দিন ফুরোলে কবিতার প্রশ্নোত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Din Phurole Kobitar Question Answer Class 7 Bengali wbbse

দিন ফুরোলে কবিতার প্রশ্নোত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Din Phurole Kobitar Question Answer Class 7 Bengali wbbse

সাহিত্য মেলা
সপ্তম শ্রেণি বাংলা

দিন ফুরোলে কবিতার প্রশ্নোত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Din Phurole Kobitar Question Answer Class 7 Bengali wbbse

সপ্তম শ্রেণির বাংলা দিন ফুরোলে কবিতার কবি পরিচিতি, বিষয় সংক্ষেপ, নামকরণ, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর | Din Phurole Kobitar Question Answer Class 7 Bengali wbbse

📌 সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

সপ্তম শ্রেণির বাংলা দিন ফুরোলে কবিতার কবি পরিচিতি, বিষয় সংক্ষেপ, নামকরণ, হাতে কলমে প্রশ্ন ও উত্তর | Din Phurole Kobitar Question Answer Class 7 Bengali wbbse

দিন ফুরোলে
—কবি শঙ্খ ঘোষ

সূয্যি নাকি সত্যি নিজের ইচ্ছেয়
ডুব দিয়েছে ? সন্ধে হলো ? দুচ্ছাই
আকাশ জুড়ে এক্ষুণি এক ঈশ্বর
চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে।
লক্ষ, বা তা হতেও পারে একশো
কেই বা খুলে দেখছে রঙের বাক্স!
আমরা কি আর দেখতে পাব ভাবছ ?

বাপ মায়েরা যাবেই তবে মুচ্ছো
পাখির সারি যেমন ধানের গুচ্ছে
আঁধার ফেলে ঘরের দিকে উড়ছে
তেমনি এবার ফিরতে হবে সত্যি
নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে।
বলবে বাবা, এইটুকু সব বাচ্ছা
দিন ফুরোলেও মাঠ ছাড়ে না? আচ্ছা !
মা বলবে, ঠ্যাং দুটো কী কুচ্ছিৎ।
এক গঙ্গা জল দিয়ে তাই ধুচ্ছি।

কবি পরিচিতিঃ শঙ্খ ঘোষ (জন্ম ১৯৩২– ২০২১): বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দিনগুলি রাতগুলি’। এছাড়াও লিখেছেন ‘নিহিত পাতাল ছায়া’, ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’ ইত্যাদি। ছোটোদের জন্য লিখেছেন- ‘ছোট্ট একটা স্কুল’, ‘অল্পবয়স কল্পবয়স’, ‘শব্দ নিয়ে খেলা’, ‘সকালবেলার আলো’, ‘সুপুরিবনের সারি’, ‘শহর পথের ধুলো’ ইত্যাদি। প্রবন্ধের বই হিসেবে ‘কালের মাত্রা ও রবীন্দ্র নাটক’, ‘ছন্দোময় জীবন’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

শব্দার্থ : সূয্যি— সূর্য। দুচ্ছাই— দুরছাই। এক্ষুণি— তৎক্ষণাৎ। ঈশ্বর ভগবান। লক্ষ— একশো হাজার। মুচ্ছো— মূৰ্চ্ছা, অজ্ঞান হওয়া। সারি— শ্রেণিবদ্ধ ভাবে, পঙ্ক্তি। গুচ্ছে — গোছা, অনেক। ঠ্যাং— পা। কুচ্ছি‍ৎ— কুৎসিত, বিশ্রী।

সারাংশ : কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত দিন ফুরোলে কবিতায় গোধূলি প্রকৃতির রূপসৌন্দর্য বর্ণিত হয়েছে। সূর্যের অস্ত যাওয়া, চাঁদ ওঠা, তারাদের আকাশজোড়া বিস্তার, পাখিদের সারিবদ্ধভাবে বাসায় ফেরা, চারিদিক আঁধার করে আসা- এসবই এই কবিতায় কবি তুলে ধরেছেন। এর পাশাপাশি সূর্য ডোবার পর শিশুমনের অবস্থা কেমন হয়, মাঠ ছেড়ে ঘরে ফেরার সময় তাদের কতটা মনখারাপ হয়, সেকথাই কবি আমাদের জানিয়েছেন। কবি যেন নিজে শিশু হয়ে, শিশুমনের বক্তব্যকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।

হাতে কলমে প্রশ্নোত্তর : দিন ফুরোলে কবিতা সপ্তম শ্রেণি বাংলা | Hate Kolome Question Answer Din Phurole Kobita Class 7 Bengali wbbse

১. কবিতাটিতে ‘চ্ছ’ দিয়ে কতগুলো শব্দ আছে লেখো, প্রত্যেকটি শব্দ ব্যবহার করে একটি করে আলাদা বাক্য লেখো।

উত্তরঃ কবিতাটিতে ‘চ্ছ’ দিয়ে যে শব্দগুলি আছে তা হল – ইচ্ছেয়, দুচ্ছাই, মুচ্ছো, গুচ্ছে, বাচ্ছা, আচ্ছা, কুচ্ছিৎ, ধুচ্ছি।

ইচ্ছেয়— সবসময় নিজের ইচ্ছেয় চললে বিপদ হতে পারে।

দুচ্ছাই— গরিবদের দুচ্ছাই করা উচিত নয়।

মুচ্ছো — সুমিতের কান্ড কারখানা শুনে তার বাবা মা’র মুচ্ছো যাবার জোগাড়।

গুচ্ছে— লক্ষ্মীপুজোর জন্য ধান আনতে বলায় গোপাল এক গুচ্ছের ধান নিয়ে এল।

বাচ্ছা— বাচ্ছাবেলার দিনগুলো কী মধুর না ছিল।

আচ্ছা — আচ্ছা, ঠিক আছে কাল ভালো করে পরীক্ষা দাও।

কুচ্ছিৎ— মন যদি কুচ্ছিৎ হয় তাহলে খুব সুন্দর দেখতে হলেও তাকে ভালো লাগে না।

২. নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো :

উত্তরঃ সূর্য > সুয্যি। দুরছাই > দুচ্ছাই। মূৰ্চ্ছা > মুচ্ছো। অন্ধকার > আঁধার। কুৎসিত > কুচ্ছিত। সন্ধ্যা > সন্ধে।

৩. ‘লক্ষ’ শব্দটিকে দুটি পৃথক অর্থে ব্যবহার করে দুটি পৃথক বাক্য লেখো। ‘লক্ষ্য’ শব্দটির সঙ্গে এই দুটি অর্থে পার্থক্য দেখিয়ে আরও একটি নতুন বাক্য লেখো।

» লক্ষ (অনেক / অসংখ্য)— কুম্ভ মেলায় লক্ষ লক্ষ লোক জমায়েত হয়েছিল।
» লক্ষ (নজর)— পথ চলার সময় চারিদিকে লক্ষ রাখা উচিত।
» লক্ষ্য (উদ্দেশ্য)— আমার জীবনের লক্ষ্য একজন আদর্শ মানুষ হওয়া।

৪. ‘এক গঙ্গাজল’ শব্দবন্ধটির মানে ‘গঙ্গায় যত জল ধরে সব’ অর্থাৎ কিনা অনেকখানি জল। নিচের স্তম্ভদুটির ডান দিক ও বাম দিক ঠিকভাবে মেলাতে পারলে আরো কিছু এরকম শব্দবন্ধ তৈরি করতে পারবে।
» এক মাথা— হাসি।
» এক ক্লাস— আম।
» এক আকাশ— ধুলো।
» এক ঘর— ধান।
» এক কাঁড়ি— পায়েস।
» এক ঝুড়ি— ছাত্র।
» এক হাঁড়ি— তারা।
» এক মুঠো— টাকা।
» এক মুখ— লোক।
» এক কাহন— চিনি।

উত্তরঃ
» এক মাথা— ধূলো।
» এক ক্লাস— ছাত্র।
» এক আকাশ— তারা।
» এক ঘর— লোক।
» এক কাঁড়ি— টাকা।
» এক ঝুড়ি— আমি।
» এক হাঁড়ি— পায়েস।
» এক মুঠো— চিনি।
» এক মুখ— হাসি।
» এক কাহন— ধান।

৫. নীচের বিশেষ্যগুলির আগে উপযুক্ত বিশেষণ বসিয়ে বাক্য রচনা :

» সুয্যি— (লাল সুয্যি) সকালে পূর্ব আকাশে লাল সূয্যি উঠতে দেখা যায়।

» দৃশ্য— (অদ্ভূত দৃশ্য) আজ স্কুলে আসার সময় একটা অদ্ভুত দৃশ্য দেখলাম।

» বাক্স— (কালো রঙের বাক্স) এক জাদুকর তার কালো রঙের বাক্স থেকে অনেক কিছু দেখালো।

» বাপ-মা— (রাগী বাপ-মা) রনকের বাপ-মা ভীষণ রাগি।

» গর্ত— (গভীর গর্ত) বাচ্চাটি খেলতে গিয়ে গভীর গর্তে পড়ে গেল।

» ঠ্যাং—(মুরগির ঠ্যাং) মুরগির ঠ্যাং খেতে বাবা খুব ভালোবাসতেন।

» গাদা— (ছাইয়ের গাদা) অন্ধকারে দেখতে না পেয়ে লোকটা ছাইয়ের গাদায় পড়ে গেল।

» ঘর— (বাপের ঘর) মেয়েদের কাছে বাপের ঘরই বেশি প্রিয়।

» ধান— (পাকা ধান) নবান্নের সময় পাকা ধান ঘরে তোলা হয়।

» জল—(গরম জল) শীতকালে আমি গরমজলে স্নান করি।

৬. নীচের শব্দগুলির সমার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে বের করো : অরুন, অম্বর, পেটিকা, অজ্ঞান, গোছা, বিষাদ, বন্দর, পা, বিশ্রী।

উত্তরঃ
» বারি— জল। » অরুন— সূয্যি
» অম্বর— আকাশ। » পেটিকা— বাক্স।
» অজ্ঞান— মুচ্ছো » গোছা— গুচ্ছে।
» বিষাদ— মন খারাপ। » বন্দর— গর্ত।
» পা— ঠ্যাং। » বিশ্রী— কুচ্ছি।

৭. নীচের প্রশ্নগুলির বিপরীতার্থক শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নাও :

উত্তরঃ
» ভালো— খারাপ। » বুড়ো— বাচ্চা
» মিথ্যা— সত্যি। » বাইরে— ঘরে
» সুশ্ৰী— কুচ্ছিৎ।

৮. কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো :

৮.১ চমকে দেবেন লক্ষ রঙের দৃশ্যে

উত্তরঃ দৃশ্যে— করণকারকে ‘এ’ বিভক্তি।

৮.২ বাপ মায়েরা যাবেই তবে মুঙ্গে।

উত্তরঃ বাপ মায়েরা— কর্তৃকারকে ‘এরা’ বিভক্তি।

৮.৩ কেই বা খুলে দেখছে রঙের বাক্স ।

উত্তরঃ রঙের— সম্বন্ধ পদে ‘এর’ বিভক্তি।

৮.৪ নিজের নিজের মন খারাপের গর্তে

উত্তরঃ মন খারাপের গর্তে— অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।

৮.৫ এক গঙ্গা জল দিয়ে তাই ধুচ্ছি।

উত্তরঃ এক গঙ্গা জল = কর্ম কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।

৯. এক কথায় উত্তর :

৯.১ সু্যি ডুবে যাওয়ায় কথকরা ‘দুচ্ছাই’ বলছে কেন ?

উত্তরঃ সূয্যি ডুবে যাওয়ায় আর খেলা যাবে না, খেলা বন্ধ করে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে আসতে হবে তাই কথকরা দুচ্ছাই বলছে।

৯.২ কে এক্ষুণি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন ?

উত্তরঃ এক ঈশ্বর এক্ষুণি আকাশ জুড়ে লক্ষ রঙের দৃশ্যে চমকে দেবেন।

৯.৩ কথকরা কেন সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না ?

উত্তরঃ সূয্যি ডুবে গেছে, বাড়ি ফিরে আসতে হবে তাই কথকরা সেই দৃশ্য দেখতে পাবে না।

৯.৪ কথকরা কেন বলেছে, কেই বা খুলে দেখছে রঙের বাক্স! ?

উত্তরঃ সূয্যি ডোবার পর আকাশে লক্ষ রঙের দৃশ্যে তারারা জ্বলে ওঠে, চাঁদ ওঠে, কিন্তু সন্ধে হয়ে আসায় কথকরা আর মাঠে থাকতে পারবে না, তাদের বাড়ি ফিরে আসতে হবে। তাই কথকরা বলেছে কেই বা খুলে দেখছে রঙের বাক্স।

৯.৫ বাপ মায়েরা কী হলে মুচ্ছো যাবেন ?

উত্তরঃ কথকেরা যদি সূয্যি ডোবার পরও ঘরের বাইরে থাকে, তাহলে বাপ মায়েরা মুচ্ছো যাবেন।

১৬ পাখিরা কোথা থেকে কোথায় উড়ে যায় ?

উত্তরঃ পাখিরা ধানের গুচ্ছের উপর দিয়ে বাইরে থেকে নিজেদের ঘরের দিকে উড়ে যায়।

৯.৭ কথকরা কেন বলেছে তাদের নিজের নিজের মনখারাপের গর্তে ফিরতে হবে?

উত্তরঃ কথকরা বাইরের প্রকৃতির রূপ দেখতে, ঘুরে বেড়াতে খুব ভালোবাসে। বাড়ির বদ্ধজীবন তাদের ভালো লাগে না। কিন্তু সন্ধে হয়ে গেলে বাইরে আর তারা থাকতে পারে না। বাবা-মায়ের ভয়ে ঘরে তাদের ফিরতেই হয়। তাই কথকরা বলেছে সুয্যি ডোবার পর তাদের নিজের নিজের মনখারাপের গর্তে’ অর্থাৎ বাড়িতে ফিরতে হবে।

৯.৮ বাবা কী বলবেন ?

উত্তরঃ বাবা বলবেন এতটুকু সব বাচ্চারা, সন্ধে হয়ে গেলে, দিন ফুরোলেও বাড়ি ঢোকে না।

৯.৯ মা-ই বা বাড়ি ফিরলে কী বলবেন ?

উত্তরঃ মা বলবেন বাচ্চাদের ঠ্যাং দুটো এতটাই কুৎসিত হয়ে গেছে যে এক গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে দেবেন।

৯.১০ কথকরা কেন একগঙ্গা জল দিয়ে পা ধুচ্ছে ?

উত্তরঃ সারা বিকাল মাঠে খেলে কথকদের পা দুটো এতটাই কুৎসিত হয়ে গেছে যে এক গঙ্গা জল দিয়ে ধুচ্ছে।

১০. ব্যাখ্যা করো :

১০.১ “সু্যি নাকি ……. খুব দিয়েছে ?”

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষের “দিন ফুরোলো নামক পাঠ্য কবিতায় কবি গোধুলি প্রকৃতির বর্ণনা দিয়েছেন। আর সেই প্রকৃতির মনোহর রূপ বাচ্চাদের আকর্ষণ করলেও তাদের মনখারাপ করে ঘরে ফিরে আসার কথা বলেছেন। সন্ধ্যার সময় প্রাকৃতিক নিয়মেই সূর্য পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। উদ্ধৃত কবিতাংশে সেই প্রসঙ্গকেই তুলে ধরা হয়েছে।

১০.২ “আকাশ জুড়ে …… লক্ষ রঙের দৃশ্য।”

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘দিন ফুরোলে’ নামক পাঠ্য কবিতায় কবি গোধুলি প্রকৃতির বর্ণনা দিয়েছেন। আর সেই প্রকৃতির ্মনোহর রূপ বাচ্চাদের আকর্ষণ করলেও তাদের মনখারাপ করে ঘরে ফিরে আসার কথা বলেছেন।

সন্ধ্যার সময় সমগ্র আকাশ তারায় ভরে যায়, চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। এই প্রসঙ্গকেই তুলে ধরা হয়েছে উদ্ধৃত কবিতাংশে। চাঁদ-কে এখানে ঈশ্বর বলা হয়েছে, যার আলোয় সবাই চমকে যায়।

১০.৩ “লক্ষ, বা তা হতেও পারে ……….. রঙের বাক্স।”

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘দিন ফুরোলে’ নামক পাঠ্য কবিতায় কবি গোধূলি প্রকৃতির বর্ণনা দিয়েছেন। আর সেই প্রকৃতির মনোহর রূপ বাচ্চাদের আকর্ষণ করলেও তাদের মনখারাপ করে ঘরে ফিরে আসার কথা বলেছেন।

সন্ধ্যার সময় সমগ্র আকাশ ভরে যায় অসংখ্য তারায়। সেই তারার সংখ্যা অগুনতি, লক্ষও হতে পারে আবার একশোও হতে পারে। এই প্রসঙ্গকেই তুলে ধরা হয়েছে আলোচ্য কবিতায়।

১০.৪ “আমরা কি আর ….. যাবেই তবে মুচ্ছো।”

উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘দিন ফুরোলে’ নামক পাঠ্য কবিতায় কবি গোধূলি প্রকৃতির রূপ বর্ণনা করেছেন। আর সেই প্রকৃতির মনোহর রূপ বাচ্চাদের আকর্ষণ করলেও তাদের মনখারাপ করে ঘরে ফিরে আসার কথা বলেছেন।

সন্ধ্যার সময় সমগ্র আকাশ চাঁদের আলোয় ভরে ওঠে, জ্বলে ওঠে হাজার তারা। রঙের আলোয় সেজে ওঠে প্রকৃতি। কিন্তু প্রকৃতির এই শোভা দেখার সুযোগ বাচ্চাদের হয় না। কারণ সন্ধ্যা হলেই তাদের অনিচ্ছাসত্ত্বেও ফিরে আসতে হয় ঘরে। থামিয়ে দিতে হয় খেলা। নাহলে বাচ্চাদের এই আচরণ দেখে বাবা মায়েরা হয়তো অজ্ঞান হয়েই পড়বেন। এই প্রসঙ্গকেই তুলে ধরা হয়েছে আলোচ্য কবিতায়।

১১. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও :

১১.১ কবিতাটি অবলম্বনে তোমার দেখা একটি গোধূলির রূপ বর্ণনা করো।

উত্তরঃ আমি একবার পূজোর ছুটিতে আমাদের গ্রামের বাড়ি গেছিলাম। সেখানেই গোধূলি প্রকৃতির সৌন্দর্য আমি দেখতে পেয়েছিলাম। পশ্চিম আকাশে লাল সূর্য ডুবে যাচ্ছে । আর সমস্ত আকাশটা লাল আভাযুক্ত হয়ে গেছে। সারি বেঁধে পাখিরা বাসায় ফিরছে। তাদের কলরবে সারা গ্রাম মুখর হয়ে উঠেছে। ধূলো উড়িয়ে রাখাল ছেলে গোরু নিয়ে ঘরে ফিরছে। ঘরে ঘরে শাঁখ-ঘণ্টা বাজছে। তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। আর সমস্ত আকাশ ভরে গেছে তারায়। পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় ঝিকিমিকি করছে চারিদিক।

১১.২ কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের কাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ? সন্ধেবেলায় ঘরে ফেরাকে মনখারাপের গর্তে’ ফেরা বলে কেন মনে হয়েছে ? খেলা থেকে সন্ধেবেলা বাড়ি ফেরার দুঃখ নিয়ে তোমার অনুভূতি লেখো ।

উত্তরঃ কবিতাটিতে ছোটো ছেলেমেয়েদের পাখির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

সন্ধেবেলায় মাঠ ছেড়ে, বন্ধুদের ছেড়ে, গোধূলি প্রকৃতি ছেড়ে ঘরে ফিরতে ভালো লাগে না। তাই সন্ধে হলেই মনখারাপ হয়ে যায়। ঘরে ফেরার মধ্যেও কোনো আনন্দ নেই, বরং মনখারাপ করা অনুভূতি আছে। তাই সন্ধেবেলায় ঘরে ফেরাকে ‘মনখারাপ করা গর্তে ফেরা’ বলে মনে হয়েছে।

স্কুল থেকে ফিরে জামাকাপড় ছেড়ে, হাত-মুখ ধুয়ে, কিছু খেয়েই আমি মাঠে চলে যাই। আমার বন্ধুরাও চলে আসে। তারপর আমরা সকলে মিলে কত আনন্দ করি, খেলা খেলি, গল্প করি। আমরা একেকদিন এক একরকমের খেলা খেলি। খুব মজা হয়। কিন্তু সন্ধে হলেই আমার মনখারাপ হয়ে যায়। সন্ধেবেলায় আমায় স্যার পড়াতে আসেন। আমার বন্ধুরা আমি চলে আসার পরও খেলে। ওদের স্যার সন্ধেবেলা আসেন না, তাই যখনই সন্ধ্যা হব হব করে তখন থেকেই মনটা খারাপ হতে থাকে। বন্ধুদের ছেড়ে বাড়ি চলে আসতে খুব কষ্ট হয়। তবে আরও বেশি কষ্ট হয় যখন আমি স্যারের কাছে পড়ছি, আর পাশের মাঠ থেকে ওদের গলার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি।

📌 আরো দেখুনঃ

📌সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌 অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নোত্তরঃ

📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here

📌 অন্যান্য ক্লাসের বাংলা প্রশ্নোত্তরঃ

📌পঞ্চম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

📌 অষ্টম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:10 mins read