Class 6 Geography 2nd Unit Test Question Paper Set-1 wbbse | ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-১

2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 6 (VI) WBBSE
GEOGRAPHY QUESTION PAPER

Set-1

Class 6 Geography 2nd Unit Test Question Paper Set-1 wbbse | ষষ্ঠ শ্রেণির ভূগোল দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-১

📌ষষ্ঠ শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৫
ষষ্ঠ শ্রেণি
বিষয় : ভূগোল

পূর্ণমান-৫০               সময় : ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট

১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো। (যেকোনো ১২টি) : ১×১২=১২

১.১ অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে (ওজোন / অক্সিজেন / নাইট্রোজেন) গ্যাস।

উত্তরঃ ওজোন।

১.২ প্রতিদিন গড়ে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসা উল্কার সংখ্যা প্রায় (10 / 15 / 20 / 30) হাজার কোটি।

উত্তরঃ 10

১.৩ উষ্ণতার প্রসর বেশি (রাজস্থানে / পশ্চিমবঙ্গে / জম্মু-কাশ্মীরে / গুজরাটে)।

উত্তরঃ রাজস্থানে।

১.৪ ‘মৌসুমি’ শব্দের অর্থ (বৃষ্টি / ঋতু / তুষার / বর্ষা)।

উত্তরঃ ঋতু।

১.৫ দুটি জায়গার মধ্যে উষ্ণতার পার্থক্য বেশি হলে সমোষ্ণরেখাগুলি (কাছাকাছি / দূরে দূরে / একই জায়গায় / মাঝামাঝি) অবস্থান করে।

উত্তরঃ কাছাকাছি।

১.৬ বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের উদাহরণ হল পশ্চিমঘাট পর্বতের (পশ্চিম ঢাল / পূর্ব ঢাল / দক্ষিণ ঢাল / উত্তর ঢাল)।

উত্তরঃ পূর্ব ঢাল।

১.৭ জৈব পদার্থ বেশি পরিমাণে থাকে (লালমাটি / পলিমাটি / পার্বত্য অঞ্চলের মাটি/ ল্যাটেরাইট মাটি)-তে।

উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলের মাটি।

১.৮ জলদাপাড়া একটি (সুরক্ষিত অরণ্য / জাতীয় উদ্যান / সংরক্ষিত অরণ্য / অভয়ারণ্য)।

উত্তরঃ অভয়ারণ্য।

১.৯ গাছগুলি মোচার মতো দেখতে হয় (লবণাম্বু / ক্রান্তীয় পাতাঝরা / পার্বত্য নাতিশীতোষ্ণ / ক্রান্তীয় চিরসবুজ) অরণ্যে।

উত্তরঃ পার্বত্য নাতিশীতোষ্ণ।

১.১০ তুলা চাষ সবচেয়ে ভালো হয় (কালো / লাল / পার্বত্য / দোঁয়াশ) মাটিতে।

উত্তরঃ কালো মাটিতে।

১.১১ উচ্চরক্তচাপ কমাতে ব্যবহৃত হয় (নিম / সর্পগন্ধা / সিংকোনা / বাসক)।

উত্তরঃ সর্পগন্ধা।

১.১২ যেখানে শিকার, পশুচারণ ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপ নিষিদ্ধ, তাকে বলে (সংরক্ষিত অরণ্য / সুরক্ষিত অরণ্য / অভয়ারণ্য)।

উত্তরঃ সংরক্ষিত অরণ্য।

১.১৩ পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল (জলে / স্থলে / বাতাসে / আকাশে)।

উত্তরঃ জলে।

১.১৪ বায়ুর চাপ মাপার যন্ত্রটি হল— (ব্যারোমিটার / হাইগ্রোমিটার / অ্যানিমোমিটার / থার্মোমিটার)।

উত্তরঃ ব্যারোমিটার।

১.১৫ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রকৃতি হল (উষ্ণ-আর্দ্র / শীতল-আর্দ্র / উষ্ণ-শীতল / শুষ্ক আর্দ্র)।

উত্তরঃ উষ্ণ-আর্দ্র।

১.১৬ ভারতের মরু অঞ্চলের মাটির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল‌ (জলধারণ ক্ষমতা বেশি / লোহার পরিমাণ বেশি / জলধারণ ক্ষমতা কম)।

উত্তরঃ জলধারণ ক্ষমতা কম।

১.১৮ ক্রান্তীয় পর্ণমোচী উদ্ভিদের একটি উদাহরণ হল (পলাশ / সেগুন / গরান / হেতাল)।

উত্তরঃ পলাশ।

১.১৯ ভারতের রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখা যায় (গির অরণ্যে / সুন্দরবনে / কচ্ছের রনে)।

উত্তরঃ গির অরণ্যে

২। অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (যেকোনো আটটি) : ১x৮=৮

২.১ ‘অ্যান্টার্কটিকা’ শব্দটির অর্থ কী ?

উত্তরঃ উত্তরের বিপরীত

২.২ পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিবহুল অঞ্চল কোনটি ?

উত্তরঃ মেঘালয়ের মৌসিনরাম

২.৩ পরিযায়ী পাখি কাকে বলে ?

উত্তরঃ শীতকালে শীতপ্রধান দেশ থেকে আগত পাখিদের পরিযায়ী পাখি বলে।

২.৪ বিশ্ব অরণ্য দিবস কবে পালিত হয়?

উত্তরঃ ২১ শে মার্চ।

২.৫ অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপিত ভারতের প্রথম গবেষণা কেন্দ্রটির নাম কী ?

উত্তরঃ অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপিত ভারতের প্রথম গবেষণা কেন্দ্রটির নাম দক্ষিণ গঙ্গোত্রী।

২.৬ কোন যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর গতিবেগ মাপা হয় ?

উত্তরঃ অনিমোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর গতিবেগ মাপা হয়।

২.৭ কত সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন চালু হয় ?

উত্তরঃ ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন চালু হয়।

২.৮ দাক্ষিণাত্য মালভূমির উচ্চতম শৃঙ্গের নাম কী ?

উত্তরঃ দাক্ষিণাত্য মালভূমির উচ্চতম শৃঙ্গের নাম আনাইমুদি।

২.৯ পশ্চিমি-ঝঞ্জা বলতে কী বোঝো ?

উত্তরঃ শীতকালে ভারতে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মাঝে মাঝে দু-চার দিন একটানা আকাশ মেঘলা থাকে ও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়। একে পশ্চিমী-ঝঞ্ঝা বলে।

২.১০ স্বাভাবিক উদ্ভিদ কাকে বলে ?

উত্তরঃ মানুষের চেষ্টা ছাড়া শুধুমাত্র প্রকৃতির উপরে নির্ভর করে জন্মানো গাছপালাকেই স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে।

২.১১ বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত আমাদের রক্ষাকবচ বায়ু স্তরের নাম কী ?

উত্তরঃ ওজোন গ্যাসের।

২.১২ পৃথিবীর শীতলতম ও জনবসতিহীন স্থানের নাম কী ?

উত্তরঃ পৃথিবীর শীতলতম ও জনবসতিহীন স্থানেরয়নাম আন্টার্কটিকার ভস্টক।

৩। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও (যেকোনো চারটি) : ২x৪=৮

৩.১ আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য :

আবহাওয়া জলবায়ু
(১) আবহাওয়া বলতে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুর উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বায়ু চাপ, বায়ুপ্রবাহ, মেঘাচ্ছন্নতা প্রভৃতিকে বোঝানো হয়ে থাকে। (১) কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের 30 থেকে 40 বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে।
(২) আবহাওয়া প্রতিদিন, এমনকি প্রতি ঘণ্টার ব্যবধানেও পাল্টাতে পারে। (২) কোনো স্থানের জলবায়ু দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।

৩.২ আমাদের জীবনে জলবায়ুর দুটি প্রভাব লেখো।

উত্তরঃ আমাদের জীবনে জলবায়ুর প্রভাব:

(১) উষ্ণ জলবায়ু বৃষ্টিপাতের ধারা পরিবর্তন করে বন্যা ও খরার প্রকোপ বাড়াবে, গ্লেসিয়ার ও মেরুর বরফ-চাদর আরও বেশি করে গলবে, ফলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়বে।

(২) বিশ্ব উষ্ণায়ন মানুষের স্বাস্থ্যে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। তাপজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে, সংক্রামক রোগের বিস্তার হবে, ডিহাইড্রেশন হবে, অপুষ্টি বাড়বে এবং জনস্বাস্থ্যের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

৩.৩ বায়ুর আর্দ্রতা বলতে কী বোঝো ? বায়ুর আর্দ্রতা মাপক যন্ত্রের নাম কী ?

উত্তরঃ বায়ুর আর্দ্রতা বলতে সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে বোঝানো হয়।

বায়ুর আর্দ্রতা মাপক যন্ত্রের নাম হাইগ্রোমিটার।

৩.৪ মরু অঞ্চলের মাটি ভারতের কোন্ রাজ্যে দেখা যায় ? এই মাটিতে লবণের পরিমাণ বেশি কেন ?

উত্তরঃ ভারতের রাজস্থানে মরু অঞ্চলের মাটি দেখা যায়।

স্বল্প বৃষ্টিপাত ও অধিক বাষ্পীভবন যুক্ত অঞ্চলে অধিক বাষ্পীভবনের কারণে কৈশিক প্রক্রিয়ায় ভূ-অভ্যন্তরের লবণ উপরে উঠে এসে মৃত্তিকা স্তরে সঞ্চিত হয় বলে এই মৃত্তিকা লবণাক্ত হয়।

৩.৫ মেরুজ্যোতি কী ?

উত্তরঃ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে শীতকালে যখন একটানা 6 মাস রাত্রি বিরাজ করে। সেইসময় অ্যান্টার্কটিকার আকাশে মাঝে মধ্যেই রামধনুর মতো মৃদু আলোকপ্রভা দেখা যায়। একে মেরুজ্যোতি বলে।

৩.৬ মাটি সংরক্ষণের চারটি উপায় লেখো।

উত্তরঃ মাটি সংরক্ষণের চারটি উপায় হল—

(১) বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা,
(২) পাহাড়ি অঞ্চলে ধাপ চাষ পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করা,
(৩) অত্যধিক পশুচারন নিয়ন্ত্রন করা,
(৪) শস্যাবর্তন পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করা।

৩.৭ টীকা লেখোঃ ঘনীভবন

উত্তরঃ জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায় এবং ওপরে উঠে বায়ুর উষ্ণতা এবং চাপ কমে যাওয়ার ফলে ছোটো ছোটো জলকণায় পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলা হয়।

৩.৮ টীকা লেখোঃ পরিবহণ পদ্ধতি

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে কোনো মাধ্যমের উষ্ণতম অংশ থেকে শীতলতর অংশে তাপ সঞ্চালিত হয় কিন্তু মাধ্যমের অণুগুলির স্থানচ্যুতি ঘটে না, সেই পদ্ধতিকে তাপের পরিবহন বলে। সাধারণত কঠিন মাধ্যমে তাপ পরিবহণ পদ্ধতিতে এক স্থান থেকে আর-এক স্থানে যায়।

৩.৯ টীকা লেখোঃ ল্যাটেরাইট মাটি

উত্তরঃ অধিক উষ্ণতা এবং অধিক বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে যেখানে পর্যায়ক্রমে শুষ্ক এবং আর্দ্র ঋতু দেখা যায় সেখানে মাটির উপরিস্তরে লৌহ অক্সাইড ও অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড সঞ্চিত হয়ে যে লাল রঙের ইটের মতো শক্ত মাটি সৃষ্টি হয়, তাকে ল্যাটেরাইট মাটি বলে। এই মাটি অনুর্বর। তবে সার প্রয়োগ দ্বারা এই মাটিতে চিনাবাদাম, জোয়ার, বাজরা, রাগি ইত্যাদি চাষ করা যায়।

৪। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যেকোনো চারটি) : ৩x৪=১২

৪.১ টীকা লেখো : লাল মাটি

উত্তরঃ অবস্থান: কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশ, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে লাল মাটি দেখা যায়।

বৈশিষ্ট্য : রূপান্তরিত শিলা বহু ধরে বছর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে এই মাটি তৈরি হয়, এই মাটি খুব অনুর্বর, লোহার পরিমাণ বেশি থাকায় এই মাটির রং লাল, এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম। এই মাটিতে কাদা ও বালির পরিমাণ সমান থাকে।

কৃষিকাজে প্রভাব : জলসেচ ও সারের সাহায্যে এই মাটিতে জোয়ার, বাজরা, রাগি, বাদাম, তামাক, ছোলা ও অল্প পরিমাণে ধান চাষ করা হয়।

৪.২ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ভারতের অভিযান সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা গবেষণা মূলকেন্দ্র দক্ষিণ গঙ্গোত্রী স্থাপিত হয়। ১৯৯০ সালে কেন্দ্রটি মৈত্রী গবেষণা কেন্দ্রে সরে আসে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভারত অ্যান্টার্কটিকায় বায়ুমণ্ডলীয়, জৈব, ভূবৈজ্ঞানিক, রাসায়ণিক ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত গবেষণা চালাচ্ছে। ২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত অ্যান্টার্কটিকায় ৩০টি অভিযান চালিয়েছে। ভারত অ্যান্টার্কটিকায় ভারতী নামে আরও একটি অতিরিক্ত গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এর ফলে ভারত অ্যান্টার্কটিকায় একাধিক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনকারী নয়টি প্রধান রাষ্ট্রের একটির স্বীকৃতি পায়।

৪.৩ গাছ কেটে ফেললে কী কী ক্ষতি হতে পারে বলে তোমার মনে হয় ?

উত্তরঃ গাছ কেটে ফেললে আমাদের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেমন—

• বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেড়ে যাবে। ফলে বায়ু দূষিত হয়ে পড়বে।

• মাটি আলগা হয়ে সহজেই ক্ষয় হয়ে যাবে।

• ওপরের স্তরের মাটি ক্ষয়ে গেলে মাটি অনুর্বর হয়ে পড়বে। বন্যার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

• বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে, ঝড়ের প্রকোপ বাড়বে।

• গাছের ওপর নির্ভরশীল কীটপতঙ্গ, পাখি, জীবজন্তু তাদের বাসস্থান হারাবে।

• কাঠের জোগান কমে যাবে।

৪.৪ মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্য—

(১) ঋতু পরিবর্তন : মৌসুমী বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের ওপর নির্ভর করে ভারতের চারটি ঋতু-শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ নির্ধারিত হয়েছে।

(২) বৃষ্টিপাত : ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের 90% ঘটে মৌসুমী বায়ুর আগমনে ও প্রত্যাগমনে।

(৩) আর্দ্র গ্রীষ্ম ও শুষ্ক শীতকাল : মৌসুমী বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের কারণেই এখানে গ্রীষ্ম কাল আদ্র ও শীতকাল শুষ্ক প্রকৃতির হয়।

৪.৫ শীতকালে ভারতের জলবায়ু শুষ্ক হয় কেন ?

উত্তরঃ ডিসেম্বর জানুয়ারি মাসে ভারতে শীতকাল লক্ষ্য করা যায়। এই সময় উত্তর ভারতের তাপমাত্রার পরিমাণ যথেষ্ট হ্রাস পায়। এর ফলে শীতকালে তাপমাত্রা হ্রাস জনিত কারণে উত্তর ভারতে স্থলভাগের উপর উচ্চচাপ এবং দক্ষিণ ভারতে সমুদ্রের উপর নিম্নচাপ অবস্থান করে। ফলস্বরূপ যে বায়ুচাপের ঢাল সৃষ্টি হয়, সেই ঢাল অনুসারে বায়ু স্থলভাগের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে জল ভাগের নিম্ন চাপ অঞ্চলের দিকে উত্তর পূর্ব মৌসুমী বায়ু রূপে প্রবাহিত হয়। স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে উত্তর পূর্ব মৌসুমী বায়ুতে জলীয় বাষ্প থাকে না বললেই চলে। জলীয় বাষ্প না থাকার ফলে এই সময় অর্থাৎ শীতকালে ভারতে বৃষ্টিপাত হয় না। এই কারণে ভারতে শীতকাল শুষ্ক হয়ে থাকে। কেবলমাত্র তামিলনাড়ুর করমন্ডল উপকূলে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।

৫। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : ৫x২=১০

৫.১ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ ট্রপোস্ফিয়ার : বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নীচের স্তরটিকে ট্রপোস্ফিয়ার বলে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে ১৬-১৮ কিমি এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার : ট্রপোস্ফিয়ায়ের ওপরে বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরটিকে বলা হয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। ট্রপোপজ থেকে ওপরে ৫০ কিমি পর্যন্ত এই স্তরটি বিস্তৃত।

মেসোস্ফিয়ার : স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুমণ্ডলের তৃতীয় স্তরটিকে বলা হয় মেসোস্ফিয়ার। ৫০-৮০ কিমি উচ্চতার মধ্যে এই স্তরটি বিস্তৃত।

থার্মোস্ফিয়ার : মেসোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুমণ্ডলের চতুর্থ তাপময় স্তরটিকে বলা হয় থার্মোস্ফিয়ার। এই স্তরটি ৮০-৩০০ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।

এক্সোস্ফিয়ার : থার্মোস্ফিয়ারের ওপরের স্তরটিকে বলা হয় এক্সোস্ফিয়ার। এই স্তরটি ৩০০-১৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

ম্যাগনেটোস্ফিয়ার : এক্সোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুমণ্ডলের শেষসীমা পর্যন্ত বায়ুস্তরকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বলে। এই স্তরটি ১৫০০-১০০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

৫.২ ভারতের কৃষিক্ষেত্রে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তরঃ ভারতের কৃষিতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব : ভারতের কৃষিতে মৌসুমি বায়ুর বিরাট প্রভাব রয়েছে। ফসল চাষ বৃষ্টির সাথে যুক্ত। মৌসুমী বায়ু সময়ের আগে বা পরে আসার ওপর ফসল উৎপাদন নির্ভর করে। প্রত্যেক বছর বৃষ্টি একই পরিমাণে হয় না। মৌসুমী বৃষ্টি ভালো হলে কৃষকরা লাভবান হন। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে প্রচুর পরিমাণে ধান, গম, পাট, আখ, তুলা বিভিন্ন ধরনের ডাল, নানান রকম তৈলবীজ, চা, কফি তামাক প্রভৃতি উৎপন্ন হয়।

মৌসুমি বৃষ্টিপাতের অনিশ্চয়তা : ভারতে মৌসুমি বায়ুর ফলেই প্রধানত বৃষ্টিপাত ঘটে। দেশের মোট বৃষ্টি পাতের প্রায় ৯০ শতাংশ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সংঘঠিত হয়। কিন্তু এই মৌসুমি বায়ু খুবই অনিশ্চিত। কারণ প্রতি বছর এই মৌসুমি বায়ু সমপরিমাণে জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে না। আবার এই মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমন প্রতি বছর একই সময়ে ঘটে না। এর ফলে কোন বছর কম জলীয় বাষ্প আমদানি ও দেরিতে আসার ফলে ভারতে অনাবৃষ্টি বা খরা দেখা দেয়। আবার কোনও বছর অতিরিক্ত পরিমাণ জলীয় বাষ্প আমদানি এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহের খাম খেয়ালিপণার জন্য ভারতে প্রায়ই অতিবৃষ্টি ও বন্যার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়।

৫.৩ বরফে ঢাকা মহাদেশের ভূপ্রকৃতির বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ পৃথিবীর মানচিত্রে একেবারে দক্ষিণে সাদা রঙের অঞ্চলটি বরফে ঢাকা মহাদেশ। নাম আন্টার্টিকা মহাদেশ। ১৮২০ সালে প্রথম জানা যায়-পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে বা কুমেরুতে রয়েছে বরফে ঢাকা একটা বিশাল ভূখণ্ড। একসময় আন্টার্কটিকা, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত একসাথে প্যানজিয়ার অংশ ছিল। প্রায় ২০ কোটি বছর আগে মহাদেশ সঞ্চরণের ফলে প্যানজিয়া ভেঙে আন্টার্কটিকা দক্ষিণ মেরুতে চলে আসে।

গ্রিক শব্দ ‘Antarktika’ র অর্থ ‘উত্তরের বিপরীত’। দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে ৬০° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে প্রায় গোলাকার এই মহাদেশটাকে কুমেরু বৃত্তরেখা এবং কুমেরু মহাসাগর ঘিরে রেখেছে। আয়তনে পৃথিবীর পঞ্চম এই মহাদেশ (১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিমি) ইউরোপ, ওশিয়ানিয়ার থেকে বড়ো। পৃথিবীর উচ্চতম, শীতলতম, শুষ্কতম, দুর্গম মহাদেশ আন্টার্কটিকা। ক্যাপ্টেন স্কট্, শ্যাকলটন, আমুন্ডসেন এই মহাদেশের এক একটা অঞ্চল খুঁজে পান। সারাবছরই ১-২ কিমি পুরু স্থায়ী বরফের চাদরে ঢাকা থাকে-এই কারণে পৃথিবীর মানচিত্রে আন্টার্কটিকাকে সাদা রং-এ দেখানো থাকে। তাই আন্টার্কটিকার আরেক নাম ‘সাদা মহাদেশ’।

পুরো মহাদেশটাই একটা বিশাল উঁচু মালভূমি, যার উচ্চতা ২০০০ থেকে ৫০০০ মিটার। মহাদেশের পশ্চিমদিকের অংশটা সংকীর্ণ কিন্তু পূর্বদিকের অংশটা প্রশস্ত। বহু সাগর, উপসাগর, দীপপুঞ্জ মহাদেশটাকে ঘিরে রেখেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের রস উপসাগরের তীরে ‘মাউন্ট এরেবাস’ আন্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। ‘ভিনসন ম্যাসিফ’ (৪৮৯২ মি.) আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। বিশাল বিশাল হিমবাহ রয়েছে এই মহাদেশে-এদের মধ্যে ‘ল্যাম্বার্ট হিমবাহ’ পৃথিবীর দীর্ঘতম।

📌আরও পড়ুনঃ

📌ষষ্ঠ শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:10 mins read