প্রোফেসর শঙ্কুর ডায়রি
নবম শ্রেণি। বাংলা সহায়ক পাঠ
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী (SAE) প্রশ্নোত্তর কর্ভাস গল্প নবম শ্রেণি বাংলা | Short and Explanatory Type Question Answer Korvas Class 9 Bengali wbbse
📌নবম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌 নবম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী (SAE) প্রশ্নোত্তর কর্ভাস গল্প নবম শ্রেণি বাংলা | Short and Explanatory Type Question Answer Korvas Class 9 Bengali wbbse
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর কর্ভাস গল্প (সত্যজিৎ রায়) নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ | Short and Explanatory Question Answer Korvas Class 9 Bengali wbbse
(বিঃ দ্রঃ নবম শ্রেণি বাংলা সহায়ক পাঠ থেকে ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর আসে না, পাঠ্য বিষয়টি সম্পর্কে আরো স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেওয়া হল)।
• কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও। প্রশ্নের মান-৩
১. শঙ্কুর পাখি পড়ানো যন্ত্রটির নাম কী ও তার গঠন কেমন ?
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায়ের রচিত কর্ভাস গল্পে,শঙ্কুর পাখি পড়ানো যন্ত্রটির নাম হল ‘অরনিথন’যন্ত্র।সহজ পথে বিশ্বাসী মানুষ শঙ্কু।তাই তাঁর যন্ত্রটিও ছিল সহজ। যন্ত্রটির দুটি অংশ।একটি অংশ খাঁচার অরনিথন যন্ত্রের গঠন মতো,পাখি থাকবে সেই খাঁচার মধ্যে।খাঁচার সঙ্গে বৈদ্যুতিক যোগ থাকবে দ্বিতীয় অংশের এবং এই অংশটি থেকেই জ্ঞান,বুদ্ধি ইত্যাদি চালিত হবে পাখির মস্তিষ্কে।
২. আমি বিশ্বের সেরা জাদুকর’- আমি কে ? তার চেহারার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায়ের রচিত ‘কর্ভাস’ গল্পে, ‘আমি’ হলেন- জাদুকর আর্গাস।তিনি লম্বায় সাড়ে ছয় ফুটেরও বেশি।তাঁর টিয়া পাখির মতো নাক। মাঝখানে সিঁথি করা চুল টান করে পিছনে আঁচড়ানো।এই চুল নতুন গ্রামাফোন রেকর্ডের মতো আর্গাসের চেহারার বর্ণনা কালো আর চকচকে।চোখে মাইনাস পাওয়ারের পুরু কাচের চশমা থাকায় মণি দুটোকে তীক্ষ্ণ বিন্দুর মতো দেখায়। আর তাঁর কোটের আস্তিন থেকে বেরিয়ে আসা ফ্যাকাসে হাত দুটোর বিভিন্ন ভঙ্গিমাই দর্শকদের সম্মোহিত করে রাখে।
৩. কর্ভাস যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়,তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম। বক্তা কে ? প্রসঙ্গ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায়ের রচিত কর্ভাস গল্পে, বক্তা হলেন প্রোফেসর শঙ্কু।তিনি তাঁর নিজের গবেষণার সঙ্গী ও ছাত্র কাকটি সম্পর্কে এ কথা বলেছেন।
একদিন ভীষণ বজ্রপাতে বাগানের শিমূল গাছে বাজ পড়ে একটি কাক মারা যাওয়ায় অন্য সব কাক এসে জড়ো হয়ে চিৎকার করছিল। কিন্তু কর্ভাস সেখানে যাওয়ার কোনো প্রসঙ্গ আগ্রহ দেখাল না। বরং সে পেনসিল মুখে প্রাইম নাম্বারস লিখে চলল। এর থেকেই শঙ্কু টের পান কর্ভাস সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়।
৪. ‘এ থেকে একটা অনুমান করা যায় যে কাকটার শেখার আগ্রহ প্রবল’-কোন প্রসঙ্গে এমন উক্তি ?
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায়ের রচিত কর্ভাস’গল্পে,শঙ্কু তাঁর ল্যাবরেটরিতে অরনিথন যন্ত্রের কাজ শেষ উদ্ধৃতাংশের প্রসঙ্গকরেছেন। কর্ভাস সকালেই তাঁর ঘরে প্রবেশ করে পাউরুটি খেয়ে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে।এমন সময় শঙ্কু খাঁচার দরজাটা খুলে দিলেন,পাখিটা লাফাতে লাফাতে এসে তার মধ্যে প্রবেশ করল।এ থেকে প্রোফেসর অনুমান করলেন যে,কাকটির শেখার আগ্রহ প্রবল।
৫. ‘তার সঙ্গে বেরিয়েছে পেনসিল মুখে কর্ভাসের একটা ছবি’-কোথায় কর্ভাসের ছবি বেরিয়েছিল ?এর কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায়ের রচিত কর্ভাস গল্পে,চিলির খবরের কাগজ’কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগো’র সান্ধ্য সংস্করণে কর্ভাসের ছবি বেরিয়েছিল।সানতিয়াগোর পক্ষিবিজ্ঞানী সম্মেলনে, দু-মাস ধরে শঙ্কুর কর্ভাসের ছবি বেরোনোর কারণ কাছে কর্ভাস যা শিখেছিল সেই সবই উপস্থিত অভ্যাগতদের কাছে ডিমনস্ট্রেট করে।একটা পাখির মগজে যে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি এভাবে প্রবেশ করতে পারে,এই দৃশ্য দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যায়। তাই কাগজে কর্ভাসের ছবিসহ খবর বেরোয়।
৬. “কর্ভাস যে এখন সাধারণ সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়”- কী করে বোঝা যায় কর্ভাস সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায় ? ৩
উত্তরঃ সেদিন ছিল ২২শে অক্টোবর। দুপুরে হঠাৎ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল। বেলা তিনটে নাগাদ একটা কান ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ শুনে জানালার কাছে গিয়ে প্রফেসর শঙ্কু দেখলেন যে, তার বাগানের শিমুল গাছের মাথা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থামার পর, সেই তল্লাটে যত কাক ছিল সব ওই মরা শিমুল গাছটার জড়ো হয়ে কোলাহল করছিল। তখন তিনি চাকর প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠালেন। সে ফিরে এসে জানালো একটা কাক মরে পড়ে আছে গাছটার নিচে। তাই সমস্ত কাক সেখানে হল্লা লাগিয়েছে। কিন্তু কর্ভাস ঘর থেকে বের হবার কোনো আগ্রহ দেখালো না। সে একমনে পেন্সিল মুখে দিয়ে প্রাইম নাম্বার লিখে যাচ্ছিল। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে, কর্ভাস এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়।
৭. পাখি সম্পর্কে প্রফেসর শঙ্কুর কৌতুহলের পরিচয় দাও। ৩
উত্তরঃ প্রত্যেক প্রাণীরই কিছু নির্দিষ্ট সহজাত ক্ষমতা থাকে। প্রফেসর শঙ্কুর ধারণায়, অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় পাখির ক্ষমতা আরো বেশি বিস্ময়কর। একটা বাবুই পাখির বাসা হাতে নিয়ে দেখলে অবাক হতে হয়। একজন মানুষকে যদি ঐরকম একটা বাসা তৈরি করতে বলা হয় সেই কাজটা আদৌ করতে পারা যাবে না আর করা গেলেও অনেক পরিশ্রম লেগে যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যানিফাউল পাখি মাটিতে বাস করে। তারা ডিম পাড়ে বাসার ভেতরে কিন্তু ডিমে তা দেয় না। তারা এক আশ্চর্য অজ্ঞাত কৌশলে বাসার ভেতরে তাপমাত্রা 78 ডিগ্রী ফারেনহাইটের 1 ডিগ্রীও এদিক ওদিক হতে দেয় না। তারা নিজেদের পালক নিজেরাই ছিঁড়ে খায় এবং শাবকদের খাওয়ায়। এরা জলে ভাসমান অবস্থায় কোন শত্রুর আগমনের ইঙ্গিত পেলে নিজের দেহে ও পালক থেকে বায়ু বের করে দিয়ে শরীরে স্পেসিফিক গ্রাভিটি বাড়িয়ে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকতে পারে। এছাড়াও যাযাবর পাখির দিক নির্ণয় ক্ষমতা, ঈগল, বাজের শিকার ক্ষমতা, শকুনের ঘ্রাণশক্তি প্রভৃতি সম্পর্কে প্রফেসর শঙ্কুর এরকম ধারনা ছিল।
৮. “ওই পাখি আমার চাই প্রফেসর”- বক্তা কে? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি ? ১+২
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় রচিত “প্রফেসর শঙ্কুর ডায়েরি” গল্পের অন্তর্গত কর্ভাস” অংশের আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস।
আর্গাস পাখি নিয়ে ম্যাজিক দেখাতেন। তিনি খবরের কাগজে কর্ভাসের সংবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই তিনি হোটেলে প্রফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় ভদ্রতাবশত শঙ্কু তাকে ঘরে ডেকে পাঠান। কর্ভাস বিরক্ত হয়ে খাঁচা থেকে বেরিয়ে ঠোঁট দিয়ে আলো নিভিয়ে আবার খাঁচায় ঢুকে ঠোট দিয়ে খাঁচার দরজা বন্ধ করে দেয়। আর্গাস সামান্য পাখির এই কান্ড দেখে অবাক হয়ে যায়। তাই তিনি যে কোন প্রকারে কর্ভাসকে পাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।
📌 আরো দেখুনঃ
📌নবম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌 নবম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here