Class 8 Poribesh O Bigyan 2nd Unit Test Question Paper Set-1 wbbse | অষ্টম শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-১

2ND SUMMATIVE EVALUATION
CLASS 8 (VIII) WBBSE
PORIBESH O BIGGAN QUES PAPER

Set-1

Class 8 Poribesh O Bigyan 2nd Unit Test Question Paper Set-1 wbbse | অষ্টম শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র সেট-১

📌অষ্টম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন-২০২৫
অষ্টম শ্রেণি  বিষয় : পরিবেশ ও বিজ্ঞান 
সময় : ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট           পূর্ণমান : ৫০

PHYSICAL SCIENCE Marks (35)

1. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো: 1×9=9

(i) অনুঘটকের সক্রিয়তা বৃদ্ধি নির্ভর করে (a) আয়তনের ওপর, (b) ভরের ওপর, (c) ক্ষেত্রফলের ওপর, (d) ঘনত্বের ওপর।

উত্তরঃ (c) ক্ষেত্রফলের ওপর

(ii) বরফের ওপরে 1 বায়ুমণ্ডলীয় চাপের সমান পরিমাণ চাপ বাড়ালে বরফের গলনাঙ্ক প্রায়
(a) 0.0003°C, (b) 0.0005°C,
(c) 0.0007°C, (d) 0.0009°C

উত্তরঃ (c) 0.0007°C

(iii) হিমমিশ্র হল—
(a) বরফ ও কপূরের মিশ্রণ
(b) বরফ ও জলের মিশ্রণ
(c) বরফ ও সোড়ার মিশ্রণ
(d) বরফ ও নুনের মিশ্রণ।

উত্তরঃ d) বরফ ও নুনের মিশ্রণ

(iv) H₂S + 2FeCl₃ → S + 2FeCl₂ + 2HCl; প্রদত্ত বিক্রিয়ায় জারক পদার্থ কোনটি ?
(a) FeCl₃, (b) H₂S, (c) s, d) HCL

উত্তরঃ (a) FeCl₃

(v) জলের বাষ্পীভবনের লীনতাপ (a) 80 cal/g, (b) 180 cal/g, (c) 100 cal/g, (d) 537 cal/g1

উত্তরঃ (d) 537 cal/gl

(vi) সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে- (a) পরিবহণ, (b) পরিচলন, (c) বিকিরণ, (d) বায়ুচলন পদ্ধতিতে।

উত্তরঃ (c) বিকিরণ

(vii) অম্লায়িত জলের তড়িবিশ্লেষণে অ্যানোডে উৎপন্ন হয়- (a) অক্সিজেন, (b) হাইড্রোজেন, (c) নাইট্রোজেন, (d) প্ল্যাটিনাম।

উত্তরঃ (a) অক্সিজেন

(viii) প্রদত্ত কোনটি তড়িবিশ্লেষ্য পদার্থ নয়? (a) চিনি, (b) NaCl, (c) KOH, (d) MgSO₄

উত্তরঃ (a) চিনি

(ix) বজ্রগর্ভ মেঘের নীচের দিকে থাকা আধান- (a) ধনাত্মক, (b) ঋণাত্মক, (c) আধানবিহীন, (d) উভয়ই।

উত্তরঃ (b) ঋণাত্মক

2. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : (যে-কোনো সাতটি) 1×7=7

(i) কোন্ কোন্ ধাতু মিশিয়ে ফিউজ তার তৈরি করা হয়?

উত্তরঃ টিন ও সিসা।

(ii) একটি সুপরিবাহী পদার্থের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ তামা / অ্যালুমিনিয়াম / লোহা (বা যেকোনো ধাতু)।

(iii) প্রস্রাবাগারের ঝাঁঝালো গন্ধ কোন্ গ্যাসের ?

উত্তরঃ অ্যামোনিয়া।

(iv) লীনতাপ-এর সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ উষ্ণতার পরিবর্তন না ঘটিয়ে একক ভরের কোনো পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনে যে পরিমাণ তাপ গৃহীত বা বর্জিত হয়, তাকে ওই পদার্থের ওই নির্দিষ্ট অবস্থার পরিবর্তনের লীনতাপ বলে।

(v) মরচের সংকেত লেখো।

উত্তরঃ Fe₂O₃.nH₂O (আর্দ্র ফেরিক অক্সাইড)।

(vi) ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত তড়িদ্বারকে কী বলে ?

উত্তরঃ অ্যানোড।

(vii) টর্চ বা রেডিয়োতে ব্যবহৃত তড়িৎকোশকে কী বলে ?

উত্তরঃ শুষ্ক কোষ (বা ড্রাই সেল)।

(viii) গ্যালভানাইজড লোহা কাকে বলে?

উত্তরঃ লোহার উপর দস্তার (জিঙ্ক) পাতলা প্রলেপ দিয়ে লোহাকে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করার পদ্ধতিকে গ্যালভানাইজেশন বলে এবং এভাবে প্রস্তুত লোহাকে গ্যালভানাইজড লোহা বলে।

3. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (যে-কোনো দুটি) 2×2=4

(i) থার্মোফ্লাস্কের কার্যনীতি সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ কার্যনীতি : কাচ তাপের কুপরিবাহী এবং কাচপাত্র ও ধাতব বা প্লাস্টিক আবরণের মধ্যবর্তী মধ্যবর্তী স্থান নরম কুপরিবাহী পরিবাহী দিয়ে পৃথক থাকার ফলে এবং পাত্রের মুখে থাকা কর্কের ছিপিও অন্তরক পুদার্থ হওয়ায়, পরিবহণ পদ্ধতিতে বাইরের বায়ুর সঙ্গে ফ্লাস্কে রাখা তরলের তাপীয় আদানপ্রদান ঘটতে পারে না। আবার কার্চপাত্রের দুটি দুটি দেয়াল প্রায় বায়ুশূন্য থাকায় পরিবহণ ও পরিচলন পদ্ধতিতে বাইরে থেকে তাপ ভিতরে যেতে বাঁ ভিতর থেকে বাইরে আসতে পারে না। কাচের দেয়াল দুটির মুখোমুখি অংশ পারদ বা রুপোর প্রলেপ লাগিয়ে চকচকে কুরা হয়। ফলে, বিকিরণ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালন ঘটার সময় মসৃণ পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপ প্রতিফলিত হয়ে যায়, ফলে এই পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনও ব্যাহত হয়।

সুতরাং, সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে তাপ সঞ্চালনের তিনটি প্রক্রিয়াই কার্যকরী হওয়ার সুযোগ না থাকায় দীর্ঘ সময়ের জন্য ফ্লাস্কের অভ্যন্তর এবং বাইরের পরিবেশের মধ্যে তাপের গ্রহণ ও বর্জন ঘটে না। ফলে, উয়তাও অপরিবর্তিত থাকে।

(ii) 400 g অ্যালুমিনিয়ামের তাপমাত্রা 30°C থেকে 70°C-এ আনতে কত ক্যালোরি তাপ প্রয়োজন ? (অ্যালুমিনিয়ামের আপেক্ষিক তাপ = 0.21 cal/g.°C)

উত্তরঃ তাপ নির্ণয়ের প্রধান সূত্রটি হলো, Q = mcΔT, যেখানে Q হল শোষিত বা বর্জিত তাপ, m হল বস্তুর ভর, c হল আপেক্ষিক তাপ, এবং ΔT হল তাপমাত্রা পরিবর্তন।

এখানে,
ভর (m) = 400 গ্রাম
আপেক্ষিক তাপ (s) = 0.21 ক্যালোরি/গ্রাম °C
তাপমাত্রার পরিবর্তন (ΔT) = 70°C – 30°C = 40°C
প্রয়োজনীয় তাপ (Q) = m × s × ΔT
Q = 400 গ্রাম × 0.21 ক্যালোরি/গ্রাম °C × 40°C
Q = 3360 ক্যালোরি

সুতরাং, 400 গ্রাম অ্যালুমিনিয়ামের তাপমাত্রা 30°C থেকে 70°C তে নিয়ে যেতে 3360 ক্যালোরি তাপ প্রয়োজন।

(iii) সন্ধ্যেবেলায় শিশির পড়ে না অথচ গভীর রাতে শিশির পড়ে কেন?

উত্তরঃ সারাদিন সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠ গরম হয় এবং সংলগ্ন বায়ুও গরম হয়। দিনের বেলায়ও পৃথিবী তাপ ছাড়ে কিন্তু সূর্যাস্তের পর সূর্য, থেকে আর তাপ আসে না অথচ ভূপৃষ্ঠ তাপ বর্জন করতে থাকে। ভূপৃষ্ঠ ঠান্ডা হতে কিছুটা সময় লাগে, সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা হয় না। ফলে, ভূপৃষ্ঠের উয়তা শিশিরাঙ্কের নীচে নামে না, তাই সন্ধেবেলায় শিশির পড়ে নী। গভীর রাতে বা ভোরের দিকে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হয়। ফলে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। ফলে বায়ুর উয়তা একসময় শিশিরীঙ্কের নীচে নেমে যায় ও শিশির পড়ে।

4. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) : 3×5=15

(i) একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার সাহায্যে দেখাও যে, জারণ-বিজারণ একইসঙ্গে ঘটে।

উত্তরঃ কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ সর্বদা একই সঙ্গে ঘটে। এটি একটি উদাহরণের সাহায্যে দেখানো হল-কালো রং-এর লেড সালফাইডের সঙ্গে হাইড্রোজেন পারক্সাইডের বিক্রিয়ায় সাদা রং-এর লেড সালফেট ও জল উৎপন্ন হয়। এখানে PbS, H₂O₂ দ্বারা জারিত হয়ে PbSO, উৎপন্ন করে এবং H₂O₂ বিজারিত হয়ে জলে পরিণত হয়।

PbS + 4H₂O₂ = PbSO₄ + 4H₂O

এইভাবে, সবরকম জারণ-বিজারণ বিক্রিয়াগুলি লক্ষ করলে দেখা যায় যে, জারণের সময় জারক পদার্থ নিজে বিজারিত হয় এবং বিজারণের সময় বিজারক্ পদার্থ নিজে জারিত হয়। সুতরাং, জারণ এবং বিজারণ একই বিক্রিয়ায় একই সঙ্গে ঘটে থাকে।

অথবা, জারণ ও বিজারণের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ

বিষয় জারণ
বিজারণ
ইলেকট্রন গ্রহণ/বর্জন ইলেকট্রন বর্জন ঘটে। ইলেকট্রন গ্রহণ ঘটে।
অক্সিজেন গ্রহণ/বর্জন অক্সিজেন গ্রহণ ঘটে বা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের সংযুক্তি ঘটে। অক্সিজেন বর্জন ঘটে বা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌলের অপসারণ ঘটে।
হাইড্রোজেন গ্রহণ/বর্জন হাইড্রোজেন বর্জন ঘটে বা তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের অপসারণ ঘটে। হাইড্রোজেন গ্রহণ ঘটে বা তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের সংযুক্তি ঘটে।

(ii) তাপমোচী পরিবর্তন ও তাপগ্রাহী পরিবর্তনের একটি পার্থক্য লেখো। CaO থেকে কীভাবে Ca(OH)₂ তৈরি করা যায় এবং এই প্রক্রিয়া সময় কী ঘটনা ঘটে?

উত্তরঃ

বিষয় তাপমোচী রাসায়নিক পরিবর্তন তাপগ্রাহী রাসায়নিক পরিবর্তন
সংজ্ঞা যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ মুক্ত হয়, তাকে তাপমোচী রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয়, তাকে তাপগ্রাহী রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।

পোড়াচুনে জল দিলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় কারণ-এটি একটি তাপমোচী রাসায়নিক পরিবর্তন। এই উদ্ভূত তাপ আবাবু জলকে বাষ্পীভূত হতে সহায়তা করে অর্থাৎ জল বাষ্পীভূত হয়ে – জলীয়বাষ্প তথা স্টিমে পরিণত হয়। তাই কলিচুনের সঙ্গে প্রচুর স্টিমও নির্গত হয়।

CaO + H₂O = Ca(OH)₂ + তাপ

পোড়াচুন+জল = কলিচুন

(iii) তড়িবিশ্লেষণের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

উত্তরঃ (i) ধাতু নিষ্কাশনে : তড়িবিশ্লেষণের সাহায্যে সাহ ধাতব যৌগ থেকে ধাতুকে আলাদা করা হয়। যেমন-সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ইত্যাদি ধাতুর ক্লোরাইড লবণ থেকে গলিত অবস্থায় তড়িবিশ্লেষণের মাধ্যমে ধাতু ধাতু পাওয়া যায়।

(ii) ধাতু পরিশোধনে : কিছু ক্ষেত্রে ধাতু থেকে অশুদ্ধি দূর করতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। অশুদ্ধি দূর না করলে ধাতুগুলির তড়িৎ পরিবাহিতা কম হবে। অশুদ্ধ কপারকে এইভাবে শুদ্ধ করা হয়।

(iii) তড়িৎলেপনে : বিভিন্ন ধাতুর তৈরি বস্তুকে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ও ধাতুর স্থায়িত্ব বজায় রাখার জন্য এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে ওই সব বস্তুগুলির ওপর তড়িবিশ্লেষণ পদ্ধতিতে তড়িৎলেপন করা হয়।

অথবা, তড়িৎলেপন কাকে বলে ? লোহার পাইপের ওপর জিংকের প্রলেপ দিতে অ্যানোডে ও ক্যাথোডে কী কী ব্যবহার করবে ?

উত্তরঃ তড়িৎলেপন (Electroplating) : :> তবি তড়িবিশ্লেষণ পদ্ধতিতে কোনো ধাতু বা ধাতু সংকরের তৈরি পদার্থের ওপর অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় অন্য কোনো ধীতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎলেপন বলে।

লোহার পাইপের ওপর জিংকের প্রলেপ দেওয়ার জন্য তড়িৎলেপন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা গ্যালভানাইজেশন নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে:

অ্যানোড (Anode) : বিশুদ্ধ জিঙ্ক ধাতু ব্যবহার করা হয়।

ক্যাথোড (Cathode) : যে লোহার পাইপের ওপর প্রলেপ দেওয়া হবে, সেটি ব্যবহার করা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য হিসেবে জিঙ্ক আয়নের দ্রবণ (যেমন জিঙ্ক সালফেট বা জিঙ্ক ক্লোরাইডের দ্রবণ) ব্যবহার করা হয়। তড়িৎপ্রবাহ চালনা করলে অ্যানোডে জিঙ্ক দ্রবীভূত হয়ে দ্রবণে আসে এবং ক্যাথোড অর্থাৎ লোহার পাইপের ওপর জিঙ্কের পাতলা স্তর জমা হয়।

(iv) শীতকালে উলের জামাকাপড় খোলার সময় গায়ের লোমগুলি সোজা হয়ে ওঠে এবং ক্ষীণ চিড়চিড় শব্দ শোনা যায় কেন ?

উত্তরঃ শীতকালে উলের বা সিন্থেটিক উপাদান দিয়ে তৈরি সোয়েটার বা জামাকাপড় খোলার সময় দেহের সঙ্গে উল (পশম) বা ওই সিন্থেটিক উপাদানের ঘর্ষণে স্থির-তড়িৎ আধান সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে সোয়েটারে ধনাত্মক এবং দেহে ঋণাত্মক আধান উৎপন্ন হয়। এখন সমজাতীয় আধানু দ্বারা আহিত শরীরের অপেক্ষাকৃত শিথিল অংশ অর্থাৎ, লোমগুলি পারস্পরিক বিকর্ষণের ফলে পরস্পর থেকে দূরে সরে যেতে চায় এবং খাড়া হয়ে ওঠে।

আহিত লোমগুলি থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই ঘর্ষণজাত এই তড়িদাধান বায়ুতে ক্ষরণ হয়। এই আধান ক্ষরণের ফলে তড়িৎশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যা সংলগ্ন বাতাসকে দ্রুত প্রসারিত করে। এই ফলেই চিড়চিড় ক্ষীণ শব্দ শোনা যায়।

অথবা, ভূপৃষ্ঠে বজ্রপাত কীভাবে হয় তা কারণসহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ঝড়ের সময় মেঘ উপরে ওঠে এবং নীচে নামে। ফলে বায়ুর বিভিন্ন ধরনের আহিত কণার প্রভাবে মেঘের জলকুণাগুলি তড়িদ্‌গ্রস্ত হয়। সাধারণত মেঘের নীচের দিকটি ঋণাত্মক তুড়িগ্রস্ত এবং ওপরের দিকটা ধনাত্মক তড়িদগ্রস্ত হয়। ভূপৃষ্ঠ এবং আকাশের মধ্যে বিভবপার্থক্য থাকায় ভিন্ন আধানগুলি মেঘের মধ্যে দুটি আলাদী অঞ্চলে জমা হয়। এরপর নীচের দিকের ঋণাত্মক তড়িগ্রস্ত মেঘ মাটির কাছে এলে আবেশের জন্য মাটিতে ধনাত্মক তড়িৎ জমে। এভাবে তড়িৎ জমতে জমতে একসময় মেঘ ও মাটির মধ্যে বিভবপার্থক্য এত বেশি হয়ে যায় যে, মধ্যবর্তী অংশের বায়ু পরিবাহী হয়ে পড়ে ফলে স্ফুলিঙ্গের আকারে ঋণাত্মক তড়িদাধান মেঘ থেকে মাটিতে চলে আসে। এর ফলে সৃষ্ট ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু উচ্চমানের তড়িৎপ্রবাহের ফলে বায়ু অতি গরম হয়ে আলো বিকিরণ করে। একেই আমরা বজ্রপাতের ঝলক বলি। আবার এই অতি গরমে বায়ুতে সাময়িকভাবে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়, তা বায়ুতে প্রবল কম্পন তৈরি করে। এই কম্পনের জন্যই আমরা বজ্রপাতের সময় শব্দ শুনতে পাই। মেঘের উপরের দিক ধনাত্মক তড়িদ্‌গ্রস্ত মেঘের নীচের দিক ঋণাত্মক তড়িদুগ্রস্ত এভাবে ভূপৃষ্ঠে বজ্রপাত হয়। এই বজ্রপাত দুটি আলাদা মেঘের মধ্যে বা একই মেঘের বিভিন্ন অংশের মধ্যেও হতে পারে।

(v) পারদ কি তড়িদবিশ্লেষ্য – যুক্তি দাও। ‘সব তড়িবিশ্লেষ্যই তড়িৎ পরিবাহী, কিন্তু সব তড়িৎ পরিবাহী তড়িদবিশ্লেষ্য নয়’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ তড়িদ্বিশ্লেষ্য পদার্থ মাত্রই তড়িৎ পরিবহণ করে এবং তড়িৎ পরিবহণের সময় রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন করে। আবার সকল তড়িৎ পরিবাহী পদার্থই তড়িৎ পরিবহণে সক্ষম। কিন্তু ধাতব পরিবাহীগুলি তড়িৎ পরিবহণ করে মুক্ত ইলেকট্রনের মাধ্যমে এবং তড়িৎ পরিবহণের ফলে এদের কোনো প্রকার রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে না।) তাই সব তড়িৎ পরিবাহীকে তড়িবিশ্লেষ্য বলা যায় না, কিন্তু সব তড়িবিশ্লেষ্য পদার্থই তড়িৎ পরিবহণ করে অর্থাৎ, তড়িৎ পরিবাহী।

অথবা, LED কী ? ভিজে হাতে বা খালি পায়ে ভিজে মাটিতে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রিকের সুইচে হাত দেওয়া বিপজ্জনক কেন ?

উত্তরঃ LED হল বিশেষ একপ্রকার ইলেকট্রনিক উপকরণ (অর্ধপরিবাহী) যা তড়িৎশক্তিকে সরাসরি দুশ্যমান আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে। সাধারণত এগুলি গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, ইন্ডিয়াম ফসফাইড ইত্যাদি অর্ধপরিবাহী উপাদান দ্বারা গঠিত হয়। দৃশ্যমান LED গুলি সাধারণত লাল, নীল, সবুজ ও কমলা-এই চারটি রঙের পাওয়া যায়।

ভিজে হাতে বা খালি পায়ে ভিজ্বে মেঝেতে দাঁড়িয়ে ইলেকট্রিকের সুইচে হাত দেওয়া বিপজ্জনক, কারণ- বিশুদ্ধ জল তড়িতের কুপরিবাহী হলেও পানীয় জল বা যে-কোনো উৎস থেকে পাওয়া জলে ল এ একাধিক খনিজ পদার্থ, লবণ বা ধাতব যৌগ মিশে থাকে, যা জলকে তড়িতের পরিবাহী করে তোলে। ফলে ইলেকট্রিক শক লাগার সম্ভাবনা থাকে।

LIFE SCIENCE (Marks 15)

1. নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর নির্বাচন করো : (যে-কোনো ছয়টি) 1×6=6

(i) ফ্ল্যাভিভাইরাস কোন্ রোগের জীবাণু ? (a) প্লেগ, (b) ম্যালেরিয়া, (c) ডেঙ্গি, (d) পোলিয়ো।

উত্তরঃ (c) ডেঙ্গি

(ii) DOTS প্রদত্ত কোন্ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি ? (a) যক্ষ্মা (b) ফ্লু (c) কালাজ্বর (d) স্মল পক্স বা গুটি বসন্ত।

উত্তরঃ (a) যক্ষ্মা

(iii) রত্না প্রদত্ত কোন্ জাতীয় ধান ? (a) জলদি জাত (b) মাঝারি জাত (c) নাবি জাত (d) একটিও নয়।

উত্তরঃ (a) জলদি জাত

(iv) কোন্ আম সবচেয়ে আগে পাকে ? (a) ঝুমকোফজলি (b) গোলাপখাস (c) ল্যাংড়া (d) হিমসাগর।

উত্তরঃ (b) গোলাপখাস

(v) চা-এর মূল উপাদান হল– (a) ট্যানিন (b) ক্যাফিন (c) রেসারপিন (d) a ও b উভয়ই।

উত্তরঃ (d) a ও b উভয়ই

(vi) কাতলা মাছ পুকুরের যে স্তরে থাকে, সেটি হল– (a) জলের উপরের স্তর (b) মধ্যস্তর (c) নীচের স্তর (d) জলের যে-কোনো স্তর

উত্তরঃ (a) জলের উপরের স্তর

(vii) প্রদত্ত কোনটি শ্রমিক মৌমাছির কাজ ? (a) ডিম পাড়া (b) প্রজননে অংশগ্রহণ করা (c) মৌচাক তৈরি করা (d) কোনোটিই নয়।

উত্তরঃ (c) মৌচাক তৈরি করা

2. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : 1×2

(i) বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো : এপিকালচার, পশুপালন, পিসিকালচার, এগ্রিকালচার।

উত্তরঃ এগ্রিকালচার।

(ii) লেগহর্ন হল এক প্রকার ___________ ব্রিড।

উত্তরঃ লেয়িং বা ডিম উৎপাদনকারী।

(iii) ডিমপোনা থেকে ধানিপোনা ________ পুকুরে তৈরি করা হয়।

উত্তরঃ আঁতুড়।

3. যে-কোনো দুটি প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : 2×2=4

(i) মেজর কার্প ও মাইনর কার্পের যে-কোনো দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ মেজর কার্প ও মাইনর কার্পের দুটি পার্থক্য নিচে দেওয়া হল—

১. আকার ও বৃদ্ধি : মেজর কার্প (যেমন রুই, কাতলা, মৃগেল) মাইনর কার্পের (যেমন পুটি, বাটা, সরপুঁটি) চেয়ে আকারে অনেক বড় হয় এবং এদের বৃদ্ধির হার বেশি।

২. বাণিজ্যিক গুরুত্ব : মেজর কার্প মাছ চাষে বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান চাষের প্রজাতি। মাইনর কার্পের বাণিজ্যিক গুরুত্ব মেজর কার্পের তুলনায় কম।

(ii) মধুর উপাদানগুলির নাম লেখো।

উত্তরঃ মধুর প্রধান উপাদানগুলি হল—

• শর্করা (ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ প্রধান)

• জল

• এনজাইম (যেমন ইনভারটেজ, ডায়াটেজ)

• ভিটামিন (অল্প পরিমাণে)

• খনিজ লবণ (অল্প পরিমাণে)

• অ্যামাইনো অ্যাসিড (অল্প পরিমাণে) SES

• পরাগ রেণু (অল্প পরিমাণে)

• অ্যারোমা যৌগ

(iii) স্টক ও সিয়ন কী ?

উত্তরঃ কলম (grafting) পদ্ধতিতে স্টক ও সিয়ন দুটি অপরিহার্য অংশ—

স্টক (Stock) : এটি কলমের নীচের অংশ, যা মাটিতে মূল সংবলিত অবস্থায় থাকে। এটি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকা এবং জল ও পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে।

সিয়ন (Scion) : এটি কলমের উপরের অংশ, সাধারণত একটি কুঁড়ি বা ছোট ডাল, যা স্টক-এর সাথে জোড়া লাগানো হয়। সিয়ন থেকে গাছটির কাণ্ড, পাতা, ফুল ও ফল বিকশিত হয় এবং এটি কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়।

(iv) কলেরা ও ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিজ্ঞানসম্মত নাম লেখো।

উত্তরঃ

• কলেরার জীবাণুর বিজ্ঞানসম্মত নাম— Vibrio cholerae

• ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিজ্ঞানসম্মত নাম— Plasmodium sp. (ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী কয়েকটি প্রজাতি আছে, যেমন— Plasmodium falciparum, Plasmodium vivax, ইত্যাদি। সাধারণভাবে গণ নামটি Plasmodium লেখা হয়।)

4. যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 3×1 =3

(i) জৈব সার রাসায়নিক সার অপেক্ষা উৎকৃষ্ট কেন ?

উত্তরঃ জৈব সার রাসায়নিক সার অপেক্ষা উৎকৃষ্ট হওয়ার কয়েকটি কারণ নিচে দেওয়া হলো—

মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়ন : জৈব সার মাটির ভৌত গঠন উন্নত করে, মাটির জল ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মাটিকে ঝুরঝুরে করে তোলে। রাসায়নিক সার এগুলি করতে পারে না।

অনুজীবের কার্যকলাপ বুদ্ধি : জৈব সার মাটির উপকারী অনুজীবদের সংখ্যা ও কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা পুষ্টি উপাদান সহজলভ্য কুরতে এবং মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাসায়নিক সার মাটির অনুজীবদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

পুষ্টি উপাদানের সরবরাহ : জৈব সার থেকে পুষ্টি উপাদান ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘ সময় ধরে সরবরাহ হয়, যা গাছের জন্য উপকারী। রাসায়নিক সারের পুষ্টি উপাদান দ্রুত সহজলভ্য হলেও এর প্রভাব স্বল্পস্থায়ী হয় এবং অতিরিক্ত ব্যবহারে মাটির ক্ষতি হতে পারে।

পরিবেশ-বান্ধব : জৈব সার প্রাকৃতিক উৎস থেকে তৈরি হয় এবং পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না। রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহার জল ও মাটি দূষণ ঘটাতে পারে।

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের সরবরাহ : জৈব সারে গাছের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ম্যাক্রো ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সুষমভাবে বর্তমান থাকে, যা রাসায়নিক সারে প্রায়শই অনুপস্থিত থাকে।

(ii) ডিপ-লিটার পদ্ধতি কাকে বলে ? ব্যাটারি খাঁচায় কেন মুরগিদের রাখা হয় ? 1+2

উত্তরঃ মুরগি পালনের একটি পদ্ধতি যেখানে মুরগির ঘরের মেঝেতে কাঠের গুঁড়ো, ধানের তুষ, খড় বা অন্যান্য শোষক পদার্থ পুরু স্তরে বিছিয়ে দেওয়া হয়। এই স্তরটি মুরগির মলমূত্র শোষণ করে এবং ধীরে ধীরে ফার্মেন্টেশনের মাধ্যমে জৈব সারে পরিণত হয়। এই পদ্ধতিতে লিটার শুষ্ক ও আলগা থাকে এবং এটি মুরগিদের উষ্ণতা প্রদান করে।

বাণিজ্যিক ডিম উৎপাদনের জন্য ব্যাটারি খাঁচা ব্যবহার করা হয় কারণ এটি—

• প্রতিটি মুরগিকে নির্দিষ্ট জায়গা দেয়, ফলে তাদের মধ্যে মারামারি বা ঠোকরাঠুকি কমে।

• ডিম সংগ্রহ করা সহজ হয়, কারণ ডিম গড়িয়ে খাঁচার বাইরে চলে আসে।

• রোগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়, কারণ প্রতিটি মুরগি আলাদা খাঁচায় থাকে।

• খাবার ও জল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

• স্থান ব্যবহার দক্ষতা বাড়ে, কম জায়গায় বেশি সংখ্যক মুরগি রাখা যায়।

(iii) শস্য আবর্তন কাকে বলে ? এর গুরুত্ব কী ? 1+2

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট জমিতে বছরের পর বছর একই ফসল চাষ না করে বিভিন্ন প্রকার ফসলকে নির্দিষ্ট পর্যায়ক্রমে চাষ করাকে শস্য আবর্তন বা ফসল চক্র বলে।

গুরুত্ব : শস্য আবর্তনের গুরুত্ব নিচে দেওয়া হলো—

মাটির উর্বরতা বুদ্ধি : বিভিন্ন ফসল মাটি থেকে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শোষণ করে। পর্যায়ক্রমে ফসল চাষ করলে মাটির নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয় না এবং মাটির উর্বরতা বজায় থাকে। বিশেষ করে ডাল জাতীয় ফসল চাষ করলে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়ে।

রোগ ও পোকা নিয়ন্ত্রণ : একই ফসল বারবার চাষ করলে নির্দিষ্ট রোগজীবাণু ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। শস্য আবর্তন করলে এই সমস্যা অনেকটা কমে আসে কারণ রোগ ও পোকার জীবনচক্র ব্যাহত হয়।

মাটির ক্ষয় রোধ : বিভিন্ন প্রকারের ফসল, বিশেষ করে যাদের শিকড় মাটিকে ধরে রাখে, তাদের আবর্তন করলে মাটির ক্ষয় রোধ করা যায়।

আগাছা নিয়ন্ত্রণ : বিভিন্ন ফসলের সঙ্গে সম্পর্কিত আগাছা ভিন্ন ভিন্ন হয়। শস্য আবর্তনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট আগাছার বিস্তার রোধ করা যায়।

রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমানো : মাটির উর্বরতা বজায় থাকার কারণে রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরতা কমে আসে।

📌আরও পড়ুনঃ

📌অষ্টম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here

📌অষ্টম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here

Leave a Reply

  • Post comments:0 Comments
  • Reading time:14 mins read