2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 7 (VII) WBBSE
PORIBESH O BIGYAN QUES PAPER
Set-1
Class 7 Poribesh O Bigyan 2nd Unit Test Question Paper Set-1 wbbse | সপ্তম শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট সেট-১
📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৫
সপ্তম শ্রেণি
বিষয় : পরিবেশ ও বিজ্ঞান
পূর্ণমান-৫০ সময় : ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট
ভৌত বিজ্ঞান
১। সঠিক উত্তর নির্বাচন করো (যে-কোনো ৭টি) ১×৭=৭
১.১ একটি স্বপ্রভবস্তু হল– ( আয়না / সূর্য / চাঁদ / বই)।
উত্তরঃ সূর্য।
১.২ সূচিছিদ্র ক্যামেরার সাহায্যে দেখা যায়– (ছায়া / প্রতিকৃতি /প্রতিবিম্ব / প্রচ্ছায়া)।
উত্তরঃ প্রতিকৃতি।
১.৩ বর্ণালি সৃষ্টি হয় আলোর- (প্রতিফলনের ধর্মের জন্য / প্রতিসরণের ধর্মের জন্য / বিচ্ছুরণের ধর্মের জন্য / বিকিরণের জন্য)।
উত্তরঃ বিচ্ছুরণের ধর্মের জন্য।
১.৪ বৈদ্যুতিক পাখায় ব্যবহৃত হয়– (প্রাকৃতিক চুম্বক / কৃত্রিম চুম্বক / মেরুবিহীন চুম্বক / চুম্বক শলাকা)।
উত্তরঃ কৃত্রিম চুম্বক।
১.৫ চুম্বকের মেরু সংখ্যা হল– (১টি / ২টি / ৪টি / ৫টি)।
উত্তরঃ ২টি।
১.৬ ইলেকট্রিক ইস্ত্রিকে গরম হতে যে তার সাহায্য করে তা হল– (টাংস্টেন / নাইক্রোম / তামা / ফিউচার)।
উত্তরঃ নাইক্রোম।
১.৭ জৈব গ্যাস বা বায়োগ্যাসের মূল উপাদান– (হাইড্রোজেন / অক্সিজেন / মিথেন / নাইট্রোজেন)।
উত্তরঃ মিথেন।
১.৮ আলো গমন করে– ( বক্ররেখায় / সরলরেখায় / যে কোনো রেখায় / কোনোটিই নয়)।
উত্তরঃ সরলরেখায়।
১.৯ চুম্বকের উত্তর মেরু বলে আমরা আমরা চুম্বকের চুম্বকের যে প্রান্ত কে নির্দেশ করি তা হলো– (উত্তরসন্ধানী মেরু / দক্ষিণ সান্ধানী মেরু / ভৌগোলিক উত্তরমেরু / ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু)
উত্তরঃ উত্তরসন্ধানী মেরু।
১.১০ ইলেকট্রিক বাল্বের ফিলামেন্ট তৈরি হয়– (নাইক্রোম / টাংস্টেন / তামা / নিকেল ধাতু দিয়ে)
উত্তরঃ টাংস্টেন।
২। এক কথায় উত্তর দাও (যে কোনো ৬টি) : ১×৬=৬
২.১ কোন ধরনের প্রতিফলনের জন্য আমরা বিভিন্ন বস্তুকে দেখতে পাই ?
উত্তরঃ আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের জন্য।
২.২ কোন আলোর বিচ্ছুরণ সবচেয়ে কম ?
উত্তরঃ লাল আলোর।
২.৩ কোন বিজ্ঞানী বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন ?
উত্তরঃ স্যার আইজ্যাক নিউটন।
২.৪ ATM কার্ডে কোন ধরনের চুম্বক ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ চুম্বকিত স্ট্রিপ।
২.৫ বাল্বের ফিলামেন্ট কোন ধাতু দ্বারা তৈরি ?
উত্তরঃ টাংস্টেন ধাতু।
২.৬ টর্চের সুইচ অন করলে বাল্বের ভেতরের যে অংশটি জ্বলে ওঠে তাকে বলে ?
উত্তরঃ ফিলামেন্ট।
২.৭ একটি তরল জীবাশ্মীরের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ পেট্রোলিয়াম।
২.৮ চুম্বকের কোন ধর্মের সাহায্যে চুম্বককে সনাক্ত করা যায় ?
উত্তরঃ বিকর্ষণ ধর্ম।
৩। শূন্যস্থান পূরণ করো যে-কোনো দুটি : ১x৫=৫
৩.১ ঘসা কাচ _______________ মাধ্যমের উদাহরণ।
উত্তরঃ ঈষৎ স্বচ্ছ।
৩.২ মোমবাতি একটি ______________ বস্তুর উদাহরণ।
উত্তরঃ স্বপ্নভ।
৩.৩ ইস্ত্রিতে তড়িৎ প্রবাহের ________________ ফলাফলের প্রয়োগ করা হয়।
উত্তরঃ তাপীয়।
৩.৪ মেরুজ্যোতি সাধারণত দেখা যায় ______________ অঞ্চলে।
উত্তরঃ মেরু।
৩.৫ যে বস্তুর নিজস্ব আলো নেই তাকে ______________ বলে।
উত্তরঃ অপ্রভবস্তু।
৩.৬ প্রাকৃতিক চুম্বকের কোনো নির্দিষ্ট ______________ হয় না।
উত্তরঃ আকার।
৩.৭ মোটরগাড়িতে ব্যবহৃত সেলটি হল _______________।
উত্তরঃ সেকেন্ডারি সেল।
৪। তিন-চারটি বাক্যে উওর দাও (যে-কোনো ৪টি) : ৩×৪=১২
৪.১ অ্যাম্বুলেন্সের সামনে AMBULANCE শব্দটি উলটো করে লেখা থাকে কেন ? আলোর প্রতিফলনের সূত্র দুটি লেখো। ১+২
উত্তরঃ অ্যাম্বুলেন্সের সামনে AMBULANCE শব্দটি উলটো করে লেখার কারণে সামনের গাড়ির ড্রাইভার তার গাড়ির আয়নায় পার্শ্বীয় পরিবর্তনের কারণ সোজাভাবে AMBULANCE লেখাটি দেখতে পায় তাই তাড়াতাড়ি রাস্তা ছেড়ে দেয়।
আলোর প্রতিফলনের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মিগুচ্ছ দুটি সূত্র পালন করে, যথা– (i) আপতিতরশ্মি, প্রতিফলন রশ্মি, এবং ওই বিন্দুতে প্রতিফলকের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব সর্বদা একই সমতলে থাকবে। (ii) আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হবে।
৪.২ ছায়ার সংজ্ঞা দাও। এক্স-রশ্মি কী কাজে ব্যবহার হয় ? ১+২
উত্তরঃ ছায়ার আলোর গতিপথে কোনো বাধাদানকারী অস্বচ্ছবস্তু থাকলে তার পিছনে পর্দায় বস্তুটির যে অন্ধকার আকৃতির সৃষ্টি হয় তাকে ছায়া বলে।
এক্স-রশ্মির ব্যবহারিক উপকারিতাগুলি হল—
(১) মানবদেহের কোনো অংশে হাড় বা মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ভাঙা হাড়ের অবস্থান বুঝতে হলে এক্সরশ্মি প্রয়োগ করা হয়।
(২) টিউমার বা ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের অঙ্গের অবস্থা জানার জন্য এই রশ্মি প্রয়োগ করা চিকিৎসা শাস্ত্রের এক বিশেষ অঙ্গ।
(৩) মানবদেহের কোনো অঙ্গে বিশেষত কিডনি বা গলব্লাডারে স্টোনের উপস্থিতি বোঝার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪.৩ চৌম্বকপদার্থ ও অচৌম্বক পদার্থ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও। চৌম্বক আবেশ বলতে কী বোঝো ? ২+১
উত্তরঃ চৌম্বক পদার্থ : যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যেসব পদার্থকে কৃত্রিম চুম্বকে পরিণত করা যায়, সেইসব পদার্থকে চৌম্বক পদার্থ বলে। উদাহরণ : লোহা, কোবাল্ট, নিকেল ইত্যাদি।
অচৌম্বক পদার্থ : যেসব পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না কিংবা যাদের কৃত্রিম চুম্বকে পরিণত করা যায় না সেই সব পদার্থকে অচৌম্বক পদার্থ বলে। উদাহরণ : কাঠ, কাচ, তামা, সোনা ইত্যাদি।
একটি চৌম্বক পদার্থকে কোনো একটি শক্তিশালী চুম্বকের সঙ্গে স্পর্শ করালে বা খুব কাছে আনলে ওই চৌম্বক পদার্থটি সাময়িকভাবে চুম্বকে পরিণত হয়। এই ঘটনাকেই চৌম্বক আবেশ বলে।
৪.৪ LED কী ? LED-র দুটি ব্যবহার লেখো। ১+২
উত্তরঃ LED অর্থাৎ Light Emitting Diode হল বিশেষভাবে তৈরি এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা অল্প আলোতেই উজ্জ্বল আলো দেয়। এই ধরনের বাল্বে কোনো ফিলামেন্ট থাকে না, ধনাত্মক প্রান্ত অপেক্ষাকৃত বেশি হয় ঋনাত্মক প্রান্তটির তুলনায়।
LED-এর ব্যবহার—
(i) বিভিন্ন রঙের আলো পেতে LED ব্যবহৃত হয়। (ii) LED-এর মধ্যে অল্প পরিমাণ সামান্য তড়িৎ প্রবাহিত করেই তীক্ষ্ণ উজ্জ্বল আলো জ্বলে ওঠে ফলে তার ব্যবহারযোগ্যতাও বাড়ে।
৪.৫ জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে ? প্রচলিত ও অপ্রচলিতশক্তি কাকে বলে ? ১+২
উত্তরঃ উদ্ভিদ ও জীবদেহ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভূ-অভ্যন্তরে সঞ্চিত থাকা গচ্ছিত বা অপূর্নভব শক্তিসম্পদকে জীবাশ্ম জ্বালানি, বলে। উদাহরণ : কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।
প্রচলিত শক্তি : যে সমস্ত শক্তি বর্তমানে বহুল পরিমাণে উৎপাদন ও ব্যবহার করা হয় তাদেরকে বলা যায় প্রচলিত শক্তি। এই শক্তি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কয়লা, খনিজতেল, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রাপ্ত শক্তি, জলবিদ্যুৎশক্তি, পারমাণবিক শক্তি প্রভৃতি চিরাচরিতশক্তি বা প্রচলিত শক্তি বা Conventional Energy-র উদাহরণ।
অপ্রচলিতশক্তি : যে সমস্ত শক্তি বর্তমানে স্বল্প পরিমাণে উৎপাদন ও ব্যবহার করা হয় অথচ ভবিষ্যতে বহুল পরিমাণে ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে, তাদেরকে বলা হয় অচিরাচরিত শক্তি। সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, ভূতাপশক্তি, জোয়ার-ভাটার শক্তি, জৈবগ্যাস প্রভৃতি বল অচিরাচরিতশক্তি বা অপ্রচলিত শক্তি বা Non-conventional Energy-র উদাহরণ।
৪.৬ আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে ? সিনেমার পর্দা অমসৃণ ও সাদা হয় কেন ? ১+২
উত্তরঃ আলো যখন এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করে, তখন আলোকরশ্মির দুই মাধ্যমের বিভেদতল (Interface) অতিক্রম করার ঘটনাকে প্রতিসরণ বলে।
সাদাবর্ণের বস্তু মোটামুটিভাবে সব আলোকেই প্রতিফলিত করে, কোনো আলোকেই শোষণ করে না। ফলে পর্দায় প্রতিবিম্ব উজ্জ্বল এবং যথাযথ রঙের দেখায়। আর অমসৃণ করার উদ্দেশ্য হল, পর্দায় আলো পড়লে যাতে বিক্ষিপ্ত প্রতিফলিত হয় এবং সিনেমা হলের যেকোন স্থান থেকে দর্শক পর্দায় গঠিত প্রতিবিম্ব দেখতে পায়।
৪.৭ যেকোনো বৈদ্যুতিক সার্কিট ফিউজতার কেন ব্যবহার করা হয় এবং এর কার্যকারিতা কী ? ফিলামেন্ট কী ? ২+১
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক সার্কিটের নিরাপত্তার জন্য ফিউজ ব্যবহৃত হয়। প্রবাহমাত্রা নির্দিষ্ট সীমার বেশি হয়ে গেলে ফিউজতারটি গলে গিয়ে সারকিট বিচ্ছিন্ন করে দেয়, এর ফলে দুর্ঘটনা রোধ হয়। প্রস্থচ্ছেদের বৃদ্ধি অনুযায়ী 5A, 10A, 15A ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ফিউজতার ব্যবহৃত হয়।বর্তনী বা ব্যবহৃত দামি বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি অতিরিক্ত তাগের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওযার হাত থেকে রক্ষা পায়।
বাল্বের বায়ুনিরুদ্ধ মুখের ভেতর দিয়ে মোটা দুটি তার প্রবেশ করানো থাকে। মোটা তার দুটির প্রান্ত টাংস্টোনের তৈরি খুব সরু কুন্ডলী পাকানো তার দিয়ে যোগ করা থাকে। এই সরু তারের কুণ্ডলীকে ফিলামেন্ট বলে।
জীবন বিজ্ঞান
১। সঠিক উত্তর নির্বাচন করো (যে কোনো ৪টি) : ১×৪=৪
১.১ মূলের ডগায় টুপির মত অংশকে বলে– (মুলোরম / মূলত্র / উপপত্র / মুকুলাবরণী)।
উত্তরঃ মূলত্র।
১.২ আমের যে অংশটি আমরা খাই– (বহিঃত্বক / মধ্যত্বক / অন্তঃত্বক / সবকটিই)।
উত্তরঃ মধ্যত্বক।
১.৩ ফুলের যে অংশটি ফলে পরিণত হয় সেটি হল– (বৃতি / দলমন্ডল / পরাগধানী / ডিম্বাশয়)।
উত্তরঃ ডিম্বাশয়।
১.৪ নীচের কোনটি একবীজপত্রী– (নারকেল / মটর / ছোলা / পাইনাস)।
উত্তরঃ নারকেল।
১.৫ শ্বাসমুল সৃষ্টিকারী একটি উদ্ভিদ হল– (লেবু / আম / সুন্দরী / কলা)।
উত্তরঃ সুন্দরী।
১.৬ একটি ফুলের সবচেয়ে বাইরের স্তবক হল– (বৃতি / দলমন্ডল / পুষ্পাক্ষ / পুংস্তবক)।
উত্তরঃ বৃতি।
১.৭ মটর বীজে কয়টি বীজপত্র থাকে– (একটি / দুটি / তিনটি / চারটি)।
উত্তরঃ দুটি।
২। নীচের যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ১×৪=৪
২.১ মটর গাছের মূলে যে অনুজীব বাস করে তার নাম লেখ।
উত্তরঃ রাইজোবিয়াম।
২.২ আমকে সরস ফল বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ আমের ফলত্বক কে রসালো রসালো ও শাঁসালো শাঁসালো প্রকৃতির, তাই আমকে সরস ফল বলে।
২.৩ অতিরিক্ত বাষ্পমোচনে বাধা সৃষ্টি করে এমন একটি পাতার নাম লেখো।
উত্তরঃ ক্যাকটাস।
২.৪ একটি অসম্পূর্ণ ফুলের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ কুমড়ো ফল।
২.৫ ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত দুটি অ্যান্টিবায়োটিকের নাম লেখো।
উত্তরঃ সেফালোস্পোরিন, পেনিসিলিন।
২.৬ জেকবসন অরগ্যান কোন্ প্রাণীর দেহে থাকে ?
উত্তরঃ সাপের।
২.৭ ORS এর সম্পূর্ণ নাম কী ?
উত্তরঃ ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (Oral-Rehydration-Solution)।
৩। তিন-চারটি বাক্যে উওর দাও : (যে কোনো ৪টি) ৩×৪=১২
৩.১ সাপ কেন বার বার জিভ বার করে ? বা জেকবসন অর্যগ্যান এর কাজ কী ?
উত্তরঃ সাপের মুখের ভিতর ওপরের তালুতে জেকবসন অরগ্যান (Organ of Jacobson) থাকে। সাপ যখন জিভটা বাইরে বার করে বাতাসে ভেসে থাকা বিভিন্ন উদ্বায়ী যৌগের অণুগুলি আটকে যায়। সাপ জিভটা মুখে ঢুকিয়ে নিয়ে তালুতে ঠেকায় এবং ঘ্রাণগ্রাহক জেকবসন অঙ্গের মাধ্যমে তা সাপের মস্তিষ্কে প্রেরিত হয়, যা উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। ফলে সাপ চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে জানতে পারে। তাই সাপ প্রায়ই জিভ বের করে।
৩.২ বর্ধনশীল অঞ্চল কাকে বলে ? এর কাজ লেখো।
উত্তরঃ মূলত্র অঞ্চলের ঠিক ওপরে অবস্থিত অঞ্চলটিকে বর্ধিষ্ণু অঞ্চল বা বর্ধনশীল অঞ্চল বলে। এই অঞ্চলের কোশগুলি আকার ও আয়তনে বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়া
বর্ধনশীল অঞ্চলের কাজ : বর্ধিষ্ণু অঞ্চল মূলের বৃদ্ধি ঘটায়।
৩.৩ অঙ্কুরোদগম কাকে বলে ? রসগোল্লার গাঢ় রস সহজে পচে না- অভিস্রবণ চাপের ধারণা দিয়ে ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় জল, অক্সিজেন ও উয়তার প্রভাবে বীজের সুপ্তাবস্থা দূরীভূত হয়, এবং ভ্রূণটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে বীজের বাইরে নির্গত হয় তাকে অঙ্কুরোদগম বা Germination বলে।
রসগোল্লার গাঢ় রসের ঘনত্ব বেশি থাকে, ফলে ওই গাঢ় রসের অভিস্রবণ চাপ বেশি হয়। ফলে রসগোল্লার গাঢ় রসে কোনো জীবাণু এসে যুক্ত হলে জীবাণুর কোশ থেকে জল বহিঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় বাইরে বেরিয়ে আসে, ফলে জলের অনুপস্থিতিতে জীবাণুরা বংশবিস্তারে অসমর্থ হয় ফলে জীবাণু মারা যায়। তাই রসগোল্লার গাঢ় রস পচনের হাত থেকে রক্ষা পায়।
৩.৪ বৃতি কাকে বলে ? বৃতির একক কী ? বৃতির কাজগুলি লেখো।
উত্তরঃ বৃতি : বৃতি কতকগুলি পৃথক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাতার মতো সবুজ অংশ নিয়ে গঠিত। এদের প্রত্যেকটিকে বৃত্যাংশ (sepal) বলে।
বৃতির একক : বৃতির একক হল বৃত্যাংশ।
বৃতির কার্যাবলি : (i) কুঁড়ি অবস্থায় ফুলের অন্যান্য স্তবকগুলিকে রোদ, বৃষ্টি, ঠান্ডা, বাইরের আঘাত ও কীটপতঙ্গদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। (ii) বৃতি সবুজ হওয়ায় সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে
৩.৫ স্বপরাগযোগ বলতে কী বোঝো ? উদাহরণ দাও। ইতরপরাগযোগ বলতে কী বোঝো উদাহরণ দাও ?
উত্তরঃ স্বপরাগযোগ : যখন কোনো ফুলের পরাগরেণু সেই ফুলের বা সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডের ওপর পতিত হয়, তখন তাকে স্বপরাগযোেগ বলে।
উদাহরণ : উভলিঙ্গ ফুলেই সাধারণত স্বপরাগযোগ দেখা যায়। শিম, টম্যাটো, সন্ধ্যামালতী ইত্যাদিতে স্বপরাগযোগ দেখা যায়।
ইতরপরাগযোগ : যখন কোনো ফুলের পরাগরেণু একই প্রজাতির অন্য কোনো গাছের ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে তখন তাকে ইতরপরাগযোগে বলা হয়। উদাহরণ : তাল, পেঁপে প্রভৃতি গাছে ইতরপরাগযোগ দেখা যায়।
৩.৬ প্রকৃতফল ও অপ্রকৃত ফল কাকে বলে ? উদাহরণ দাও। একটি কিসমিসকে জলে রাখা হলে ফুলে ওঠে কেন ? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো। ২+১
উত্তরঃ প্রকৃত ফল : কেবল ডিম্বাশয় পরিবর্তিত হয়ে যে ফলের সৃষ্টি হয় তাকে প্রকৃত ফল বলে। উদাহরণ: আম, জাম, পেয়ারা প্রভৃতি।
অপ্রকৃত ফল : ডিম্বাশয়ের সঙ্গে ফুলের অন্যান্য অংশও (যেমন– পুষ্পাক্ষ, বৃতি, দলমণ্ডল) পরিবর্তিত হয়ে ফলে গঠিত হলে, তাকে অপ্রকৃত ফল বলে। উদাহরণ: চালতা, কাঁঠাল, আনারস, আপেল ইত্যাদি।
শুকনো কিসমিসের মধ্যে রসের ঘনত্ব বেশি এবং পাত্রে রাখা জলের ঘনত্ব কম। কিসমিসের প্রভেদক ভেদ্যপর্দা ভেদ করে জল অন্তঃঅভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় কিসমিসের মধ্যে প্রবেশ করে। ফলে কিসমিসগুলি রসস্ফীতির জন্য ফুলে উঠবে।
📌আরও পড়ুনঃ
📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here