Class 6 Geography 3rd Unit Test Question Paper Set-2 wbbse | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল তৃতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-২

THIRD SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 6 (VI) GEOGRAPHY (WBBSE)
GEOGRAPHY QUESTION PAPER

Class 6 Geography 3rd Unit Test Question Paper Set-2 wbbse | ষষ্ঠ শ্রেণি ভূগোল তৃতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-২

📌ষষ্ঠ শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

বিঃ দ্রঃ নিম্নে প্রদত্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল প্রশ্নপত্রটি বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করা প্রশ্নপত্র। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত সিলেবাস ও নম্বর বিভাজন অনুযায়ী প্রশ্ন নাও মিলতে পারে।

Set-2

তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন
ষষ্ঠ শ্রেণি
বিষয় : ভূগোল
পূর্ণমান : ৭০                 সময় : ২.৩০ মিনিট

1. বহুবিকল্প ভিত্তিক প্রশ্নের উত্তর দাও : 1×18-18

1.1 নিরক্ষরেখার মান কত ? (a) 0º, (b) 90°, (c) 180°

উত্তরঃ (a) 0º

1.2 বিষুব রেখা পৃথিবীকে ভাগ করেছে- (a) পূর্ব-পশ্চিম গোলার্ধে, (b) উত্তর-দক্ষিণ গোলার্ধে, (c) উত্তর-পশ্চিম গোলার্ধে।

উত্তরঃ (c) উত্তর-পশ্চিম গোলার্ধে।

1.3 গ্রীষ্মকালে পশ্চিম ভারতে যে ধুলিঝড় দেখা যায় তার নাম – (a) লু, (b) আঁধি, (c) কালবৈশাখী।

উত্তরঃ (a) লু

1.4 মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাবর্তন কাল- (a) শরৎকাল, (b) শীতকাল, (c) বর্ষাকাল।

উত্তরঃ (a) শরৎকাল

1.5 সংরক্ষিত অরণ্য- (a) জলদাপাড়া, (b) কোর্ডামা, (c) কাজিরাঙা।

উত্তরঃ (a) জলদাপাড়া

1.6 উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ অরণ্যের প্রধান গাছ- (a) ফণিমনসা, (b) সুন্দরী, (c) পাইন।

উত্তরঃ (b) সুন্দরী

1.7 ক্লোরোফ্লুরো কার্বনের সংকেত হল – (a) KFC, (b) CFC, (c) CPC

উত্তরঃ (b) CFC

1.8 তাজমহল নষ্ট হওয়ার কারণ – (a) অ্যাসিড বৃষ্টি, (b) যানবাহনের ধোঁয়া, (c) সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মি।

উত্তরঃ (a) অ্যাসিড বৃষ্টি

1.9 পৃথিবীর একটি ছোটো মডেল বা প্রতিরূপ হল- (a) পৃথিবীর মানচিত্র, (b) গ্লোব, (c) কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি।

উত্তরঃ (b) গ্লোব

1.10 ভারতবর্ষের প্রধান ভাষা হল – (a) বাংলা, (b) তামিল, (c) হিন্দি।

উত্তরঃ (c) হিন্দি।

1.11 পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ভারতের কোন্ রাজ্যের প্রধান ভাষা বাংলা – (a) অসম, (b) ত্রিপুরা, (c) মনিপুর।

উত্তরঃ (b) ত্রিপুরা

1.12 পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্রটি যার ওপর আঁকা হয়েছিল তা হল – (a) বেলে পাথর, (b) চুনাপাথর, (c) কাদাপাথর।

উত্তরঃ (a) বেলে পাথর

1.13 বানিহাল হল একটি- (a) পর্বতশৃঙ্গ, (b) হিমবাহ, (c) গিরিপথ।

উত্তরঃ (c) গিরিপথ।

1.14 পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ হল (a) কাঞ্চনজঙ্ঘা, (৮) ধবলগিরি, (c) অন্নপূর্ণা।

উত্তরঃ (a) কাঞ্চনজঙ্ঘা

1.15 শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝের সংকীর্ণ উপত্যকাকে বলে- (a) তরাই, (b) তাল, (c) দুন।

উত্তরঃ (c) দুন।

1.16 গঙ্গানদীর প্রবাহ পথে গড়ে ওঠা একটি শহর হল- (a) বারাণসী, (b) গুয়াহাটি, (c) শ্রীনগর।

উত্তরঃ (a) বারাণসী

1.17 মাকালু হল একটি— (a) গিরিপথ, (b) পর্বত শৃঙ্গ, (c) উপত্যকা।

উত্তরঃ (b) পর্বত শৃঙ্গ

1.18 ডেসিবেল মিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় – (a) শব্দের তীব্রতা, (b) শব্দের স্থায়িত্ব, (c) শব্দের উৎস।

উত্তরঃ (a) শব্দের তীব্রতা।

2. অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাওঃ 1×6=6

2.1 একটি গ্রীন হাউস গ্যাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ একটি গ্রীন হাউস গ্যাস— কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂)।

2.2 ভারতের বৃহত্তম হিমবাহের নাম লেখো।

উত্তরঃ ভারতের বৃহত্তম হিমবাহ— সিয়াচেন হিমবাহ।

2.3 ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্যের নাম লেখো।

উত্তরঃ ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য — উত্তর প্রদেশ।

2.4 কালো মাটিতে কোন ফসল ভালো জন্মায় ?

উত্তরঃ কালো মাটিতে ভালো জন্মায় — তুলো।

2.5 কোন্ সালে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ভারতে চালু হয় ?

উত্তরঃ বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ভারতে চালু হয়— ১৯৭২ সালে।

2.6 কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর গতিবেগ মাপাহয় ?

উত্তরঃ বায়ুর গতিবেগ মাপার যন্ত্র — অ্যানিমোমিটার।

3. শূন্যস্থান পূরণ করো : 1×6=6

3.1 বায়ুর উষ্ণতা মাপকযন্ত্র হল …………………….।

উত্তরঃ থার্মোমিটার।

3.2 পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদী হল ……………………।

উত্তরঃ গঙ্গা।

3.3 পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল ………………………।

উত্তরঃ এভারেস্ট।

3.4 মৌসুমী কথার অর্থ হল ……………………….।

উত্তরঃ ঋতু বিশেষ।

3.5 পদ্মা ও যমুনার মিলিত প্রবাহ …………………… নামে পরিচিত।

উত্তরঃ মেঘনা

3.6 পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্রটি আবিষ্কৃত হয়েছে ………………………..।

উত্তরঃ ব্যাবিলনে।

4. সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক উত্তর দাও : 2×4=8

4.1 নিরক্ষরেখা কাকে বলে ?

উত্তরঃ পৃথিবীর মাঝ বরাবর সর্বাধিক বিস্তৃত অক্ষাংশ রেখাকে নিরক্ষরেখা বলে, যার মান ০°।

4.2 শব্দদূষণের ফলে কী কী হয় ?

উত্তরঃ শ্রবণশক্তি হ্রাস, নিদ্রাহীনতা, মানসিক চাপ, মাথাব্যথা ও একাগ্রতার অভাব হয়।

4.3 কালবৈশাখী কাকে বলে ?

উত্তরঃ গ্রীষ্মকালে পূর্ব ভারতে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি সহ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়কে কালবৈশাখী বলে।

4.4 জলবায়ু কাকে বলে ?

উত্তরঃ কোনো স্থানের দীর্ঘকালীন (প্রায় ৩০-৩৫ বছরের) গড় আবহাওয়াগত অবস্থাকে জলবায়ু বলে।

5. সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাও : 3×4=12

5.1 আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ ৪৫ পৃঃ

5.2 অ্যালবেডো কাকে বলে ?

উত্তরঃ ৪৬ পৃঃ

5.3 বায়ু দুষণের ফলাফল গুলি লেখো।

উত্তরঃ ৫৯ পৃঃ

5.4 মানচিত্র কয় প্রকার ও কী কী ?

উত্তরঃ ১০৪ পৃঃ

6. ব্যাখ্যামূলক উত্তর দাওঃ 5×3=15

6.1 মৌসুমী বায়ুর বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তরঃ ৮১ পৃঃ

6.2 অরণ্য আমাদের বন্ধু- ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ অরণ্যের উপকারিতা অপরিসীম। যেমন—

জ্বালানি কাঠ : অরণ্য থেকে প্রাপ্ত কাঠ সর্বত্র জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা হয়।

দূষণ রোধ : বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন বায়ুতে যোগ করে অরণ্য আমাদের এবং পরিবেশকে রক্ষা করে।

মাটি ক্ষয় রোধ : উদ্ভিদ মাটিকে শিকড় দিয়ে আঁকড়ে ধরে রেখে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।

বৃষ্টিপাত : অরণ্য বাষ্পমোচনের সাহায্যে বাতাসে জলীয় বাষ্প দিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে এবং খরা নিয়ন্ত্রণ করে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ : মৃত্তিকা ক্ষয় কম হলে নদীতে মাটির সঞ্চয় কম হয়। ফলে নদী গভীর থাকে, বন্যার প্রকোপ হ্রাস পায়।

উপজাত দ্রব্য : মধু, মোম, গঁদ, রজন, আঠা, ধূনা, রবার প্রভৃতি নানা উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়।

বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য বজায় রাখে : নানা কীটপতঙ্গ ও বন্য প্রাণীর আবাসস্থল এই অরণ্য তাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক (বাস্তুতন্ত্র) বজায় রাখতে সাহায্য করে।

শিল্প : কাষ্ঠশিল্প, কাগজশিল্পের কাঠ সরবরাহ করে।

ঝড়ের গতিবেগ হ্রাস পায় : বনভূমিতে বাধা পেয়ে ঝড়ের গতিবেগ অনেক কমে যায়, ফলে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।

জীবিকার সুবিধা : বহু মানুষ অরণ্যের ওপর নির্ভর করে নানান জীবিকা (কাঠ, মধু, মোম সংগ্রহ) নির্বাহ করেন।

6.3 ভারতে ধান চাষের অনুকূল পরিবেশের বর্ণনা দাও ?

উত্তরঃ (ক) অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ :

(১) জলবায়ু : ভারতে ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির জলবায়ু ধান চাষের পক্ষে আদর্শ।

(i) উষ্ণতা : ভারতে বার্ষিক গড় উন্নতা 22° – 30°C, যা ধান উৎপাদনের পক্ষে অনুকূল।

(ii) বৃষ্টিপাত : মূলত মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে ভারতে ধান চাষ করা হয়। এই দেশের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত 150 সেমি, যা ধান চাষে অত্যন্ত সহায়ক।

(iii) আর্দ্রতা : ভারতে বর্ষাকালের অধিক আর্দ্রতা (80%) ধান রোপণের পক্ষে উপযোগী এবং শরৎকালের শুষ্ক ও রোদ ঝলমলে আবহাওয়া ধান চাষের পক্ষে আদর্শ।

(২) ভূমির প্রকৃতি : সমতল ভূমি ধান চাষের পক্ষে আদর্শ। তাই, ভারতের গাঙ্গেয় বদ্বীপ সমভূমিতে প্রচুর ধান চাষ হয়। তবে দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চলেও ধাপ কেটে ধান চাষ করা হয়।

(৩) মৃত্তিকা : উর্বর পলিমাটিতে ধানের ফলন ভালো হয়। এই দেশের সমভূমি উর্বর পলিগঠিত হওয়ায় ধান চাষের পক্ষে আদর্শ।

(খ) অনুকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ :

শ্রমিক : ধান চাষে জমি তৈরি, বীজ তোলা, আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ, ধান কাটা, বাঁধা, ঝাড়া প্রভৃতি কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন। জনবহুল ভারতে শ্রমিকের অভাব হয় না। এই দেশের মানুষের প্রধান জীবিকাই কৃষিকাজ।

মূলধন : চাষিরা যাতে উন্নত ধান বীজ, সার, কীটনাশক, যন্ত্রপাতি কিনতে পারেন তার জন্য রাজ্যে কৃষক ক্রেডিট কার্ড, কৃষি ঋণ প্রভৃতির ব্যবস্থা রয়েছে।

আধুনিকীকরণ : ভারতে বর্তমানে হারভেস্টার, পাওয়ার টিলার, ট্র্যাক্টর, রিপার প্রভৃতি আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল ধানবীজের (IR-8, জয়া, রত্না, পঙ্কজ, পাম প্রভৃতি) ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিবহণ : ধান চাষকে লাভজনক করে তোলার জন্য কৃষিক্ষেত্র ও বাজারের মধ্যে উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যে আমাদের দেশে পাকা সড়কপথ, সেতু নির্মাণের কাজ ব্যাপক হারে হচ্ছে।

7. ভারতের রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির অবস্থান প্রতীক ও চিহ্নসহ বসাওঃ 1×5=5

(a) লোকটাক হ্রদ, (b) লাডাক, (c) কলকাতা, (d) চিল্কা হ্রদ, (e) উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ।

📌আরও দেখুনঃ

📌ষষ্ঠ শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌ষষ্ঠ শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

This Post Has One Comment

  1. Manik Sarkar

    Thank sir

Leave a Reply

  • Post comments:1 Comment
  • Reading time:6 mins read