) দাবানল প্রতিরােধ : বনভূমিতে দাবানল যাতে না লাগে তার দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে এবং দাবানল লাগলে যাতে দ্রুত তা নিবারণvকরা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

(v) পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ : অরণ্যকে রক্ষা করার জন্য পশুচারণ ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। অরণ্যভূমিতে পশুর দল চারাগাছ খেয়ে ফেলে এবং গাছকে নষ্ট করে দেয়। তাই পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা। জরুরি।

(vi) বনসৃজন ও পুনর্বনসৃজন : যেসব স্থান উদ্ভিদহীন সেখানে নতুন করে বনসৃজন করা যেতে পারে এবং বনভুমিতে যেখানে পশুচারণের ফলে বা মানুষের নিজের প্রয়ােজনে অরণ্যচ্ছেদনের। ফলে গাছের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে সেখানে পুনর্বনসৃজন ঘটিয়ে। অরণ্য পুনরুদ্ধার করতে হবে।

অথবা,

ভারতে রেলপথ ও সড়কপথের গুরুত্বের তুলনামূলক আলোচনা করো।

৪.৪ দূর সংবেদন ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা করো।

অথবা,

ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের তিনটি ব্যবহার উল্লেখ করো।

বিভাগ – ‘ঙ’

[ দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে চিত্রাঙ্কন আবশ্যিক নয় ]

৫। ৫.১ যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×২=১০

৫.১.১ ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ বর্ণনা দাও।

৫.১.২ বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতার তারতম্যের তিনটি প্রধান কারণ ব্যাখ্যা করো।

৫.১.৩ শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত কিভাবে সংঘটিত হয় তা চিত্র ও উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা করো।

৫.১.৪ সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির নিয়ন্ত্রকগুলি আলোচনা করো।

৫.২ যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×২=১০

৫.২.১ উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য লেখো।

৫.২.২ ভারতে কার্পাস উৎপাদনের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বিবরণ দাও।

৫.২.৩ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে পেট্রোরসায়ন শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণগুলি ব্যাখ্যা করো।

৫.২.৪ ভারতের জনসংখ্যার অসম বণ্টনের পাঁচটি প্রধান কারণ আলোচনা করো।

বিভাগ – ‘চ’

৬। প্রশ্নপত্রের সাথে প্রদত্ত ভারতের রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিতগুলি উপযুক্ত প্রতীক ও নামসহ চিহ্নি করে মানচিত্রটি উত্তরপত্রের সঙ্গে জুড়ে দাও : ১x১০=১০

৬.১ নীলগিরি পর্বত
৬.২ তাণ্ডী নদী
৬.৩ লোক্‌টাক্ হ্রদ
৬.৪ একটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল
৬.৫ মরু মৃত্তিকা অঞ্চল
৬.৬ উত্তর ভারতের একটি গম উৎপাদক অঞ্চল
৬.৭ ভারতের ম্যাঞ্চেষ্টার
৬.৮ ভারতের কোন রাজ্যে সর্বাধিক ধান উৎপন্ন হয় ?
৬.৯ ভারতের প্রধান রবিশস্যের নাম কী ?
৬.১০ পূর্ব ভারতের একটি লৌহ ইস্পাত শিল্পকেন্দ্রের নাম লেখো।
৬.১১ ভারতের কোন রাজ্যের জনঘনত্ব সর্বাধিক ?
৬.১২ সোনালি চতুর্ভুজে অবস্থিত একটি মহানগরের নাম লেখো।
৬.১৩ ভারতের একটি ঐতিহাসিক শহরের নাম লেখো।
৬.১৪ ভারতের শুল্কমুক্ত বন্দর কোথায় অবস্থিত ?

M.P Geography Question Papers
2017 2018 2019 2020 2021
2022 2023 2024 2025 2026

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:12 mins read