সাহিত্য মেলা
অষ্টম শ্রেণি বাংলা
ঘুরে দাঁড়াও কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Ghure Darao Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse
ঘুরে দাঁড়াও কবিতার কবিতা, কবি পরিচিতি, কবিতার ব্যাখ্যা, শব্দার্থ, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Ghure Darao Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse
📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌অষ্টম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
ঘুরে দাঁড়াও কবিতার কবিতা, কবি পরিচিতি, কবিতার ব্যাখ্যা, শব্দার্থ, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর, অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর অষ্টম শ্রেণির বাংলা | Ghure Darao Kobitar Question Answer Class 8 Bengali wbbse
ঘুরে দাঁড়াও
—প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত
সরতে সরতে সরতে
তুমি আর কোথায় সরবে?
এবার ঘুরে দাঁড়াও।
ছোট্ট একটা তুক করে বাইরেটা পালটে দাও—
সাইকেল-রিকশোগুলো শিস দিয়ে চলে যাক বনে-বনান্তরে,
কাদা-ভর্তি রাস্তা উঠে পড়ুক ছায়াপথের কাছাকাছি,
গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসুক,
সা-রা-রা-রা করে জেগে উঠুক উপান্তের শহরতলি।
তুমি যদি বদলে দিতে না পারো
তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।
এখন হাত বাড়াও, ধরো
যেখানে আছ, সেখান থেকেই সবকিছুকে টেনে আনো,
নইলে সরতে সরতে সরতে
তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে।
এখন ঘুরে দাঁড়াও ।
∆ শব্দার্থ ও টীকা
• ঘুরে দাঁড়াও— রুখে দাঁড়াও
• তুক— জাদু বা বশীকরণ
• শিস— মুখ দিয়ে করা একপ্রকার শব্দ
• বনান্তরে— এক বন থেকে অন্য বনে
• ছায়াপথের— আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জের
• উপান্তের— উপকন্ঠের, শেষ প্রান্তের কাছে
• শহরতলি— শহরের শেষ প্রান্তের অঞ্চল, শহরের উপকন্ঠ, মফস্সল
• বিন্দু— অতি ক্ষুদ্র খুব ছোট
কবি পরিচিতিঃ কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত আধুনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। নানান ধরনের কবিতা তিনি রচনা করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘এক ঋতু’, ‘সদর স্ট্রীটের বারান্দা’, ‘নিজস্ব ঘুড়ির প্রতি’, ‘হাওয়া স্পর্শ করো’ প্রভৃতি। শুধু কাব্যগ্রন্থ রচনা নয়, অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পত্রপত্রিকার জন্য কলম ধরেছিলেন। তিনি ‘অলিন্দ’ নামে একটি কবিতা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে অধ্যাপনা করেছেন। ২০০৭ সালে এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে কবি পরলোকগমন করেন।
সারমর্মঃ ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতাটিতে মানুষ যে প্রতি মুহূর্তে পিছিয়ে পড়ছে তাকে ঘুরে দাঁড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত। মানুষ জীবনে বহু সংগ্রাম, পরিশ্রম, ত্যাগ ও তিতিক্ষায় নিজের দাঁড়ানোর জায়গা তৈরি করে। পরিস্থিতি বা সমস্যাজনিত কারণে বারবার স্থানচ্যুত হলে জীবনের লক্ষ হারিয়ে যায়, বিপন্ন হয় মানুষের অস্তিত্ব।
তাই কবি বলেছেন সরতে সরতে আর কতদূরে কোথায় সরবে ? একসময় ঘুরে দাঁড়াতে হবেই। নতুবা বিন্দুর মতো মিলিয়ে যেতে হবে। ছোট্ট একটা তুক করে বাইরেটা পালটে দিতে হবে। পরিবর্তন আনতে হবে। সাইকেল, রিকশোগুলো চলে যাক বনে-বনান্তরে, কাদা ভরতি রাস্তা উঠে পড়ুক ছায়াপথের কাছাকাছি। গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসুক। সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহরগুলি নতুন করে জেগে উঠুক। যে-কোনো মূল্যে বদল তোমাকে আনতেই হবে। এছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই। পরিস্থিতি যদি বদলে দিতে না পারো তাহলে তাঁর মৃত্যু অবধারিত। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে। যে যেখানে আছে সেখান থেকেই সবকিছুকে টেনে আনতে হবে, না হলে সরতে সরতে একেবারে বিন্দুর মতো মিলিয়ে যেতে হবে, এখন সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
নামকরণঃ নামকরণের মধ্য দিয়েই পাঠক প্রাথমিকভাবে সৃষ্টির গভীরে প্রবেশের সুযােগ পায়। নামকরণ হল সাহিত্যের দর্পণ স্বরূপ। কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কৃবিতাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। কবিতাটিতে কবি মানুষের প্রতিবাদ সত্তার জাগরণ ঘটাতে চেয়েছেন। মানবধর্মের চরম অপমানকর পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত মানুষ আজ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে। পরিবেশের দূষণ আজ এতটাই বিস্তৃত যে, মানুষকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। নইলে মৃত্যুই হবে তাদের একমাত্র অনিবার্য পরিণতি। অন্তরে শক্তি সঞ্চয় করে আগে বাইরের জগৎকে বদলাতে হবে, অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সােচ্চার হতে হবে। ইচ্ছাশক্তির সাহায্যে গতানুগতিকতা ছেড়ে সব শেষ হওয়ার আগে আবার সৃষ্টিসুখে মাততে হবে। কবি মানুষকেও সেই আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষের অন্তরাত্মার জাগরণ ঘটিয়ে অনিবার্য মৃত্যুর হাত থেকে জগৎ ও জীবনকে রক্ষা করার জন্য নতুন আদর্শে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ঘুরে দাঁড়াও কবিতাটির নামকরণ তাই সার্থক ও যথাযথ হয়েছে।
হাতেকলমে প্রশ্নোত্তর : ঘুরে দাঁড়াও কবিতা অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Hate Kolome Question Answer Ghure Darao Kobita Class 8 Bengali wbbse
১.১ প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত কবিতা পত্রিকাটির নাম কী ?
উত্তরঃ প্রণবেন্দুদাশগুপ্ত সম্পাদিত কবিতা পত্রিকাটির নাম ‘অলিন্দ’।
১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো— ‘এক ঋতু’ এবং ‘নিজস্ব ঘড়ির প্রতি’ ইত্যাদি।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ কবিতায় কবি কোন্ আহ্বান জানিয়েছেন ?
উত্তরঃ কবিতায় কবি সামাজিক মানুষকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ক্রমাগত সরে যেতে থাকলে পরিস্থিতি বা সমস্যা থেকে ক্ষণিক স্বস্তি পেলেও মুক্ত হওয়া যায় না। তাই নিজেকে বদলাতে হয়। যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই সব কিছুকে টেনে নিতে হয়। কবি প্রকৃতার্থে মানুষের ‘মেনে নেওয়া’ বা আপসকারী মনোভাবকে বদল ও আত্মজাগরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
২.২ ‘ছোট্ট একটা তুক করে বাইরেটা পালটে দাও’— ‘বাইরে’টায় কী ধরনের বদল ঘটবে বলে কবি আশা করেন ? সেই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে জীবন কীভাবে অন্যরকম হবে বলে কবি মনে করেন ?
উত্তরঃ কবি প্রণবেন্দু দাসগুপ্ত রচিত ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতায় ধুপ করে বাইরেটা পালটে দিতে পারলে দেখা যাবে সাইকেল রিক্সা গুলোর শিষ দিতে দিতে বনে, বনান্তরে চলে গেছে। কাদাভর্তি রাস্তা উঠে পড়েছে ছায়াপথের কাছাকাছি, গাছগুলোসব নদীর জলে স্নান করে এসেছে আর সা-রা-রা-রা করে জেগে উঠেছে উপান্তের শহরতলি।
সেই কাঙ্ক্ষিত বদল ঘটলে অবশ্যই জীবন অন্যরকম হবে এবং একঘেয়েমি থেকে মুক্ত হওয়া মানুষ এক বৈচিত্রের সন্ধান পাবে। সুন্দর হবে চলাচলের পথ, সুগম হবে যাতায়াত। গাছপালা আরো সবুজ, সতেজ, স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। সমাজে বহু আকাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির আগমন ঘটবে।
২.৩ ‘সরতে সরতে সরতে / তুমি আর কোথায় সরবে ?’— কবি কোথা থেকে এই ‘সরণ’ লক্ষ করেছেন ? এক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পরামর্শটি কী ?
উত্তরঃ কবি এই চলমান পৃথিবীর মাঝে দাঁড়িয়ে জীবন থেকে উপলব্ধি করে এই ‘সরণ’ লক্ষ করেছেন।
এক্ষেত্রে জীবনে যে অবক্ষয় শুরু হয়েছে তাতে লেখকের পরামর্শ যেমন করেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে। হাত বাড়িয়ে দিতে হবে আর নিজের দিকে সব কিছুকে টেনে আনতে হবে। শুধু ঘুরে দাঁড়ালেই হবে না চারপাশটাও বদলে দিতে হবে।
বেশি নম্বর থাকলে এই উত্তরটি লিখবে—
উত্তরঃ সমাজসচেতন কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত লক্ষ্য করেছেন ক্রমাগত আপস করতে, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করতে, অসংগতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে মানুষকে পিছু হটতে। নিষ্ঠুর, অত্যাচারী একদল মানুষের হাতে চলে যেতে দেখছেন সমস্ত ক্ষমতা। সমাজের উন্নতি আর উত্তরণের পথ কি তবে বন্ধ হয়ে যাবে ? আদর্শপূর্ণ, মর্যাদাময়, উন্নত আর দৃঢ় জীবনচেতনা থেকে এই ‘সরণ’ বা ‘সরে আসা’কেই কবি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছেন।
মানবতার এই লাঞ্ছনায় কবি দুঃখিত, ব্যাথিত। তিনি তাই এ ক্ষেত্রে যে পরামর্শটি দিয়েছেন, তা হল নিতান্ত নিরুপায় ও অসহায় হয়ে পড়ার আগেই সমাজবদলের প্রচেষ্টায় শামিল হতে হবে। চেষ্টা না করে মৃত্যুবরণের মধ্যে কোনো মাহাত্ম্য নেই। বরং ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসাতেই জীবনের সার্থকতা। সেই উদ্দেশ্যেই কবি পাঠ্য কবিতায় ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র আহ্বান জানিয়েছেন।
২.৪ ‘এবার ঘুরে দাঁড়াও।’ আর ‘এখন ঘুরে দাঁড়াও।’— পঙক্তি দুটিতে ‘এবার’ আর ‘এখন’ শব্দ দুটির প্রয়োগের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ মানুষ ভাগ্যের হাতে মার খেতে খেতে ক্রমশ পিছন দিকে সরে যাচ্ছে, সরতে সরতে সে কোথায় যাবে ? সরে দাঁড়ানোর জায়গাও যখন শেষ হয়ে যাবে তখন ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর অপরিহার্যতাকে বোঝাতেই কবি কবিতায় ‘এবার’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
মানুষকে পরিবর্তন আনতেই হবে, তাই দেরি করার সময় নেই। বিন্দুর মত মিলিয়ে যাওয়ার শেষ পরিণতির পূর্ব মুহূর্তে অর্থাৎ এখন সময় এসেছে, তাই কবি ‘এখন ঘুরে দাঁড়াও’ বাক্যটি ব্যবহার করেছেন। কবি ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়টিতে জোর দেবার জন্যই ‘এবার’ ও ‘এখন’ এই দুটি সময়বাচক শব্দকে সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন।
৩. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করোঃ
৩.১ তুমি আর কোথায় সরবে ? (প্রশ্ন পরিহার করো)
উত্তরঃ তোমার আর কোথাও সরবার কোনো জায়গা নেই।
৩.২ এবার ঘুরে দাঁড়াও। (না-সূচক বাক্যে)
উত্তরঃ এবার ঘুরে না দাঁড়ালে চলবে না।
৩.৩ তুমি যদি বদলে দিতে না পারো, তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে। (সরল বাক্যে)
উত্তরঃ বদলে দিতে না পারলে তোমায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।
৩.৪ নইলে সরতে সরতে তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে । (প্রশ্নবোধক বাক্যে)
উত্তরঃ নইলে সরতে সরতে কি তুমি বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে না ?
৩.৫ গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসুক (নির্দেশক বাক্যে)
উত্তরঃ গাছগুলোর নদীর জলে স্নান করুক।
৪. ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো : বনান্তর, ছায়াপথ, উপান্ত, সাইকেল- রিকশো।
উত্তরঃ
» বনান্তর— অন্য বন (নিত্য সমাস)।
» ছায়াপথ— ছায়াঘেরা পথ (মধ্যপদলোপী কর্মধারায় সমাস)।
» উপান্ত— উপ-অন্ত (অব্যয়ীভাব সমাস)।
» সাইকেল রিকশো— সাইকেল ও রিকশো (দ্বন্দ্ব সমাস)।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : ঘুরে দাঁড়াও কবিতা অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Extra Question Answer Ghure Darao Kobita Class 8 Bengali wbbse
• সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটি প্রশ্নের মান-১
১. ঘুরে দাঁড়াও কবিতাটির কবি হলেন— (জয় গোস্বামী / সুভাষ মুখোপাধ্যায় / শক্তি চট্টোপাধ্যায় / প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত)।
উত্তরঃ প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত।
২. কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত যে পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন— (কবিতা / অলিন্দ / অরনি / আনন্দবাজার পত্রিকা)।
উত্তরঃ অলিন্দ।
৩. ছোট্ট একটা তুক করে বাইরেটা (পাল্টে দাও / বদলে দাও / চমকে দাও / ঘুরিয়ে নাও)।
উত্তরঃ পাল্টে দাও।
৪. উপান্তের শহরতলী কি করে জেগে উঠবে ? (নাচতে নাচতে / সা-রে-গা-মা করে / সা-রা-রা-রা করে / গান গাইতে গাইতে)।
উত্তরঃ সা-রা-রা-রা করে।
৫. তুমি যদি বদলে দিতে না পারো তাহলে কী হবে ? (আপনা আপনি বদল হয়ে যাবে / দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে / দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে / অন্য কেউ এসে বদলে দেবে)।
উত্তরঃ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।
৬. ‘নদীর জলে স্নান করে আসুক।’— কে স্নান করে আসবে ? (বন্ধুরা / গাছগুলো / রিকশা গুলো / সাইকেলগুলো)।
উত্তরঃ গাছগুলো।
৭. তুমি মিলিয়ে যাবে— (ধোঁয়ার মতো / শিখার মতো / কর্পূরের মতো / বিন্দুর মতো)।
উত্তরঃ বিন্দুর মতো।
৮. সাইকেল রিক্সা গুলো চলে যাক– (শিস দিয়ে / বাঁশি বাজিয়ে / হর্ন বাজিয়ে / দুরন্ত গতিতে)।
উত্তরঃ শিস দিয়ে।
৯. কবিতায় কবি বারবার কোন আহ্বান জানিয়েছেন?
(ক) এগিয়ে চলো (খ) ঘুরে দাঁড়াও (গ) থেমে যাও
(ঘ) পালিয়ে যাও
উত্তরঃ ঘুরে দাঁড়াও।
১০. ‘যেখানে আছ, সেখান থেকেই সবকিছুকে টেনে আনো’— এখানে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
(ক) নিজের জায়গা থেকে সংগ্রাম শুরু করতে
(খ) অন্যের জায়গা দখল করতে
(গ) বাড়ি থেকে সব জিনিস টেনে আনতে
(ঘ) নতুন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াতে
উত্তরঃ নিজের জায়গা থেকে সংগ্রাম শুরু করতে।
১১. কবিতার মূল বার্তা কী?
(ক) পালিয়ে বাঁচা (খ) পরিবর্তনের আহ্বান
(গ) আনন্দের গান (ঘ) প্রকৃতির রূপবর্ণনা
উত্তরঃ পরিবর্তনের আহ্বান।
১২. ‘সরতে সরতে সরতে’ কথাটি কবি কেন ব্যবহার করেছেন?
(ক) খেলার আনন্দ বোঝাতে
(খ) বারবার সরতে থাকলে অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কা বোঝাতে
(গ) সাইকেল চালানোর দৃশ্য বোঝাতে
(ঘ) নদীর গতি বোঝাতে
উত্তরঃ বারবার সরতে থাকলে অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কা বোঝাতে।
১৩. কবিতার ভঙ্গি কেমন?
(ক) উপদেশমূলক (খ) প্রার্থনামূলক (গ) বর্ণনামূলক
(ঘ) সমালোচনামূলক
উত্তরঃ উপদেশমূলক।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : ঘুরে দাঁড়াও কবিতা অষ্টম শ্রেণি বাংলা | Extra Question Answer Ghure Darao Kobita Class 8 Bengali wbbse
১. ‘সরতে সরতে’ কথাটি কোন্ কবিতার অংশ, কার লেখা ?
উত্তরঃ ‘সরতে সরতে’ কথাটি ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতার অংশ, কবি হলেন প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত।
২. গাছগুলো কী করবে ?
উত্তরঃ গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসবে।
৩. সাইকেল-রিকশোগুলো কেমনভাবে কোথায় যাবে ?
উত্তরঃ সাইকেল-রিকশোগুলো শিস দিয়ে বনে বনান্তরে চলে যাবে।
৪. বাইরেটা পালটে দেবার জন্য কবি কী করতে বলেছেন ?
উত্তরঃ ‘বাইরেটা পালটে দেবার জন্য কবি মানুষকে ‘তুক’ করতে বলেছেন।
৫. বদল করতে না পারলে কী হবে ?
উত্তরঃ বদল করতে না পারলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।
৬. সরতে সরতে কী অবস্থা হবে ?
উত্তরঃ সরতে সরতে শেষে বিন্দুর মতো শূন্যে মিলিয়ে যেতে হবে।
৭. কেমন করে বদল করতে হবে ?
উত্তরঃ সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে, যেখানে যে আছে সেখান থেকেই সবকিছুকে টেনে আনতে হবে তবেই বদল হবে।
৮. শহরতলি কেমনভাবে জেগে উঠবে ?
উত্তরঃ সা-রা-রা-রা করে উপান্তের শহরতলি জেগে উঠবে।
৯. কাদা ভরতি রাস্তা কোথায় উঠবে ?
উত্তরঃ কাদা ভরতি রাস্তা উঠে পড়বে ছায়াপথের কাছাকাছি।
১০. ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কথাটি কবিতায় কতবার ব্যবহার করা হয়েছে ?
উত্তরঃ ঘুরে দাঁড়াও কথাটি কবিতায় দু-বার ব্যবহার করা হয়েছে।
১১. কবি কেন মানুষকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন?
উত্তরঃ কারণ মানুষ যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে তবে অস্তিত্ব হারিয়ে বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে।
১২. কবি কোন্ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় বলেছেন?
উত্তরঃ বারবার সরে গিয়ে আত্মসমর্পণের পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় বলেছেন।
১৩. কবিতায় পরিবর্তনের শক্তি কোথায় খুঁজতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ যেখানে যে আছে, সেখান থেকেই পরিবর্তনের শক্তি খুঁজতে বলা হয়েছে।
১৪. কবিতায় ‘ছোট্ট একটা তুক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ‘ছোট্ট একটা তুক’ বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও কর্মপ্রচেষ্টা।
১৫. কবিতার মূল শিক্ষা কী?
উত্তরঃ অন্যায়ের কাছে না সরিয়ে সাহসের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থেকে সমাজকে বদলে দেওয়া।
১৬. গাছগুলো নদীর জলে স্নান করবে কেন ?
উত্তরঃ দূষণের ফলে গাছগুলো মলিন ও বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। নদীর নির্মল জলে স্নান করলে গাছেদের সেই মলিনতা ঘুচে যাবে। তাই গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসবে।
∆ ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর : প্রতিটি প্রশ্নের মান-২/৩
১. কবি ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতায় মানুষকে কী বার্তা দিয়েছেন?
উত্তরঃ কবি মানুষকে বারবার পিছিয়ে না গিয়ে দৃঢ়ভাবে সামনে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পালিয়ে গেলে বা সরতে থাকলে শেষ পর্যন্ত মানুষ অস্তিত্ব হারিয়ে বিন্দুর মতো মিলিয়ে যাবে। তাই সময় এসেছে প্রতিবাদে ও পরিবর্তনে সাহসী ভূমিকা নেওয়ার।
২. ‘ছোট্ট একটা তুক করে বাইরেটা পালটে দাও’— এই কথার অর্থ কী?
উত্তরঃ কবি এখানে বোঝাতে চেয়েছেন, সামান্য উদ্যোগ বা দৃঢ় সংকল্পই বাইরের জগৎকে বদলে দিতে পারে। পরিবর্তন আনতে বড় কিছু দরকার নেই, ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। মানুষ যদি সাহসীভাবে দাঁড়ায়, তবে সমাজ-পরিবেশে বড় রকমের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
৩. কবিতায় সাইকেল-রিকশোর শিস দিয়ে বন-জঙ্গলে চলে যাওয়া কী বোঝায়?
উত্তরঃ কবির কল্পনায় সাইকেল-রিকশোর শিস দিয়ে বন-জঙ্গলে চলে যাওয়া বোঝায় নতুন পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা। যান্ত্রিক শহরের জড়তা ভেঙে প্রকৃতির সঙ্গে মিলনের ডাক এখানে ফুটে উঠেছে। কবি মানুষকে সেই অচেনা, মুক্তির জগতে নিয়ে যেতে চান।
৪. কবিতায় গাছগুলো নদীর জলে স্নান করে আসার চিত্রকল্পের তাৎপর্য কী?
উত্তরঃ গাছের নদীতে স্নান করার কল্পনা এক নতুন ও নির্মল পৃথিবীর ছবি। এখানে কবি চেয়েছেন ময়লা, জড়তা ও ক্লান্তি ধুয়ে ফেলে প্রকৃতির পুনর্জীবন ঘটাতে। এভাবেই মানুষের জীবনে শুদ্ধতা ও পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
৫. কবিতায় কাদা-ভর্তি রাস্তা ছায়াপথের কাছাকাছি উঠে যাওয়া কী প্রকাশ করে?
উত্তরঃ কাদা-ভর্তি রাস্তা ছায়াপথে উঠে যাওয়া একটি কাব্যিক রূপক। এর মাধ্যমে কবি বোঝাতে চেয়েছেন, সাধারণ ও নোংরা জীবন থেকেও আলোকোজ্জ্বল, মহাকাশীয় উচ্চতায় পৌঁছানো সম্ভব। অর্থাৎ সাধারণ জীবন থেকেও মানুষ অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে।
৬. কবি কেন বলেছেন— “তুমি যদি বদলে দিতে না পারো, তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে”?
উত্তরঃ কবি বোঝাতে চেয়েছেন, পরিবর্তন না আনতে পারলে মানুষের অস্তিত্ব অর্থহীন হয়ে যাবে। অন্যায়ের সামনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলে তা মৃত্যুর সমান। তাই নীরব দর্শক না হয়ে সক্রিয়ভাবে বদলের জন্য এগিয়ে আসাই একমাত্র পথ।
৭. কবিতায় ‘সরতে সরতে’ কথাটি বারবার ব্যবহারের তাৎপর্য কী ?
উত্তরঃ ‘সরতে সরতে’ কথাটির পুনরুক্তি মানুষকে পালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা বোঝায়। যদি বারবার সরতে থাকি তবে একসময় অস্তিত্ব মুছে যাবে। কবি সতর্ক করেছেন, আত্মসমর্পণ নয়, বরং দৃঢ় অবস্থান নেওয়াই টিকে থাকার পথ।
৮. কবির মতে পরিবর্তনের আসল শক্তি কোথায়?
উত্তরঃ কবি বলেছেন, পরিবর্তনের আসল শক্তি মানুষের নিজের ভেতরেই। যেখানে যে আছে, সেখান থেকেই পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে। বাইরের ওপর নির্ভর না করে প্রত্যেককেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সমাজ বদলের কাজে হাত বাড়াতে হবে।
৯. কবি কেন মানুষকে হাত বাড়াতে বলেছেন?
উত্তরঃ কবি বলেছেন, যদি মানুষ সাহায্যের হাত না বাড়ায় তবে পরিবর্তন সম্ভব নয়। হাত বাড়ানো মানে সাহসী ভূমিকা নেওয়া ও অন্যকে জাগ্রত করা। পরিবর্তনের জন্য শুধু ইচ্ছে নয়, বাস্তবে কাজ করার প্রয়োজন। তাই হাত বাড়ানোর ডাক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
১০. ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতার মূল শিক্ষা কী?
উত্তরঃ কবিতার মূল শিক্ষা হলো অন্যায়ের কাছে নত না হওয়া, পালিয়ে না গিয়ে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করা। মানুষকে তার নিজস্ব জায়গা থেকেই পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। সাহস ও ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে যে কেউ বাইরের পৃথিবীকে পাল্টে দিতে সক্ষম।
১১. ‘তুক করে’ কথাটির দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
উত্তরঃ ‘তুক’ কথাটির অর্থ হল জাদুমন্ত্র। কবি মানুষকে তুক করতে বলেছেন। কিন্তু এখানে তিনি কোনো জাদুমন্ত্র বা ম্যাজিক করার জন্য কথাটি ব্যবহার করেননি। তিনি মনে করেছেন মানুষের মধ্যে থাকা সদিচ্ছাই হল এক আশ্চর্য ক্ষমতা সেই ক্ষমতা হল তুক। তাই তিনি সেই সদিচ্ছার ক্ষমতা দিয়ে বাইরেটা বদলে দেবার কথা বলেছেন।
∆ রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর : প্রতিটি প্রশ্নের মান-৫
১. কবি কেন মানুষকে বারবার “ঘুরে দাঁড়াও” বলছেন ? কবিতায় ‘সরতে সরতে’ কথার পুনরুক্তি কী বোঝাচ্ছে ? ৩
উত্তরঃ কবি মানুষকে বারবার ‘ঘুরে দাঁড়াও’ বলছেন কারণ তিনি ভীরুতা ও আত্মসমর্পণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মানুষ যদি অন্যায় বা প্রতিকূলতার সামনে পালিয়ে বেড়ায় তবে তার অস্তিত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। তাই কবি দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে সাহসী ভূমিকা নেওয়ার ডাক দিয়েছেন। এভাবেই তিনি পরিবর্তনের জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছেন।
‘সরতে সরতে’ কথার পুনরুক্তি প্রতীকীভাবে মানুষের ভীরুতা, পশ্চাদপসরণ ও আত্মসমর্পণ বোঝায়। বারবার সরতে থাকলে মানুষ বিন্দুর মতো ক্ষুদ্র হয়ে একসময় শূন্যে মিলিয়ে যায়। তাই কবি সতর্ক করেছেন যে পালানো নয়, বরং প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে থাকা জরুরি। এর মধ্য দিয়েই কবি জীবনের শক্তি ও সংগ্রামের মূল্য তুলে ধরেছেন।
২. কবিতায় ‘ছোট্ট একটা তুক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? কবি যে পরিবর্তনের ছবি কল্পনা করেছেন, তার বৈশিষ্ট্য লিখো।
উত্তরঃ কবিতায় ‘ছোট্ট একটা তুক’ বলতে বোঝানো হয়েছে মানুষের অন্তরের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও উদ্যোগ। বড় পরিবর্তন ঘটানোর জন্য সবসময় বড় শক্তি লাগে না; ছোট্ট ইচ্ছা বা সংকল্পও বাইরের জগৎকে বদলে দিতে পারে। তাই কবি বলেছেন, মানুষ যদি চায় তবে সে সহজেই পরিবেশ ও সমাজ পাল্টে দিতে পারে।
কবির কল্পিত পরিবর্তনের ছবিতে প্রকৃতি ও মানবজীবনের মিলন ঘটেছে। তিনি দেখিয়েছেন সাইকেল-রিকশো বন-জঙ্গলে চলে যাচ্ছে, গাছগুলো নদীতে স্নান করছে, কাদা-ভর্তি রাস্তা উঠে যাচ্ছে ছায়াপথে, আর শহরতলি জেগে উঠছে সা-রা-রা-রা করে। এই কল্পনা বোঝায় এক উজ্জ্বল, নবীন ও প্রাণবন্ত জগতের প্রত্যাশা, যেখানে অচলাবস্থা ভেঙে নতুন জীবন শুরু হবে।
৩. “তুমি যদি বদলে দিতে না পারো / তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।”- পংক্তিটি কোন কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে, কবি কে ? উদ্ধৃত পংক্তির মর্মার্থ ব্যাখ্যা করো। ২+৩
উত্তরঃ উক্ত পংক্তিটি প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের রচিত ‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই পংক্তির মাধ্যমে কবি মানুষকে সতর্ক করেছেন যে যদি সে অন্যায়, প্রতিকূলতা বা সমাজের অচল অবস্থাকে পরিবর্তন করতে না পারে তবে তাকে অসহায় দর্শক হয়ে মরতে হবে। এখানে ‘দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে’ কথাটি আসলে নিষ্ক্রিয়তা ও ভীরুতার পরিণতি বোঝায়। কবি তাই মানুষকে সাহসী ভূমিকা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন, যাতে সে নিজের অবস্থান থেকে সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তুলতে পারে।
৪. “তুমি যদি বদলে দিতে না পারো / তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মরতে হবে।”-কোন্ বদলের কথা কবি বলেছেন ? কেন বদল না হলে কবি মরার কথা বলেছেন ?
উত্তরঃ কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত মানুষের চারপাশের জীবন ও সমাজের মৌলিক পরিবর্তনের কথা বলেছেন। এই পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে বৈষম্য দূরীকরণ, সৌন্দর্যের পুনরুজ্জীবন ও প্রাণময়তার বিস্তার। তাঁর কল্পনায় রিকশা-সাইকেল গুনগুনিয়ে এগিয়ে যাবে বন-বাগিচার দিকে, কাদা-পথ আকাশছোঁয়া সৌন্দর্যের সাথে মিলবে, গাছ নদীর জলে স্নান করে আসবে আর শহর-শহরতলি ভরে উঠবে জীবনের সুরে। অর্থাৎ বদল মানে নতুন প্রাণের উন্মেষ ও নবজীবনের স্বপ্ন।
কবির মতে, এই বদল যদি না ঘটে, তবে মানুষের জীবনযাপন হবে নিরর্থক ও মৃতপ্রায়। প্রাণহীন, সৌন্দর্যহীন সমাজে দাঁড়িয়ে থাকা মানেই ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগোনো। তাই পরিবর্তন অপরিহার্য—নতুন পৃথিবী গড়ে তুলতে না পারলে অস্তিত্ব টিকবে না।
৫. “এখন ঘুরে দাঁড়াও”-‘ঘুরে দাঁড়াও’ কবিতায় কবি কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন?
উত্তরঃ প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত তাঁর কবিতায় অন্যায়, শোষণ ও অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়ানো মানসিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, চুপ করে সব কিছু মেনে নেওয়ার সময় ফুরিয়েছে। এখনই সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করার, দূষণমুক্ত সবুজ সমাজ গড়ার এবং একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে নতুন জীবন গড়ে তোলার।
কবির চোখে বর্তমান সমাজ অসহনীয় হয়ে উঠছে। মানুষ যদি একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ না জানায় তবে সর্বনাশ অনিবার্য। তাই তিনি সতর্ক করেছেন—দেরি করলে একসময় অস্তিত্বই মুছে যাবে। তাই দমে না গিয়ে, ঐক্যের শক্তি নিয়ে, এখনই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
◆ তৃতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্নোত্তর
◆ জেলখানার চিঠি- সুভাষচন্দ্র বসু
◆ শিকল পরার-গান- কাজী নজরুল ইসলাম
◆ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়- হীরেন্দ্রনাথ দত্ত
◆ পরাজয়- শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
◆ টিকিটের অ্যালবাম- সুন্দর রামস্বামী
◆ লোকটা জানলই না- সুভাষ মুখোপাধ্যায়
◆ ছোটদের পথের পাঁচালী (১৯ – ২৭)
◆ ছোটদের পথের পাঁচালী হাতে কলমে
📌 আরো দেখুনঃ
📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌অষ্টম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here