সাহিত্য মেলা
ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা
আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা | Ashirbad Golper Prosno Uttor Class 6 Bengali West Bengal Board
আশীর্বাদ গল্পের লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর | Ashirbad Golper Question Answer Class 6 Bengali West Bengal Board
📌 ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 ষষ্ঠ শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here
আশীর্বাদ গল্পের লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর | Ashirbad Golper Question Answer Class 6 Bengali West Bengal Board
আশীর্বাদ
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
লেখক পরিচিতিঃ
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার (১৮৭৭-১৯৫৬) : বাংলাদেশের ঢাকা জেলার উলাইল গ্রামে বিখ্যাত মিত্র মজুমদার বংশে দক্ষিণারঞ্জনের জন্ম। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ উত্থান। কবিতা দিয়ে সাহিত্য জীবন শুরু করলেও তাঁকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত রূপকথা, উপকথা ও লোককথার গল্প। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মুখের গল্পকথাকে সংগ্রহ করে নিজের মতো করে মূল কাহিনিটি লিখতেন। দক্ষিণারঞ্জন ১৯৩০-১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ-এর সহসভাপতি ছিলেন। তাঁর লেখা অন্যান্য গ্রন্থগুলির নাম ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি, দাদামশায়ের থলে, উৎপল ও রবি, কিশোরদের মন, বাংলার সোনার ছেলে, চিরদিনের রূপকথা ইত্যাদি। ১৩৫৭ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ তাঁকে ভুবনেশ্বরী পদক দিয়ে সম্মানিত করেন।
শব্দার্থ :
বান— বন্যা। অসীম— সীমাহীন। জিমনাস্টিক— শরীরচর্চা, ব্যায়াম, শারীরিক কসরৎ
ধুত্তোর— বিরক্তি, অবজ্ঞা, অসম্মতি, অবিশ্বাস প্রভৃতি ভাবপ্রকাশক শব্দ। আশীর্বাদ— বর।
শিউরোল— শিউরে উঠল।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : আশীর্বাদ গল্প ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা | Ashirbad Golper Extra Question Answer Class 6 Bengali wbbse
• সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
১. আশীর্বাদ’ গল্পটির লেখক হলেন—
(ক) সুকুমার রায়
(খ) দক্ষিণারঞ্জন মিত্র
(গ) দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
(ঘ) সত্যজিৎ রায়
উত্তরঃ (গ) দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
২. বর্ষা নেমেছে, নীচেও ডেকেছে—
(ক) বাণ (খ) বান (গ) জল (ঘ) ঢেউ
উত্তরঃ (খ) বান।
৩. একটা পিঁপড়ে আশ্রয় নিয়েছে ঘাসের
পাতার—
(ক) আড়ালে (খ) নীচে (গ) ওপরে (ঘ) গায়ে
উত্তরঃ (খ) নীচে।
৪. ‘চলতেই জানলেম না, তা, ঝুলব কোথায় গিয়ে ?’- বক্তা হল—
(ক) বৃষ্টি (খ) ঘাস (গ) পাতা (ঘ) পিঁপড়ে
উত্তরঃ (গ) পাতা
৫. সারাদিন কাজের শেষে পিঁপড়ে ঘুমোয়
গিয়ে মাটির—
(ক) ওপরে (খ) ঢিলে (গ) ঘরে (ঘ) গর্তে
উত্তরঃ (ঘ) গর্তে।
৬. এক ঢোক জল খেয়ে পিঁপড়ে—
(ক) হাঁফিয়ে উঠল
(খ) ডুবে গেল
(গ) কিছু বলতে পারলো না
(ঘ) মারা গেল
উত্তরঃ (গ) কিছু বলতে পারলো না।
৭. ‘বৃষ্টি এল’— বৃষ্টি কীভাবে এলো ?
(ক) ঝমঝম করে
(খ) টিপটপ করে
(গ) টুপটাপ করে
(ঘ) ঝিরঝির করে
উত্তরঃ (ক) ঝমঝম করে।
৮. বৃষ্টি বলেছিল যে, এ বাদল চলে গিয়ে
আসবে—
(ক) বসন্ত (খ) শীত (গ) শরৎ (ঘ) হেমন্ত
উত্তরঃ (গ) শরৎ
৯. মেঘের ফাঁক দিয়ে সূর্যের চোখ—
(ক) কিরণ দিচ্ছিল
(খ) কাঁদছিল
(গ) হাসছিল
(ঘ) ঝলমল করছিল
উত্তরঃ (গ) হাসছিল।
১০. খলখল করে হেসে উঠল—
(ক) মাটি (খ) জল (গ) আকাশ (ঘ) সূর্য
উত্তরঃ (খ) জল।
হাতে কলমে প্রশ্নোত্তর : আশীর্বাদ গল্প ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা | Ashirbad Golper Extra Question Answer Class 6 Bengali wbbse
১.১ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত ?
উত্তরঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করত রূপকথা, উপকথা ও লোককথার গল্প।
১.২ তিনি শিশুসাহিত্যের কোন্ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন ?
উত্তরঃ তিনি বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে ভুবনেশ্বরী পদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।
২। নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয় ?
উত্তরঃ বন্যা হলে প্রকৃতির চারিদিকে জল থই থই করে।
২.২ পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?
উত্তরঃ বন্যার সময় পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে নিজেকে বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিল।
২.৩ বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন ?
উত্তরঃ বৃষ্টির প্রবল ঝাপটায় গাছের পাতারা নিজেদের সামলাতে না পেরে কাঁপছিল।
২.৪ পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল ?
উত্তরঃ নিজেকে বাঁচাবার জন্য পিঁপড়ে ঘাসের পাতার শিরা আঁকড়ে ধরে ঝুলে থাকল।
২.৫ পিঁপড়ে কখন “বাপ! বাঁচলেম” বলে উঠল ?
উত্তরঃ বৃষ্টি একটু কমলে ঘাসের পাতা সোজা হয়ে দাঁড়াল। তখন পিঁপড়ে “বাপ বাঁচলেম” বলে উঠল।
২.৬ জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল ?
উত্তরঃ খলখল শব্দ করে জল হেসে উঠেছিল।
২.৭ ‘বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের।’— কেন এমন হল ?
উত্তরঃ পিঁপড়ে বৃষ্টির কাছ থেকে শুনল যে শরৎকাল এলে ঘাস থেকেই কাশফুল ফোটে। তাই পিঁপড়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে করল এবং তার বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।
২.৮ ‘শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে ঝরুক।’— কে এমনটি কামনা করেছিল?
উত্তরঃ শরতের আকাশে মেঘ কেটে গেলে সূর্য কামনা করেছিল যেন শরতের আশীর্বাদ সকলের উপর ঝরে পড়ে।
৩। নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখো :
৩.১ বর্ষা খুব নেমেছে।
উত্তরঃ নেমেছে— সমাপিকা ক্রিয়া।
৩.২ ভাই, জোরে আঁকড়ে ধরো।
উত্তরঃ আঁকড়ে— অসমাপিকা ক্রিয়া। ধরো— সমাপিকা ক্রিয়া।
৩.৩ এক ঢোক জল খেয়ে পিঁপড়ে আর কিছু বলতে পারলে না।
উত্তরঃ খেয়ে— অসমাপিকা ক্রিয়া, বলতে— অসমাপিকা ক্রিয়া, পারল না— সমাপিকা ক্রিয়া।
৩.৪ বৃষ্টির ফোঁটার ঘায়ে পাতাটা বোধ হয় এলিয়ে পড়বে জলে।
উত্তরঃ ঘায়ে— অসমাপিকা ক্রিয়া, এলিয়ে— অসমাপিকা ক্রিয়া, পড়বে— সমাপিকা ক্রিয়া।
৩.৫ শিউরে পাতা বললে— ভাই। তেমন কথা বোলো না।
উত্তরঃ বললে— সমাপিকা ক্রিয়া, বোলো না— সমাপিকা ক্রিয়া।
৪। সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করো :
৪.১ সারা দিনরাত খাটি।
উত্তরঃ খাটি— অকর্মক ক্রিয়া।
৪.২ আমরা যাই, আসি, দেখি।
উত্তরঃ যাই, আসি, দেখি— অকর্মক ক্রিয়া।
৪.৩ ঘাসের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তরঃ দাঁড়িয়েছে— অকর্মক ক্রিয়া।
৪.৪ এ জল কী করে পার হব ?
উত্তরঃ পার হব— সকর্মক ক্রিয়া। (কর্ম— জল)।
৪.৫ পৃথিবী তোমার হবে।
উত্তরঃ হবে— সকর্মক ক্রিয়া। (পৃথিবী— কর্ম)।
৫। সন্ধি বিচ্ছেদ করো : নিশ্বাস, বৃষ্টি, নিশ্চয়, আশীর্বাদ।
উত্তরঃ
» নিশ্বাস— নিঃ + শ্বাস।
» বৃষ্টি— বৃষ্ + তি।
» নিশ্চয়— নিঃ + চয়।
» আশীর্বাদ— আশীঃ + বাদ।
৬। নীচের শব্দগুলি থেকে উপসর্গ পৃথক করো এবং তা দিয়ে দুটি নতুন শব্দ তৈরি করো : বিদেশ, দুর্ভাগ্য, অনাবৃষ্টি, সুদিন, নির্ভয়।
» বিদেশ— বি(উপসর্গ) + দেশ।
নতুন শব্দ— (১) বি + কার— বিকার,
(২) বি + চার = বিচার
» দুর্ভাগ্য— দুঃ (দুর– উপসর্গ) + ভাগ্য
নতুন শব্দ— (১) দুঃ+ আচার= দুরাচার, (২) দুঃ + শাসন = দুঃশাসন
» অনাবৃষ্টি— অনা(উপসর্গ) + বৃষ্টি
নতুন শব্দ— (১) অনা + আচার = অনাচার,
(২) অনা + আবশ্য = অনাবশ্যক
» সুদিন— সু(উপসর্গ) + দিন
নতুন শব্দ— (১) সু + বিচার— সুবিচার,
(২) সু + সময়— সুসময়
» নির্ভয়— নিঃ (নির–উপসর্গ) + ভয়
নতুন শব্দ— (১) নিঃ + আকার— নিরাকার,
(২) নিঃ + বিচার— নির্বিচার
৭। নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখো : আশ্রয়, শরীর, শরৎ, মুখ, ফুল
বিশেষ্য | বিশেষণ |
আশ্রয় | আশ্রিত |
শরীর | শারীরিক |
শরৎ | শারদীয় |
মুখ | মৌখিক |
ফুল | ফুলেল |
৮। চোখ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনা করো :
উত্তরঃ
» চোখ(দর্শনের ইন্দ্রিয়)— চোখ না থাকলে পৃথিবী অন্ধকার।
» চোখ(নজর)— ছেলেটিকে চোখে চোখে রেখো, ওর হাতটান আছে।
৯। নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধের অংশ ভাগ করে দেখাও :
উত্তরঃ
৯.১ আমরা সাঁতার জানি।
উদ্দেশ্য— আমরা।
বিধেয়— সাঁতার জানি।
৯.২ বর্ষাতেও পিঁপড়ের মুখ শুকিয়ে গেল।
উদ্দেশ্য— পিঁপড়ের।
বিধেয়— বর্ষাতেও মুখ শুকিয়ে গেল।
৯.৩ শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে।
উদ্দেশ্য— আমি (উহ্য)।
বিধেয়— শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে।
৯.৪ জল খল খল করে হেসে উঠলো।
উদ্দেশ্য— জল।
বিধেয়— খল খল করে হেসে উঠলো।
৯.৫ পৃথিবী সবারই হোক।
উদ্দেশ্য— পৃথিবী।
বিধেয়— সবারই হোক।
১০. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাওঃ
১০.১ আমরা সাঁতার জানি। আমরা হাঁটতে জানি। (‘এবং’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো।)
উত্তরঃ আমরা সাঁতার এবং হাঁটা দুটোই জানি।
১০.২ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো, ফুলটুল ফুটাও। (দুটো বাক্যে ভেঙ্গে লেখো।)
উত্তরঃ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো। তোমরা ফুলটুল ফোটাও।
১০.৩ বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। (‘যখন-তখন’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো।)
উত্তরঃ যখন বর্ষা খুব নেমেছে তখন নীচেও বান ডেকেছে।
১০.৪ আমরা নাড়তেও পারিনে। কোন রকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই (‘কিন্তু’ অব্যয়টি দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো।)
উত্তরঃ আমরা নড়তেও পারিনে কিন্তু কোনো রকমে শুঁড়-টুড় বাড়াই।
১০.৫ এক ঢোক জল খেলো এবং পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না। (‘এবং’ অব্যয়টি তুলে দিয়ে বাক্য দুটিকে একটি বাক্যে লেখো।)
উত্তরঃ এক ঢোঁক জল খেয়ে পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না।
১১। নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১১.১ পাঠ্যাংশে কোন্ কোন্ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তরঃ আমাদের পাঠ্যাংশে বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর প্রসঙ্গ আছে।
বর্ষা ঋতুর উদাহরণ : বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। জলে দেশ থই থই করছে।
শরৎ ঋতুর উদাহরণ : শরতে চেয়ে দেখি, তারাই কাশবন হয়ে হাসছে।
১১.২ পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে ?
উত্তরঃ পাতাই গাছের জীবন। পাতায় অবস্থিত ক্লোরোফিল কণা সূর্যরশ্মির সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে।
১১.৩ পিঁপড়ের বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ মাটির নীচে গর্তের মধ্যে পিঁপড়ের বাসস্থান। মাটির নিচে বাসা তৈরি করে সেখানে তারা খাদ্য সঞ্চয় করে। আবার বেশি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকলে উঁচু স্থানে বাসা বাঁধে।
১১.৪ বৃষ্টি পাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে ?
উত্তরঃ বৃষ্টি পাতাকে তার বন্ধুর পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে। তাছাড়া পাতাকে সবুজ বন্ধু আখ্যায় ভূষিত করেছে।
১১.৪ সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কী ভাবল ?
উত্তরঃ সবার কথা শোনার পর পিঁপড়ের মনে হল পৃথিবী আবার তার হবে এবং পৃথিবী কেবলমাত্র তার একার নয় সে সকলেরই অশ্রয়স্থল।
১১.৬ প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে ?
উত্তরঃ ঋতুচক্রের আবর্তনে স্বাভাবিক নিয়মে বর্ষার পর আসে শরৎ। শরতে বর্ষার ঘাস কাশবন হয়ে হাসি ছড়ায়। তাই শরতের আগমন বর্ষার বিদায়বার্তা ঘোষণা করবে। সূর্য আবার হাসবে এবং প্রকৃতিতে আর বৃষ্টির উপদ্রব থাকবে না।
১২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
১২.১ বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো।
উত্তরঃ বর্ষা ঋতু হল বৃষ্টির কাল। বর্ষার বারিধারায় পুষ্ট হয়ে আমাদের চারিদিকের প্রকৃতি সবুজ বর্ণ ধারণ করে। গ্রীষ্মকালের প্রখর দাবদাহে গাছ মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছিল, তারা নতুন করে আবার প্রাণ ফিরে পায়। বর্ষা প্রকৃতি যৌবনাবতী হয়ে ওঠে। তারা নতুন প্রাণে হাওয়ার দোলা দেয় এবং সে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।
১২.২ পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ প্রকৃতিতে বর্ষার ফলে সারা দেশ জলে ভরে গিয়েছিল। ফলে পিঁপড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে সে ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
১২.৩ পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল ?
উত্তরঃ বর্ষার ফলে জলের স্রোত বইছিল। ছোট্ট পিঁপড়ে ভেসে যাবে অসীম জলে। তাই গাছের পাতা বন্ধু পিঁপড়েকে জোর করে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল।
১২.৪ পাতা কী বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল ? ‘কাজে আসে না কোনোটাই’— এখানে তার কোন কাজে না আসার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ পিঁপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে জানে আবার প্রয়োজনে দৌড়াতেও পারে সুতরাং তার ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে পাতা পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল।
কিন্তু প্রয়োজনের সময় পিঁপড়ের হাঁটা, সাঁতার জানা এমনকি দৌড়ানোও কোনো কাজে আসে না। বর্ষা ঋতুতে পিঁপড়ে জলে পড়ে গেলে সে হাবুডুবু খায় এমনকি তার মৃত্যু হওয়াও অসম্ভব নয়। তাই পিঁপড়ের জানা তিন বিদ্যা হাঁটা, সাঁতার জানা এবং দৌড়ানো সবসময় কাজে আসে না।
১২.৫ ‘’তাই আজ বেঁচে গেলাম’— বক্তার ‘আজ’ বেঁচে যাওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ বর্ষায় চারিদিক জলে থইথই করছে। কোথায়ও এতোটুকু ডাঙ্গা নেই। পিঁপড়ে একটা গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছে। তাই পিঁপড়ে এ যাত্রায় বেঁচে গেছে।
১২.৬ পিঁপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদে লেখো।
উত্তরঃ বর্ষায় ঘোরতর বৃষ্টি নেমেছে। চারিদিকে জল থইথই করছে। এই অবস্থায় ঘাসের পাতা এবং পিঁপড়ে দুজনেই চরম সমষ্যায় পড়েছে। পিঁপড়ে অনেক কষ্টে আশ্রয় নিয়েছে একটি ঘাসের পাতার উপর। প্রচন্ড বৃষ্টির আঘাতে পাতা টলমল করলে সে জোরে কামড়ে ধরে। শরীরটা ডুবে ডুবে যাচ্ছে। কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচেছে। রোদ্দুরে তাদের পুড়ে মরতে হয়, বর্ষায় ডুবে মরতে হয়। তার বুক ভেঙে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। পৃথিবীর বুকে যে জল জমেছে, তা কী কোনোদিন শুকোবে ?
ঘাসের পাতারও দুঃখ কম নয়, চারিদিক জল থইথই করছে। ঘাস তো চলাফেরা করতে অক্ষম। তাই সে নড়েচড়ে বা ঝুলে বাঁচতে পারে না। গাছপালা সব জলে ডুবুডুবু। বৃষ্টির আঘাতে গাছের পাতা আহত হচ্ছে। বৃষ্টি থামলে সে নিজেকে একটু সোজা করে নিচ্ছে। পিঁপড়ের মতো সে হতাশাবাদী নয়। তার আশা বৃষ্টি সরে যাবে, আবার ডাঙা জেগে উঠবে।
১২.৭ পিঁপড়ের সঙ্গে গাছের কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ তৈরি করো। শ্রেণিকক্ষে অভিনয়ের আয়োজন করো।
উত্তরঃ
পিঁপড়ে – এতো বৃষ্টি চারিদিক জলে থইথই করছে। খাল বিল ডুবুডুবু এখন প্রাণ বাঁচানো দায়।
পাতা – ভয় পেয়ো না, কিছুই হবে না, জোর বৃষ্টি এসেছে তুমি আমাকে আরো জোরে কামড়ে ধরো। আমার কোনো ব্যথা লাগবে না।
পিঁপড়ে – ভাই পাতা তুমি ছিলে বলে এ
যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেছি। চারিদিকে জল, হাঁটা চলা, খাবার সংগ্রহ করার কোনো উপায় নেই।
পাতা – আরে অতো ভাবছো কেন? বাদল থেমে যাবে, তোমরা তো হাঁটতে চলতে ছুটতে পারো, কতো কি জানো! জিমনাস্টিক্স পর্যন্ত জানো। আর আমি কিছুই পারি না। এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকি, কোনরকমে শুঁড়টুড় বাড়াই।
পিঁপড়ে – হাঁটতে চলতে পেরেই কী লাভ ? কোনো কাজেই তো এলো না। ডাঙায় রোদ্দুরে দিনে পুড়ে মরি, বর্ষায় ভেসে যাওয়ার উপক্রম।
পাতা – দেখো পিঁপড়ে তুমি কতো কাজ কর ও সারাদিন খেটে যাও।
পিঁপড়ে – এতো খেটে কি লাভ? শুধু খেটে যাই, আর খাই, গর্তে চলে যাই। অথচ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাস ফুল ফোটাও, আরো কতো কি দান করো, মাটি আমাদের পৃথিবী তোমাদের।
পাতা – এভাবে হতাশ হয়ো না, বর্ষা থেমে যাবে শরৎ আসবে, গাছ, প্রাণী সবাই বাঁচবে।
১২.৮ ‘মাটি সবারই’– পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে কোন সত্য ফুটে উঠেছে ?
উত্তরঃ পাতা মনে করে পৃথিবীর মাটিতে সকলের সমান অধিকার। মাটিতেই আমাদের জন্ম এবং মাটির উপর নির্ভর করেই আমরা জীবনধারণ করে থাকি। মাটি হল প্রকৃতির সার্বজনীন দান। প্রকৃতির সম্পদে সবাই দাবিদার। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রকৃতি সকলকে তার সম্পদ সমভাবে বণ্টন করে দেয়।
১২.৯ মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন কথা শুনতে পেয়েছিল ? তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে কী বলল ?
উত্তরঃ মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি পাতা ও পিঁপড়ের কথোপকথন মনোযোগসহকারে শুনছিল। পিঁপড়ে ভয় পেয়ে বলেছিল এ জল পার হব কী করে।
উভয়ের কথাবার্তা শোনার পর বৃষ্টি পিঁপড়েকে ঘাসের মতো নির্ভীক হতে বলেছিল।
১২.১০ শরৎ ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে বিষয়ে একটা অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তরঃ তোমার রচনা বই দেখে শরৎকালের রচনাটি লেখো।
১২.১১ পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতা কে কীভাবে পিঁপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিল— তা আলোচনা করো।
উত্তরঃ ঘাসের পাতা এবং বৃষ্টির জল প্রকৃতপক্ষে পিঁপড়ের বন্ধু ছিল। তাই তারা তাদের মতো করে পিঁপড়ের মনে সাহস সাহস জুগিয়েছিল। পাতা পিঁপড়েকে বলেছিল বাঁচার তাগিদে তাকে শক্ত করে কামড়ে ধরতে। বৃষ্টির জল পিঁপড়েকে সবসময় সাহস দিয়েছিল এই বলে যে সে যেন কোনো অবস্থাতেই বিপদে পড়লে ভয় না পায়। কারণ ভয় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
📌 আরো দেখুনঃ
📌ষষ্ঠ শ্রেণির ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
◆ দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্নোত্তর
◆ চিত্রগ্রীব – ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়