নানারকম শব্দ তৃতীয় অধ্যায় সপ্তম শ্রেণি ভাষাচর্চা বাংলা ব্যাকরণ | Class 7 Bhasachorcha Nanarokom Sobdo Ch-3 wbbse
📌সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র Click Here
📌সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
হাতে কলমে প্রশ্নোত্তর : নানারকম শব্দ তৃতীয় অধ্যায় সপ্তম শ্রেণি ভাষাচর্চা বাংলা ব্যাকরণ | Class 7 Bhasachorcha Nanarokom Sobdo Ch-3 wbbse
১। বাক্যে প্রয়োগ করো :
কড় কড়ে : মামার বাড়ি গেলে মামা আমার হাতে প্রত্যেকবার কড় কড়ে ১০০ টাকার নোট দেয়।
বন বন : অতিরিক্ত গরমে মাথা বনবন করে ঘুরছে।
গনগন : জ্বলন্ত উনুনের ভেতরটা আগুনে গনগন করছে।
টুংটাং : হঠাৎ টুংটাং শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
খাঁ খাঁ : বাড়ির পিছনের মাঠটি খাঁ খাঁ করছে।
রান্নাবান্না : রান্না বান্না সেরে মা কাকিমার সঙ্গে গল্প করতে বসেছে।
ছ্যাঁক ছ্যাঁক : জ্বরে বাচ্চাটির গা ছ্যাঁক ছ্যাঁক করছে।
হিতাহিত : বিপদে পড়ে লোকটি হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে গেল।
কথায় কথায় : কথায় কথায় মেয়েটি কান্না শুরু করে।
চোখে চোখে : পুলিশ দোষী লোকটিকে চোখে চোখে রেখেছে।
বারে বারে : বারে বারে ভুল কাজ করা ঠিক নয়।
রকমসকম : বাসের মধ্যে লোকটির রকমসকম আমার ভালো ঠেকলো না।
বইটই : বইটই বন্ধ করে ছাত্ররা খেলার মাঠে ছুটল।
চুপচাপ : বাচ্চাটি খুব চুপচাপ স্বভাবের।
ভন ভন : তাড়াতাড়ি খেতে আয়, মাছি ভনভন করেছে।
ঝিরঝির : সন্ধ্যে থেকেই ঝিরঝির করে বৃষ্টি হচ্ছে।
ঝমঝম : সকাল থেকেই ঝমঝম করে বৃষ্টি নামল।
দুমদাম : ভাদ্র মাস বলে দুমদাম করে তাল পড়ছে।
টাপুর টুপুর : টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে।
করকর : ধুলো পড়ে চোখটা করকর করছে।
ঝিনঝিন : অনেকক্ষণ বসে থাকলে পা ঝিনঝিন করে।
খিলখিল : বাচ্চাটি খিল খিল শব্দের হেসে উঠলো।
আবোল তাবোল : জ্বরের ঘোরে মেয়েটি আবোল তাবোল বকছে।
মাঝে মাঝে : সময় পেলে মাঝে মাঝে বেড়াতে যাওয়া উচিত।
ঠিকঠিক : ছাত্রটি মাস্টারমশাইয়ের সমস্ত প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দিল।
২। নীচের বাক্যগুলিতে শব্দদ্বৈতগুলির প্রয়োেগ বৈশিষ্ট্য দেখাও :
২.১ আজ মুখোমুখি যুদ্ধ।
উত্তরঃ ‘মুখোমুখি’ শব্দদ্বৈতটি সামনাসামনি অর্থে প্রযুক্ত হয়েছে।
২.২ ঠেলাঠেলির মধ্যে না যাওয়াই ভালো।
উত্তরঃ ‘ঠেলাঠেলি’ শব্দদ্বৈতটি ভীড় অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
২.৩ চা-টা খেয়েই বেরিয়ে পড়তে হবে।
উত্তরঃ চা-টা হল একটি পদবিকারবাচক শব্দদ্বৈত। এখানে চা এর অর্থ থাকলেও ‘টা’ শব্দের কোন অর্থ নেই। খাবারের অনুষঙ্গ বোঝানো হয়েছে।
২.৪ ধরো ধরো পড়ে যাবে যে!
উত্তরঃ বাক্যে ‘ধরো ধরো’ শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দদ্বৈত। এই শব্দের দ্বারা উৎকণ্ঠার ভাব প্রকাশিত হয়েছে।
২.৫ শীত যায় যায় এমন সময়ের ঘটনা।
উত্তরঃ ‘যায় যায়’ শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দদ্বৈতের অন্তর্গত। এর মধ্য দিয়ে আসন্নতার ভাব প্রকাশিত হয়েছে।
২.৬ দেখতে দেখতে বিকেল হয়ে এল।
উত্তরঃ ‘দেখতে দেখতে’ শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দেদ্বৈতের অন্তর্গত, এর দ্বারা সমকালীনতার ভাবটি প্রকাশিত।
২.৭ মুখে মুখে ছড়াটা শিখে নিয়েছে।
উত্তরঃ ‘মুখে মুখে’ শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দদ্বৈতের অন্তর্গত, এর মধ্য দিয়ে সংযোগের ভাব প্রকাশিত।
২.৮ কেঁদে কেঁদে আর ঘুরে বেড়িও না।
উত্তরঃ’কেঁদে-কেঁদে’ শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দদ্বৈতের অন্তর্গত, এর দ্বারা সমকালীনতার ভাব প্রকাশিত।
২.৯ টাকা টাকা করেই জীবনটা কাটাল।
উত্তরঃ ‘টাকা টাকা’ শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দদ্বৈতের অন্তর্গত এখানে টাকার প্রতি লোভের ভাবটি প্রকাশিত।
২.১০ বাগানে এখন রাশি রাশি ফুল।
উত্তরঃ ‘রাশি রাশি’ শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দের অন্তর্গত এর মধ্য দিয়ে বহুলতার ভাবটি প্রকাশিত।
২.১১ এসো-এসো তোমার কথাই হচ্ছিল।
উত্তরঃ ‘এসো-এসো’ শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দদ্বৈতের অন্তর্গত, এখানে সমকালীন তা অর্থের ভাবটি প্রকাশিত।
২.১২ চলাফেরা দিনদিন কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
উত্তরঃ দিনদিন শব্দটি দ্বিরুক্ত শব্দদ্বৈতের অন্তর্গত, এখানে দীর্ঘকালীনতার ভাবটি প্রকাশিত।
৩। নীচের বাক্যগুলিতে ধন্যাত্মক শব্দের প্রয়োগ বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করো :
৩.১ তাঁর পরনে সেদিন ধবধবে সাদা কাপড়।
উত্তরঃ ধবধবে শব্দটি ভাবপ্রকাশক ধন্যাত্মক শব্দ।
৩.২ কনকনে শীত আমি একদম পছন্দ করি না।
উত্তরঃ কনকনে শব্দটি ভাবপ্রকাশক ধন্যাত্মক শব্দ।
৩.৩ ঘড়ঘড় শব্দটা হয়েই চলেছে।
উত্তরঃ ঘড়ঘড় শব্দটি অনুকার ধন্যাত্মক শব্দ।
৩.৪ শুধু অন্ন-বস্ত্রের কথা ভাবলে চলে না।
উত্তরঃ অন্ন-বস্ত্র শব্দটি প্রায় সমার্থক শব্দের শব্দদ্বৈত।
৩.৫ ঘুটঘুটে অন্ধকারে একলা হেঁটে চলেছি।
উত্তরঃ ঘুটঘুটে শব্দটি ভাবপ্রকাশক ধন্যাত্মক শব্দ।
৩.৬ ঝমঝম করে বৃষ্টি এল।
উত্তরঃ ঝমঝম শব্দটি অনুকার ধন্যাত্মক শব্দ।
৩.৭ তরতর করে নৌকো এগিয়ে চলেছে।
উত্তরঃ তরতর শব্দটি ভাবপ্রকাশক ধন্যাত্মক শব্দ।
৩.৮ চারিদিক জলে থৈ থৈ করছে।
উত্তরঃ থৈ থৈ শব্দটি ভাবপ্রকাশক ধন্যাত্মক শব্দ।
৩.৯ দেখে গা রি রি করে উঠল।
উত্তরঃ রি রি শব্দটি ভাবপ্রকাশক ধন্যাত্মক শব্দ।
৩.১০ তারারা আকাশে জ্বলজ্বল করছে।
উত্তরঃ জ্বলজ্বল শব্দটি ভাবপ্রকাশক ধন্যাত্মক শব্দ।
৪। নীচের শব্দগুলি থেকে শব্দদ্বৈত, ধন্যাত্মক শব্দ ও অনকার শব্দ আলাদা করে লেখো :
জানাশোনা, খড়খড়, ফন্দি-ফিকির, বাসন-কোসন, হাসিকান্না, কানাকানি, বনবন, দিনেদিনে, হাঁক-ডাক, সাজ-গোজ, মালপত্র, খাঁ খাঁ, রগরগে, দুমদাম, ধূ ধূ, দপদপ, হনহন, আজেবাজে, কাপড়-চোপড়, থেকে থেকে।
উত্তরঃ
শব্দদ্বৈত : জানাশোনা, ফন্দিফিকির, বাসন- কোসন, হাসি কান্না, কানাকানি, দিনে দিনে, হাঁকডাক, সাজগোজ, মালপত্র, আজেবাজে, কাপড়চোপড়, থেকে থেকে।
ধন্যাত্মক শব্দ : খড় খড়, বন বন, খাঁ খাঁ, রগরগে, ধূধূ, দপ দপ, হন হন।
অনুকার শব্দ : দুমদাম।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর : নানারকম শব্দ তৃতীয় অধ্যায় সপ্তম শ্রেণি ভাষাচর্চা বাংলা ব্যাকরণ | Class 7 Bhasachorcha Nanarokom Sobdo Ch-3 wbbse
১. হরিণ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয়জাত অর্থ হলো— (যে হরণ করে / যা মনে রাখার মতো / পঙ্কে জন্মায় যা)।
উত্তরঃ যে হরণ করে।
২. স্মরণীয় শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয়জাত অর্থ হলো— (যে হরণ করে / যা মনে রাখার মতো / পঙ্কে জন্মায় যা)।
উত্তরঃ যা মনে রাখার মতো।
৩. পঙ্কজ শব্দের অর্থ হলো— (যে হরণ করে / যা মনে রাখার মতো / পাঁকে জন্মায় যা)।
উত্তরঃ পাঁকে জন্মায় যা।
৪. যে শব্দের অর্থ প্রকৃতি-প্রত্যয়ের সম্মিলিত অর্থ থেকেই পাওয়া যায়, তাকে (রূঢ় শব্দ / যৌগিক শব্দ / যোগরূঢ় শব্দ) বলে।
উত্তরঃ যৌগিক শব্দ।
৫. যে শব্দের প্রচলিত অর্থের সঙ্গে ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বা সম্পর্ক থাকলেও, অন্য অর্থগুলির থেকে একটি অর্থই বিশেষ হয়ে যায়, তাকে (রূঢ় শব্দ / যৌগিক শব্দ / যোগরূঢ় শব্দ) বলে।
উত্তরঃ যোগরূঢ় শব্দ।
৬. যে শব্দের প্রচলিত অর্থের সঙ্গে ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বা প্রকৃতি প্রত্যয়জাত অর্থের কোনো সম্পর্ক নেই তাকে (রূঢ় শব্দ / যৌগিক শব্দ / যোগরূঢ় শব্দ) বলে।
উত্তরঃ রূঢ় শব্দ।
৭. অর্থগত দিক থেকে শব্দকে (দুই / তিন / চার) ভাগে ভাগ করা যায়।
উত্তরঃ তিন।
৮. গঠনগত দিক থেকে শব্দকে (দুই / তিন / চার) ভাগে ভাগ করা যায়।
উত্তরঃ দুই।
৯. ধনাত্মক শব্দকে (দুই / তিন / চার) ভাগে ভাগ করা যায়।
উত্তরঃ দুই।
১০. ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় ওষুধ খেতে হয়।’– ঘন্টায় ঘন্টায় শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (দ্রুত অর্থে / নিয়মিত অর্থে / বহুলতা বোঝাতে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ নিয়মিত অর্থে।
১১. ‘মিনিটে মিনিটে গোল দিল জার্মানি।’– ‘মিনিটে মিনিটে’ শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (দ্রুত অর্থে / নিয়মিত অর্থে / বহুলতা বোঝাতে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ দ্রুত অর্থে।
১২. লাখ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেল।’— ‘লাখ লাখ’ শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (দ্রুত অর্থে / নিয়মিত অর্থে / বহুলতা বোঝাতে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ বহুলতা বোঝাতে।
১৩. ‘আকাশে টুকরো টুকরো মেঘ ছড়িয়ে।’— ‘টুকরো টুকরো’ শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (দ্রুত অর্থে / নিয়মিত অর্থে / বহুলতা বোঝাতে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ বহুলতা বোঝাতে।
১৪. ‘গলায় গলায় ভাব।’— ‘গলায় গলায়’ শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (গভীরতা বোঝাতে / নিয়মিত অর্থে / বহুলতা বোঝাতে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ গভীরতা বোঝাতে।
১৫. ‘হাতে হাতে কাজটা এগিয়ে দাও।’— ‘হাতে হাতে’ শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (গভীরতা বোঝাতে / নিয়মিত অর্থে / সাহায্য অর্থে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ সাহায্য অর্থে।
১৬. ‘বাচ্চারা চোর-চোর খেলছে।’— ‘চোর-চোর’ শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (অনুকরণ অর্থে / নিয়মিত অর্থে / সাহায্য অর্থে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ অনুকরণ অর্থে।
১৭. ‘বাড়িটার অবস্থা পড়ো-পড়ো।’— ‘পড়ো-পড়ো’ শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (অনুকরণ অর্থে / নিয়মিত অর্থে / সাহায্য অর্থে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ আসন্ন অর্থে
১৮. তখন থেকে যাই যাই করছ কেন ? — ‘যাই যাই’ শব্দদ্বৈতটি যে অর্থে প্রয়োগ করা হয়েছে (অনুকরণ অর্থে / নিয়মিত অর্থে / সাহায্য অর্থে / আসন্ন অর্থে)।
উত্তরঃ আসন্ন অর্থে।
১৯. একটি সমার্থক শব্দদ্বৈত এর উদাহরণ হল— (হেসেখেলে / ভালোমন্দ / বকাঝকা / ডাক্তার-বৈদ্য)।
উত্তরঃ ডাক্তার-বৈদ্য।
২০. একটি সমার্থক শব্দদ্বৈত এর উদাহরণ হল— (হেসেখেলে / ভালোমন্দ / বকাঝকা / বাড়িঘর)।
উত্তরঃ বাড়িঘর।
২১. একটি সমার্থক শব্দদ্বৈত এর উদাহরণ হল— (হেসেখেলে / ভালোমন্দ / বকাঝকা / মাঠেময়দানে)।
উত্তরঃ মাঠেময়দানে।
২২. একটি সমার্থক শব্দদ্বৈত এর উদাহরণ হল— (হেসেখেলে / ভালোমন্দ / বকাঝকা / ঠাকুরদেবতা)।
উত্তরঃ ঠাকুরদেবতা।
২৩. প্রায় সমার্থক শব্দদ্বৈত এর একটি উদাহরণ হল— (হেসেখেলে / ভালোমন্দ / বকাঝকা / ডাক্তার-বৈদ্য)।
উত্তরঃ হেসেখেলে।
২৪. প্রায় সমার্থক শব্দদ্বৈত এর একটি উদাহরণ হল— (রেখে ঢেকে / ভালোমন্দ / বকাঝকা / ডাক্তার-বৈদ্য)।
উত্তরঃ রেখে ঢেকে।
২৫. প্রায় সমার্থক শব্দদ্বৈত এর একটি উদাহরণ হল— (ধারে কাছে / ভালোমন্দ / বকাঝকা / ডাক্তার-বৈদ্য)।
উত্তরঃ ধারে কাছে।
২৬. বিপরীতার্থক শব্দদ্বৈত এর একটি উদাহরণ হল— (হেসেখেলে / ভালোমন্দ / বকাঝকা / ডাক্তার-বৈদ্য)।
উত্তরঃ ভালোমন্দ।
২৭. বিপরীতার্থক শব্দদ্বৈত এর একটি উদাহরণ হল— (হেসেখেলে / যাওয়াআসা / বকাঝকা / ডাক্তার-বৈদ্য)।
উত্তরঃ যাওয়াআসা।
২৮. ‘দুমদাম’ এটি কি ধরনের শব্দ— (ধ্বন্যাত্মক শব্দ / অনুকার শব্দ / শব্দদ্বৈত)।
উত্তরঃ অনুকার শব্দ।
২৯. ‘বাঁশি’ শব্দটি হল- ( যৌগিক শব্দ / গূঢ় শব্দ / যোগরূঢ় শব্দ / ধ্বন্যাত্মক শব্দ)।
উত্তরঃ যোগরূঢ় শব্দ।
৩০. ‘বাসন-কোসন’ শব্দটি হল— (ক) শব্দদ্বৈত্য (খ) ধ্বন্যাত্মক (গ) অনুকার শব্দ (ঘ) ক ও খ উভয়ই
উত্তরঃ (গ) অনুকার শব্দ।
৩১. ‘ঝনঝন’ শব্দটি একটি— (ক) যৌগিক
শব্দ (খ) ধ্বন্যাত্মক শব্দ (গ) অনুকার শব্দ (ঘ) রুঢ় শব্দ
উত্তরঃ (খ) ধ্বন্যাত্মক শব্দ
৩২. নীচের কোনটি শব্দ দ্বৈত-র উদাহরণ নয় ?— (ক) আলাপসালাপ (খ) ঝমঝম (গ) যাই যাই (ঘ) হেসে খেলে
উত্তরঃ (খ) ঝমঝম
৩৩. নীচের কোন শব্দটি রূঢ় শব্দের
উদাহরণ ? (ক) মণ্ডপ (খ) পঙ্কজ (গ) গায়ক (ঘ) পরিধি
উত্তরঃ (ক) মণ্ডপ
৩৪. ‘ছমছম’ শব্দটি হল—(ক) যৌগিক শব্দ (খ) রুঢ় শব্দ (গ) যোগরুঢ় শব্দ (ঘ) ধ্বন্যাত্মক শব্দ
উত্তরঃ (ঘ) ধ্বন্যাত্মক শব্দ
৩৫. ‘পঙ্কজ’—কী ধরনের শব্দ ?
(ক) যৌগিক (খ) রুঢ় (গ) যোগরূঢ় (ঘ) ধ্বন্যাত্মক শব্দ
উত্তরঃ (গ) যোগরূঢ়।
৩৬. বিপরীতার্থক শব্দদ্বৈতের উদাহরণ
কোনটি ?
(ক) বাড়িঘর (খ) অল্পবিস্তর (গ) ধারেকাছে (ঘ) গাছগোছালি
উত্তরঃ (খ) অল্পবিস্তর।
৩৭. অনুকার ধ্বন্যাত্মক শব্দের একটি উদাহরণ হলো— (ঝিম ঝিম / চট চট / টাপুর টুপুর / খাঁ খাঁ)।
উত্তরঃ টাপুর টুপুর।
৩৮. অনুকার ধ্বন্যাত্মক শব্দের একটি উদাহরণ হলো— (ঝিম ঝিম / চট চট / ঝির ঝির / খাঁ খাঁ)
উত্তরঃ ঝির ঝির।
৩৯. অনুকার ধ্বন্যাত্মক শব্দের একটি উদাহরণ হলো— (ঝিম ঝিম / চট চট / খট খট / খাঁ খাঁ)
উত্তরঃ খট খট।
৪০. অনুকার ধ্বন্যাত্মক শব্দের একটি উদাহরণ হলো— (ঝিম ঝিম / চট চট / টুং টাং / খাঁ খাঁ)।
উত্তরঃ টুং টাং।
৪১. ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের একটি উদাহরণ হলো— (ঝিম ঝিম / খট খট / টুং টাং / ঝির ঝির)।
উত্তরঃ ঝিম ঝিম।
৪২. ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের একটি উদাহরণ হলো— (চট চট / খট খট / টুং টাং / ঝির ঝির)।
উত্তরঃ চট চট।
৪৩. ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের একটি উদাহরণ হলো— (খাঁ খাঁ / খট খট / টুং টাং / ঝির ঝির)।
উত্তরঃ খাঁ খাঁ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর : নানারকম শব্দ তৃতীয় অধ্যায় সপ্তম শ্রেণি ভাষাচর্চা বাংলা ব্যাকরণ | Class 7 Bhasachorcha Nanarokom Sobdo Ch-3 wbbse
১. যৌগিক শব্দ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে শব্দের অর্থ প্রকৃতি-প্রত্যয়ের সম্মিলিত অর্থ থেকেই পাওয়া যায়, তাকে যৌগিক শব্দ বলে।
২. রূঢ় শব্দ বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ যে শব্দের প্রচলিত অর্থের সঙ্গে ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বা প্রকৃতি প্রত্যয়জাত অর্থের কোনো সম্পর্ক নেই তাকে রূঢ় শব্দ বলে।
৩. যোগরূঢ় শব্দের সংজ্ঞা লেখো।
উত্তরঃ যে শব্দের প্রচলিত অর্থের সঙ্গে ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বা সম্পর্ক থাকলেও, অন্য অর্থগুলির থেকে একটি অর্থই বিশেষ হয়ে যায়, তাকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।
৪. শব্দদ্বৈত কাকে বলে ?
উত্তরঃ একটি বিশেষ শব্দের দুবার ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে অর্থের ও ভাবের বৈচিত্র্য সৃষ্টি হলে, শব্দের এই প্রয়োগকে শব্দদ্বৈত বলে।
৫. শব্দ কাকে বলে ?
উত্তরঃ বিভিন্ন বর্ণ দিয়ে তৈরি, যার নির্দিষ্ট অর্থ থাকে যা বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাকে শব্দ বলে।
৬. পদ কাকে বলে ?
উত্তরঃ বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলে।
৭. ধ্বন্যাত্মক শব্দ কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে সব শব্দের মাধ্যমে কোনো বাস্তব বা বাহ্যবস্তুর ধ্বনি বা কোনো অনুভূতিগ্রাহ্য কোনো অবস্থার দ্যোতনা ফুটে ওঠে, তাদের ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে।
৮. অর্থগত দিক থেকে শব্দকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
উত্তরঃ অর্থগত দিক থেকে শব্দকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যৌগিক শব্দ, রূঢ় শব্দ, যোগরূঢ় শব্দ।
৯. গঠনগত দিক থেকে শব্দকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
উত্তরঃ গঠনগত দিক থেকে শব্দকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। মৌলিক শব্দ ও সাধিত শব্দ।
📌আরও পড়ুনঃ
📌 সপ্তম শ্রেণি ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি বাংলা প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি ইংরেজি প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি ভূগোল প্রশ্নোত্তর Click Here
📌 সপ্তম শ্রেণি গণিত সমাধান Click Here